চট্টগ্রামে বাজার মনিটরিং, শহরে আছে গ্রামে নেই
রাজধানী ঢাকার মতো চট্টগ্রামেও নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি, ভেজাল প্রতিরোধে রমজান শুরুর পর থেকে প্রতিদিনই বাজার মনিটরিং করা হচ্ছে। নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের সমন্বয়ে জেলা প্রশাসনের দল প্রতিদিনই বের হচ্ছেন বাজার মনিটরিং করতে। তবে নগরীতে এ অভিযান পরিচালনা করা হলেও উপজেলা পর্যায়ে নেই কোনো অভিযান।
বাজার দর নিয়ন্ত্রণ ও ভেজালমুক্ত খাদ্যদ্রব্য বাজারজাতকরণ, বিপণনের ক্ষেত্রে শহরের মতো গ্রামেও ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযান চান স্থানীয়রা।
জানা যায়, চট্টগ্রাম জেলায় ১৫টি উপজেলা। নগরীতে অভিযান চললেও উপজেলা পর্যায়ে কোনো অভিযান পরিচালিত হচ্ছে না। ব্যতিক্রম শুধু চট্টগ্রামের হাটহাজারী উপজেলা। এ উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা রুহুল আমিন বেশ কয়েকবার ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেছেন। তিনি নকলপণ্য, ভেজাল ঘি, জিলাপি বানানোর রং, কলার মূল্য বৃদ্ধির জন্য জরিমানা আদায় ও সাজা দিয়েছেন।
এদিকে উত্তর চট্টগ্রামের চট্টগ্রামের মিরসরাই, ফটিকছড়ি, সন্দীপ, সীতাকুন্ড, রাউজান, রাঙ্গুনিয়া এবং দক্ষিণ চট্টগ্রামের বাঁশখালি, পটিয়া, সাতকানিয়া, লোহাগড়া, আনোয়ারা, চন্দনাইশ উপজেলা ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালিত হয়নি।
এ উপজেলাগুলো সরকারি হিসেবে বাজারমূল্য নির্ধারণ করা হলেও বাড়তি দাম দেওয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ স্থানীয়দের। এছাড়া ভেজাল পণ্য বিক্রি হচ্ছে অহরহ।
রাউজান উপজেলা চেয়ারম্যান এহসানুল হায়দার চৌধুরী বাবুল বার্তা২৪কে বলেন, প্রধানমন্ত্রীর নিদের্শনা হচ্ছে দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে রাখা। সর্বসাধারণের ক্রয় ক্ষমতার মধ্যে রাখা। অন্য উপজেলার কথা আমি বলতে পারবো না। কিন্তু রাউজান উপজেলায় প্রত্যেক বাজারে মূল তালিকা টাঙানো আছে। কেউ এদিক ওদিক করতে পারবে না। সব নিয়মের মধ্যে চলছে। তাই ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযানের প্রয়োজন হচ্ছে না।
ফটিকছড়ি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মুশফিকুর রহমান বার্তা২৪কে বলেন, আমি গিয়ে খোজঁখবর নিয়েছি। ফটিকছড়ি ছোলা, কলা এবং মাছ মাংসের দাম সরকার নির্ধারিত মূল্যেই বিক্রি হচ্ছে।
তিনি বলেন, উপজেলা অনেক হাটবাজারে রমজান মাসের ১৫দিন আগে গিয়ে মনিটরিং করেছি। যাতে রমজানে বাজার দাম বৃদ্ধি করতে না পারে।
এ ব্যাপারে দক্ষিণ চট্টগ্রামের লোহাগড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আবু আসলাম বার্তা২৪কে বলেন, আমরা প্রায় প্রতিদিন বাজার মনিটরিংয়ে বের হই।
জানতে চাইলে চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক ইলিয়াছ হোসেন বার্তা২৪কে বলেন, প্রত্যেকটি উপজেলায় প্রতিদিন বাজার মনিটরিং করার জন্য নিদের্শনা দেওয়া হয়েছে। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাদের কাছে বাজার দরের তালিকাও পাঠানো হয়। আমরা বাজার দরের ঊর্ধ্বগতি ঠেকাতে সর্বাত্মক চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। তিনি বলেন, অনেক উপজেলায় ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা হলেও হয়ত মিডিয়া কাভারেজ কম পায় তাই প্রচার তেমন হচ্ছে না।
ইলিয়াছ হোসেন বলেন, ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা ক্ষেত্রে হাটহাজারী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা খুবই অ্যাকটিভ। তাঁর মতো আরও পাঁচজন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা পেলে আমি আরও বেশী কাজ করতে পারতাম।