সাগরে মাছ আহরণে নিষেধাজ্ঞা: কঠোর আন্দোলনের প্রস্তুতি

  • আবদুসসাত্তার, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, চট্টগ্রাম
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

ছবি: বার্তা২৪

ছবি: বার্তা২৪

বঙ্গোপসাগরে মাছ ধরে জীবিকা নির্বাহ করেন দেশের প্রায় ৮০ লাখ জেলে। কিন্তু বঙ্গোপসাগরে সামুদ্রিক মাছ আহরণে ৬৫ দিনের নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে সরকার। ফলে মৎস্যজীবীরা বেকার হয়ে পড়েছেন। তবে সরকারের এ সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে কঠোর আন্দোলন ও হাইকোর্টে রিট করার প্রস্তুতি নিচ্ছেন তারা।

মৎস্যজীবী নেতাদের মতে, ৬৫ দিন বঙ্গোপসাগরে মাছ আহরণ বন্ধ থাকলে তাদের না খেয়ে থাকতে হবে। ওই সময় তাদের ভিক্ষা করা ছাড়া আর কোনো উপায় থাকবে না। এছাড়া সামনে ঈদ, এ সময় মাছ ধরতে না পারলে বোট মালিকরা ক্ষতির মুখে পড়বে।

বিজ্ঞাপন

বাংলাদেশ সামুদ্রিক মৎস্য আহরণকারী ও বোট মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক বাবুল সরকার বার্তা২৪.কমকে বলেন, ‘আগে ইলিশ না ধরতে ৬৫ দিন মাছ ধরা বন্ধ ছিল। এবার সব ধরনের মাছ ধরার ওপর ৬৫ দিনের নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে। এভাবে চলতে থাকলে আমাদের বেঁচে থাকার অবলম্বন ধ্বংস হবে। সরকার দ্রুত এ নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার না করলে আমরা কঠোর আন্দোলনের কর্মসূচি দেব।’

 https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2019/May/21/1558387022130.JPG

বিজ্ঞাপন

তিনি আরও বলেন, ‘আমরা হাইকোর্টে উকিলের সঙ্গে পরামর্শ করতে গিয়েছিলাম। দেশে ৬৫ হাজার মাছ ধরার বোট রয়েছে। প্রতি বোটে ২০ জন করে কাজ করে। মাছ ধরতে না পারলে তাদের খরচ আসবে কোথা থেকে?’

উল্লেখ্য, ২০ মে থেকে ২৩ জুলাই পর্যন্ত (৬৫ দিন) বঙ্গোপসাগরে বাণিজ্যিক ট্রলার ও সকল প্রকার যান্ত্রিক এবং অযান্ত্রিক নৌযান দ্বারা মাছ আহরণ বন্ধ ঘোষণা করেছে সরকার। কিন্তু জেলেরা এ নিষেধাজ্ঞা কমিয়ে ৩০ দিন করার দাবি জানিয়েছেন। পাশাপাশি মে থেকে জুলাই মাসের পরিবর্তে এ নিষেধাজ্ঞা চৈত্র থেকে বৈশাখ করার দাবি জানিয়েছেন তারা।

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2019/May/21/1558387117824.JPG

নাম না প্রকাশ শর্তে চট্টগ্রাম জেলা মৎস্য কর্মকর্তা বার্তা২৪.কমকে বলেন, ‘মৎস্যজীবীরা আন্দোলন করলেও আমাদের কিছুই করার নেই। তাদের ভালোমন্দ সরকার দেখবে। কিন্তু আমাদের পাশ্ববর্তী দেশ ভারত, মালয়েশিয়া, মিয়ানমার, শ্রীলংকাসহ সব দেশে বছরে ৬৫ দিন সমুদ্রে মাছ ধরা বন্ধ থাকে। কারণ এই সময়ে মা মাছ পোনা ছাড়ে ও অন্যান্য মাছও বড় হয়। তাই এই সময়ে মাছ ধরা বন্ধ থাকলে পরবর্তীতে জেলেরাই লাভবান হবেন। তাছাড়া সমুদ্রে মৎস্য সম্পদ বিলুপ্তের কথা বিবেচনা করেই এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার।’