চট্টগ্রাম বন্দরের পণ্য খালাসে স্থবিরতার আশঙ্কা

  • স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, চট্টগ্রাম, বার্তা ২৪.কম
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

ধর্মঘটের কারণে পণ্য খালাসে স্থবিরতার আশঙ্কা, ছবি: বার্তা২৪

ধর্মঘটের কারণে পণ্য খালাসে স্থবিরতার আশঙ্কা, ছবি: বার্তা২৪

 

অনির্দিষ্টকালের জন্য লাইটারেজ জাহাজ শ্রমিকদের ধর্মঘটের কারণে চট্টগ্রাম বন্দরে পণ্য খালাসে স্থবিরতা নেমে আসার আশঙ্কা করছে চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ। বন্দরের বহির্নোঙরে পণ্য খালাস করা হয় লাইটারেজ জাহাজের মাধ্যমে। আবার দেশের বিভিন্ন স্থানেও লাইটার জাহাজে পণ্য পাঠানো হয়। ধর্মঘটের ফলে আসন্ন রমজানে এর প্রভাব পড়তে পারে ভোগ্যপণ্যের দামের ওপর।

বিজ্ঞাপন

জানা গেছে, অনির্দিষ্টকালের কর্মবিরতি পালন করছেন শ্রমিকরা। প্রায় ২ হাজার লাইটারেজ জাহাজ বন্ধ করে দিয়েছে শ্রমিকরা।

এদিকে, লাইটারেজ বন্ধ থাকায় চট্টগ্রাম বন্দরে আমদানি রফতানি পণ্য পরিবহনে অচলাবস্থা তৈরির আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। গভীর সাগরে চট্টগ্রাম বন্দরের বহির্নোঙরে পূর্বে থেকে যে লাইটার জাহাজ রয়েছে সেখানে বর্তমানে কাজ চললেও কর্মবিরতি দীর্ঘ হলে আমদানি রফতানি বাণিজ্যে অস্থিরতা তৈরি হবে বলে আশঙ্কা করছেন সংশ্লিষ্টরা।

বিজ্ঞাপন

লাইটার জাহাজ কন্ট্রাক্টর অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি শফিক আহমদ বার্তা২৪কে জানান, চট্টগ্রামে ২ হাজার লাইটারেজ জাহাজ অলস বসে আছে। আশাকরি আলোচনার মাধ্যমে যত দ্রুত সম্ভব সমস্যার সমাধানের উদ্যোগ নেবে কর্তৃপক্ষ।

এদিকে, হঠাৎ করে লাইটার জাহাজ বন্ধ করে দেওয়ায় আমদানি রফতানিকারকদের মধ্যে এক ধরণের আতঙ্ক তৈরি হয়েছে। আসন্ন রমজান উপলক্ষে আমদানিকৃত ভোগ্য পণ্য খালাসে বিলম্ব হলে আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার আশঙ্কায় রয়েছেন তারা। লাইটার জাহাজ বহির্নোঙরে না গেলে সময় মতো পণ্য খালাস হবেনা। এক্ষেত্রে আমদানিকারকদের লোকসানের মুখে পড়তে হবে।

আমদানিকারক ওয়ারিশা এন্টারপ্রাইজের স্বত্বাধিকারী সরোয়ার আলম খান বার্তা২৪কে বলেন, ‘রমজানের আগে নৌযান শ্রমিকদের এমন কর্মসূচি আমদানি বাণিজ্যের জন্য চরম হুমকি। এই কর্মসূচি যদি একদিনও স্থায়ী হয় তাহলে আমদানিকারকরা চরম ক্ষতিগ্রস্ত হবে।’

বন্দরে ব্যবসায়ী গিয়াস উদ্দিন বলেন, ‘পণ্য খালাস বিঘ্নিত হলে পণ্যের বাজার অস্থিতিশীল হয়ে পড়বে। এই সংকট উত্তরণে জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ দেওয়া জরুরি।’

চট্টগ্রাম বন্দরের পরিচালক (ট্রাফিক) এনামুল করিম বার্তা২৪কে বলেন, ‘বহির্নোঙরে যে লাইটার জাহাজ রয়েছে সেখানে সেখানে ওঠানামা স্বাভাবিক রয়েছে। নৌ শ্রমিকদের কর্মসূচি অব্যাহত থাকলে একদিন পরে থেকে এর নেতিবাচক প্রভাব পড়বে। আগামী রমজানেও ভোগ্যপণ্যের উপর এর প্রভাব পড়ার আশঙ্কা রয়েছে। সুতরাং শ্রমিকদের আন্দোলনের একটি সুরহা হওয়া উচিত।’