চট্টগ্রামের মাজারে মাজারে মানুষের ঢল, নিরাপত্তা জোরদার
পবিত্র লাইলাতুল কদরের রাতে চট্টগ্রামের মাজারে মাজারে ভক্তদের ভিড়। গভীর রাতে মাজার জিয়ারত করে আল্লাহর দরবারে পবিত্র লাইলাতুল কদরে ইবাদত করছেন মুসল্লিরা। আল্লাহর দরকারে দুই হাত তুলে কান্নাকাটির মাধ্যমে আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জনের চেষ্টা করেছেন।
এ সময় মাজারে যেন কেউ কোনো ধরনের নাশকতা করতে না পারেন, সেই জন্য অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। মাজারে ঢোকার সময় প্রত্যেক ভক্তকে চেক করা হয়েছে। মাজারের বাইরেও গেইটের দুই পাশে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়।
শনিবার (১ জুন) রাতে তারাবি ও লাইলাতুল কদরের নামাজ শেষে চট্টগ্রামের নগরের মাজারগুলোতে এমন চিত্র দেখা যায়।
ঈদুল ফিতরকে সামনে রেখে যেকোনো ধরনের নাশকতা ঠেকাতে ও প্রতিরোধ করতে অতিরিক্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশ (সিএমপি)। এর অংশ হিসেবে নগরের লালদিঘীর পাশে আমানত শাহ মাজার, চক বাজারে মিসকিন শাহ মাজার, গরীবুল্লাহ মাজার ও বায়েজিত বোস্তামি শাহ মাজারে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
এছাড়া এসব মাজারের আশেপাশে টহল দিচ্ছে র্যাব। চট্টগ্রামের ফটিকছড়ির মাইজভাণ্ডার দরবারে শরিফেও লাখো ভক্ত জিয়ারত করেন। সেখানেও অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়।
শনিবার রাত ১২টায় কয়েকটি মাজার ঘুরে দেখা যায়, মাজারের প্রধান ফটকে অবস্থান নিয়েছে পুলিশ। মাজারের ভেতরে বাইরে চেক করা হচ্ছে। কারো কাছে ব্যাগ জাতীয় কিছু দেখলেই সাথে সাথে খুলে দেখাতে হচ্ছে পুলিশকে। তবে এর মধ্যে মাজারে আসা যাওয়া থেমে নেই ভক্তদের। প্রথ্যেক মাজারে উৎসব মুখর পরিবেশ বিরাজ করছে।
নগরীর চক বাজার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (তদন্ত) রিয়াজ উদ্দিন চৌধুরী বলেন, সাধারণ মানুষের সার্বিক নিরাপত্তার জন্য অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। কারণ কদিন পরে ঈদ। এ ঈদকে সামনে রেখে কোনো ধরনের দুর্ঘটনা কারোই কাম্য নয়। তাই কষ্ট হলেও অতিরিক্ত ডিউটি পালন করছি।’
এদিকে সন্ধ্যা থেকে চট্টগ্রাম শহরে ঢোকার প্রত্যেকটি সড়কে চেক পোস্ট বসানো হয়েছে। এছাড়া নগরের বিশেষ স্থানে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
এ ব্যাপারে সিএমপি কমিশনার মাহাবুবর রহমান বার্তা২৪.কম-কে বলেন, ‘চট্টগ্রামে যেকোনো ধরনের নাশকতা প্রতিরোধে এই অতিরিক্ত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।’
নগরের চট্টগ্রাম-খাগড়াছড়ি সড়কের বালুছড়ায়, কক্সবাজার সড়কের নতুন ব্রিজ, কাপ্তায় রাস্তার মাথা ও সিটি গেইট এলাকায় চেক পোস্ট দেখা যায়। এছাড়া নগরীর আগ্রাবাদ, ওয়াসা, কোতোয়ালী নিউমার্কেট, রেল স্টেশন, আদালত ভবনে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। বিভিন্ন সড়কে সাইরেন বাজিয়ে পুলিশকে যাতায়ত করতে দেখা গেছে।
এ বিষয়ে কোতোয়ারী থানার অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ মহমিন বার্তা২৪.কম-কে বলেন, ‘যেকোনো ধরনের সন্ত্রাসী হামলার কথা মাথায় রেখে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। এটি বাড়তি সর্তকতা হিসেবে অতিরিক্ত নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে।’