বনের জমি দখলের খেলার নাম ‘ডিমার্কেশন’



সেরাজুল ইসলাম সিরাজ, স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট
ছবি: বার্তা২৪

ছবি: বার্তা২৪

  • Font increase
  • Font Decrease

ভালুকা (ময়মনসিংহ) থেকে ফিরে: বনের জমি দখলের নতুন খেলার নাম ডিমার্কেশন। এই খেলায় খেলোয়াড় অনেকেই, আর তাদের গোল হচ্ছে বনের ‘নিষ্কণ্টক জায়গা’ অন্যের হাতে তুলে দেওয়া।

এই ডিমার্কেশনের খেলায় বনের দখলে থাকা নিষ্কণ্টক জমি তুলে দেওয়া হয়েছে প্রভাবশালীদের হাতে। আর  জবরদখলে এবং অপেক্ষাকৃত নিম্নমানের জমি দেখানো হয়েছে বনের নামে। একদাগে হয়তো দশ একর জমির মধ্যে ২ একর ব্যক্তিমালিকানাধীণ । এখানে দেখা যাচ্ছে আগে থেকেই ৮ একর দখলে রয়েছে। নতুন করে ডিমার্কেশনের নামে নিষ্কণ্টক ২ একর ব্যক্তির নামে দেখানো হচ্ছে। ফলাফল বন বিভাগ সেখানে বাস্তহারা হয়ে যাচ্ছে।

ডিমার্কেশনের খেলায় কখনই বনের স্বার্থ দেখা হয় নি বলে অভিযোগ রয়েছে। প্রতিবারই বন বিভাগ ক্ষতিগ্রস্ত  হয়েছে। আর এর পেছনে কাজ করেছে কোটি কোটি টাকার খেলা। ২০১১ সালে হবিরবাড়ি মৌজায় এমন একটি খেলা হয়। এখানে শহীদুল ইসলাম শহীদ যিনি বাউন্ডারি শহীদ নামে সর্বজনবিদিত। তার গ্রামের বাড়ি অবস্থিত এই মৌজায়।

 

বিবদমান দাগ ৪৩৮ এ মোট জমির পরিমাণ ১১১.৬৪ একর। এরমধ্যে  ব্যক্তিমালিকানাধীন ১২.৬৪ একর, খাস ১.৮৯ একর, বন্দোবস্তকৃত ১৩.৮৫ একর। অবশিষ্ট ৮৩.৬৩একর জমি বন বিভাগের। তৎকালীন ভালুকা সহকারি কমিশনার ভূমির নেতৃত্বে গঠিত ডিমার্কেশন কমিটি গঠন  করা হয়।

কমিটি শহীদের বাড়ি, খামার, পুকুর জলাশয় দেখিয়েছে বনের নামে। আর বনের জমিগুলো দেখিয়েছে  শহীদের নামে। শহীদের নামে ডিমার্ক করার সঙ্গে সঙ্গেই বনের বিশাল বাগান সাবাড় করে দখল নিয়েছে। বন বিভাগের গজারী বনের জায়গায় শোভা পাচ্ছে বাউন্ডারি শহীদের আমের বাগান।

অন্যদিকে বন বিভাগ কিন্তু তার বাড়িতে হাত দিতে যায়নি। অর্থাৎ ৪৩৮ দাগের প্রায় বেশিরভাগ জায়গা এখন শহীদের দখলে। সম্প্রতি বন বিভাগে কিছু অফিসার এই জায়গা উদ্ধারের উদ্যোগ নিলে শহীদ তাতে বাধা হয়ে দাঁড়ায়। শহীদের বক্তব্য হচ্ছে এই জমিতো আমার পুর্বপুরুষের বসত ভিটা। এটা কি করে বনের হয়। আপাতদৃষ্টিতে শহীদের অকাট্য যুক্তি খণ্ডনের কোনো উপায় নেই। কিন্তু তার আসলে কতটুকু জমি আর তিনি কতটুকু ভোগ দখল করছেন তার হিসেব কিন্তু কেউই নিতে পারেন নি।

বন বিভাগকে বিবাদী করে ডিমার্কেশনের বিরুদ্ধে রিট দায়ের করেছেন। আর এতেই আটকে গেছে বনের ভবিষ্যত। যার ফলে প্রায় পুরো জমিই এখন ভোগ করছেন বিএনপি শহীদ। এই ঘটনার মূল অনুঘটক ছিলেন তৎকালীন ভালুকা রেঞ্জ অফিসার আবুল হাশেম খান। কথিত রয়েছে হাশেম খান এর জন্য মোটা অঙ্কের বাণিজ্য করেছেন। ওই ঘটনার কিছুদিন পরেই অবসরে চলে যান হাশেম। যদিও তার অবসরকালীন সুযোগ সুবিধা আটকে দিয়েছে বন বিভাগ।

এই ডিমার্কেশনে বন বিভাগকে আরেকভাবে ক্ষতিগ্রস্থ করা হয়েছে। একই দাগের বিপুল পরিমাণ জমি বিচ্ছিন্ন জায়গায় চিহ্নিত করা।  এখানে ব্যক্তিমালিকার জমি একদিকে দিয়ে দিলে বন বিভাগ নিষ্কণ্টক হয়ে যায়। কিন্তু এক্ষেত্রে দেখা গেছে ৭টি পৃথক জায়গায় বন বিভাগকে দেখানো হয়েছে। বনের ভেতরে ভেতরে ব্যক্তিমালিককে জায়গা করে দেওয়া হয়েছে।

বিট অফিসার আব্দুর রফিক বার্তা২৪.কমকে বলেন, শহীদের খামার পুকুর জলাশয় দেখানো হয়েছে বনের নামে। আর যেখানে আমাদের বাগান ছিলো সেই বাগান মার্ক করে দেওয়া হয়েছে শহীদের নামে। বনের জমিগুলো যদি একদিকে দেওয়া হতো তাহলে কিন্তু রক্ষা করতে সুবিধা হতো। কিন্তু তা না করে বিভিন্ন জায়গা দেওয়া হয়েছে। আর মাঝে মাঝে ব্যক্তিমালিক থাকায় তারা একটু একটু করে গিলে খায় বনের জমি।

অতীতে দেখা দেখা গেছে ব্যক্তিমালিক বনের ভেতরে বসে দিনে দিনে তার রাজত্বের প্রসারিত করেছে। এতে করে পরাজিত হচ্ছে বন বিভাগ। ক্ষেত্র বিশেষে অবৈধ সুবিধা নিয়ে বনের জমি অন্যহাতে তুলে দিচ্ছে খোদ বনেরই লোকজন। এভাবেই হয়তো একদিন বাস্তহারা হয়েছে মল্লিকবাড়ি বন বিট। শক্তহাতে দমন করা না গেছে হয়তো অন্য বিটগুলো একদিন শহীদদের ভোগে চলে যাবে।

অভিযোগ রয়েছে, এখানে পুলিশ প্রশাসনও বনের বিষয়ে খুব একটা আন্তরিক নয়। মামলা দিতে গেলেও অনেক সময় তাদের সাড়া পাওয়া যায় না। দখলদাররাও প্রভাবশালী তাদের টাকার গন্ধে অনেকেই বুদ হয়ে যাচ্ছে। অনেকে মনে করেন, সোনার চেয়ে দামী এই বন বিভাগের জমি রক্ষা করতে হলে একমাত্র প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ ছাড়া সম্ভব নয়। শহীদকে থামানো গেলে বন আশিভাগ নিরাপদ হয়।

অনেকবারে চেষ্টা করেও শহীদের সঙ্গে কথা বলা সম্ভব হয় নি। ভালুকা রেঞ্জ সংলগ্ন তার বাসায় গেলেও সাক্ষাৎ পাওয়া যায় নি।

ময়মনসিংহ বন বিভাগের বিভাগীয় কর্মকর্তা একেএম রুহুল আমিন বার্তা২৪.কমকে বলেন, আমি সম্প্রতি এখানে যোগদান করেছি। এখানে এসে অনেকবার বাউন্ডারি শহীদের নাম শুনেছি। ডিসির সঙ্গে কথা বলেন, তিনিও হয়তো এই নাম জেনে থাকবেন। আগে কি হয়েছে বলতে পারি না। দখলবাজরা খুব একটা সুবিধা করতে পারবে না। দখলবাজ যেই হোক তার রক্ষা নেই। বনের জায়গা রক্ষা করার জন্য যা প্রয়োজন সব উদ্যোগ নেওয়া হবে।

কেন্দ্রীয় বন অঞ্চলের বন সংরক্ষক রকিবুল হাসান মুকুল বার্তা২৪.কমকে বলেছেন, সারাদেশে বনের জমি ডিমার্কেশন করার জন্য একটি প্রকল্প হাতে নেওয়া হয়েছে। এখানে বন বিভাগসহ সংশ্লিষ্ট সকলে থাকবে। মার্ক করার কাজ শেষ হলে উদ্ধারে বিশেষ অভিযান করা হবে। সেখানে কেউ ছাড় পাবে না। আশা করছি এই কাজটি বন বিভাগের জন্য মাইলফল হয়ে থাকবে।

আশা এবং দুরাশার কথা হচ্ছে সম্প্রতি কিছু ভালো উদ্যোগ নিয়েছে ময়মনসিংহ বন বিভাগ। অনেকগুলো অবৈধ দখল উচ্ছেদ করা হয়েছে। বাদশা টেক্সটাইলকে বনের লোকজন এক সময় সমীহ করে চলতো। সেই বাদশা মিয়ার প্রাচীর গুড়িয়ে দিয়ে প্রভাবশালীদের আস্থানা গুড়িয়ে দিয়ে দখলবাজদের কাঁপন ধরিয়ে দিয়েছে।

যে কারণে দখলবাজদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে। যদিও দখলবাজরা প্রকাশ্য হাম্বিতম্বি করে বেড়াচ্ছে। তাদের কথা না শুনলে সেই কর্মকর্তার আর এখানে থাকতে হবে না। বদলী হয়ে খাগড়াছড়ি যেতে হবে। শহীদের নামে অনেক মামলা হয়েছে, রহস্যজনক কারণে প্রায় বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই হয় শহীদের নামে ভুল, না হলে তার বাবার নাম ভুল না হলে তার ঠিকানা ভুল করা হয়েছে। আর সেই ভুলের ফাঁক গলে অধরা থেকে বনবিভাগের এই মূর্তিমান আতঙ্ক।

ডিমার্কেশনের নিয়ম হচ্ছে, কারো আপত্তি থাকলে ডিসির কাছে আবেদন করে ডিমার্কেশনের। ডিসি তখন অফিসার নিয়োগ করেন। সেই অফিসার বন বিভাগের উপস্থিতিতে চিহ্নিত করে দেন ব্যক্তিমালিকানার জমি। এরপর একটি স্কেচ ম্যাপ অনুমোদন করে দেওয়া হয়।

   

ঝড়ে ভেঙ্গে পড়া গাছ একাই সরালেন ট্রাফিক সার্জেন্ট



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট বার্তা২৪.কম ঢাকা
ছবি : সংগৃহীত

ছবি : সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

রাজধানীর জুড়ে বৈশাখী ঝড় ও শিলাবৃষ্টি হয়েছে। বৃষ্টির সঙ্গে ছিল বেশ ভারী বাতাস।

ঝড় বৃষ্টির মধ্যে কাকরাইল মসজিদ থেকে মৎস্য ভবন যাওয়ার পথে একটি গাছ ভেঙে পড়ে যায়।

ভেঙ্গে যাওয়া গাছ ও ডালপালা একাই সরালেন এই সড়কে দায়িত্বরত ট্রাফিক সার্জেন্ট জাফর ইমাম।

রবিবার (৫ মে ) রাত সাড়ে ১১ টার দিকে এই ঘটনাটি ঘটে।

জনস্বাস্থ্য প্রকৌশলী অধিদপ্তরের গাছটি পড়ে যাওয়ার কারণে ঝড়-বৃষ্টির মধ্যে যান চলাচলের প্রায় বন্ধ হয়ে যায়। এ সময় আশপাশ এলাকা জুড়ে যানজটের সৃষ্টি হয়।

পরে ঘটনাস্থলে ট্রাফিক পুলিশের সার্জেন্ট জাফর ইমাম মৎস্য ভবন থেকে এসে ডালপালা সরিয়ে রাস্তা চলাচল স্বাভাবিক করেন।

এই বিষয়ে জানতে চাইলে ট্রাফিক পুলিশের সার্জেন্ট জাফর ইমাম বলেন, ‘ঝড় বৃষ্টির মধ্যে মানুষ পাগলের মত তাদের গন্তব্যে যাওয়ার চেষ্টা করছিলেন। এর মধ্যে রাস্তায় যানজট সৃষ্টি হয় পরে ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখি একটি গাছ পড়ে আছে। ঝড় বৃষ্টির মধ্যে আমি একা ডালপালা ও গাছটি সরানোর চেষ্টা করি।’

;

৭২ ঘণ্টার জন্য ১৪৮ উপজেলায় বাইক চলাচলে নিষেধাজ্ঞা



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট বার্তা২৪.কম ঢাকা
ছবি : সংগৃহীত

ছবি : সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

আসন্ন ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে প্রথম ধাপের ভোট উপলক্ষ্যে ৭২ ঘণ্টার জন্য ১৪৮ উপজেলায় মটর সাইকেল চলাচলের ওপর নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। ইতিমধ্যে সংস্থাটির নির্দেশনায় প্রজ্ঞাপনও জারি করেছে সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগ।

রবিবার (৫ মে) সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের সহকারি সচিব মো. জসিম উদ্দিন স্বাক্ষরিত প্রজ্ঞাপনটি সংশ্লিষ্ট সকলকে পাঠানো হয়েছে।

এতে বলা হয়েছে, আগামী ৮ মে ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদের প্রথম ধাপের সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। সড়ক পরিবহন আইন, ২০১৮ এর ৩২ ধারা অনুযায়ী, নির্বাচন উপলক্ষে ভোটগ্রহণের জন্য নির্ধারিত দিবসের পূর্ববর্তী মধ্যরাত অর্থাৎ ৭ মে দিবাগত মধ্যরাত ১২টা থেকে ৮ মে দিবাগত মধ্যরাত ১২টা পর্যন্ত ট্যাক্সি ক্যাব, পিক আপ, মাইক্রোবাস ও ট্রাক চলাচলে নিষেধাজ্ঞা থাকবে।

এদিকে ৬ মে দিবাগত মধ্যরাত ১২টা থেকে ৯ মে মধ্যরাত ১২টা পর্যন্ত মোটর সাইকেল চলাচলের উপর নিষেধাজ্ঞা থাকবে।

প্রজ্ঞাপনে আরো বলা হয়েছে, নির্বাচনী এলাকায় আইনশৃঙ্খলা রক্ষা, যানজট নিরসন ইত্যাদি প্রয়োজনে বাস্তবতার নিরীখে ও স্থানীয় বিবেচনায় উল্লিখিত যানবাহন ছাড়াও উক্তরূপে যেকোনো যানবাহন চলাচলের উপর সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ নিষেধাজ্ঞা আরোপ করতে পারবে।

এ নিষেধাজ্ঞা রিটার্নিং অফিসারের অনুমতি সাপেক্ষে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী/তাদের নির্বাচনী এজেন্ট, দেশি/বিদেশি পর্যবেক্ষকদের (পরিচয়পত্র থাকতে হবে) ক্ষেত্রে শিথিলযোগ্য।

এছাড়া, নির্বাচনের সংবাদ সংগ্রহের কাজে নিয়োজিত দেশি/বিদেশি সাংবাদিক (পরিচয়পত্র থাকতে হবে) নির্বাচনের কাজে নিয়োজিত কর্মকর্তা-কর্মচারী, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্য, নির্বাচনের বৈধ পরিদর্শক এবং কতিপয় জরুরি কাজ যেমন-এ্যাম্বুলেন্স, ফায়ার সার্ভিস, বিদ্যুৎ, গ্যাস, ডাক ও টেলিযোগাযোগ ইত্যাদি কার্যক্রমে ব্যবহারের জন্য উল্লিখিত যানবাহন চলাচলের ক্ষেত্রে উক্ত নিষেধাজ্ঞা প্রযোজ্য হবে না।

জাতীয় মহাসড়ক (Highways), বন্দর ও জরুরি পণ্য সরবরাহসহ অন্যান্য জরুরি প্রয়োজনে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ এরূপ নিষেধাজ্ঞা শিথিল করতে পারবেন।

যানবাহনসমূহ চলাচলের উপর বর্ণিত সময়সূচি অনুযায়ী নিষেধাজ্ঞা আরোপের জনসংশ্লিষ্ট জেলা প্রশাসককে ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে।

;

রাজধানীতে শিলাবৃষ্টি ও বজ্রপাত



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
রাজধানীতে শিলাবৃষ্টি ও বজ্রপাত

রাজধানীতে শিলাবৃষ্টি ও বজ্রপাত

  • Font increase
  • Font Decrease

রাজধানীর ঢাকায় প্রায় ঘণ্টারও বেশি সময় ধরে ঠান্ডা বাতাস বয়ে যাচ্ছিলো। এরপরেই ব্যাপক শিলাবৃষ্টি ও বজ্রপাত শুরু হয়।

রোববার (৫ মে) রাত সাড়ে ৯টার পর থেকেই নগরীর বিভিন্ন জায়গায় বাতাস বইতে থাকে। ফলে নগরবাসী তাপমাত্রা থেকে কিছুটা প্রশমিত হন। প্রায় ঘণ্টাব্যাপী ঝড়ো বাতাস বয়ে যাওয়ার পর রাত সাড়ে ১০টার দিকে নামে স্বস্তির বৃষ্টি। বৃষ্টির সঙ্গে শিলাবৃষ্টি ও বজ্রপাতও শুরু হয়।

সেগুনবাগিচা, তেজগাঁও, কারওয়ান বাজার, মিরপুর ও বাড্ডাসহ রাজধানীর বেশ কিছু এলাকায় একসঙ্গে শীলাবৃষ্টি ও বজ্রপাত হতে দেখা গেছে। 

;

নাইক্ষ‍্যংছড়ি সীমান্তে মাইন বিস্ফোরণ: ৫ বাংলাদেশি আহত 



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, বান্দরবান
নাইক্ষ‍্যংছড়ি সীমান্তে মাইন বিস্ফোরণ: ৫ বাংলাদেশি আহত 

নাইক্ষ‍্যংছড়ি সীমান্তে মাইন বিস্ফোরণ: ৫ বাংলাদেশি আহত 

  • Font increase
  • Font Decrease

মিয়ানমার সীমান্তের অভ্যন্তরে আবারও ৩ বাংলাদেশি নাগরিক স্থলমাইন বিস্ফোরণে মারাত্মকভাবে আহত হয়েছে। আহতরা চোরাই পথে গরু ও ইয়াবা আনতে গিয়ে এ দুর্ঘটনার স্বীকার হন বলে জানা গেছে।

রোববার (০৫ মে) সকাল সাড়ে ৭টার সময় বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি ১১ বিজিবির অধীন ফুলতলী‌ বিওপি এলাকার সীমান্ত পিলার ৪৭ এর শূন্য লাইন থেকে মিয়ানমারের অভ্যন্তরে এ দুর্ঘটনা ঘটে।

আহতরা হলেন, রামু উপজেলার কচ্ছপিয়া ইউনিয়নের ৯নং ওয়ার্ড দক্ষিণ মৌলভীরকাটা গ্রামের রশিদ আহমদের পুত্র মফিজ (৩৫)। একই এলাকার দক্ষিণ মৌলভীরকাটা গ্রামের মো: জাফর চকিদারের পুত্র মো: আব্দুল্লাহ (৩০) ও অপর জন ওই গ্রামের মফিজ এর পুত্র মো. রহিম। উভয়ে তিন পায়ে গুরুতর আঘাতপ্রাপ্ত হন। 

উল্লেখ্য আব্দুল্লাহর দুই পা বিচ্ছিন্ন হয়ে যাওয়াতে তাকে উদ্ধার করতে একটু বিলম্ব হয়, পরে থাকে উদ্ধার করে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে বলে জানা গেছে। আহত ৩ জন মিয়ানমার থেকে চোরাই পথে গরু এবং মহিষ টানার কাজে নিয়োজিত ছিল।

উল্লেখ্য গত ৪ মে ৪৬ ও ৪৭ সীমান্ত পিলার দিয়ে গরু ও মহিষ আনতে গিয়ে মিয়ানমারের ভিতরে স্থলমাইন বিস্ফোরণে মারাত্মকভাবে আহত হন নাইক্ষ‍্যংছড়ি সদর ইউনিয়নের ৭ নং ওয়ার্ডের কম্বনিয়া গ্রামের মৃত মোহাম্মদের পুত্র মো. আবছার (১৯) ও একই গ্রামের আলি আহমদের পুত্র মো. বাবুল (১৭) । আহত উক্ত দুই ব্যক্তি কক্সবাজারে সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন।

নাইক্ষ‍্যংছড়ি সদর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নুরুল আবছার দু’দিনে দুই দুর্ঘটনায় ৫ জন আহতের সত্যতা নিশ্চিত করেন।

;