মুসলিমদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় অনুষ্ঠান ঈদুল ফিতরের আগে শেষ শুক্রবার ছিল আজ ৩১ মে। কাপড়ের অন্যান্য বাজারের তুলনায় শাড়ির অন্যতম খুচরা বাজার রাজধানীর ধানমণ্ডির হকার্স মার্কেটে তেমন ক্রেতা নেই বলে অভিযোগ তোলেন ব্যবসায়ীরা।
সরেজমিনে দেখা যায়, বছরের অন্যান্য সময়ের মতোই ঢিলেঢালাভাবে চলছে বেচাকেনা। কোথাও কোথাও ক্রেতা শূন্য অলস বসে থাকতে দেখা যায় দোকানিদের। আবার কোনো দোকানে দু-একজন ক্রেতা থাকলেও নেই ব্যস্ততা।
তবে সন্ধ্যার পরে রাতের কিছুটা সময় ক্রেতাদের বেশ আনা-গোনা থাকলেও বিক্রি থাকে কোনো রকম, জানান ব্যবসায়ীরা।
ঈদ বেচাকেনা কেমন চলছে জানতে চাইলে বিক্রমপুর গার্মেন্টসের কর্মচারী হানিফ সরকার বার্তা২৪.কমকে বলেন, ‘অন্য বারের তুলনায় এবার কাস্টমার নেই। শাড়ির মার্কেটের অবস্থা তেমন ভালো না। দিনের অনেকটা সময় কাটে ক্রেতা শূন্য। ঈদ কেন্দ্রিক যতটা আশায় ছিলাম তার অর্ধেকও হয়নি।’
সামহা জামদানি ওয়ার্ল্ড-এর মালিক আমির হোসেন বার্তা২৪.কমকে বলেন, ‘যাদের একটু টাকা পয়সা আছে, তারা চলে যায় ইন্ডিয়া। সেখান থেকে কম দামে পুরান মডেলের কাপড় নিয়ে খুশিতে দেশে ফিরছেন। আর দাম একটু বেশি হলেও, ভালো মানের কাপড় রেখেও পাই না কাঙ্ক্ষিত ক্রেতা।’
তবে ক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায় অন্য কথা। তাদের দাবি, মানুষ সময়ের সঙ্গে তাল মিলিয়ে কেনাকাটা করে। সেই সঙ্গে শাড়ির বাড়তি দামের তো একটা বিষয় থাকে।
মায়ের জন্য ঈদের শাড়ি কিনতে আসা মার্জিয়া ইসলাম বার্তা২৪.কমকে বলেন, ‘প্রচণ্ড গরমে শাড়ি বা কাপড়ের মধ্যে সব থেকে বেশি চাহিদা সুতি কাপড়ের। আর শাড়ির প্রতি ঈদ কেন্দ্রিক সবার চাহিদা থাকে তাও না। চলতি ফ্যাশন আর সময় অনেক কিছুর চাহিদা নির্ধারণ করে।’
তিনি আরও বলেন, ‘এই ধরেন আমার কথা। মায়ের জন্য শাড়ি কিনতে আসছি। কিন্তু আমার নিজের পছন্দ অন্যকিছু। যদিও শখে একটা শাড়ি কিনব ভেবেছিলাম, আবার দামের কারণে পারছি না।’