‘জীবনের সবকিছু শেষ হয়ে গেল’



তৌফিকুল ইসলাম, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা টোয়েন্টিফোর.কম, ঢাকা
বাসের চাপায় পা হারানো কৃষ্ণা রায় চৌধুরী/ছবি: সুমন শেখ

বাসের চাপায় পা হারানো কৃষ্ণা রায় চৌধুরী/ছবি: সুমন শেখ

  • Font increase
  • Font Decrease

‘আমিতো ফুটপাতের উপর দিয়ে হাঁটছিলাম। আমার উপরে গাড়ি উঠে গেল কিভাবে আমি জানি না। জীবনের সবকিছুই নিমিষেই শেষ। এখন কি হবে আমাদের'।

শনিবার (৩১ আগস্ট) বিকেলে জাতীয় অর্থোপেডিক হাসপাতাল ও পুনর্বাসন প্রতিষ্ঠানের কেবিনে শুয়ে কথাগুলো বলছিলেন কৃষ্ণা রায় চৌধুরী।

হাসপাতালের বেডে শুয়ে কৃষ্ণা এখনও ভাবতে পারছেন না-তার একটি পা নেই। জীবনের আর স্বাভাবিকভাবে চলতে পারবেন না।

মায়ের সঙ্গে হাসপাতালে রয়েছেন ছেলে কৌশিক রায় চৌধুরী। তিনি বলেন, চারজনের সংসারে একমাত্র উপার্জন করতেন আমার মা কৃষ্ণা রায়। বাবা অনেক আগেই শিক্ষকতা থেকে অবসর নিয়েছেন। আমি আর আমার বোন দুজনই পড়াশোনা করছি। আমাদের পড়াশোনার খরচসহ সংসারের সকল খরচ মায়ের উপার্জনে চলে। এই অবস্থায় আমাদের সংসার কিভাবে চলবে। নিজেদের বড়ই অসহায় লাগছে।

কৃষ্ণা রায়ের ছেলে কৌশিক চৌধুরী বার্তাটোয়েন্টিফোর.কমকে বলেন, 'এক্সিডেন্টের পর আমার মায়ের পা কেটে ফেলা হয়েছে। পা কাঁটার পরবর্তী সময়ে এখন প্রাথমিক চিকিৎসা চলছে। এখন ভালো নেই, কাটা স্থানে যেকোনো সময় ইনফেকশন হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।’

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2019/Aug/31/1567244303300.jpg

'আমি আর আমার বোনকে এখনো পরিবারের টাকাতেই চলতে হয়। আমার পড়াশোনাটা হয়তো এবার পুরোপুরি বন্ধ হয়ে যেতে পারে। আর মায়ের চিকিৎসা করতে অনেক টাকা খরচ হবে। এত টাকাও আমাদের নেই। সরকারকে বলব আমার অসহায় মায়ের পাশে আপনারা দাড়ান। মা আগের অবস্থায় আর ফিরে যেতে পারবে না। তাই মায়ের চলাচলের জন্য কৃত্রিম পা লাগিয়ে দেওয়ার দাবি জানাচ্ছি। কারণ, আমাদের পক্ষে এত টাকা নেই যে কৃত্রিম পা লাগাতে পারব'।

পা হারানো কৃষ্ণা রায়ের স্বামী রাধে শ্যাম চৌধুরী বার্তাটোয়েন্টিফোর.কমকে বলেন,' যা হারানোর আমরা তো হারিয়ে ফেলেছি সেটা আর ফেরত পাবো না। তবে এর সঠিক বিচার করতে হবে। ঘটনার তিনদিন পেরিয়ে গেলেও বাসের ড্রাইভার হেলপার কাউকেই গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ । বাস কর্তৃপক্ষ আমাদের কাছে এসেছিলো ২ লাখ টাকার বিনিময় মীমাংসা করতে। আপনারাই বলেন এটা কি মীমাংসা করার বিষয়। অপরাধ করেছে অপরাধীদের বিচার করতে হবে। আমরা টাকা চাইনা। আমরা সরকারের সহযোগিতা চাই। আর এই অপরাধের বিচার চাই।

উল্লেখ্য, মঙ্গলবার (২৭ আগস্ট) দুপুরের দিকে ট্রাস্ট পরিবহনের ধাক্কায় দুর্ঘটনার শিকার হয় কৃষ্ণা রায় (৫২)। তিনি বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন করপোরেশনের(বিআইডব্লিউটিসি) সহকারী ব্যবস্থাপক (অর্থ) পদে কর্মরত ছিলেন।দুর্ঘটনার পর তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখান থেকে পঙ্গু হাসপাতালে পাঠানো হয়। এখানে আসার পরে তার এক পা কেটে ফেলা হয়েছে। বর্তমানে তার চিকিৎসা চলমান রয়েছে।

 

   

উপজেলা নির্বাচনে অংশ নিতে চেয়ারম্যান পদ ছাড়লেন বিএনপি নেতা



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, রংপুর
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

রংপুরের গঙ্গাচড়া উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে অংশ নিতে আলমবিদিতর ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান মোকাররম হোসেন সুজন পদত্যাগ করেছেন।

বৃহস্পতিবার (২ মে) সকালে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) কার্যালয়ে তিনি পদত্যাগপত্র জমা দেন।

মোকাররম হোসেন সুজন জেলা বিএনপির সাবেক যুগ্ম সম্পাদক ও বর্তমান আহ্বায়ক কমিটির সদস্য। এছাড়া তিনি গঙ্গাচড়া উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সিনিয়র সদস্য। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নাহিদ তামান্না বলেন,আলমবিদিতর ইউপি চেয়ারম্যান মোকাররম হোসেন সুজন পদত্যাগপত্র জমা দিয়েছেন। পদত্যাগপত্র পাওয়ার পর আমরা ওই ইউপির চেয়ারম্যান পদ শূন্য ঘোষণা করেছি। এখন থেকে ওই ইউপিতে প্যানেল চেয়ারম্যান দায়িত্ব পালন করবেন।

মোকাররম হোসেন সুজন বলেন, জনগণ ভালোবেসেই আমাকে ইউপি চেয়ারম্যান বানিয়েছে। গঙ্গাচড়ার মানুষ আমাকে উপজেলা পরিষদে দেখতে চায়। তাই আমি তাদের চাওয়াকে প্রাধান্য দিয়ে উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে অংশ নিতে চেয়ারম্যান পদ থেকে অব্যাহতি নিয়েছি।

এ বিষয়ে গঙ্গাচড়া উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক ওয়াহেদুজ্জামান মাবু বলেন,আমাদের দলের সিদ্ধান্তের বাইরে যদি কেউ নির্বাচনে অংশ নেন, দল অবশ্যই তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবে। ইতিমধ্যে সিদ্ধান্ত অমান্যকারীদের বিরুদ্ধে কেন্দ্রীয়ভাবে ব্যবস্থা নেওয়াও হচ্ছে।

জানা যায়, ১৭ এপ্রিল তৃতীয় ধাপে ১১২টি উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। তৃতীয় ধাপে গঙ্গাচড়া উপজেলা পরিষদ নির্বাচন হবে। ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার শেষ তারিখ ২ মে। মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাই ৫ মে। প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ দিন ১২ মে। প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীদের মধ্যে প্রতীক বরাদ্দ ১৩ মে এবং ভোটগ্রহণ ২৯ মে অনুষ্ঠিত হবে।

;

জনগণ এখন মর্যাদা নিয়ে বিশ্ব দরবারে চলতে পারে: প্রধানমন্ত্রী



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সৌজন্য: ফোকাস বাংলা

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সৌজন্য: ফোকাস বাংলা

  • Font increase
  • Font Decrease

 

সংসদ নেতা ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, অনেক সংগ্রামের পথ বেয়ে আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় এসেছে। আওয়ামী লীগ সরকারে এসেছে বলেই বাংলাদেশের সার্বিক উন্নয়ন হয়েছে। মানুষের জীবন মান উন্নত হয়েছে। বাংলাদেশের জনগণ এখন মর্যাদা নিয়ে বিশ্ব দরবারে চলতে পারে। এটা আমার পক্ষে সম্ভব হয়েছে, আব্দুল হাই-এর মতো ত্যাগি নেতা-কর্মীদের কারণে। তাদের অবদানের ফলে দেশের সার্বিক উন্নয়নে ব্যাপক সফলতা আনা সম্ভব হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (২ মে) জাতীয় সংসদের দ্বিতীয় অধিবেশনে ঝিনাইদাহ-১ আসনের সংসদ সদস্য আব্দুল হাইয়ের মৃত্যুতে উপস্থাপিত শোক প্রস্তাবের উপর আলোচনায় অংশ নিয়ে এসব কথা বলেন তিনি।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ঝিনাইদহ এমন একটা সন্ত্রাসী এলাকা ছিলো যেখানে গ্রামের মানুষ টিকতে পারতো না। সেখানে নির্বাচন করা, রাজনীতি করা অত্যন্ত কঠিন ছিলো। সেই অবস্থার মধ্যেও আব্দুল হাই অত্যন্ত দৃঢ়তার সঙ্গে সংগঠন ধরে রাখেন এবং সংগঠনকে সুংগঠিত করেন।

তিনি আরো বলেন, আব্দুল হাই অত্যন্ত সাহসী ছিলেন, ভালো সংগঠক ছিলেন। তাই সফলতার সঙ্গে তিনি সংগঠনকে দাঁড় করাতে পেরেছেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, এক সময়ে ওই এলাকায় গ্রামে মানুষ টিকতে পারতো না, অস্ত্রের ঝনঝনানি ছিলো। বিএনপি নামক যে দলটি সৃষ্টি হয়েছিলো ,আন্ডার গ্রাউন্ড পার্টির বেশীর ভাগ লোক কিন্তু এই বিএনপিই করতো। সেখানে প্রতিনিয়ত আমাদের নেতা-কর্মীদের উপর হামলা হতো, কত লাশ যে পড়েছে, তার হিসেব নেই। সেই অবস্থায় সংগঠনকে গড়ে তোলা এবং বার বার নির্বাচিত হয়ে এসে একটা বিরাট দক্ষতার পরিচয় তিনি দিয়েছিলেন।

শেখ হাসিনা বলেন, এটাই সব চেয়ে কষ্ট লাগছে, তিনি এই সংসদে বসতে পারলেন না। এবারও তাকে এক সময় গ্রেফতারের করার চেষ্টা চালানো হয়েছিলো। আবার একজন রিট করলো, তার সংসদ সদস্য পদ স্থগিত করা হলো। সেটা আবার আপিল করে ফিরে পেয়েছিল। তারপর নির্বাচনে জয়ী হলেন। পরে অসুস্থ হয়ে শেষ পর্যন্ত আমাদের মাঝ থেকে বিদায় নিলেন। নতুন প্রজন্মকে আব্দুল হাইয়ের মতো ত্যাগী নেতাদের অনুসরণের আহ্বান জানান তিনি।  

সংসদ সদস্য আব্দুল হাই ছাড়াও সাবেক সংসদ সদস্য শামছুল হক ভুইয়া, আবুল হাসেম খান, পিনু খান, নজির হোসেন ও মোখলেছুর রহমান, বীর মুক্তিযোদ্ধা ও ভাষা সৈনিক, আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইবুনালের চিফ প্রসিকিউটর একুশের পদক প্রাপ্ত গোলাম আরিফ টিপু, একুশে পদক প্রাপ্ত প্রবীণ সাংবাদিক ও প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম, আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদ সদস্য ও একুশে পদক প্রাপ্ত শিক্ষাবিদ ড. প্রণব কুমার বড়ুয়ার মৃত্যুতে সংসদ অধিবেশনে শোক প্রকাশ করা হয়।

;

ট্রাক্টর ও মোটরসাইকেলের মুখোমুখি সংঘর্ষে যুবকের মৃত্যু



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, নীলফামারী
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

নীলফামারীর কিশোরগঞ্জে ট্রাক্টর ও মোটরসাইকেলের মুখোমুখি সংঘর্ষে উজ্জল মিয়া (২৭) নামে এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে।

বৃহস্পতিবার( ২মে) বিকালে কেল্লাবাড়ি বাজার এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে। নিহত যুবক নয়ানখাল দোলাপাড়া এলাকার মোশারফ হোসেনের ছেলে।

নিহতের স্বজন ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়,নিহত যুবক তার ছোট ভাইয়ের বিয়ের বাজার করার উদ্দেশ্য তারাগঞ্জ বাজারের দিকে যাচ্ছিলেন। সেসময় মোটরসাইকেল নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে একটি মাটি বোঝাই ট্রাক্টরের সাথে মুখোমুখি সংঘর্ষে ট্রাক্টরের সামনে ছিটকে পড়ে গিয়ে ট্রাক্টরের চাকা তার উপর দিয়ে যায়। এতে গুরুতর আহত হলে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে দায়িত্বরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

কিশোরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) পলাশ চন্দ্র মন্ডল বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, এ ঘটনায় একটি ট্রাক্টর আটক করা হয়েছে এবং আইনী কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন।

;

নদীর বালু থেকে বাদামের সোনা, পদ্মার চরে কৃষি বিপ্লব



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
নদীর বালু থেকে বাদামের সোনা, পদ্মার চরে কৃষি বিপ্লব

নদীর বালু থেকে বাদামের সোনা, পদ্মার চরে কৃষি বিপ্লব

  • Font increase
  • Font Decrease

পদ্মা নদীর অসীম বালুচর যেন নতুন কৃষি বিপ্লবের আখড়া। এখানে প্রকৃতির কোলে উৎপন্ন হচ্ছে বাদামের সোনা, যা চাষিদের জীবনে নিয়ে আসছে সমৃদ্ধির নতুন সূর্যোদয়। এই চরের মাটি একসময় শুধুমাত্র বালুকাবেলায় পরিণত হতো। আর আজ বাদাম চাষের উর্বর ক্ষেত্র। রাজশাহীর বাঘা উপজেলার পদ্মার চরের এই চাষিদের হাত ধরে উঠে আসছে সেই ফসল, যা অর্থনীতিকে দিচ্ছে নতুন মাত্রা।

বাদাম চাষিরা এখন পদ্মার বালুচরকে বলছেন তাদের 'স্বপ্নের মাঠ'। প্রতিটি বাদামের গাছ যেন তাদের আশার অংকুর। প্রাকৃতিক বালু যেখানে অন্যান্য ফসল চাষে অনুপযুক্ত, সেখানে বাদাম চাষ করে কৃষকরা প্রমাণ করেছে, উপযুক্ত পদ্ধতি ও পরিকল্পনায় এই মাটি হতে পারে অত্যন্ত লাভজনক।

চাষের নতুন এই পদ্ধতি নিয়ে এসেছে কৃষি বিপ্লবের হাওয়া। চাষিরা এখন আর মৌসুমি বন্যার ভয়ে বিপর্যস্ত নন, বরং তারা জানেন কিভাবে প্রকৃতির সাথে মিতালি গড়ে তুলতে হয়। এই চাষ শুধু তাদের জীবনমান উন্নত করেছে এমন নয়, বরং এসেছে এক আত্মবিশ্বাস, যা তাদের করেছে আরো সংগ্রামী। পদ্মার চরে উঠছে বাদামের ফসল, আর চাষিদের মুখে ফুটছে প্রশান্তির হাসি। এই বাদাম চাষ আজ প্রমাণ করেছে, কঠোর পরিশ্রম ও সঠিক পরিকল্পনায় পদ্মার বালুচর পরিণত হতে পারে সোনালী ফসলের খনি।

বাঘা উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার ৭টি ইউনিয় ও দুটি পৌরসভা রয়েছে। এরমধ্যে পদ্মার মধ্যে চকরাজাপুর ইউনিয়নের শুধু বালু চরে বাদাম চাষ হচ্ছে। এ বছর ২৬০ হেক্টর জমিতে বাদাম চাষের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হলেও এর চেয়ে অনেক বেশি জমিতে বাদামের চাষ হয়েছে। প্রতি হেক্টরে গত বছর উৎপাদন হয়েছিল ২.১৭ মে. টন। উপজেলার পদ্মার চরের বালুতে ব্যাপকভাবে বাদাম চাষ হয়েছে। পদ্মার চর এখন আর বালুকাময় নয়, পরিণত হয়েছে শস্যভূমিতে। আবাদ হচ্ছে বিভিন্ন রকমের দানাজাতীয় শস্য।

সরেজমিনে পদ্মার চরের গোকুলপুর, পলাশি ফতেপুর, করারি নওশারা, কালিদাশখালি, চকরাজাপুর, দাদপুর ও টিকটিকিপাড়া এলাকায় অসংখ্য কৃষক বাদামের চাষ করেছেন। অনেকেই জমি বর্গা নিয়ে বাদাম চাষ করেছেন । ফসল ঘরে ওঠা পর্যন্ত আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে, উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা বহুগুনে ছাড়িয়ে যাবে।

পদ্মার মধ্যে চকরাজাপুর চরের বাদাম চাষিরা জানান, বিগত যে কোন বছরের তুলনায় এবার পদ্মার চরে বাদাম চাষ বেশি হয়েছে। গত বছর বাজারে বাদামের দাম ভাল পাওয়ায় এবার অধিকাংশ কৃষক বাদাম চাষে আগ্রহী হয়েছেন।

চকরাজাপুর ইউনিয়ন সদস্য ফজলুর রহমান জানান, চলতি মৌসুমে ৬ বিঘা জমিতে বাদামের চাষ করেছি। উপযুক্ত পরিচর্যা করায় বাদাম ক্ষেতে পোকার আক্রমণ কম হয়েছে। এতে পুরোদমে সহযোগিতা পেয়েছেন উপজেলা কৃষি বিভাগের। অন্যান্য বছরের চেয়ে ভালো ফলন পাওয়ার আশা করছেন তিনি।

এ বিষয়ে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা শফিউল্লাহ সুলতান জানান, বাদাম পরিচর্যায় খরচ ও সময় দুটোই কম লাগে। গত বছর বাদামের ন্যায্য মূল্য পাওয়ায় কৃষকরা এবার আগাম বাদাম চাষ করেছেন। একই সাথে ফলন ভালো হওয়ায় চিনা জাতের বাদামের পাশাপাশি অনেকে ত্রি-দানা জাতের বাদামের আবাদও করেছেন। উপজেলা কৃষি অফিসের পক্ষে বাদামের বীজ বপন, পরিচর্যা ও কীটনাশক ব্যবহার সম্পর্কে কৃষকদের নানা পরামর্শ দিয়ে সহায়তা করা হয়।

;