হালদা দূষণ: হাটহাজারী বিদ্যুৎ কেন্দ্রকে ২০ লাখ টাকা জরিমানা

  • স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম, চট্টগ্রাম
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

হাটহাজারী বিদ্যুৎ কেন্দ্রের বর্জ্য যাচ্ছে হালদায়, ছবি: সংগৃহীত

হাটহাজারী বিদ্যুৎ কেন্দ্রের বর্জ্য যাচ্ছে হালদায়, ছবি: সংগৃহীত

টানা বর্ষণের ফলে তরল বর্জ্য ফেলে হালদা নদী দূষণ করার জেরে চট্টগ্রাম হাটহাজারীর ১০০ মেগাওয়াট পিকিং পাওয়ার প্ল্যান্টকে ২০ লাখ টাকা জরিমানা করেছে পরিবেশ অধিদফতর।

একইসঙ্গে প্রতিষ্ঠানটির তরল বর্জ্য শোধনাগার (ইটিপি) ও অয়েল ওয়াটার সেপারেটর স্থাপনের আগ পর্যন্ত বিদ্যুৎ উৎপাদন বন্ধ রাখার নির্দেশ হওয়া হয়েছে। আদেশ অমান্য করলে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়ার কথা জানানো হয়।

বিজ্ঞাপন

বুধবার (১৭ জুলাই) বেলা ১১টায় চট্টগ্রাম শাখার আঞ্চলিক পরিচালক মোয়াজ্জম হোসেনের কক্ষে এক শুনানি অনুষ্ঠিত হয়। অনুষ্ঠানে পিকিং পাওয়ার প্ল্যান্টের কর্মকর্তারা অংশ নেন।

চট্টগ্রাম পরিবেশ অধিদফতরের সহকারী পরিচালক মুক্তাদির হোসেন এর সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।

বিজ্ঞাপন

হাটহাজারী বিদ্যুৎ কেন্দ্রকে ২০ লাখ টাকা জরিমানা

তিনি জানান, গত ৮ জুলাই ভারী বর্ষণের সময় প্রতিষ্ঠানটির ছেড়ে দেওয়া বর্জ্য একটি খাল হয়ে হালদা নদীতে প্রবেশ করে। যা হালদা নদীর দূষণ সাধন করে। পরে প্রতিষ্ঠানকে এর কারণ ব্যাখ্যা করতে শুনানিতে ডাকা হয়। সে অনুযায়ী পরিবেশ সংরক্ষণ আইন ১৯৯৫ এর ধারা মোতাবেক ২০ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে।

উল্লেখ্য, গত ৮ জুলাই বর্ষণের সময়ে হাটহাজারী উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) রুহুল আমিন পিকিং পাওয়ার প্ল্যান্টের বর্জ্য হালদায় মিশে যাওয়ার কয়েকটি
ছবি ফেসবুকে পোস্ট করেন।

তিনি লেখেন, 'কারো বর্ষাকাল, হালদার সর্বনাশ। আমি এখন ১১ মাইল, আমি বিদ্যুৎ চাই, হালদাও চাই। এভাবে হালদা দূষণ করে বিদ্যুৎ উৎপাদন হালদাকে শেষ করে দেবে। ইটিপি বানানোর কথা, সেটাও নাই। বৃষ্টি মানেই হালদায় বর্জ্য ফেলে দেয়া। রাতের অন্ধকারে প্রশাসনের চোখ ফাঁকি দিয়ে হালদায় পোড়া ফার্নেস ওয়েল ছেড়ে দিলে ইউএনও একা ঠেকাতে পারবে না। ইটিপি বাস্তবায়ন করে হালদার প্রতি দরদি হতে হবে। পরিবেশ অধিদফতরকে লিখিতভাবে জানানো হবে। এরকম নির্বিকার হবার সুযোগ নাই। বিদ্যুৎ ও হালদা দুইটাই চাই।'

পরে বিষয়টি গণমাধ্যমে স্থান পেলে নড়েবসে বসে পরিবেশ অধিদফতর। তারা প্রতিষ্ঠানটিকে প্রাথমিকভাবে শুনানির চিঠি পাঠায়।