খুলনায় কাঠ পুড়িয়ে কয়লা তৈরিতে হুমকিতে পরিবেশ



মানাজারুল ইসলাম, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
দেদারছে কাঠ পুড়িয়ে পরিবেশের ক্ষতি করছে কয়লা শ্রমিকরা, ছবি: বার্তা২৪

দেদারছে কাঠ পুড়িয়ে পরিবেশের ক্ষতি করছে কয়লা শ্রমিকরা, ছবি: বার্তা২৪

  • Font increase
  • Font Decrease

খুলনার রূপসা নদীর কোল ঘেঁষা অঞ্চলে অবৈধ চুল্লিতে অবাধে কাঠ পুড়িয়ে তৈরি করা হচ্ছে কয়লা। প্রত্যন্ত গ্রাম থেকে বিভিন্ন বনজ ও ফলজ গাছ কেটে এসব চুল্লিতে কাঠ সরবরাহ করা হচ্ছে। কাঠ থেকে কয়লা তৈরির এ ব্যবসায় জড়িয়ে পড়ছেন স্থানীয় অনেকে। এসব কয়লা তৈরির চুল্লি থেকে নির্গত হচ্ছে প্রচুর ধোঁয়া। স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগও আমলে নিচ্ছেন না এ ব্যবসায় জড়িতরা।

শুক্রবার (৮ ফেব্রুয়ারি) সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, রূপসা উপজেলার শিরগাতি, নৈহাটি রামনগর, যুগিহাটি, নারায়নখালীসহ বেশ কয়েকটি গ্রামে স্থানীয় প্রভাবশালীদের ছত্রছায়ায় গড়ে উঠেছে প্রায় ২০টি কয়লা তৈরির বিশেষ ধরনের অবৈধ চুল্লি। বিশেষ ধরনের এ চুল্লিতে কাঠ পুড়িয়ে কয়লা বানানো হয়। কাঠ পোড়ানোর সময় নির্গত হয় প্রচুর কালো ধোঁয়া। এতে একদিকে বনজ সম্পদ নষ্ট হয়, অপরদিকে ধোঁয়ার কারণে শ্বাস-প্রশ্বাসজনিত নানা রোগব্যাধি হচ্ছে স্থানীয় বাসিন্দাদের। কয়লা তৈরির এ প্রক্রিয়ায় পরিবেশ ও জীববৈচিত্রের ওপরও মারাত্মক প্রভাব পড়ছে।

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2019/Feb/08/1549602461821.jpg

পরিবেশ অধিদফতরের তথ্য মতে, জেলা প্রশাসন ও পরিবেশ অধিদফতরের কোনো অনুমোদন ছাড়াই অবৈধভাবে গড়ে ওঠা এসব কয়লা তৈরির কারখানায় অবাধে কাঠ পোড়ানো হচ্ছে। অবৈধ থাকা সত্ত্বেও জনবসতি এলাকায় ও ফসলি জমি নষ্ট করে এসব চুল্লি স্থাপন করা হয়েছে। শক্ত কাঁচা লাল মাটি, ইট ও কাঠের গুঁড়া মিশিয়ে তৈরি করা চুল্লিতে প্রতিদিন কয়েকশ মণ কাঠ পোড়ানো হচ্ছে। একটি চুল্লিতে সপ্তাহে কমপক্ষে ৩০০-৩৫০ মণ কাঠ পোড়ানো হয়।

স্থানীয় বাসিন্দা কৃষক আব্দুর রহমান মিয়া বার্তা২৪.কম-কে বলেন, 'কয়লা পোড়ানোতে আমাগে এলাকায় আগের মতো ফসল হয় না। গাছের মাথায় মড়ক পরে। যহন কাঠ পোড়ায়, তহন আমরা শ্বাস করতে পারিনা। তরতরি এই কয়লা বানানো বন্ধ না করলে আমাগে আরও সমস্যা হবে।'

স্থানীয় স্কুল ছাত্র আশিকুর রহমান বার্তা২৪.কম-কে বলেন, 'কাঠ পুড়িয়ে কয়লা তৈরির এ কাজটা এখানে কয়েকবছর ধরে করা হয়। যখন চুলায় কাঠ পোড়ানো হয় তখন ধোঁয়ায় চোখ জ্বালাপোড়া করে। অনেক সময় কাশিও হয়। বিকেলে আর সন্ধ্যায় চুলা জ্বালানো থাকলে চোখ জ্বালাপোড়াতে পড়তে পারি না আমরা।'

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2019/Feb/08/1549602477668.jpg

খুলনা সিভিল সার্জন ডা. এ এস এম আব্দুর রাজ্জাক বার্তা২৪.কম-কে বলেন, 'কয়লা তৈরিতে কাঁচা কাঠ পোড়ানো হয়। এতে বাতাসে কালো ধোঁয়া আর কার্বন ও শিশা নির্গত হয়। এসব চুল্লির কালো ধোঁয়া শ্বাস-প্রশ্বাসে মাধ্যমে স্থানীয় এলাকার মানুষের শরীরে প্রবেশ করলে অ্যাজমা, ফুসফুসের শ্বাস-প্রশ্বাস জনিত রোগ, শ্বাসনালী চিকন হয়ে যাওয়া, এলার্জি, চোখের প্রদাহ, ব্রঙ্কাইটিসসহ নানাবিধ রোগ হতে পারে। যে এলাকায় এসব চুলায় কাঠ পুড়িয়ে ধোঁয়ার তৈরি করা হয়, সেখানে শিশুরা জন্মগত ভাবে ফুসফুসের সমস্যা নিয়েই জন্ম নেবে।'

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়লা শ্রমিক বার্তা২৪.কম-কে বলেন, 'প্রতিটি চুল্লিতে প্রতিবার ২০০ থেকে ২৫০ মণ কাঠ পোড়ানো হয়। কাঠ পুড়ে কয়লা হতে সময় লাগে ৮ থেকে ১০ দিন। কয়লা বের করে ঠান্ডা করে চটের বস্তায় ভরে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে পাঠানো হয়। প্রতি বস্তা কয়লা ৩৫০-৪৫০ টাকায় বিক্রি হয়। এসব কাঠ কয়লা ব্যবহার হয় হোটেল-রেস্তোরাঁসহ আরও অনেক জায়গায়। কাঠ পুড়িয়ে কয়লা তৈরি অবৈধ হলেও এ ব্যবসায় অল্প পুঁজিতে ভালো লাভ হয়। তাই লাভের আশায় এ ব্যবসা করেন অনেকে।'

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2019/Feb/08/1549602494166.jpg

পরিবেশ অধিদফতর খুলনা বিভাগীয় কার্যালয়ের পরিচালক হাবিবুল হক খান বার্তা২৪.কম-কে বলেন, 'রূপসা এলাকায় দীর্ঘদিন যাবত কাঠ পুড়িয়ে কয়লা তৈরির অবৈধ এ কাজটি করা হচ্ছে। সরকারি কোনো অনুমোদন ছাড়াই কয়লার কারখানা স্থাপনের বিষয়টি অত্যন্ত দুঃখজনক। দীর্ঘদিন যাবৎ কয়লা তৈরির চুল্লির কালো ধোঁয়ায় শিশুসহ এলাকার মানুষের মধ্যে শ্বাসকষ্টসহ বিভিন্ন রোগ দেখা দিচ্ছে। এ কয়লা তৈরির প্রক্রিয়ায় এলাকার পরিবেশ দূষিত হচ্ছে, নষ্ট হচ্ছে ফসলি জমি ও গাছপালা। তাছাড়া জীববৈচিত্রও হচ্ছে ক্ষতিগ্রস্ত। নিয়মিত কয়লা বানানোর ফলে খুবই দ্রুতই এ এলাকায় অক্সিজেন ঘাটতিসহ নানা প্রকার প্রাকৃতিক দুর্যোগ ও রোগ বালাই বৃদ্ধির আশংকা রয়েছে। অভিযোগ পেয়ে আমরা ডিসি অফিসের ম্যাজিস্ট্রেট নিয়ে অভিযানে গিয়ে ১০টি অবৈধ চুল্লি পেয়েছি। লাভ বেশি বলে অভিযানে এসব চুল্লি বন্ধ করার পর আবার এ কাজ শুরু হয়। দ্রুত সময়ের ভেতরে তদন্ত করে আরও অভিযান করে চুল্লি বন্ধসহ অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে আমরা ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।'

   

রাজশাহীতে দু’পক্ষের সংঘর্ষে আহত হওয়া আ.লীগ নেতা বাবুল নিহত



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, রাজশাহী
আশরাফুল ইসলাম বাবুল, ছবি: বার্তা২৪.কম

আশরাফুল ইসলাম বাবুল, ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

রাজশাহীর বাঘায় দুই গ্রুপের সংঘর্ষে আহত হওয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের দুই বারের বিপ্লবী সাধারণ সম্পাদক আশরাফুল ইসলাম বাবুল মারা গেছেন।

বুধবার (২৬ জুন) বিকেল সাড়ে ৪ টায় তার মৃত্যু ঘোষণা করেন নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রের (আইসিইউ) ইনচার্জ ডা. আবু হেনা মোস্তফা কামাল।

এর আগে, গত শনিবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে উপজেলা পরিষদের সামনে পাল্টাপাল্টি কর্মসূচি পালন করার সময় দুই গ্রুপের সংঘর্ষ ঘটে। দুপক্ষের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টাধাওয়া, ইটপাটকেল ও ককটেল নিক্ষেপের ঘটনা ঘটে। এতে প্রায় ৩০ জন আহত হন।

;

‘দেশের স্বার্থ সংরক্ষণ করেই ভারতের সঙ্গে সমঝোতা স্বাক্ষর হয়েছে’



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
পররাষ্ট্রমন্ত্রী মোহাম্মদ হাছান মাহমুদ

পররাষ্ট্রমন্ত্রী মোহাম্মদ হাছান মাহমুদ

  • Font increase
  • Font Decrease

পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, বাংলাদেশের স্বার্থ সংরক্ষণ করেই ভারতের সঙ্গে নতুন সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর করেছে সরকার।

বুধবার (২৬ জুন) দুপুরে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে প্রধানমন্ত্রীর সদ্যসমাপ্ত ভারত সফর নিয়ে বিএনপির বিরূপ মন্তব্য বিষয়ে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।

মন্ত্রী বলেন, বিএনপি মহাসচিব চুক্তি ও সমঝোতা স্মারকের পার্থক্য না বুঝে, না পড়েই মন্তব্য করছেন। কারণে-অকারণে সরকারের বিরোধিতা করাই তাদের কাজ।

ভারতের সঙ্গে সম্পর্ককে পারস্পরিক মর্যাদাপূর্ণ বলে অভিহিত করে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি তৃতীয়বার সরকার গঠনের পর প্রথম সরকারপ্রধান হিসেবে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে সফরের আমন্ত্রণ জানিয়েছেন। ভারত আমাদের বিশ্বস্ত বন্ধু। আমাদের স্বাধীনতাযুদ্ধে ভারত যেভাবে সহায়তা করেছে, তাদের সৈনিকরা যেভাবে জীবন দিয়েছে, আমাদের প্রায় এক কোটি মানুষকে যেভাবে আশ্রয় দিয়েছে, তাতে তাদের সাথে আমাদের যে সম্পর্ক, তা অবিচ্ছেদ্য।

তিনি বলেন, বিএনপি যখন ক্ষমতায় ছিলো, তারা প্রতিবেশীদের সঙ্গে সম্পর্ক রক্ষা করতে পারেনি। বিএনপি নেত্রী বেগম জিয়া নিজেই বলেছেন যে তিনি ভারতে গিয়ে গঙ্গা চুক্তির কথা বলতে ভুলে গিয়েছিলেন আর ১৯৯৬ সালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গঙ্গা চুক্তি করেছেন বিধায় আমরা পানি পাচ্ছি।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, আজকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বে দু'দেশের সম্পর্ক যে নতুন উচ্চতায় উন্নীত হয়েছে, তার ফলেই আমরা নেপাল থেকে ভারতের ওপর দিয়ে ট্রান্সমিশন লাইন দিয়ে জলবিদ্যুৎ আমদানি করতে পারছি, ভুটানের সাথেও এ বিষয়ে আলোচনা চলছে। সম্পর্কের কারণেই এ বছর কোরবানির আগে ভারত বাংলাদেশে পেঁয়াজ রফতানির ওপর নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করেছে।

এ সময় ভারতের সঙ্গে 'কানেক্টিভিটি' নিয়ে প্রশ্নের জবাবে হাছান মাহমুদ বলেন, ঢাকা-কলকাতা, খুলনা-কলকাতা রেল যোগাযোগ বিদ্যমান। ভারতের পাশাপাশি নেপাল, ভুটানসহ আঞ্চলিক রেল ও সড়ক যোগাযোগ উন্নয়নে কাজ চলছে।

তিনি বলেন, বাংলাদেশের সীমান্তবর্তী অঞ্চলগুলোর সাথে ভারতের নানা অঞ্চলের যোগাযোগ বহুদিন ধরে। ১৯৬৫ সালের পরে অনেক যোগাযোগ বন্ধ হয়ে যায়। সেগুলো আবার চালু করা হচ্ছে।

;

হালদায় ভেসে উঠল ১০ কেজি ওজনের মরা মা মাছ



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, চট্টগ্রাম
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

চট্টগ্রামে বঙ্গবন্ধু মৎস্য হেরিটেজ হালদা নদীর রাউজান অংশে ১০ কেজি ওজনের একটি রুই জাতীয় মা মাছ মরে ভেসে উঠেছে। গবেষকের ধারণা মাছটিকে বিষ দিয়ে মারা হয়েছে।

বুধবার (২৬ জুন) দুপুরের দিকে রাউজান উপজেলার উরকিরচর বাকর আলী চৌধুরীঘাট অংশে হালদা নদীতে এ মরা মা মাছ ভেসে উঠে। এর আগে ১২ কেজি ওজনের একটি কাতলা মা মাছ মরে ভেসে উঠেছিল।

স্থানীয় ইউপি সদস্য কাওছার আলম বলেন, স্থানীয়রা মা মাছটি দেখতে পেয়ে আমাকে খবর দেয়। আমি সঙ্গে সঙ্গে সেখানে উপস্থিত হই। মাছটি পচে যাওয়ায় প্রচণ্ড দুর্গন্ধ ছড়াচ্ছিল তাই দ্রুত মাটি চাপা দিয়েছি। গত কয়েক দিন আগেও ১২ কেজি ওজনের একটি কাতলা মা মাছ মরে ভেসে উঠেছিল।

তবে মাছটিতে বিষ দিয়ে মারা হয়েছে বলে ধারণা করছেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণীবিদ্যা বিভাগের চেয়ারম্যান ও হালদা গবেষক অধ্যাপক মঞ্জুরুল কিবরিয়া।

তিনি বলেন, হালদায় মা মাছ ভেসে উঠলে অবশ্যই কর্তৃপক্ষকে জানানো উচিত। কারণ কিভাবে এ মাছ মারা গেছে সেটি গবেষণা করে দেখার একটি বিষয় থাকে। মা মাছটি দেখে ধারণা করা হচ্ছে এটি বিষক্রিয়ার মাধ্যমে মারা হয়েছে।

;

আবারও মিয়ানমারে বিস্ফোরণ, প্রকম্পিত টেকনাফ সীমান্ত



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, কক্সবাজার
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

আবারও মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যের মর্টার শেল, গ্রেনেড বোমার বিস্ফোরণে প্রকম্পিত হচ্ছে টেকনাফ সীমান্ত এলাকা। মঙ্গলবার (২৫ জুন) দুপুর থেকে শুরু হওয়া বিস্ফোরণের মাত্রা বিকেল থেকে বাড়ে। যেটি সারারাত অব্যাহত থাকে।

বুধবার (২৬ জুন) সকাল থেকে টেকনাফের বিভিন্ন সীমান্ত থেকে থেমে থেমে বিস্ফোরণের বিকট শব্দ শোনা যাচ্ছে বলে জানিয়েছেন স্থানীয়রা।

সীমান্তে বসবাস করা লোকজন জানান, রাখাইন রাজ্যের রোহিঙ্গা অধ্যুসিত বিভিন্ন এলাকায় ঘরবাড়িতে অগ্নিসংযোগ করা হয়েছে। বিভিন্ন সময় ঘরবাড়িতে দাউ দাউ করে আগুন জ্বলতে দেখা গেছে। আগুন দেওয়া বাড়িঘরের অধিকাংশের মালিক রোহিঙ্গা নাগরিকেরা। রোহিঙ্গাদের উল্লেখযোগ্য অংশ নাফ নদী অতিক্রম করে বাংলাদেশে পালিয়ে আসার চেষ্টা চালাচ্ছে বলে খবর পাওয়া গেছে। তবে নাফ নদী অতিক্রম করে মিয়ানমারের লোকজনের বাংলাদেশে অনুপ্রবেশ ঠেকাতে সীমান্তে সতর্ক অবস্থায় আছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) ও কোস্টগার্ড। গোয়েন্দা নজরদারি, টহলও বাড়ানো হয়েছে।

টেকনাফের শেষ প্রান্ত শাহপরীর দ্বীপের উত্তর পাড়ার বাসিন্দা এস এফ কাদের বলেন, গোলাগুলি, বিস্ফোরণের শব্দ এতই বিকট যে আমি মনে করেছি আমাদের ঘরে এসে পড়েছে। খুবই ভয়ে আছি।


মোহাম্মদ তারেক নামের আরেকজন বলেন, খুব ভয়াবহ অবস্থা ভাই। হাত পা শিউরে উঠছে ভয়ে। এই ভেবে যে, আমাদের এদিকে এসে পড়তেছে কিনা।

শাহপরীর দ্বীপের বাসিন্দা স্থানীয় সাংবাদিক জসিম মাহামুদ বলেন, মিয়ানমারে বিস্ফোরণে কাঁপছে শাহপরীর দ্বীপ। মিয়ানমারের সংঘাত হওয়ার পর থেমে এমন বিস্ফোরণের শব্দ পাওয়া যায়নি। মঙ্গলবারের আওয়াজগুলো খুবই মারাত্মক ছিল, কোনভাবে রাতে ঘুমানো যায়নি।

এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আদনান চৌধুরী বার্তা২৪.কমকে বলেন, মঙ্গলবার (২৫ জুন) সারারাত গোলাগুলি হয়েছে আমরা শুনেছি। গত ৬ মাসের মধ্যে কালকের গোলাগুলির শব্দ অনেক তীব্র ছিল।

এদিকে রাখাইন রাজ্যের সংঘাতের মধ্যে কিছু রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশের চেষ্টা চলছে বলে জানা গেছে। কিছু রোহিঙ্গা এপারে পার হয়েছে বলেও জানা গেছে।

এবিষয়ে ইউএনও আদনান চৌধুরী বলেন, অনুপ্রবেশের বিষয়টি বিজিবি এবং কোস্টগার্ড দেখেন। তবে সরকারের সিদ্ধান্ত হচ্ছে একটা রোহিঙ্গাও অনুপ্রবেশ করতে দেওয়া হবে না। রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশের কোন রিপোর্ট বিজিবি বা কোস্টগার্ডের পক্ষ থেকে করা হয়নি। যদি অনুপ্রবেশ করেও থাকে তাহলে মিয়ানমারে ফেরত পাঠানো হবে তাদের।

;