পিআরএস অ্যাওয়ার্ড পেলেন আবুল কাশেম
প্রেসিডেন্ট’স রোভার স্কাউট অ্যাওয়ার্ড (পিআরএস) পেয়েছেন লক্ষ্মীপুরের আবুল কাশেম। রোভার স্কাউটদের জন্য বাংলাদেশ স্কাউটসের সর্বোচ্চ অ্যাওয়ার্ড পিআরএস।
সোমবার (৫ নভেম্বর) বিকেলে ঢাকার খামারবাড়ির কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে বাংলাদেশ স্কাউটস’র জাতীয় কাউন্সিলের ৪৭তম বার্ষিক সাধারণ সভায় ১০ জনকে অ্যাওয়ার্ড প্রদান করেন বাংলাদেশের চিফ স্কাউট ও রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ।
আবুল কাশেম লক্ষ্মীপুর পৌরসভার ১১ নম্বর ওয়ার্ড আটিয়াতলি এলাকার ব্যবসায়ী আবদুর রাজ্জাক ও শামছুন নাহারের ছেলে। তিনি ঢাকা কলেজের কলা অনুষদের সমাজবিজ্ঞান বিভাগের মাস্টার্সের শিক্ষার্থী এবং স্কাউট গ্রুপের সেবা স্তরের রোভার।
পিআরএস প্রাপ্ত অন্যরা হলেন- রোভার মো. হাদিসুর রহমান, নূর মোহাম্মদ, মো. রেজাউল হক, আবদুল্লাহ আল আজাদী, কাজী মো. নাসির উদ্দিন, লাবীব মোহাম্মদ তক্বী, জাহাঙ্গীর আলম, সৈয়দ মোহাম্মদ আসিফ মাহমুদ ও শবনম আক্তার জেবীন।
জানা গেছে, রোভার স্কাউটসদের জন্য পিআরএস দেশের সর্বোচ্চ অ্যাওয়ার্ড। এটি রাষ্ট্রপতি পিআরএস প্রাপ্তদের প্রদান করেন। একজন রোভারের জন্য এটি একটি গৌরবোজ্জ্বল অধ্যায়।
১৭ থেকে ২৫ বছরের মধ্যে কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা প্রাতিষ্ঠানিক ও মুক্ত রোভার দলে সহচর হিসেবে যোগদান করতে পারেন। আর সর্বনিন্ম ২৭ মাস এবং সর্বোচ্চ ৩৯ মাসের রোভার স্কাউট প্রোগ্রাম বাস্তবায়ন করতে হয়।
জেলা রোভার স্কাউটসের মূল্যায়ন পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে অঞ্চল পর্যায়ে অংশ নিতে হয়। পিআরএস অর্জনকারীকে লিখিত, ব্যবহারিক, মৌখিক, সাঁতার এবং লগবই মূল্যায়নে পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হতে হয়। পরে জাতীয় পর্যায়ে ৩০০ নম্বরের লিখিত, ব্যবহারিক, মৌখিক, সাঁতার ও লগবই মূল্যায়ন পরীক্ষায় অংশ নিতে হয়। যা পিআরএস মূল্যায়ন ক্যাম্পের (তাঁবুবাস) মাধ্যমে সম্পন্ন হয়।
পিআরএস আবুল কাশেম বলেন, ‘একজন রোভার হিসেবে এটি আমার সর্বোচ্চ অর্জন। আমি স্কাউট আন্দোলনের মূলমন্ত্র ও আত্মমর্যাদাকে ধারণ করে দেশ ও জাতির কল্যাণে কাজ করতে চাই। পিআরএস পেতে যারা আমাকে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে সহযোগিতা করেছেন তাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি। স্কাউটস’র লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য পূরণে সবসময় সর্বদা নিজেকে নিয়োজিত রাখব।’