যেভাবে রাষ্ট্রপতি হন এরশাদ  



স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম
হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ

হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ

  • Font increase
  • Font Decrease

অভিনব কায়দায় রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় আসীন হন হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ। কার্যত এক রক্তপাতহীন অভ্যুত্থানের মাধ্যমে নির্বাচিত রাষ্ট্রপতিকে সরিয়ে নিজে ক্ষমতা দখল করেন। 

সেই দিনটি ছিলো ১৯৮২ সালের ২৪ মার্চ। সামরিক শাসকের প্রধান পদে অধিষ্ঠিত হন। তৎকালীন রাষ্ট্রপতি আবদুস সাত্তারকে সরিয়ে বিচারপতি আবুল ফজল মোহাম্মদ আহ্‌সান উদ্দীন চৌধুরীকে রাষ্ট্রপতি পদে বসাতে সব কলকাঠি নেড়েছিলেন। নিজের বসানো আবুল ফজল মোহাম্মদ আহ্‌সান উদ্দীন চৌধুরীকে ১৯৮৩ সালের ১১ ডিসেম্বর ক্ষমতা থেকে সরিয়ে দিয়ে নিজেই রাষ্ট্রপতি হন।

তার ক্ষমতাগ্রহণ নিয়ে দুই ধরণের বক্তব্য রয়েছে। বিএনপি দাবী করে বন্দুকের নলের মুখে রাষ্ট্রপতি আবদুস সাত্তারকে হটিয়ে ক্ষমতা গ্রহণ করেন। আর এরশাদ দাবী করতেন, প্রেসিডেন্ট আবদুস সাত্তারের অনুরোধক্রমে ক্ষমতা গ্রহণ করেন। রাষ্ট্রপতি দুর্নীতি নিয়ন্ত্রণ করতে না পেরে তাকে ডেকে ক্ষমতা দিয়েছিলেন।

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2019/Jul/14/1563087666703.jpg

সামরিক শাসক থাকা অবস্থায় ১৯৮৪ সালে নির্বাচন দেন। তখন রাজনৈতিক দলগুলো সেই নির্বাচন বর্জন করলে স্থগিত হয়ে যায় নির্বাচন। তখন নিজের ক্ষমতা পোক্ত করার জন্য নতুন রাজনৈতিক দল গঠনের উদ্যোগ নেন। ১৯৮৫ সালের ১৬ আগস্ট জনদল, ইউপিপি, গণতান্ত্রিক পার্টি, বিএনপি (শাহ) মুসলিম লীগ (সা) মিলে জাতীয় ফ্রন্ট গঠন করেন। জাতীয় ফ্রন্ট গঠনের ৪ মাস ১৪ দিনের মাথায় ১৯৮৬ সালের ১ জানুয়ারি ফ্রন্ট বিলুপ্ত করে জাতীয় পার্টি গঠন করেন।

সামরিক উর্দি থেকে বেরিয়ে আসতে অনেকটা একতরফা ও ভোট জালিয়াতির মাধ্যমে ১৯৮৬ সালের ২৩ অক্টোবর ফের রাষ্ট্রপতি পদে আসীন হন। গণতন্ত্রের লেবাস পরলেও বেশি গদি রক্ষা হয় নি। ১৯৯০ সালের ৬ ডিসেম্বর গণআন্দোলনের মুখে পদত্যাগ করতে বাধ্য হন।

প্রায় ৯ বছর ক্ষমতাসীন থাকা কালে সকাল বিকেল মন্ত্রিসভার রদবদল নিয়ে বেশ হাসির খোরাক জুগিয়েছিলেন। আবার ললনাদের আনাগোনাতেও হয়েছিলেন বেশ বিতর্কিত। তবে বেশ কিছু ভালো উদ্যোগ নিয়েছিলেন সে সময়ে।

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2019/Jul/14/1563087680666.jpg

রাজধানী ঢাকাকে ঢেলে সাজানোর উদ্যোগ ছিলো চোখে পড়ার মতো। বিজয় সরণি, রোকেয়া সরণি, পান্থপথসহ ২২টি প্রধান সড়ক নির্মাণ, ঢাকা শহর রক্ষা বাঁধ, জাতীয় স্মৃতিসৌধের কাজ সমাপ্ত করা, সারাদেশে অসংখ্য বেইলী ব্রীজ স্থাপন করে যোগাযোগ ব্যবস্থার প্রভূত উন্নয়ন সাধন করেন।

প্রশাসনকে বিকেন্দ্রীকরণ করার ক্ষেত্রেও নিয়েছিলেন বেশ কিছু ঐতিহাসিক সিদ্ধান্ত। দেশের ১৯ জেলাকে ভেঙে ৬৪ জেলায় রূপান্তর, একই দিনে ৪৬৪ থানাকে উপজেলায় রূপান্তর ব্যবস্থা চালু ও হাইকোর্ট বিভাগের বেঞ্চ ঢাকার বাইরে নিয়েছিলেন। যদিও আন্দোলনের মুখে হাইকোর্টের বেঞ্চ প্রত্যাহার করতে বাধ্য হন। উপজেলায় উপজেলায় কোর্ট স্থাপন করেছিলেন।

ওষুধ নীতি, ভূমি আইন সংস্কার, জাতিসংঘের শান্তি মিশনে সৈন্য প্রেরণ ছিলো যুগান্তকারি পরিবর্তন। যদিও তার বিদায়ের পর সাময়িক সময়ের জন্য উপজেলা পরিষদ বাতিল করা হয়। পরে আবার চালু করে আওয়ামী লীগ।

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2019/Jul/14/1563087698123.jpg

আন্দোলনের মুখে ক্ষমতাচ্যুত হলে, রাডার ক্রয়, জনতা টাওয়ার, মেজর মঞ্জুর হত্যা,বিটিভির যন্ত্রপাতি ক্রয়সহ বেশ কিছু মামলা দায়ের হয়। পদত্যাগের পরপরেই আটক হয়ে কারাগারে চলে যায়। টানা ৬ বছর কারাগারে ছিলেন।

১৯৯০ সালে জেলে থেকেও রংপুরের ৫ টি আসনে জয়ী হন। এরপর প্রতিটি নির্বাচনেই সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন। ২০০৮ সালে প্রথম ঢাকার একটি আসন থেকে নির্বাচিত হন।

২০১৪ সালে অনেক নাটকীয়তার মধ্যদিয়ে রংপুর থেকে নির্বাচিত হয়ে প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ দূতের (মন্ত্রী মর‌্যাদায়) দায়িত্ব পালন করেন। চলতি সংসদে রংপুর -৩ (সদর) আসন থেকে নির্বাচিত হয়েছেন। জাতীয় সংসদের বিরোধীদলীয় নেতার দায়িত্ব গ্রহণ করেন। তার প্রতিষ্ঠিত জাতীয় পার্টি টানা দু’টি সংসদে বিরোধীদলের আসন অলংকৃত করছে। যদিও অনেকে একে গৃহপালিত বিরোধীদল বলে উল্লেখ করে থাকেন।

   

সিরাজগঞ্জে বয়লার বিস্ফোরণে শ্রমিক নিহত, আহত ২



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট,বার্তা২৪.কম,সিরাজগঞ্জ
ছবি: বার্তা ২৪

ছবি: বার্তা ২৪

  • Font increase
  • Font Decrease

সিরাজগঞ্জে চালকলে ধান সিদ্ধ করার সময় বয়লার বিস্ফোরণে ফজল আলী (২৬) নামে এক শ্রমিকের মৃত্যু হয়েছে।

শুক্রবার (৩ মে) ভোর সাড়ে ৪টার দিকে জেলার কামারখন্দ উপজেলার জামতৈল পশ্চিম পাড়ার মেসার্স আজাহার চালকলে এ ঘটনা ঘটে।

নিহত ফজল উপজেলার জামতৈল পশ্চিম পাড়ার রবিয়াল হোসেনের ছেলে। এ ঘটনায় আহত হয়েছে আরও দুই শ্রমিক।

আহত শ্রমিকরা হলেন, উপজেলার জামতৈল পশ্চিম পাড়ার মৃত পলান শেখের ছেলে জহুরুল শেখ (২৬) এবং কর্ণসূতি পশ্চিম পাড়ার মৃত সুরুত মন্ডলের ছেলে জিন্নাহ মন্ডল (৩০)।

আহত শ্রমিক জহুরুল শেখ জানান, ধান সিদ্ধ করার এক পর্যায়ে ভোর সাড়ে ৪টার দিকে বিকট শব্দে বয়লার বিস্ফোরণ হয়। এতে আমিসহ ফজল ও জিন্নাহ আহত হই। আমি আর জিন্নাহ হাসপাতালে চিকিৎসা নেই। পরে বাড়িতে চলে এসেছি। আর ফজলের অবস্থা খুবই খারাপ হওয়ায় তাকে ঢাকায় পাঠানো হয়।

জহুরুল আরও জানান, আমি গত এক বছরের বেশি সময় ধরে এই চালকলে কাজ করছি। এর মধ্যে বয়লারের পাইপ পরিবর্তন করা হলেও বয়লার পরিবর্তন করা হয়নি।

নিহত ফজলের ভাই আসলাম হোসেন জানান, মেসার্স আজাহার চালকলে ধান সিদ্ধ করার এক পর্যায়ে বয়লার বিস্ফোরণে ফজল গুরুতর আহত হয়। প্রথমে তাকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও পরে সদর হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানকার চিকিৎসক তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করেন। ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পর সেখানকার চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

এ বিষয়ে মেসার্স আজাহার চালকলের স্বত্বাধিকারী আজাহার আলী রাজা বলেন, গত ছয় মাস আগে বয়লার ও কয়েক দিন আগে বয়লারের পাইপ পরিবর্তন করা হয়েছে। বয়লার কেন বিস্ফোরণ হলো বুঝতে পারছি না।

কামারখন্দ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) ডা. সুমনুল হক জানান, বয়লার বিস্ফোরণে আহত তিনজন শ্রমিককে হাসপাতালে আনা হয়েছিল। দুইজনকে সিরাজগঞ্জ সদর হাসপাতালে রেফার্ড করা হয়ে। এদের মধ্যে ফজল নামে একজন শ্রমিকের মুখের অনেকাংশ থেতলে গেছে। তার অবস্থা খুবই গুরুতর।

কামারখন্দ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শাহীন সুলতানা জানান, মেসার্স আজাহার চালকলে বয়লার বিস্ফোরণের খবর পেয়েছি। ঘটনাস্থলে যাচ্ছি, এ ঘটনায় তদন্ত কমিটি গঠন করা হবে।

;

জামিনে মুক্তি পেলেন মামুনুল হক



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, গাজীপুর
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

গাজীপুরের কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে জামিনে মুক্তি পেয়েছেন হেফাজতে ইসলামের সাবেক কেন্দ্রীয় যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা মামুনুল হক।তার বিরুদ্ধে প্রায় ৪২টি মামলা ছিল। সর্বশেষ গত রোববার খুলনা ও চট্টগ্রামের দুই মামলা তিনি জামিন পান।

শুক্রবার (৩ মে) সকাল সাড়ে ১০টার দিকে কারাগার থেকে মুক্তি পেয়েছেন তিনি। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কাশিমপুর হাই সিকিউরিটি কেন্দ্রীয় কারাগারের সিনিয়র জেল সুপার সুব্রত কুমার বালা। এ সময় জেলগেটে ছিলেন, অধ্যক্ষ মিজানুর রহমান চৌধুরি, বড় ভাই মুফতি মাহফুজুল হক, ছেলে যিমামুল হক, ভাগিনা এহসানুল হক।

এর আগে গত ১১ মার্চ মামুনুল হকের মুক্তির বিষয়ে আলোচনা করতে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালের সঙ্গে বৈঠক করেন হেফাজত নেতারা। ধর্মমন্ত্রী ফরিদুল হক খানসহ সরকারের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তারা বৈঠকে অংশ নেন। বৈঠক শেষে গণমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে সংগঠনটির মহাসচিব মাওলানা সাজিদুর রহমান দাবি করেন, মামুনুল হকের মুক্তির বিষয়ে সহযোগিতার আশ্বাস দিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।

বৃহস্পতিবার (২ মে) বিকেলে তার জামিনের কাগজ কারাগারে এসে পৌঁছায়। তবে তার বিরুদ্ধে কয়েকটি মামলা থাকায় তা যাচাই-বাছাই করতে অনেক সময় লাগে। যার কারণে গতকাল তাকে মুক্তি দেওয়া সম্ভব হয়নি। পরবর্তীতে তার সব কাগজপত্র যাচাই-বাছাই শেষে শুক্রবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে তার বড় ভাই এর জিম্মায় তাকে মুক্তি দেয়া হয়।

এর আগে তার মুক্তির খবরে রাতভর গাজীপুরের কাশিমপুর হাইসিকিউরিটি কেন্দ্রীয় কারাফটকে অপেক্ষা করেছেন হেফাজত ইসলামের নেতাকর্মী ও সমর্থকরা।

প্রসঙ্গত, ২০২১ সালের ৩ এপ্রিল নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ের রয়েল রিসোর্টে এক নারীর সঙ্গে হেফাজত নেতা মাওলানা মামুনুল হককে অবরুদ্ধ করেন স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা-কর্মীরা। পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে তাদের জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করে। খবর পেয়ে হেফাজতের স্থানীয় নেতাকর্মীরা রিসোর্টে গিয়ে ভাঙচুর চালিয়ে তাকে ছিনিয়ে নিয়ে যান। ঘটনার পর থেকে ঢাকার মোহাম্মদপুরের জামিয়া রাহমানিয়া আরাবিয়া মাদ্রাসায় অবস্থান করেন মামুনুল হক।

এর পরপরই ওই মাদ্রাসা থেকে মাওলানা মামুনুল হককে গ্রেফতার করে পুলিশ। পরে ৩০ এপ্রিল সোনারগাঁ থানায় তার বিরুদ্ধে বিয়ের প্রলোভনে ধর্ষণের মামলা করেন তার সঙ্গে রিসোর্টে অবরুদ্ধ হওয়া নারী। এরপর ওই মাসেই দেশের বিভিন্ন স্থানে তার বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহসহ অর্ধশতাধিক মামলা হয়। পরে সেসব মামলায় তাকে গ্রেফতার দেখান পুলিশ। গ্রেফতারের পর থেকে এসব মামলায় তিনি কারাভোগ করছেন।

;

গৌরনদীতে ইউপি চেয়ারম্যানকে গুলি



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট,বার্তা২৪.কম, বরিশাল
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

বরিশালের গৌরনদী উপজেলার মাহিলাড়া ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সৈকত গুহ পিকলুকে গুলি করে ও কুপিয়ে গুরুতর জখম করা হয়েছে।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, বৃহস্পতিবার সন্ধ্যার পর বাটাজোর বাজারে উপজেলা চেয়ারম্যান প্রার্থী মনির হোসেন মিয়ার সাথে গণসংযোগে যায় ইউপি চেয়ারম্যান সৈকত গুহ ও তার সমর্থকরা।

আহতের স্বজনদের অভিযোগ, বাটাজোর বাজারে আগে থেকেই ওঁৎ পেতে থাকা আরেক চেয়ারম্যান প্রার্থী সাবেক মেয়র হারিছুর রহমানের সমর্থক দিলু হাওলাদার, মাহিলাড়া ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি রাসেল রাঢ়ীসহ অর্ধশতাধিক সন্ত্রাসীরা ইউপি চেয়ারম্যানের উপর হামলা চালিয়ে অবরুদ্ধ করে রাখে। পরবর্তীতে সেখানে উপজেলা চেয়ারম্যান প্রার্থী হারিছুর রহমান নিজে উপস্থিত হয়ে দ্বিতীয় দফায় ইউপি চেয়ারম্যান পিকলুকে গুলি চালায় এবং তার বাহিনীদের পিকলুকে মেরে ফেলার নির্দেশ দেয়। হারিছের নির্দেশের পরপরই তার সন্ত্রাসী বাহিনী পিকলুকে এলোপাথারীভাবে কুপিয়ে জখম করে অবরুদ্ধ করে রাখে।

এসময় ইউপি চেয়ারম্যানের মোটরসাইকেল চালক পলাশ হাওলাদারকেউ কুপিয়ে জখম করা হয়। পরে সেখান থেকে স্থানীয় লোকজন ও পরিবারের স্বজনরা মুমূর্ষু অবস্থায় তাদের উদ্ধার করে উপজেলা হাসপাতালে নিয়ে আসে।

উপজেলা চেয়ারম্যান সৈয়দা মনিরুন নাহার মেরি ও পুলিশ সদস্যরা হাসপাতালে পৌঁছে আহতদের বরিশাল শেরই বাংলা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠিয়ে দেন।

তবে উপজেলা চেয়ারম্যান প্রার্থী হারিছুর রহমান হামলার বিষয়টি অস্বীকার করে, চেয়ারম্যান সমর্থকদের হামলায় তার সমর্থক দিলু হাওলাদার গুলিবিদ্ধ হয়েছে বলে অভিযোগ করেন।

বরিশাল গৌরনদী মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মাজহারুল ইসলাম জানান, এ বিষয়ে এখন পর্যন্ত কেউ লিখিত অভিযোগ দেয়নি। পরিস্থিতি শান্ত রাখতে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।

;

৩৫ হাজার রিকশাচালককে ছাতা দিবে মেয়র আতিক



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: বার্তা ২৪

ছবি: বার্তা ২৪

  • Font increase
  • Font Decrease

রাজধানীর উত্তরায় রিকশা চালকদের মাঝে ছাতা, পানি ও স্যালাইন বিতরণ করেছে ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশন।

শুক্রবার (৩ মে) সকালে উত্তরা ৪ নম্বর সেক্টরে অর্ধশতাধিকের বেশি রিকশা চালকদের এসব বিতরণ করেন উত্তর সিটির মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম।

এর আগে উত্তরার ওই সেক্টরে একটি খেলার মাঠে হাঁটার রাস্তার উদ্বোধন করেন তিনি। 

এদিকে তীব্র গরমে সরাসরি সূর্যের তাপ থেকে রক্ষায় ছাতা ও অন্যান্য উপকরণ পেয়ে খুশি রিকশা চালকরা। ১২ দিনের খাবার স্যালাইন, একটি পানির বোতল ও রিকশার সামনে শক্তিশালী ছাতা গরম ও বৃষ্টি থেকে রক্ষাতে ভালো ভূমিকা রাখবে বলে জানান তারা।


কাশেম নামের এক রিকশা চালক বলেন, এই গরমে আমাদের স্যালাইন পানি দিলো। ছাতা দিয়েছে। আমাদের এখন কষ্ট কম হবে। আমরা সব সময় ছায়ায় থাকব। মেয়রকে ধন্যবাদ। 

বাশার উদ্দিন নামে আরেক রিকশা চালক বলেন, ছাতাটা খুব উপকারে আসবে। বৃষ্টির সময়ও আমাদের আর ভিজতে হবে না।

উত্তর সিটি কর্পোরেশনের আওতায় লাইসেন্স ধারী ৩০ হাজার ও অন্যান্য সংস্থা থেকে অনুমোদিত ৫ হাজারসহ মোট ৩৫ হাজার রিকশাচালককে ছাতা দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন মেয়র আতিকুল ইসলাম।

তিনি বলেন, প্রায় ৩৫ হাজার রিকশা চালক আছে আমাদের উত্তর সিটিতে। যাদের লাইসেন্স আছে তাদের সকলকে আমরা একটা করে ছাতা দিব। কারণ এরা যদি গরমে অসুস্থ হয়, একদিন ইনকাম করতে না পারে তাহলে তাদের বাড়িতে রান্না হবে না। আমরা তাদের জন্য ১২টি স্যালাইন ও একটি পানির পট দিয়েছি। ঘেমে যে লবণ তাদের শরীর থেকে বের হয়ে যায় তা এই স্যালাইনের মাধ্যমে পূরণ হবে। 

ছাতা বিতরণ শেষ ওয়াটার ক্যানন স্প্রে মাধ্যমে কৃত্রিম বৃষ্টি ছড়ানো হয় উত্তরা ৪ নম্বর সেক্টর এলাকায়। কৃত্রিম বৃষ্টিতে মেয়র আতিকুল ইসলামসহ সর্ব স্তরের মানুষ উল্লাস করেন।

;