কবে বাজারে আসছে চাঁপাইয়ের আম?
কানসাট মোড়। শিবগঞ্জ উপজেলার এ স্থানকে এক নামে চেনে সারা বিশ্বের আমপ্রেমীরা। আম দিয়ে পরিপূর্ণ এ বাজার দেশের সবচেয়ে বড় আমবাজার। তবে এখন সেখানে গেলে এমনটি মনে হবে না। কারণ চাষীরা এখন বেশ সচেতন, রয়েছে সরকারি বিধিনিষেধও।
তাই এবার গাছপাকা আমই বাজারে তুলবেন তারা। যে কারণে এখন কানসাটের আমের বাজার শুন্য। জুনের প্রথম থেকে শুরু হবে বিকিকিনি; আর বাজার পুরোপুরি জমে উঠবে মধ্য জুনে। উৎসবময় পরিবেশে আম বিক্রি চলবে পরবর্তী দুই মাস।
কানসাট আমবাজারে এখন ফল বলতে লিচু, আঙ্গুর, আপেল আর আনার। যা বাইরে থেকে আসা। গুগল ম্যাপে দেখাচ্ছে স্থানটি 'ম্যাঙ্গো সিটি' বা 'ম্যাঙ্গো মার্কেট' নামে চিহ্নিত।
সরেজমিনে দেখা গেলো, থোকায় থোকায় আম ধরে আছে গাছে গাছে। সেগুলো বাজারে আসতে কমপক্ষে সপ্তাহ-দশদিন লাগবে। সেই মাহেন্দ্রক্ষণের অপেক্ষায় গাছতলাতেই সময় পার করছেন আমচাষীরা।
এবার ছুটলাম আমবাগানে। কানসাট বাজার থেকে ডান দিকে প্রায় ৫ থেকে ৬ কিলোমিটার যতদূর চোখ যায়, শুধু আম আর আম ঝুলছে গাছে। ফ্রুট ব্যাগিং করে রাখা আম গাছের সংখ্যা অনেক।
লাওঘাটার আমচাষী আমির হোসেনের সঙ্গে দেখা কানসাট বাজারেই। হাত বাড়িয়ে দেখালেন, এ বাজারে হাটাচলা দায় হবে ক'দিন পরে । একের পর এক আমভর্তি ভ্যান বাজারমুখী হবে। আর সেগুলো ট্রাক ভরে যেতে থাকবে দেশের নানা প্রান্তে।
সঙ্গে থাকা আরেকজন আমচাষী বললেন, জৈষ্ঠ মাসে এ বাজারের চিত্র বদলে যায়। তখন শুধু আম নিয়েই বাজারের ব্যস্ততা থাকবে।
আমির হোসেন বললেন, এক সপ্তাহ পর প্রথমেই বাজারে যে আম উঠবে সেটি গোপালভোগ আর গুটি। গাছ থেকে কয়েকটি আম পেড়েও দেখালেন, এগুলো প্রায় পেকে যাওয়ার অবস্থায় আছে।
উপজেলার সরকারি কৃষি কর্মকর্তা আবু আল আমিন বার্তা২৪.কমকে বলেন, ২৫ মে (আজ) থেকে বাজারে গুটি ও গোপালভোগ আম তুলতে সরকারি নিষেধ উঠে গেল। ৩০ মে থেকে হিমসাগর, পহেলা জুন থেকে লক্ষণভোগ, ৫ জুন থেকে ল্যাংড়াসহ অন্যান্য জাতের আম উঠতে থাকবে। এ সময় পুরোদমে বাজার শুরু হবে।
এবার ১ লক্ষ ৭০ হাজার মেট্রিক টন আম চাষের লক্ষমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। যা গতবারের চেয়ে ৪০ হাজার মেট্রিক টন বেশি।