সরকারি ঘর পেয়ে খুশি ২৯৮ পরিবার

  • ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, নেত্রকোনা, বার্তা২৪.কম
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

সরকারি ঘর পেয়ে খুশি ২৯৮ পরিবার। ছবি: বার্তা২৪.কম

সরকারি ঘর পেয়ে খুশি ২৯৮ পরিবার। ছবি: বার্তা২৪.কম

‘ঘরের জাগা (জায়গা) ছিল। কিন্তু ঘর করার মতো সামর্থ্য ছিল না। সরকার দয়া করে আমরারে (আমাদেরকে) ঘর কইরা দিছে। এহন (এখন) নিজের ঘরে শুইতে পাইরে আমরা খুব খুশি।’

রোববার (৬ জানুয়ারি) দুপুরে কথাগুলো বলছিলেন সদ্য সরকারি ঘর পাওয়া নেত্রকোনার কেন্দুয়া উপজেলার চিরাং ইউনিয়নের সাগুলী গ্রামের রিকশা চালক হাদিস মিয়া। সরকারি সহায়তায় মাথা গোঁজার ঠাঁই হওয়ায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতি কৃতজ্ঞতা ও তার জন্য দোয়াও করেন তিনি।

বিজ্ঞাপন

হাদিস মিয়ার মতো সরকারি ঘর পায় কেন্দুয়া উপজেলার ১৩টি ইউনিয়নের ২৯৮টি গৃহহারা হতদরিদ্র পরিবার। গৃহহারা ওই সব পরিবারের সদস্যরা সরকারি ঘর পেয়ে খুশি।

তবে এলাকার সচেতন মহলের লোকজন প্রধানমন্ত্রীকে অভিনন্দন জানিয়ে জানান, উপজেলায় এ রকম আরও অনেক গৃহহারা পরিবার রয়েছে। ধারাবাহিক ভাবে গৃহহারা প্রত্যেকটি পরিবারকেই ঘর করে দেয়ার জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সুদৃষ্টি কামনা করেন তারা।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, উপজেলা পর্যায়ে প্রকল্প বাস্তবায়ন কমিটির মাধ্যমে এ গৃহ নির্মাণ প্রকল্পের কাজ করা হয়। ওই কমিটির সভাপতি হলেন- উপজেলা নির্বাহী অফিসার এবং উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা হলেন সদস্য সচিব।

বিজ্ঞাপন

গৃহ নির্মাণ বাস্তবায়ন কমিটির সদস্য সচিব ও কেন্দুয়া উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা সাইফুল ইসলাম জানান, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের অগ্রাধিকার প্রকল্প আশ্রয়ণ-২ প্রকল্পের অধীনে ২০১৭-২০১৮ অর্থবছরে কেন্দুয়া উপজেলায় ‘জমি আছে ঘর নেই’ এমন ২৯৮টি পরিবারকে (প্রতি ঘরের বরাদ্দ ১ লাখ টাকা) ঘর নির্মাণ করে দেয়ার জন্য অর্থ প্রদান করা হয়। তারা সেই অর্থ দিয়ে সুষ্ঠু ও সুন্দরভাবে প্রত্যেকটি গৃহহারা পরিবারকে ঘর নির্মাণ করে দিয়েছেন। নতুন ঘর পেয়ে খুশি ওই সব পরিবারের লোকজন।

এ ব্যাপারে গৃহ নির্মাণ বাস্তবায়ন কমিটির সভাপতি ও কেন্দুয়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার আল-ইমরান রুহুল ইসলাম জানান, প্রধানমন্ত্রীর মূল লক্ষ্য হল একটি পরিবারও গৃহহীন থাকবে না। আর এরই ধারাবাহিকতায় কেন্দুয়া উপজেলায় ২৯৮টি গৃহহীন পরিবারকে ঘর নির্মাণ করে দেয়া হয়েছে। তিনি নিজে গৃহ নির্মাণ কাজ ঘুরে ঘুরে দেখেছেন। ঘর পেয়ে প্রতিটি পরিবারই প্রধানমন্ত্রীর দীর্ঘায়ু ও সফলতা কামনা করেছে।