মালয়েশিয়ায় অনিশ্চয়তায় ২৭০ বাংলাদেশি

  • স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

ঢাকা: রিহায়ারিংয়ের নাম করে ২৭০ জন বাংলাদেশির কাছ থেকে ১০ লাখ ৮০ হাজার রিঙ্গিত বা ২ কোটি ২৬ লাখ ৮০ হাজার টাকা নিয়ে উধাও হয়ে গিয়েছে একটি এজেন্ট কোম্পানি। মালয়েশিয়ায় ইমিগ্রেশন বিভাগের পরিচালিত রিহায়ারিং প্রোগ্রামে বাংলাদেশিদের ওয়ার্ক পারমিট করে দেয়ার আশ্বাস দিয়েছিল কোম্পানিটি।

প্রতারণার শিকার বাংলাদেশি ইমরান হক উজ্জ্বল জানান, তিনি এবং তার এক বন্ধু রিহায়ারিংয়ের জন্যে ওই কোম্পানিতে পাসপোর্ট এবং অন্যান্য ডকুমেন্টসহ ৭ হাজার ২০০ রিঙ্গিত এবং ৮ হাজার রিঙ্গিত দেন। তবে এখন পর্যন্ত কোন ফল আসে নি।

বিজ্ঞাপন

প্রতারণার শিকার হওয়ায় এখন দেশে ফিরে যেতে হচ্ছে তাদের। ইমরান বলেন, আমি মালয়েশিয়াতে গত ৭ বছর ধরে কাজ করছি। সে এবং অন্য শ্রমিকরা ক্লাং ভ্যালির ওই কোম্পানিতে ধর্না দিয়েছিলেন। ইমিগ্রেশন বিভাগের তত্ত্বাবধানে শ্রমিকদের রিহায়ারিং করিয়ে দেয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলো কোম্পানিটি।

তিনি বলেন, ৩০ জুন রিহায়ারিং প্রোগ্রাম শেষ হওয়ার আগে আমরা অনেকবার ওই অফিসে গিয়েছি কিন্তু তারা প্রতিবারই আশ্বাস দিয়েছেন।

বিজ্ঞাপন

আরেকজন শ্রমিক মোহাম্মদ আলমগীর বলেন, এমনকি রিহারিং প্রোগ্রাম শেষ হওয়ার দিনও আমরা ওই কোম্পানির মালিককে ঘেরাও করে রাখি। তবে জুনের ২৭ তারিখ থেকেই তিনি বলছিলেন, আমাদের অ্যাপ্লিকেশন প্রক্রিয়ার মাধ্যমে রয়েছে এবং আমরা পারমিট পেয়ে যাব।

তবে ডেডলাইন চলে যাওয়ার পর আমরা বুঝতে পারি যে আর পারমিট পাচ্ছি না। ওই কোম্পানির মালিকের সঙ্গে মুখোমুখি হই আমরা। আমরা তার কাছে জানতে চাইলে তিনি উল্টো আমাদের হুমকি দেন এবং কর্তৃপক্ষের কাছে আমাদের নামে অভিযোগের কথা বলেন।

এই শ্রমিকরা বেশিরভাগই ক্লাংয়ে নির্মাণ খাতের শ্রমিক। এরই মধ্যে তারা পুলিশ, ইমিগ্রেশন বিভাগ এবং বাংলাদেশ দূতাবাসে অভিযোগ জানিয়েছেন।

মোহাম্মদ বলেন, 'আমরা বিচার চাই। আশা করি মালয়েশিয়ান কর্তৃপক্ষ আমাদের পারমিটের বিষয়টি বিবেচনা করবে। যদি সেটাও না পারে, তবে আশা করি আমাদের পাসপোর্ট ফেরত পাবো এবং দেশে ফিরতে পারবো।

অবৈধ অভিবাসীদের জন্যে রিহায়ারিং প্রোগ্রাম শুরু হয়েছিল ২০১৬ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি।

অবশ্য এরই মধ্যে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী তান শ্রী মুহিউদ্দিন ইয়াসি বলেন, যেসব অবৈধ অভিবাসীরা ৩০ জুনের মধ্যে বৈধ কাগজপত্র যোগাড় করতে পারবেন তারা ম্যানুফ্যাকচার, নির্মাণ, প্ল্যান্টেশন, কৃষি এবং সার্ভিস সেক্টরে কাজ করার জন্যে থাকতে পারবেন।