১৫৯৯ একর জমির মালিক মল্লিকবাড়ি বন বিট নিজেই ভূমিহীন



সেরাজুল ইসলাম সিরাজ, স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট
ছবি: বার্তা২৪

ছবি: বার্তা২৪

  • Font increase
  • Font Decrease

ভালুকা (ময়মনসিংহ) থেকে ফিরে: ১৫৯৯ একর জমির মালিক হয়েও মল্লিকবাড়ি বন বিট এখন নিজেই ভূমিহীনে পরিণত হয়েছে। শুধু কি ভূমিহীন; যদি বাস্তহারা বলা যায় তাতেও ভুল হবে না। তার নিজের দাঁড়াবার জন্য সামান্য ঠাঁইও নেই।

অন্য বিটের আশ্রিত হিসেবে রয়েছেন খোদ বিট অফিসার। অথচ গেজেট অনুযায়ী মল্লিকবাড়ি বন বিটের জমির পরিমাণ ১৫৯৯ একর। সবটাই এখন ভূমিদস্যুদের গ্রাসে চলে গেছে। এক শতাংশ জমিও আর অবশিষ্ট নেই। বন বিভাগের সর্বোচ্চ কর্তারাও ২ বছর আগে সরেজমিন পরিদর্শন করেছিলেন। লক্ষ্য ছিলো একটু জায়গা উদ্ধার করে সেখানে অন্তত বিট অফিস স্থাপন করা। কিন্তু রহস্যজনক কারণে সে উদ্যোগও থেমে যায়।

একজনতো টিপ্পনি কেটে বলেই বসলেন, এটি বিসিএস’এ প্রশ্ন হওয়ার মতো। কোন বিটের জমি নেই। মল্লিকবাড়িতে একজন বিট অফিসার রয়েছে, আবার তার অধীনে একজন বন প্রহরী ও ২ জন বাগানমালি রয়েছে। প্রশ্ন ছিলো কতোদিন আগে থেকে এই অবস্থা। এর সঠিক জবাব কেউই দিতে পারেন নি। কেউ বলেছেন ৪০ বছর, কেউ বলছেন ৫০ বছর, আবার কেউ কেউ ২০ বছরের কথা। এলাকার প্রভাবশালীরাই ধীরে ধীরে গ্রাস করে ফেলেছে পুরো বিটের জমি। অথচ এরমধ্যে রিজার্ভ ফরেস্টও রয়েছে।

বন আইনে রিজার্ভ ফরেস্ট (সংরক্ষিত বন) সম্পর্কে বলা হয়েছে, এখানে সাধারণ জনগণের প্রবেশ করতে হলে বন বিভাগের পূর্বানুমতি নিতে হবে। কেউ যদি অনুমতি ছাড়া প্রবেশ করে প্রয়োজনে গুলি ব্যবহার করার এখতিয়ার দেওয়া হয়েছে বন বিভাগকে। অথচ সেখানে এখন বন বিভাগ প্রবেশ করার সাহস পায় না। বিট অফিস স্থাপনের জায়গা বের করতে গেলে তাদের তাড়িয়ে দিয়েছে দখলবাজরা।

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2019/Jan/16/1547620473247.jpg

বিট অফিসার কুদরত-ই খুদা বার্তা২৪.কম কে বলেন, গেজেট অনুযায়ী মোট জমির পরিমাণ ১৫৯৯.০১ হলেও ২০ ধারা (রিজার্ভ ফরেস্ট) ভুক্ত রয়েছে ১৭টি দাগে ১৫৪.৮০ একর। ৫৩১ নম্বর দাগে রিজার্ভ ফরেস্ট রয়েছে ২১.৮০ একর। এখানে কাশেম সুপার নামের এক প্রভাবশালী প্রায় ৭ একরের মতো দখল করে রেখেছে।

বিট অফিসার বলেন, তিনি যোগদানের পর জমি উদ্ধারে ২৫টির মতো মামলা দিয়েছেন। তার আগের বিট অফিসারও প্রায় ৬টি মামলা দায়ের করে গেছেন। যেগুলো এখন বিভিন্ন পর্যায়ে বিচারাধীন রয়েছে।

মল্লিকবাড়ি বন বিটটি ময়মনসিংহ বন বিভাগের ভালুকা রেঞ্জের আওতাধীন। ঢাকা-ময়মনসিংহ হাইওয়ের পাশে অবস্থিত হওয়ায় এখানকার জমি সোনার চেয়েও দাবী। এক শতাংশ জমির দাম ক্ষেত্র বিশেষে ১০ লাখ টাকা পর্যন্ত রয়েছে। এখানে জমি জবরদখলে নামিদামী কোম্পানিও পিছুপা হয় নি। স্কয়ার, ওরিয়ন, এনভয়, বাদশা গ্রুপ, লভেলো আইসক্রিম, লাবিব ডাইং ও ব্র্যাকের মতো জায়ান্ট প্রতিষ্ঠান বনের জায়গা দখলে রেখেছে। বন বিভাগ মামলা দিয়ে নিজের দায় সেরেছে।

রাজনীতিতে অনেক মত পথ থাকলেও ভালুকায় বনের জমি দখলে আওয়ামী লীগ বিএনপি একাট্টা। কারো মধ্যে কোনো ভেদাভেদ নেই। বন বিভাগের জমি দখলে এখনও নেতৃত্ব দিয়ে যাচ্ছে বিএনপি নেতা শহীদুল ইসলাম শহীদ। বনের জমি বাউন্ডারি ওয়াল দিয়ে দখল করতে করতে তার নামই হয়ে গেছে বাউন্ডারি শহীদ। একসময় বনের নার্সারীতে (দৈনিক ৫ কেজি গমের বিনিময়ে) চারা লাগানোর কাজ করতেন। এখন নিজেই শত কোটি, মতান্তরে হাজার কোটি টাকার মালিক বনে গেছেন। তার নিজের দখলেই রয়েছে কয়েকশ একর জমি।

নিজে যেমন বনের জমি দখল করেছেন আবার বাইরে থেকে শিল্পপতিদের ডেকে এনে জমি দখল করে দিয়েছেন। জমি দখলের পদ্ধতিটা এখানে একটু ভিন্ন রকমের। প্রথমে ব্যক্তিমালিকানার কিছু জমি সংগ্রহ করেন। এরপর তার চারপাশে কয়েকশ বিঘা জমি বাউন্ডারি দিয়ে ঘিরে নেন। আর বাউন্ডারি স্থাপনে কোটি টাকার খেলার নেতৃত্ব দেন বাউন্ডারি শহীদ।  

তার রয়েছে কয়েকশ লাঠিয়াল বাহিনী। আর থানা পুলিশ যাতে কোনো বাধা হয়ে না দাঁড়ায় সে জন্য ব্যবহার করা হয় নগদ টাকা। আর এই টাকার গন্ধে বুদ হয়ে যায় পুলিশ প্রশাসন। সেই সুযোগে নির্বিঘ্নে জমি দখল করে নেয় দখলবাজরা। বন বিভাগের লোকজনও অনেক সময় নগদ টাকার গন্ধে চোখ বুজে থেকেছেন। আবার কখনও কখনও দায়সারা গোছের মামলা দিয়ে নিজের দায় সেরেছে।

শুধু কি মল্লিকবাড়ি বন বিট। অন্যান্য বিটের অবস্থাও যায় যায়। যেদিকে নজর যায় শুধু দখলবাজদের দৌরাত্ব্য। ঢাকা ময়মনসিংহ রোডের সিডস্টোর বাজারের জায়গাটি রিজার্ভ ফরেস্টের। যেখানে হরেক রকমের বন থাকার কথা, সে সব জায়গায় শোভা পাচ্ছে সারিসারি অট্টালিকা। প্রতিনিয়ত বেহাত হয়ে যাচ্ছে বনের জায়গা।

ময়মনসিংহ বন বিভাগের বিভাগীয় কর্মকর্তা একেএম রুহুল আমিন বার্তা২৪.কমকে বলেছেন, আমি সম্প্রতি এখানে যোগদান করেছি। আগে কি হয়েছে বলতে পারবো না। তবে আমরা মল্লিকবাড়ি বিটে মাথা ঢোকানোর চেষ্টা করছি। খুব শিগগিরই আমরা একটু হলেও দখলমুক্ত করে বাগান করা হবে।

কেন্দ্রীয় বন অঞ্চলের বন সংরক্ষক রকিবুল হাসান মুকুল বার্তা২৪.কমকে বলেছেন, সারাদেশে বনের জমি ডিমার্কেশন করার জন্য একটি প্রকল্প হাতে নেওয়া হয়েছে। এখানে বন বিভাগসহ সংশ্লিষ্ট সকলে থাকবে। মার্ক করার কাজ শেষ হলে উদ্ধারে বিশেষ অভিযান করা হবে।

পরিবেশ বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের সচিব আবদুল্লাহ আল মহসিন বার্তা২৪.কমকে বলেন, বিষয়টি আমার জানা ছিলো না। আমরা শিগগিরই তদন্ত টিম পাঠাবো। তারপর প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

   

বড় ভাইয়ের অস্ত্রের আঘাতে ছোট ভাইয়ের মৃত্যু



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, সাতক্ষীরা
ছবি: বার্তা ২৪

ছবি: বার্তা ২৪

  • Font increase
  • Font Decrease

টাকা পয়সা লেনদেনের জের ধরে বড় ভাইয়ের ধারালো অস্ত্রের আঘাতে আজিবার রহমান নামে একজন নিহত হয়েছেন। 

সোমবার (৬ এপ্রিল) খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্তায় মৃত্যু হয় তার ।

তিনি সাতক্ষীরা সদর উপজেলার বলাডাঙ্গা গ্রামের বাসিন্দা । এর আগে শুক্রবার (৩ মে) রাতে সাতক্ষীরার সদর উপজেলার বলাডাঙ্গা গ্রামে দুই ভাইয়ের মধ্যে হাতাহাতির ঘটনা ঘটে।

নিহতের মেঝো ভাই রস্তম আলী জানান, বড় ভাই আফসার আলী ও ছোট ভাই আজিবর রহমান গরুর মাংসের ব্যবসা করত। শুক্রবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে তাদের ব্যবসার টাকা নিয়ে প্রথমে কথা কাটাকাটি হয়। এক পর্যায়ে বড় ভাই আফসার আলী ঘর থেকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে আজিবর রহমানের শরীরের এলোপাতাড়ি কোপাতে থাকে। ওই সময় আহত অবস্থায় প্রথমে ছোটভাই আজিবর রহমানকে সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে তার অবস্থার অবনতি হলে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সোমবার (৬ মে) সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্তায় মৃত্যু হয় তার।

সাতক্ষীরা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মহিদুল ইসলাম জানান, নিহতের মরদেহ ময়না তদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে। শুক্রবারে রাতের ঘটনায় আফসার আলীর নামে একটি মামলা হয়েছে। মামলাটি এখন হত্যা মামলা হিসেবে রেকর্ড করা হবে । মামলার আসামিকে গ্রেফতারের চেষ্টা চলেছে বলে জানান ওই পুলিশ কর্মকর্তা।

;

সুন্দরবনে আগুন: ধোঁয়া দেখলেই পানি দেওয়া হচ্ছে



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট,বার্তা২৪.কম,বাগেরহাট
ছবি: বার্তা ২৪

ছবি: বার্তা ২৪

  • Font increase
  • Font Decrease

বাগেরহাটের আমরবুনিয়ার লতিফের ছিলা এলাকায় পূর্ব সুন্দরবনে আগুন লাগা স্থানের কোথাও ধোঁয়া দেখা গেলে পানি দেওয়া হচ্ছে। পুনরায় আগুন লাগার বিষয়ে সতর্কতা অবলম্বন করা হচ্ছে।

তৃতীয় দিনের মতো সোমবার (৬ মে) সকাল ৭টা থেকে শুরু হয়েছে এ কাজ। অগ্নিকাণ্ডের এলাকা সুন্দরবন পূর্ব বন বিভাগের চাঁদপাই রেঞ্জের জিউধারা স্টেশনের আমরবুনিয়া টহল ফাঁড়ির লতিফের ছিলায় পানি ছেটানো শুরু করেছে ফায়ার সার্ভিস ও বন বিভাগ। স্থানীয় স্বেচ্ছাসেবীদের পাশাপাশি তাদের সহযোগিতা করছে নৌ বাহিনী ও কোস্টগার্ড।

বনের লতিফের ছিলা ও ড্রেনের ছিলার মাঝামাঝি এলাকায় আগুন লাগার বিষয়টি গত শনিবার নজরের আসার পর থেকেই নিয়ন্ত্রণে কাজ শুরু করে বন বিভাগ, কমিউনিটি প্যাট্রলিং গ্রুপ (সিপিজি), ভিলেজ টাইগার রেসপন্স টিমের (ভিটিআরটি), টাইগার টিমসহ স্থানীয় সেচ্ছাসেবী ও বনজীবীরা। তবে ঘটনাস্থল থেকে পানির উৎস দূরে হওয়াতে এবং দুর্গম পথের কারণে প্রথম দিনে সেখানে পানি ছেটানো সম্ভব হয়নি।


সুন্দরবন পূর্ব বন বিভাগের চাঁদপাই রেঞ্জ সহকারী বন সংরক্ষক রানা দেব বলেন, ‘গত রাত ১টা পর্যন্ত বন বিভাগ এককভাবে আগুন নেভাতে পাম্প মেশিন দিয়ে পানি স্প্রে করেছে। এর ফলে এখন আর কোথাও তেমন একটা আগুন দেখা যাচ্ছে না। যেখানে ধোঁয়া দেখা যাচ্ছে সেখানেই পানি দেওয়া হচ্ছে। নিয়ন্ত্রিত আগুন পুরোপুরি নেভাতে সোমবার সকাল ৭টা থেকে বন বিভাগকে সহায়তা করছেন নৌবাহিনী ও ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা।’

তিনি আরও বলেন, ‘আগামী দুই দিন ধরে এ পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণে রেখে পানি ছিটানো হবে। তবে আপাতত আর ভয়ের কোনও কারণ নেই। কারণ আগুন যাতে আর ছড়াতে না পারে সেজন্য রবিবার ফায়ার লাইন কেটে সেখানে পানি দিয়ে রাখা হচ্ছে। আর আগুনের অস্তিত্ব তেমন একটা নেই, শুধু কিছু কিছু জায়গায় ধোঁয়া রয়েছে।’

বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জের উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) এস এম তারেক সুলতান বলেন, সোমবার ভোর ৬টা থেকে পানি দেওয়া শুরু হয়েছে। পূর্ণ শক্তি দিয়ে পানি দেওয়ার কাজ চলছে। সে কারনে আগুন আর বাড়তে পারেনি। আশা করছি আজকের মাঝে আমরা এটা ফলাফল পাব।

প্রধান বন সংরক্ষক (সিসিএফ) মো. আমীর হোসাইন চৌধুরী জানান, অগ্নিকাণ্ডে সুন্দরবনের ৫ একর বনভূমি ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে থাকতে পারে। তদন্ত রিপোর্ট শেষে বিস্তারিত জানাতে পারব।

;

অবৈধভাবে টিভি চ্যানেল প্রদর্শন বন্ধে কার্যক্রম শুরু



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

অবৈধভাবে দেশি-বিদেশি টিভি চ্যানেল প্রদর্শন ও লাইসেন্সবিহীন বাণিজ্যিক কার্যক্রম পরিচালনা বন্ধে কার্যক্রম শুরু করেছে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়।

সোমবার (৬ মে) তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা মো. ইফতেখার হোসেন স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানা যায়। 

গত ২ এপ্রিল তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ আলী আরাফাতের সভাপতিত্বে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের সভা কক্ষে ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্য প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে অনুষ্ঠিত এক সভায় এ সংক্রান্ত দশটি সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়।

সিদ্ধান্তগুলো হলো-

কেবল টেলিভিশন নেটওয়ার্ক পরিচালনা আইন, ২০০৬ এর অধীনে অনুমোদিত সেবা প্রদানকারীগণই সরকার কর্তৃক অনুমোদিত দেশি ও বিদেশি চ্যানেলসমূহ গ্রাহকের নিকট বিতরণ করতে পারবে।

ক্লিনফিড ছাড়া বিদেশি চ্যানেল কিংবা অননুমোদিত কোনো চ্যানেল ডাউনলিংক, সম্প্রচার, সঞ্চালন বা বিতরণ করা যাবে না।

সেট-টপ বক্স অবৈধভাবে আমদানি ও বাজারজাত করা যাবে না।

টিভি চ্যানেল স্ট্রিমিং এর অ্যাপসসমূহ ব্যবহারে উদ্বুদ্ধ করে প্রচারণা করা কিংবা এ ধরণের অ্যাপস সেট-টপ-বক্সে ইনস্টল করে বিক্রি করা সম্পূর্ণরূপে অবৈধ। এর বিরুদ্ধে বিটিআরসি আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।

বাংলাদেশের নিরাপত্তার স্বার্থে, সরকারের রাজস্ব আহরণ বৃদ্ধির স্বার্থে, বিদেশে অর্থ পাচার রোধে এবং দেশের শিল্প, সাহিত্য, সংস্কৃতি ও মূল্যবোধ সংরক্ষণের উদ্দেশ্যে যেকোনো অবৈধ কার্যক্রমের বিরুদ্ধে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয় এবং ডাক, টেলিযোগযোগ ও তথ্য প্রযুক্তি মন্ত্রণালয় প্রচলিত আইন ও বিধি মোতাবেক প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করবে।

কেবল টেলিভিশন নেটওয়ার্ক পরিচালনা আইন, ২০০৬ এর ৩ (১) ধারা অনুযায়ী, কোনো ডিস্ট্রিবিউটর বা সেবাপ্রদানকারী নির্ধারিত আবেদনপত্রের ভিত্তিতে সরকার কর্তৃক অনুমোদিত চ্যানেল ব্যতিত অন্য কোন চ্যানেল বাংলাদেশে ডাউনলিংক, বিপণন, সঞ্চালন বা সম্প্রচার করতে পারবে না।

এছাড়া, তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয় হতে বিদেশি টিভি চ্যানেলের অনুষ্ঠান ক্লিনফিড সম্প্রচারের বিষয়ে নির্দেশনা প্রদান করেছে বিধায় কোনো ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান ক্লিনফিড ব্যতিত বিদেশি টিভি চ্যানেলের অনুষ্ঠান সম্প্রচার বা সঞ্চালন করতে পারবে না।

কেবল টেলিভিশন নেটওয়ার্ক পরিচালনা আইন, ২০০৬ এর ৩(২) ধারা অনুযায়ী, কোন ডিস্ট্রিবিউটর বা সেবাপ্রদানকারী সরকার অনুমোদিত চ্যানেল ব্যতিত নিজস্ব কোন অনুষ্ঠান যথা: ভিডিও, ভিসিডি, ডিভিডি এর মাধ্যমে অথবা অন্য কোন উপায়ে কোন চ্যানেল বাংলাদেশে বিপণন, সঞ্চালন ও সম্প্রচার করতে পারবে না। আইন অমান্য করে কোনো ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান দেশি বা বিদেশি টিভি চ্যানেলের ফিড বা নিজস্ব কোনো চ্যানেল সম্প্রচার বা সঞ্চালন করতে পারবে না।

কেবল টেলিভিশন নেটওয়ার্ক পরিচালনা আইন, ২০০৬ এর ৪(১) ধারা অনুযায়ী, লাইসেন্সপ্রাপ্ত না হয়ে কোন ব্যক্তি, ডিস্ট্রিবিউটর বা সেবাপ্রদানকারী হিসাবে কার্যক্রম পরিচালনা করতে পারবে না। তাই লাইসেন্সধারী ডিস্ট্রিবিউটর বা সেবাপ্রদানকারীগণ ব্যতিত অন্য কোনো ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান টিভি চ্যানেল বা অনুষ্ঠান সঞ্চালন বা সম্প্রচার করতে পারবে না।

অনুমোদিত ডিস্ট্রিবিউটরগণ এই সিদ্ধান্তসমূহ তাদের বিদেশি টিভি চ্যানেল সম্প্রচারকারীদের লিখিতভাবে অবহিত করবে।

আইন/নীতিমালা বহির্ভূত, অবৈধ বা অননুমোদিতভাবে সম্প্রচার কাজে জড়িত ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

এ সিদ্ধান্তসমূহ বাস্তবায়নে গত বৃহস্পতিবার (২ মে) সংশ্লিষ্ট অংশীজনদের চিঠি দিয়েছে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়।

;

রাজধানীতে মাদকবিরোধী অভিযানে গ্রেফতার ২৭



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
রাজধানীতে মাদকবিরোধী অভিযানে গ্রেফতার ২৭

রাজধানীতে মাদকবিরোধী অভিযানে গ্রেফতার ২৭

  • Font increase
  • Font Decrease

রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় মাদকবিরোধী অভিযান চালিয়ে ২৭ জনকে আটক করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) অপরাধ ও গোয়েন্দা বিভাগ। মাদক বিক্রি ও সেবনের অভিযোগে তাদের আটক করা হয়েছে বলে জানানো হয়েছে।

রোববার (৫ মে) সকাল ছয়টা থেকে সোমবার (৬ মে) সকাল ছয়টা পর্যন্ত রাজধানীর বিভিন্ন থানা এলাকায় অভিযান চালিয়ে মাদকদ্রব্য উদ্ধারসহ তাদেরকে আটক করা হয়।

এ সময় তাদের কাছ থেকে ২৫৭ পিস ইয়াবা, ১৫৩ গ্রাম হেরোইন, ১৩ কেজি ৭০ গ্রাম গাঁজা ও ২১৫ বোতল ফেনসিডিল উদ্ধার করা হয়েছে বলে জা‌নিয়েছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) অপরাধ ও গোয়েন্দা বিভাগ।

ডিএমপির নিয়মিত মাদকবিরোধী অভিযানের অংশ হিসেবে এ অ‌ভিযান প‌রিচালনা করা হয়েছে বলে জানানো হয়। সেই সঙ্গে আটককৃতদের বিরুদ্ধে সংশ্লিষ্ট থানায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে ২২টি মামলা রুজু হয়েছে বলেও জানানো হয়।

;