আউশ উৎপাদনে কৃষকদের ৪০ কোটি টাকা প্রণোদনা দেবে সরকার
মৌসুমী উফশী আউশ ধান আবাদ বৃদ্ধির লক্ষে ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক কৃষকদের মাঝে ৪০ কোটি ১৮ লাখ ২০ হাজার ৭৫০টাকা প্রণোদনা দেবে সরকার।
বৃহস্পতিবার (২১ মার্চ) কৃষি মন্ত্রণালয়ে সংবাদ সম্মেলনে কৃষিমন্ত্রী ড. আব্দুর রাজ্জাক এ তথ্য জানান।
তিনি বলেন, ‘কৃষক প্রতি এক বিঘা জমির জন্য বিনামূল্যে বীজ ও রসায়নিক সার প্রদানের প্রণোদনা কার্যক্রম শুরু করছে সরকার। এ প্রণোদনা কার্যক্রমের আওতায় দেশের ৬৪ জেলায় চার লাখ ৫৯ হাজার ২২৬ জন কৃষককে উফশী আউশ বীজ ও সার প্রদান করা হবে। এ বাবদ ব্যয় হবে মোট ৪০ কোটি ১৮ লাখ ২০ হাজার ৭৫০ টাকা।
কৃষিমন্ত্রী বলেন, ‘একজন কৃষককে সর্বোচ্চ এক বিঘা জমির জন্য পাঁচ কেজি ধানের বীজ (প্রতি কেজি ৫৮ টাকা হিসেবে ২৯০ টাকা), ১৫ কেজি ডিএপি সার, ১০ কেজি এমওপি সার, পরিবহন ব্যয় ৯০ টাকা, এবং আনুসঙ্গিক ব্যয় ২০ টাকাসহ মোট ৮৭৫ টাকা প্রণোদনা প্রদান করা হবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘বর্তমানে আউশের মৌসুমে সারাদেশে ১৩ লাখ ৬৫ হাজার ৪১২ হেক্টর জমিতে আউশ চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। এর মধ্যে ৬১ হাজার ৩৫৩ দশমিক ৮১ হেক্টর জমিতে এ প্রণোদনা কার্যক্রমের মাধ্যমে জমির জন্য বিনামূল্যে বীজ ও সার প্রদান করা হবে। প্রণোদনার আওতাধীন জমি থেকে চাল উৎপাদন হবে প্রায় ১ লাখ ৫৬ হাজার ৪৫২ মেট্রিক টন, যার মূল্য ৫৭৮ কোটি ৮৭ লাখ ৫৭ হাজার ৫৪০ টাকা। খড় উৎপাদন হবে ২ লাখ ৪৬ হাজার ৬৪৩ মেট্রিক টন, যার মূল্য ২৪ কোটি ৬৬ লাখ ৪৩ হাজার ৪০৬ টাকা। অর্থাৎ চাল ও খড় উৎপাদন বাবদ মোট আয় হবে ৬০৩ কোটি ৫৪ লাখ ৯৪৫ টাকা।’
সংবাদ সম্মেলন শেষে ক্লাইমেট চেঞ্জ জার্নালিস্ট ফোরামের সঙ্গে মতবিনিময় করেন কৃষিমন্ত্রী। সভায় জলবায়ু পরিবর্তনে কৃষির ঝুঁকি নিয়ে আলোচনা হয়। সংগঠনের সভাপতি কাউসার রোমানের সভাপতিত্বে বক্তব্য দেন- সাধারণ সম্পাদক মোতাহার হোসেন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাসউদুল হক।