চট্টগ্রাম মা ও শিশু হাসপাতালে হাঁটুপানি

  • স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম, চট্টগ্রাম
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

হাঁটুপানিতেই চলছে চিকিৎসা কার্যক্রম/ ছবি: বার্তা২৪.কম

হাঁটুপানিতেই চলছে চিকিৎসা কার্যক্রম/ ছবি: বার্তা২৪.কম

চট্টগ্রামের আগ্রাবাদ এলাকায় অবস্থিত নগরীর মা ও শিশু হাসপাতাল। প্রতিবছরের ন্যায় এবারও প্রবল বৃষ্টিতে জলাবদ্ধতার হাসপাতালটির নিচতলায় কার্যক্রম বন্ধ হয়ে পড়েছে। এতে ভোগান্তিতে পড়েছেন কাঙিক্ষত সেবা নিতে দূর-দূরান্ত থেকে আসা রোগী ও স্বজনরা।

এদিকে নিম্নাঞ্চল হওয়ায় এ জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে বলে দাবি করছে হাসপাতালটির কর্তৃপক্ষ। তাদের দাবি, সাময়িক ব্যাঘাত ঘটলেও কেউ সেবা না নিয়ে ফিরছেন না।

বিজ্ঞাপন

স্থানীয়া জানায়, জোয়ারের পানির কারণে বেশ কয়েকদিন ধরে পানি জমে আছে হাসপাতালটিতে। যা হাসপাতালের নিচতলায় কার্যক্রমে ব্যাঘাত ঘটাচ্ছে। সেই সাথে গত দুই দিনের টানা বর্ষণের কারণে হাঁটু পরিমাণ পানি বেড়ে গিয়ে জলাবদ্ধতায় রূপ নেয়। এতে বহিঃবিভাগসহ প্রশাসনিক কার্যালয় বন্ধ হয়ে যায়। সেবা নিতে আসা রোগীদের প্রবেশমুখের পানি মাড়িয়ে হাসপাতালে যেতে হচ্ছে।

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2019/Jul/09/1562676296694.jpg

বিজ্ঞাপন

মঙ্গলবার (৯ জুলাই) সকালে থেকে দুপুর পর্যন্ত থেমে থেমে আবার কখনো মুষলধারে বৃষ্টি হয়। এতে জলাবদ্ধতা আরও বেড়ে যায়।

আগ্রাবাদ এলাকার এক বাসিন্দা বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম-কে বলেন, ‘স্ত্রীকে চিকিৎসা জন্য হাসপাতালে আনার পর শুনলাম জলাবদ্ধতার কারণে জরুরি বিভাগে সেবা দিতে পারছেন না চিকিৎসকরা।’

বৃষ্টির পানির সাথে সাপের উপদ্রব আর বিভিন্ন রোগ সংক্রমের আশঙ্কা বিরাজ করছে এলাকাবাসীর মাঝে।

হাসপাতাল ঘুরে দেখা যায়, নিচতলায় থইথই করছে পানি। এক প্রকার বাধ্য হয়ে দ্বিতীয় তলায় সেবা চলছে সীমিত আকারে। সেখানে সেবা পেতে বেগ পেতে হচ্ছে অনেককে। নিচতলায় হাঁটুপানিতেই চলছে কার্যক্রম।

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2019/Jul/09/1562676314070.jpg

সার্বিক বিষয়ে জানতে চাইলে হাসপাতালের সহকারী পরিচালক আশরাফুল করিম বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম-কে বলেন, ‘রোগীদের ভোগান্তি হচ্ছে এটা কিন্তু বলা যাবে না। এটা প্রকৃতিগত বিষয়, সেই সাথে জোয়ারের পানিতো আছে। এরপরও নিচতলায় সীমিত আকারে আউটডোরসহ অন্যান্য ওয়ার্ডে কাজ চলছে। আপদকালীন হিসেবে নিচের রোগীদের কার্যক্রম দ্বিতীয় তলায় শিফট করেছি। কোনো রোগী এসে ফেরত যাচ্ছেন না।’

এক প্রশ্নের জবাবে আশরাফুল বলেন, ‘এমন আবহাওয়ায় শিশুদের ডায়রিয়াসহ অন্যান্য পানিবাহিত রোগের প্রকোপ বেড়ে যাবে। এসব পানি সংস্পর্শে এলে শরীরে বিভিন্ন রোগ দেখা দিতে পারে।’