ঘূর্ণিঝড় ফণি
চট্টগ্রামে প্রস্তুত ৬৬৬০ স্বেচ্ছাসেবক ও ৪৩৯ সাইক্লোন সেন্টার
শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড় ফণী মোকাবিলায় ব্যাপক প্রস্তুতি গ্রহণ করেছে চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসন। প্রস্তুত রাখা হয়েছে ৬ হাজার ৬৬০ স্বেচ্ছাসেবক এবং ৪৩৯টি সাইক্লোন সেল্টার। চট্টগ্রামের কৃষি বিভাগের কর্মকর্তাদের ছুটি বাতিল করা হয়েছে। এছাড়া সরকারি কর্মকর্তারা শুক্রবারে কর্মস্থলে থাকার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড় ফণি যদি ইউট্রান নেয় তবে ভয়াবহ প্রাণঘাতির আশঙ্কাকে বিবেচনা করে প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে চট্টগ্রামে।
জেলা প্রশাসক (ভারপ্রাপ্ত) মো. দেলোয়ার হোসেন বার্তা২৪.কমকে বলেন, ‘দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটির মিটিং করে বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। দুইটি কন্ট্রোল রুম খোলা হয়েছে। চট্টগ্রামের পাহাড় থেকে বসবাসকারীদের সরিয়ে নিতে ৬ টি ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। জনস্বাস্থ্য বিভাগ, স্বাস্থ্য বিভাগের ডাক্তার শুকনা খাবার প্রস্তুত রাখা হয়েছে। ঘরবাড়ি বিধ্বস্থ হলে ঢেউটিনও প্রস্তুত রাখা হয়েছে। গভির সমুদ্রে থাকা নৌযান গুলোকে তীরে চলে আসার জন্য নিদের্শনা দেওয়া হয়েছে।’
চট্টগ্রামের সিভিল সার্জন আজিজুর রহমান সিদ্দিকি বার্তা২৪.কমকে বলেন, ‘ফণী মোকাবিলায় চিকিৎসকদের প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। প্রত্যেক উপজেলায় স্বাস্থ্য কেন্দ্র ডাক্তারদের সার্বক্ষণিক থাকার নিদের্শনা দেওয়া হয়েছে। দ্রুত চিকিৎকসা দেওয়ার জন্য সব ধরনের প্রস্তুতি আমরা নিয়েছি।’
চট্টগ্রাম ফায়ার সার্ভিসের উপসহকারী পরিচালক পূর্ণ চন্দ্র মৃওসুদ্দী বার্তা২৪.কমকে বলেন, ‘দুর্যোগ মোকাবেলায় ফায়ার সার্ভিসের সকল সদস্যকে প্রস্তুত রাখা হয়েছে। যে কোনো ধরনের দুর্যোগের পূর্ব প্রস্তুতি আমাদের রয়েছে। এবার ফণী মোকাবিলায় সভা করে সিদ্ধান্ত নিয়েছি। সুতরাং আমারা আশা করি পূর্ব প্রস্তুতির ফলে আমাদের ক্ষয়ক্ষতি কম হবে।’
এদিকে আবহাওয়ার পূর্বাভাসে চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দরকে ছয় নম্বর বিপদ সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে। এছাড়া কক্সবাজারকে চার এবং পায়রা, মংলা সমুদ্রবন্দরকে সাত নম্বর বিপদ সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে। একই সঙ্গে বন্দর এবং নৌ যান শ্রমিকদের নিকটবর্তী স্থানে অবস্থান করতে বলা হয়েছে।’
চট্টগ্রাম আবহাওয়া অধিদফতরের আবহাওয়াবিদ রুহুল আমিন বার্তা২৪.কমকে বলেন, ‘ফণী চট্টগ্রাম সমুদ্র বন্দর থেকে ১ হাজার ৫৬ কিলোমিটার দক্ষিণ পশ্চিম দিকে দিকে রয়েছে। ফলে চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দরকে ছয় নম্বর বিপদ সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে। এটি যেকোন সময় উপকুলে আঘাত হানতে পারে। ফলে আমাদের পূর্ব প্রস্তুতি থাকা জরুরি। তাই আমরা স্বেচ্ছাসেবক, রেডক্রিসেন্ট, স্কাউট, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটির স্বেচ্ছাসেবক প্রস্তুতি নিয়ে রেখেছি।’