ফেঁসে যাচ্ছেন এসপিসহ পুলিশের ৫০ সদস্য



শাহরিয়ার হাসান, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম, ঢাকা
বাংলাদেশ পুলিশ

বাংলাদেশ পুলিশ

  • Font increase
  • Font Decrease

পুলিশ কনস্টেবল পদে নিয়োগে তদবির ও বাণিজ্য ঠেকাতে ব্যাপক প্রস্তুতি নিয়েছিল পুলিশ সদর দফতর। এ নিয়ে রেঞ্জ ডিআইজি ও পুলিশ সুপারদের কঠোর হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন পুলিশের মহাপরিদর্শক। সে অনুযায়ী ঘুষ লেনদেন বন্ধে ৬৪ জেলায় ৫ স্তরের নজরদারি শুরু হয়। এ প্রক্রিয়া চলমান ছিল পুরো নিয়োগ প্রক্রিয়ায়।

এত কিছুর মধ্যেও ১২ জেলায় সক্রিয় ছিল প্রতারক ও ঘুষ চক্রের সদস্যরা। যারা লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়েছে নিয়োগপ্রত্যাশীদের কাছ থেকে। পাশাপাশি অর্থ হাতিয়ে নেওয়ার আগেই অনেকে ধরা পড়েছে কোন কোন জেলায়। তবে সবচেয়ে অপ্র্যতাশিত বিষয় হলো, এসব প্রতারক চক্রের সদস্যদের পাশাপাশি নিয়োগ বাণিজ্যের সঙ্গে বিভিন্ন পর্যায়ের শতাধিক পুলিশ সদস্যের সংশ্লিষ্টতার অভিযোগ উঠেছে।

পুলিশ সদর দফতর সূত্র বলছে, পুলিশ কনস্টেবল পদে নিয়োগ বাণিজ্যে জড়িত থাকার ঘটনায় টাঙ্গাইল, গাজীপুর, চাঁপাইনবাবগঞ্জ, নাটোর, বগুড়া, খুলনা, সাতক্ষীরা, ঝিনাইদহ, নড়াইল, কুষ্টিয়া, রংপুর ও গাইবান্ধায় মামলা হয়েছে। এই ১২ জেলায় দায়ের করা ১৮ মামলায় ৪০ জনকে গ্রেফতার করা হয়। এর মধ্যে বগুড়া জেলায় সর্বাধিক পাঁচটি মামলা করা হয়। দুটি করে মামলা হয়েছে চাঁপাইনবাবগঞ্জ ও খুলনায়। অন্য জেলায় একটি করে মামলা হয়েছে। দণ্ডবিধির ৪০৬, ৪১৭ ও ৪২০, ১৭০, ১০৯ ও ৩৪ ধারায় এসব মামলা করা হয়।

গত ২১ জুন টাঙ্গাইলে কনস্টেবল পদে চাকরি দেওয়ার কথা বলে ১০ লাখ টাকা লেনদেনের অভিযোগে পুলিশের এসআই মোহাম্মদ আলী এবং কথিত সাংবাদিকের স্ত্রী শাহানাতুল আরেফিন সুমিকে গ্রেফতার করে জেলা পুলিশ। কনস্টেবল পদে নিয়োগ প্রক্রিয়ায় এটিই ছিল প্রথম গ্রেফতার। যা দিয়ে অনিয়মবিরোধী কঠোর বার্তা দিয়েছিল বাংলাদেশ পুলিশ।

তারপরে নিয়োগে তদবির করতে গিয়ে ঝিনাইদহ পুলিশের কনস্টেবল আবদুল হাকিম সাময়িক বরখাস্ত হন। তার দুই দিন পরে কুড়িগ্রাম জেলা পুলিশ ও রংপুর রেঞ্জে নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরুর আগেই অনিয়মে জড়িয়ে পড়ার খবর পায় পুলিশ। সেই অভিযোগে পাঁচজনের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয় কুড়িগ্রাম জেলা পুলিশ। তাদের মধ্যে দুজন পুলিশ কর্মকর্তাকে তাৎক্ষণিক বদলি ও তিনজন সিভিল স্টাফকে বরখাস্ত করা হয়।

তবে এই নিয়োগ প্রক্রিয়ায় অনিয়মের বড় ধাক্কাটা আসে যখন মাদারীপুরের পুলিশ সুপার (এসপি) সুব্রত কুমার হালদারের দেহরক্ষী কনস্টেবল নুরুজ্জামান সুমনকে ঘুষ নেওয়ার নগদ টাকাসহ আটক করে পুলিশ সদর দফতরের বিশেষ টিম।

এ সময় সংশ্লিষ্ট পুলিশ লাইন্সের মেস ম্যানেজার জাহিদ হোসেন, টিএসআই গোলাম রহমান ও পুলিশ হাসপাতালের স্বাস্থ্য সহকারী পিয়াস বালার কাছ থেকেও ঘুষের ৭২ লাখ টাকা উদ্ধার করা হয়।

পুলিশ সদর দফতর সূত্র জানায়, উদ্ধারকৃত টাকা লেনদেনের সঙ্গে মাদারীপুরের এসপি সুব্রত কুমার হালদারের সম্পৃক্ততা পেয়েছে পুলিশ সদর দফতরের বিশেষ টিম। এ ঘটনায় এসপির বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।

পাশাপাশি রোববার (১৪ জুলাই) রাষ্ট্রপতির আদেশক্রমে উপ-সচিব ধনঞ্জয় কুমার দাস স্বাক্ষরিত এক প্রজ্ঞাপনে মাদারীপুরের ওই এসপি সুব্রত কুমার হালদারকে বদলি করে পুলিশ সুপার উপ পুলিশ মহাপরিদর্শক রংপুর রেঞ্জের কার্যালয়ে সংযুক্ত করা হয়েছে।

এ ছাড়া কুড়িগ্রাম জেলায় নিয়োগ বাণিজ্যের সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রিপন কুমার মোদককে খাগড়াছড়ি ও এসআই আবু তালেবকে বরিশাল রেঞ্জে সংযুক্ত করা হয়েছে।

এখানেই শেষ নয়, অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণ হলে তাদের বিরুদ্ধে আসবে আরো কঠোর শাস্তি।

সার্বিক বিষয়ে জানতে চাইলে অতিরিক্ত আইজিপি (হিউম্যান রিসোর্স ম্যানেজমেন্ট) চৌধুরী আবদুল্লাহ আল মামুন বার্তাটোয়েন্টিফোর.কমকে বলেন, প্রধানমন্ত্রী সুশাসন প্রতিষ্ঠা করতে চেয়েছেন। আমরা আমাদের মত চেষ্টা করেছি। নিয়োগ প্রক্রিয়া স্বচ্ছ ও জবাবদিহিমূলক করতে বেশ কিছু উদ্যোগ নেওয়া হয়েছিল শুরু থেকেই।

তিনি বলেন, তথ্যপ্রযুক্তির ব্যবহার করে অনিয়ম খুঁজে বের করতে গোয়েন্দা টিম জেলায় জেলায় কাজ করেছে। ন্যূনতম অভিযোগ পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। এখন পর্যন্ত ৫০ জন পুলিশ সদস্যের বিরুদ্ধে সরাসরি অভিযোগ পাওয়া গেছে। তাদের বিরুদ্ধে তদন্ত চলছে। পুলিশ সদর দফতর এই বিষয়ে কোন ছাড় দেবে না।

   

শনিবার বেগম রোকেয়া দিবস



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
বেগম রোকেয়া

বেগম রোকেয়া

  • Font increase
  • Font Decrease

বেগম রোকেয়া দিবস আগামীকাল শনিবার (৯ ডিসেম্বর)। নারীর ক্ষমতায়ন ও শিক্ষা, আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন, অধিকার ও সমতাভিত্তিক সমাজ প্রতিষ্ঠায় বেগম রোকেয়ার অবদান ও নারী জাগরণের অগ্রযাত্রায় অন্তহীন প্রেরণার উৎস হিসেবে প্রতিবছর এই দিবসটি পালন করা হয়। দিবসটি উপলক্ষে রাজধানী ঢাকাসহ সারাদেশে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান ও সংস্থা ব্যাপক কর্মসূচি গ্রহণ করেছে।

এই দিবসটি উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পৃথক বাণী দিয়েছেন।

মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে আগামীকাল বেগম রোকেয়া দিবস ও বেগম রোকেয়া পদক-২০২৩ প্রদান উপলক্ষে বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে। নারী জাগরণে উদ্বুদ্ধকরণসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ অবদান ও গৌরাবোজ্জ্বল ভূমিকা রাখায় এবছর পাঁচজন বিশিষ্ট নারীকে বেগম রোকেয়া পদক দেয়া হচ্ছে।

পদক প্রাপ্ত পাঁচ জন বিশিষ্ট নারী ও তাদের অবদানের ক্ষেত্র হলো- নারী শিক্ষায় বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম নারী উপাচার্য খালেদা একরাম, মরণোত্তর (ঢাকা জেলা), নারী অধিকার প্রতিষ্ঠায় ডাঃ হালিদা হানুম আখতার (রংপুর জেলা), নারীর আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে কামরুন্নেছা আশরাফ দিনা, মরণোত্তর (নেত্রকোনা জেলা), নারী জাগরণে উদ্বুদ্ধকরণে নিশাত মজুমদার (লক্ষীপুর জেলা) এবং পল্লী উন্নয়নে রনিতা বালা (ঠাকুরগাঁও জেলা)। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আগামীকাল রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে পদক প্রদান করবেন।

বেগম রোকেয়া দিবস উপলক্ষে মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে সংবাদপত্রে বিশেষ ক্রোড়পত্র ও স্মরণিকা প্রকাশ করা হবে। বাংলাদেশ টেলিভিশন, বাংলাদেশ বেতারসহ বিভিন্ন গণমাধ্যম এই উপলক্ষে বিশেষ অনুষ্ঠান ও নিবন্ধ প্রচার ও প্রকাশ করবে। নারী শিক্ষা, নারীর অধিকার প্রতিষ্ঠা ও সচেতনতা বৃদ্ধি করতে ব্যানার, ফেস্টুন, পোস্টার বিতরণ ও স্থাপন করা হবে।

;

সাতক্ষীরায় সাকিব মেমোরিয়াল ক্লিনিকে আগুন



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট বার্তা২৪.কম, সাতক্ষীরা
ছবি: বার্তা ২৪.কম

ছবি: বার্তা ২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

সাতক্ষীরার কলারোয়া উপজেলায় সাকিব মেমোরিয়াল ক্লিনিকে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে।

শুক্রবার (৮ ডিসেম্বর) সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে ক্লিনিকটিতে আগুন লাগে। তবে এতে হতাহতের কোনো খবর পাওয়া যায়নি।

কলারোয়া থানা পুলিশ জানায়, ক্লিনিক ভবনের পাশের কেরোসিন ডিজেল তেলের দোকান থেকে অগ্নিকাণ্ডের সূত্রপাত বলে ধারণা করছে তারা। সেখান থেকে আগুন ক্লিনিক ভবনে ছড়িয়ে পড়ে। ফায়ার সার্ভিসের দুটি ইউনিট ঘটনাস্থলে পৌঁছে আগুন নেভানোর চেষ্টা করে। প্রায় আধা ঘণ্টার চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে।

পুলিশ জানায়, আগুন ছড়িয়ে পড়ার আগেই ক্লিনিকে অবস্থানকারীরা বেরিয়ে যায়। এ জন্য হতাহতের ঘটনা ঘটেনি।

;

'শেখ হাসিনাকে জনগণ চায়, এজন্য বিএনপি ভয় পেয়ে গেছে'



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম,সিলেট
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন বলেছেন, 'হাসিনার সাথে কেউ নির্বাচনে এসে পারবে না। কারণ শেখ হাসিনাকে জনগণ চায়। এজন্য এরা (বিএনপি) ভয় পেয়ে গেছে। কারণ তারা দেখেছে তাদের গ্রহণযোগ্যতা নেই। তারা মানুষের কথা বলে না। মানুষের গায়ে যেগুলো লাগে, সেগুলো নিয়ে কথা বলে না। তারা বুঝে তাদের নেত্রীকে জেল থেকে বের করতে হবে।' 

মন্ত্রী বলেন, 'তাদের নেত্রীকে শেখ হাসিনার সরকার জেলে পাঠায়নি। তাদের প্রিয় তত্ত্বাবধায়ক সরকার জেলে পাঠিয়েছে। এখানে আমাদের কিছু করার নেই। আমরা বিচার ব্যবস্থার উপর হস্তক্ষেপ করতে পারবো না।' 

শুক্রবার (৮ ডিসেম্বর) সিলেট ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী এ কথা বলেন।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, 'গাজায় নির্বিচারে মানুষ হত্যা করা হচ্ছে। এসব নিয়ে তাদের (বিএনপির) মধ্যে কোনো প্রতিক্রিয়া নাই। তারা শুধু তাদের মুরব্বীকে খুশি করতে চায়। এদেরকে কেউ কী মানুষ বলে? এরা তো অমানুষ। এতো মানুষ মারা যাচ্ছে, সব ধরণের মানবাধিকার নিয়ে প্রশ্ন ওঠছে। কিন্তু এরা একটি কথাও বলে না' ।

মন্ত্রী আরও বলেন, 'কিছু বিপথগামী লোক নির্বাচন বানচাল করতে চায়। কারণ তারা নির্বাচনে এলে ভোট পায় না। তারা ২০০৮ সালে নির্বাচনে গিয়ে ২৯টি আসন পেয়েছে। এরপর ২০১৮ সালে নির্বাচন করে ৭টি আসন পেয়েছে। তারা এবার হিসেব করে দেখেছে নির্বাচনে এলে কোনো ভোট পাবে না। তাই নির্বাচন বানচাল করতে চায়।' 

;

‘অযৌক্তিক চাপের’ অভিযোগে জাতিসংঘের মহাসচিবকে পররাষ্ট্রমন্ত্রীর চিঠি



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন ও মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস

পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন ও মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস

  • Font increase
  • Font Decrease

বাংলাদেশের আগামী জাতীয় নির্বাচন ঘিরে বিভিন্ন মহল থেকে অযৌক্তিক রাজনৈতিক চাপের অভিযোগ তুলে গঠনমূলক ভূমিকা রাখতে জাতিসংঘের মহাসচিব দফতরে চিঠি পাঠিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন। ওই চিঠিতে বলা হয়েছে, নির্বাচন সামনে রেখে বাংলাদেশ বিশ্বের নানা প্রান্তের ‘অযথা, অযৌক্তিক, স্বার্থান্বেষী রাজনৈতিক চাপের’ মুখোমুখি হচ্ছে।

গত ১৯ নভেম্বর মাসে জাতিসংঘের মহাসচিবের শেফ দ্য ক্যাবিনেট আর্ল কোর্টনে র‌্যাট্রের কাছে পাঠানো এক চিঠিতে তিনি এ আহ্বান জানান।

নিউইয়র্কে জাতিসংঘে বাংলাদেশের স্থায়ী মিশনের পক্ষ থেকে এ চিঠিটি মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেসের অফিসে পাঠানো হয়।

চিঠিতে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গণতন্ত্রের একজন ক্রুসেডার এবং তিনি দেশের মানুষের ভোট, খাদ্য ও সুন্দর জীবনযাপনের অধিকার নিশ্চিত করতে অনেক কষ্ট করেছেন। তিনি (শেখ হাসিনা) একটি সুষ্ঠু ও অবাধ নির্বাচন আয়োজন করতে সংকল্পবদ্ধ। কিন্তু একইসঙ্গে বিক্ষোভের নামে সরকারি ও বেসরকারি সম্পত্তি পোড়ানো ও মানুষকে জ্যান্ত পুড়িয়ে মারার ঘটনাগুলো তিনি সহ্য করবেন না, যা বিরোধী দল নিয়মিত করে আসছে।

মোমেন আরও লিখেছেন, শেখ হাসিনা তার ১৫ বছরের মেয়াদে হাজারো নির্বাচন, উপ-নির্বাচন, জাতীয় নির্বাচন, আঞ্চলিক নির্বাচন ও মেয়র নির্বাচনের আয়োজন করেছেন। খুবই ছোটখাট কিছু ঘটনা ছাড়া সব নির্বাচনই ছিল সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী আরও জানান, বাংলাদেশ গণতন্ত্র, মানবাধিকার, ন্যায়বিচার ও মানুষের সম্মান রক্ষায় নেতৃস্থানীয় ভূমিকা পালন করছে। বাংলাদেশ হচ্ছে বিশ্বের একমাত্র দেশ, যেখানে এসব মূল্যবোধ প্রতিষ্ঠা করতে ৩০ লাখ মানুষকে প্রাণ দিতে হয়েছে। তা সত্ত্বেও আসন্ন নির্বাচন সামনে রেখে বাংলাদেশ বিভিন্ন মহলের কাছ থেকে ‘অযাচিত, অযৌক্তিক ও আরোপিত রাজনৈতিক চাপের’ মুখোমুখি হচ্ছে।

চিঠিতে তিনি বলেন, আমরা আশা করব জাতিসংঘ ও তার সেক্রেটারিয়েট, সংস্থা ও স্থানীয় কার্যালয়গুলো বাংলাদেশকে উন্নয়নের পথে ধারাবাহিকভাবে এগিয়ে যেতে গঠনমূলক ও সহযোগিতামূলক ভূমিকা পালন করবে। বাংলাদেশ জাতিসংঘের একটি উদ্যমী ও সহযোগিতামূলক মনোভাবসম্পন্ন সদস্য রাষ্ট্র। আমরা প্রবলভাবে আশাবাদী যে, জাতিসংঘ বাংলাদেশের রাজনৈতিক প্রগতি ও জনগণের আর্থসামাজিক উন্নয়নে সহযোগিতা ও সহায়তা অব্যাহত রাখবে।

মোমেন বলেন, বাংলাদেশ আশাবাদী যে, জাতিসংঘ ও তার সব অঙ্গ সংগঠন ও সংস্থা জাতীয়, আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে সবার জন্য একটি শান্তিপূর্ণ, ন্যায্য, অন্তর্ভুক্তিমূলক ও প্রগতিশীল ভবিষ্যৎ গড়ার ক্ষেত্রে নির্ভরযোগ্য অংশীদারের ভূমিকা অব্যাহত রাখবে। আমরা আরও প্রত্যাশা করব যে, জাতিসংঘের কর্মকর্তারা পক্ষপাতহীনতা, সততা ও বস্তুনিষ্ঠতার সর্বোচ্চ মানদণ্ড মেনে চলে সংস্থাটির গ্রহণযোগ্যতা ও সম্মান অক্ষুণ্ণ রাখবে। যদি তাদের প্রতিবেদনগুলোতে ভুল তথ্য ও বস্তুনিষ্ঠতার অভাব থাকে এবং এগুলো যদি উপাত্ত-নির্ভর না হয়, তাহলে তারা তাদের গ্রহণযোগ্যতা হারাতে পারে, যা সংস্থাটির সামগ্রিক প্রক্রিয়ার প্রতি এক অশনিসংকেত হিসেবে বিবেচিত হতে পারে।

;