১০ ডিসেম্বর রাণীনগর হানাদার মুক্ত দিবস

  • ডিস্ট্রিক করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

ছবি: বার্তা২৪

ছবি: বার্তা২৪

১৯৭১ সালের ১০ ডিসেম্বর নওগাঁর রাণীনগর উপজেলাবাসীর জন্য একটি স্মরণীয় দিন। আজকের এ দিনে ৩৭ ঘণ্টা সম্মুখ যুদ্ধের মাধ্যমে রাণীনগরে হানাদার মুক্ত হয়। স্বাধীনতার সংগ্রামে সাড়া দিয়ে সারা দেশের ন্যায় এ উপজেলার মুক্তিযোদ্ধারা মাতৃভূমিকে শত্রু মুক্ত করার লড়াইয়ে ঝাঁপিয়ে পড়েন।

মহান স্বাধীনতা সংগ্রামের ৯ মাস রক্তক্ষয়ী লড়াইয়ের পর নওগাঁর রাণীনগর উপজেলাবাসী আজকের এ দিনে শত্রু মুক্ত হয়ে বিজয় উল্লাস আর ‘জয় বাংলা, বাংলার জয়” জয়ধ্বনিতে প্রকম্পিত করে তুলেছিল।

বিজ্ঞাপন

এ এলাকায় পাক হানাদার মুক্ত করতে অসংখ্য জীবন বলিদান এবং অসংখ্য অসহায় মা বোনদের নির্যাতিত হতে হয়েছে। এছাড়া পঙ্গুত্বের অভিশাপ আর মা-বাবা, স্বামী-স্ত্রী, ভাই-বোন হারানোর যন্ত্রণা নিয়ে এখনো অনেকই বেঁচে আছেন। স্বাধীনতার এত বছর পেরিয়ে গেলেও কেউ তাদের খোঁজ-খবর রাখেনি।

জানা গেছে, ১৯৭১ সালের ৯ ডিসেম্বর রাণীনগর পাক-হানাদার মুক্ত করার লক্ষ্যে মুক্তিযোদ্ধারা থানা সদরে থাকা হানাদার ক্যাম্প চারিদিক থেকে ঘেরাও করেন। পরদিন ১০ ডিসেম্বর দীর্ঘ ৩৭ ঘণ্টা সম্মুখ যুদ্ধের এক পর্যায়ে ১৭ জন রাজাকার অস্ত্রসহ আত্মসমর্পণ করেন। এ সময় পাকবাহিনী সান্তাহার অভিমুখে পালিয়ে যায়।

বিজ্ঞাপন

বীরমুক্তিযোদ্ধা আকতারুজ্জামান রনজু ও মো. হারুন অর রশিদের নেতৃত্বে এ সম্মুখ যুদ্ধে স্থানীয়দের মধ্যে অংশ নেন মুক্তিযোদ্ধা আব্দুর রউফ দুলু, আব্দুর রাজ্জাক, ইসমাইল হোসেন, নুরুল ইসলাম, শহিদুল্লাহ মিঞা, চয়েন সরকার এবং জেলা পর্যায়ের মুক্তিযোদ্ধা ওহিদুর রহমান ও আফজাল হোসেনসহ নাম না জানা আরও অনেক মুক্তিযোদ্ধা।

এসময় রাণীনগর পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী লুৎফর রহমান পাকহানাদার বাহিনীর গুলিতে শহীদ হন। একই সঙ্গে বিরোচিত লড়াইয়ের মধ্য দিয়ে রাণীনগরকে হানাদার মুক্ত করেন স্বাধীনতা যুদ্ধের সেই মুক্তিযোদ্ধা নায়ক সেনারা।