লক্ষ্মীপুরে ধর্মঘট নয়, নিরাপত্তার জন্য গাড়ি বন্ধ রাখা হচ্ছে
লক্ষ্মীপুর: শিক্ষার্থীদের আন্দোলনে বিভিন্ন স্থানে গাড়ি ভাঙচুর করা হচ্ছে। চাওয়া হচ্ছে লাইসেন্সসহ বিভিন্ন কাগজপত্র। অনেক গাড়ির লাইসেন্স ত্রুটি ও ফিটনেস জনিত সমস্যা থাকায় নিরাপত্তার জন্য মালিকরা গাড়ি বন্ধ রাখছেন। তবে ধর্মঘট কিংবা কর্মবিরতির বিষয়ে আমাদেরকে কোনো চিঠি দেওয়া হয়নি। তাই জেলা শ্রমিক ইউনিয়নের পক্ষ থেকেও সড়ক পরিবহন ধর্মঘটের কোনো সিদ্ধান্ত দেওয়া হয়নি। ‘ধর্মঘট নয়, নিরাপত্তার জন্য গাড়ি বন্ধ রাখা হচ্ছে’ বলে জানিয়েছেন সংগঠনটির জেলা সাধারণ সম্পাদক হাজী শাহজাহান।
শুক্রবার (৩ আগস্ট) দুপুরে সাংবাদিকদের এসব কথা জানান তিনি।
এদিকে সকাল থেকে লক্ষ্মীপুর বাস টার্মিনাল এলাকায় বন্ধ রাখা হয়েছে দূরপাল্লাগামী সব ধরনের যাত্রীবাহী যানবাহন। এতে সকাল থেকে যাতায়াত করতে না পেরে টার্মিনাল এলাকায় যাত্রীদের ভিড় করে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা গেছে। এতে চরম দুর্ভোগে পড়েছে এ রুটে যাতায়াতরত শত শত যাত্রী।
পরিবহন মালিক ও শ্রমিকরা জানায়, আন্দোলনের নামে দেশের বিভিন্ন স্থানে গাড়ির ভাঙচুর করা হচ্ছে। এতে পরিবহন মালিক ও শ্রমিকরা চরম ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। তাই বাধ্য হয়েই নিরাপত্তার জন্য দূরপাল্লাগামী যানবাহন বন্ধ রাখা হয়েছে। তবে জেলা পরিবহন সংগঠনগুলো থেকে বন্ধ রাখার কোনো সিদ্ধান্ত দেওয়া হয়নি।
যাত্রীরা জানায়, সকাল থেকেই কাউন্টার গুলোতে টিকেট বিক্রি বন্ধ রাখা হয়েছে। এতে টার্মিনালগুলোতে যাত্রীরা গাড়ি ছাড়ার অপেক্ষায় ভিড় করে আছেন। জরুরি প্রয়োজনে ঢাকাসহ বিভিন্নস্থানে যাতায়াত করতে না পারায় চরম ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন তারা।
প্রসঙ্গত, শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের নামে বিভিন্ন সড়কে বাস ভাঙচুর চলছে। এতে সরকার নিরাপত্তা দিতে পারছে না। তাই নৌমন্ত্রী শাহজাহান খানের সংগঠন সড়ক পরিবহন শ্রমিক ফেডারেশন ও সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির পক্ষ থেকে এ ধর্মঘট ও কর্মবিরতির ডাক দেওয়া হয়েছে।