আড়াই হাজার প্রতিষ্ঠান এমপিওভুক্ত হবে: শিক্ষামন্ত্রী

  • স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি/ ফাইল ছবি

শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি/ ফাইল ছবি

আগামী কিছু দিনের মধ্যেই আড়াই হাজার শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকে এমপিওভুক্ত করা হবে বলে জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী ডা: দীপু মনি।

তিনি বলেছেন, 'খুব দ্রুতই প্রায় আড়াই হাজার প্রতিষ্ঠানকে এমপিওভুক্ত করে নেবো। গতবছর চারটি ক্রাইটেরিয়া ঠিক করে অনলাইনে আবেদন নেওয়া হয়েছিল। প্রতিষ্ঠানগুলো তাদের যে তথ্য দিয়েছে, সেই তথ্যের ভিত্তিতে স্বয়ংক্রিয় পদ্ধতিতে যোগ্য প্রতিষ্ঠানগুলো নিরুপণ করেছি। সেটির সংখ্যা আড়াই হাজারের কিছু বেশি হয়তো।’

বিজ্ঞাপন

বুধবার (১০ এপ্রিল) সচিবালয়ের সভাকক্ষে সাংবাদিকদের সঙ্গে বিভিন্ন বিষয়ে মতবিনিময়ের সময় শিক্ষামন্ত্রী এসব কথা বলেন।

ডা. দীপু মনি বলেন, ‘প্রায় আড়াই হাজার প্রতিষ্ঠান নির্ধারিত সফটওয়ারে বাছাই হয়েছে স্ব স্ব প্রতিষ্ঠানের দেওয়া তথ্যমতে। এমপিওভুক্তির সিদ্ধান্ত নেওয়ার পরে প্রতিষ্ঠানগুলো যে তথ্য দিয়েছে, তার সঙ্গে প্রকৃত বিষয়টি যাচাই করে দেখে এমপিওভুক্তি হবে। আশা করি প্রতিষ্ঠানগুলো সঠিক তথ্য দিয়েছেন। তারপরও এমপিওভুক্তির জন্য বাছাই করা প্রতিষ্ঠান কিছু কম-বেশি হতে পারে।’

বিজ্ঞাপন

বাছাই করা প্রতিষ্ঠানগুলো একসঙ্গে এমপিওভুক্ত করা হবে নাকি ধাপে ধাপে এমন প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, ‘যতটুকুই পারি তা একসঙ্গেই করবো। শিক্ষকরা বলেছেন, সবাইকে দেন সেটা কম করে হলেও। ধরুন শতভাগ এমপিও এক হাজার বিদ্যালয়কে দেওয়া হলো, যদি সেখানে পাওয়ার যোগ্য হয় দুই হাজার প্রতিষ্ঠান, তাহলে পাশাপাশি দুটো প্রতিষ্ঠানের একটি পেল অপরটি পেল না। তখন যোগ্য নির্বাচিত হওয়ার পরও না পাওয়ায় ক্ষোভ তৈরি হবে।’

পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় প্রসঙ্গে দীপু মনি বলেন, ‘একটা সময় পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় মানেই ছিল সেখানে অস্ত্রের ঝনঝনানি। সেখানে বছরের পর বছর ক্লাস হতো না। সেশনজট লেগে থাকত।’

তিনি বলেন, ‘এখন সবগুলো বিশ্ববিদ্যালয় সঠিকভাবে চলছে। সেশনজট সবগুলো বিশ্ববিদ্যালয়ে নেই বললেই চলে। তবে কিছু বিশ্ববিদ্যালয়ে সমস্যা আছে, সেই সমস্যাগুলো আমরা জানার সঙ্গে সঙ্গে এড্রেস করার চেষ্টা করছি।’

শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ‘বিদ্যালয়ের গুরুত্বপূর্ণ পদে আছেন, আর সবার পরিচালনার যোগ্যতাও তো একরম নয়। সেই কারণেই অনেক সময় নানা অনাকাঙ্খিত পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়।’

এক সময় রাষ্ট্রীয় পৃষ্টপোষকতায় নারীর প্রতি সহিংসতা হতো উল্লেখ করে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ‘এখন নারীর ওপর সহিংসতা রাষ্ট্রীয় পৃষ্টপোষকতায় হয় না। এখন যারা মানসিক বিকৃতির শিকার, তারা এসব কাজ করে।’

তিনি বলেন, ‘নারী শিক্ষার্থীদের উপর সহিংসতা চরম নিন্দনীয় অপরাধ। এ বিষয়ে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করা যায় তা করা হচ্ছে। একই সঙ্গে আমদের সমাজে নারীর যত বেশি অধিকার নিশ্চিত করতে পারবো এবং নারী অধিকার সম্পর্কে সমাজকে সচেতন করতে পারবো, ততই এসব দূর হবে।’