ইভিএম নিয়ে ইসিতে মতবিরোধ



ইসমাঈল হোসাইন রাসেল, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট,বার্তা২৪.কম
নির্বাচন কমিশন ভবন। ছবি: সুমন শেখ

নির্বাচন কমিশন ভবন। ছবি: সুমন শেখ

  • Font increase
  • Font Decrease

ঢাকা: একাদশ সংসদ নির্বাচনে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) ব্যবহার নিয়ে খোদ নির্বাচন কমিশনাররা মতবিরোধে জড়িয়েছেন। জানা গেছে, নির্বাচনে ইভিএম ব্যহরের জন্য ৩ হাজার ৮২৯ কোটি টাকার নতুন যে প্রকল্প নেওয়া হয়েছে সে সম্পর্কে ৫ কমিশনারের মধ্যে তিনজন জানেন না। এর মধ্যে এক কমিশনার সংসদ নির্বাচনে ইভিএম ব্যবহারের জন্য যে আরপিও সংশোধনের উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে সে বিষয়ে ভিন্নমত পোষণ করে ‘নোট আব ডিসেন্ট' দেওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছেন।

নির্বাচন কমিশনার মাহবুব তালুকদার বলেন,  সংসদ নির্বাচনসহ বিভিন্ন নির্বাচনে ইভিএম ব্যবহারের জন্য পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ে ৩ হাজার ৮২৯ কোটি টাকার  নতুন যে প্রকল্প পাঠানো হয়েছে সে বিষয়ে আমাকে কিছুই জানানো হয়নি। আপনাদের কাছে জানতে পারলাম। এ বিষয়ে খোঁজ নিয়ে বিস্তারিত জানাতে পারব। সংসদ নির্বাচনে ইভিএম ব্যবহার করতে আরপিও সংশোধনের  জন্য ৩০  আগস্ট মিটিং আছে সেখানে বিষয়টি জানতে চাইব।  আমি এর আগে জানতাম সংসদ নির্বাচনে অল্প কিছু কেন্দ্রে ইভিএম ব্যবহার হবে। বড় পরিসরে ইভিএম ব্যবহারের বিষয়ে কিছুই জানি না।

নির্বাচন কমিশনার রফিকুল ইসলাম বলেন, আমি ইভিএমের প্রকল্পের বিষয়ে কিছু জানি না। সচিব এবং প্রধান নির্বাচন কমিশনার জানেন। যখন এগুলো ব্যবহার করার জন্য কমিশন সভায় আলোচনা হবে তখন বলব। এর আগে বিষয়টি নিয়ে বলার কিছু নেই, আমি বলতেও চাইনা।

কমিশনার কবিতা খানম বলেন, জাতীয় নির্বাচনে ইভিএম ব্যবহার করতে হলে তা আরপিওতে সংযুক্ত করতে হবে। তার পর কমিশন সিদ্ধান্ত নেবে জাতীয় নির্বাচনে ইভিএম ব্যবহার করবে কিনা। ব্যবহার করলেও তা কতটুকু পরিসরে ব্যবহার করা হবে, সে ব্যাপারেও ৩০ আগস্ট সিদ্ধান্ত নিবে। ইভিএম কেনার নতুন প্রকল্পের বিষয়ে আমি কিছু জানি না।

সংসদ নির্বাচনে ইভিএম ব্যবহার করতে আরপিও সংশোধন করা হচ্ছে সে বিষয়ে ভিন্নমত পোষণ করে একজন কমিশনার নোট আব ডিসেন্ট দেওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছেন। তার নোটে বলেছেন, বিগত ২৬ আগস্ট আরপিও সংশোধনের জন্য কমিশন সভায় তিন ধরনের প্রস্তাব উপস্থাপন করেন। সেদিন দুটি প্রস্তাব বাদ দিয়ে কেবল একাদশ সংসদ নির্বাচনে ইভিএম ব্যবহারের বিষয়টি আলোচনায় সীমাবদ্ধ রাখা হয়। পরবর্তীতে ৩০ আগস্ট পর্যন্ত কমিশনসভা মুলতবি করা হয়। স্থানীয় নির্বাচনগুলোতে ইতোমধ্যে ইভিএম ব্যবহার করা হচ্ছে । এতে রাজনৈতিক দল ও ভোটারদের কাছ থেকে মিশ্র প্রতিক্রিয়া পাওয়া গেছে।

এদিকে প্রধান নির্বাচন কশিমনার প্রথম থেকে বলে আসছেন রাজনৈতিক দলগুলো সম্মত হলে সংসদ নির্বাচনে ইভিএম ব্যবহার হবে। সরকারের পক্ষ থেকে স্বাগত জানালেও বিরোধী রাজনৈতিক পক্ষ থেকে বিরোধীতা করা হয়েছে। তাই একাদশ সংসদ নির্বাচনে ইভিএম সম্পর্কে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত গ্রহণের পূর্বে রাজনৈতিক দলের সঙ্গে অধিকতর আলোচনা করার প্রয়োজন ছিল।

তিনি বলেন, এর আগে ৫০ কোটি টাকার ইভিএম ক্রয়ের নথিতে আমি ভিন্নমত প্রকাশ করেছিলাম। সম্প্রতি ইভিএমের জন্য যে প্রকল্প তৈরি করা হয়েছে তাতে ব্যয় ধরা হয়েছে ৩ হাজার ৮২৯ কোটি টাকা। কোনো কোনো রাজনৈতিক দলের বিরোধীতার মুখে আগামী সংসদ নির্বাচনে ইভিএম ব্যবহার যেখানে অনিশ্চিত, সেখানে এ বিপুল পরিমাণ অর্থ ব্যয় করে ক্রয় করা কতটা যৌক্তিক।

ইসি সূত্র জানায়, ইসি যে চাহিদাপত্র দিয়েছে তাতে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ৩০০ আসনে ইভিএম প্রয়োজন ২ লাখ ৬৪ হাজার। ঢাকা উত্তর, দক্ষিণ ও চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনে একসঙ্গে ভোটগ্রহণ করতে গেলে ইভিএম প্রয়োজন ২৩ হাজার। একইভাবে দেশের ১১ সিটিতে একসঙ্গে ভোটগ্রহণ করতে গেলে ইভিএম লাগবে ৩৫ হাজার। ৩২৩ পৌরসভায় এ পদ্ধতিতে ভোটগ্রহণ করতে হলে ইভিএম লাগবে ৩৫ হাজার।

ইসির তথ্য অনুসারে, দেশে ইউনিয়ন পরিষদের সংখ্যা ৪ হাজার ৫৫৫টি। এসব ইউপিতে একসঙ্গে ভোটগ্রহণ করতে ইভিএম লাগবে ৩ লাখ ১৮ হাজার ৫০০টি। তবে এ ক্ষেত্রে ইসি ভিন্ন পরিকল্পনা করেছে।

পর্যালোচনাপত্রে উল্লেখ করা হয়, ইউপি নির্বাচন কয়েক ধাপে অনুষ্ঠিত হয়। ইতোপূর্বে প্রতিটি ধাপে সর্বোচ্চ ৭৫০টির মতো ইউপিতে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। সে ক্ষেত্রে একেক ধাপে ইভিএম প্রয়োজন ৫২ হাজার ৫শ।

এদিকে ৩ হাজার ৮২৯ কোটি টাকার ইভিএম প্রকল্প গ্রহণের প্রস্তাবটি সম্ভাব্যতা যাচাই ছাড়াই পরিকল্পনা কমিশনে পাঠানো হয়েছে। প্রকল্পটির বেশ কিছু বিষয় স্পষ্ট করার জন্য পরিকল্পনা কমিশনের প্রকল্প মূল্যায়ণ কমিটি (পিইসি) মতামত দিয়েছে। গত ১৯ আগস্ট পিইসির সভায় এ মতামত দেয়া হয়। সম্প্রতি ‘নির্বাচন ব্যবস্থাপনায় অধিকতর স্বচ্ছতা আনয়নের লক্ষ্যে ইলেক্ট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) ক্রয়, সংরক্ষণ ও ব্যবহার’ শীর্ষক প্রকল্প গ্রহণের জন্য পরিকল্পনা কমিশনে প্রস্তাব পাঠিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।

রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলাপ-আলোচনা না করেই একাশদ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে এ প্রকল্প গ্রহণের উদ্যোগ নিয়েছে ইসি। পরিকল্পনা কমিশন সূত্রে জানা গেছে, ১৯ আগস্টের সভাটি বিশেষ কিছু কারণে মূলতবি করা হয়েছে। পিইসির সভায় প্রকল্পটির সম্ভাব্যতা যাচাই ছাড়াই প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে মর্মে মতামত এসেছে।

প্রকল্পটির সম্ভাব্যতা যাচাইয়ের প্রয়োজনীয়তার ব্যাপারে আলোচনার তাগিদ দিয়েছে পিইসি। প্রকল্পে ২০৪ জন পরামর্শকের প্রয়োজনীয়তা জানতে চেয়েছে পিইসি। এক্ষেত্রে পরামর্শকের যোগ্যতা, অভিজ্ঞতা ও কর্মপরিধি ডিপিপিতে উল্লেখের জন্য বলা হয়েছে। প্রকল্পে ৩১১০ জনের প্রশিক্ষণের কথা উল্লেখ থাকলেও তারা কারা সে বিষয়ে উল্লেখ করা হয়নি। এছাড়া ৩০জনকে বিদেশে প্রশিক্ষণ প্রদানের কথা বলা হলেও তাদের পরিচয় জানানো হয়নি। প্রকল্পে বিজ্ঞাপন প্রচার, পরিবহন, মোটরযানবাহন ক্রয়, কম্পিউটার সফটওয়্যার, আসবাবপত্র ক্রয় বাবদ বিপুল পরিমাণ অর্থ ব্যয়ের প্রস্তাব রাখা হয়েছে।

নির্বাচন কমিশন সূত্রে জানা গেছে, ইসির সঙ্গে সংলাপে বিএনপিসহ বেশ কয়েকটি রাজনৈতিক দল জাতীয় নির্বাচনে ইভিএম ব্যবহারের বিরোধিতা করেছে। অন্যদিকে আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন মহাজোট ইভিএম ব্যবহারের পক্ষে মত দিয়েছে।

   

ঝড়ে ভেঙ্গে পড়া গাছ একাই সরালেন ট্রাফিক সার্জেন্ট



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট বার্তা২৪.কম ঢাকা
ছবি : সংগৃহীত

ছবি : সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

রাজধানীর জুড়ে বৈশাখী ঝড় ও শিলাবৃষ্টি হয়েছে। বৃষ্টির সঙ্গে ছিল বেশ ভারী বাতাস।

ঝড় বৃষ্টির মধ্যে কাকরাইল মসজিদ থেকে মৎস্য ভবন যাওয়ার পথে একটি গাছ ভেঙে পড়ে যায়।

ভেঙ্গে যাওয়া গাছ ও ডালপালা একাই সরালেন এই সড়কে দায়িত্বরত ট্রাফিক সার্জেন্ট জাফর ইমাম।

রবিবার (৫ মে ) রাত সাড়ে ১১ টার দিকে এই ঘটনাটি ঘটে।

জনস্বাস্থ্য প্রকৌশলী অধিদপ্তরের গাছটি পড়ে যাওয়ার কারণে ঝড়-বৃষ্টির মধ্যে যান চলাচলের প্রায় বন্ধ হয়ে যায়। এ সময় আশপাশ এলাকা জুড়ে যানজটের সৃষ্টি হয়।

পরে ঘটনাস্থলে ট্রাফিক পুলিশের সার্জেন্ট জাফর ইমাম মৎস্য ভবন থেকে এসে ডালপালা সরিয়ে রাস্তা চলাচল স্বাভাবিক করেন।

এই বিষয়ে জানতে চাইলে ট্রাফিক পুলিশের সার্জেন্ট জাফর ইমাম বলেন, ‘ঝড় বৃষ্টির মধ্যে মানুষ পাগলের মত তাদের গন্তব্যে যাওয়ার চেষ্টা করছিলেন। এর মধ্যে রাস্তায় যানজট সৃষ্টি হয় পরে ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখি একটি গাছ পড়ে আছে। ঝড় বৃষ্টির মধ্যে আমি একা ডালপালা ও গাছটি সরানোর চেষ্টা করি।’

;

৭২ ঘণ্টার জন্য ১৪৮ উপজেলায় বাইক চলাচলে নিষেধাজ্ঞা



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট বার্তা২৪.কম ঢাকা
ছবি : সংগৃহীত

ছবি : সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

আসন্ন ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে প্রথম ধাপের ভোট উপলক্ষ্যে ৭২ ঘণ্টার জন্য ১৪৮ উপজেলায় মটর সাইকেল চলাচলের ওপর নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। ইতিমধ্যে সংস্থাটির নির্দেশনায় প্রজ্ঞাপনও জারি করেছে সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগ।

রবিবার (৫ মে) সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের সহকারি সচিব মো. জসিম উদ্দিন স্বাক্ষরিত প্রজ্ঞাপনটি সংশ্লিষ্ট সকলকে পাঠানো হয়েছে।

এতে বলা হয়েছে, আগামী ৮ মে ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদের প্রথম ধাপের সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। সড়ক পরিবহন আইন, ২০১৮ এর ৩২ ধারা অনুযায়ী, নির্বাচন উপলক্ষে ভোটগ্রহণের জন্য নির্ধারিত দিবসের পূর্ববর্তী মধ্যরাত অর্থাৎ ৭ মে দিবাগত মধ্যরাত ১২টা থেকে ৮ মে দিবাগত মধ্যরাত ১২টা পর্যন্ত ট্যাক্সি ক্যাব, পিক আপ, মাইক্রোবাস ও ট্রাক চলাচলে নিষেধাজ্ঞা থাকবে।

এদিকে ৬ মে দিবাগত মধ্যরাত ১২টা থেকে ৯ মে মধ্যরাত ১২টা পর্যন্ত মোটর সাইকেল চলাচলের উপর নিষেধাজ্ঞা থাকবে।

প্রজ্ঞাপনে আরো বলা হয়েছে, নির্বাচনী এলাকায় আইনশৃঙ্খলা রক্ষা, যানজট নিরসন ইত্যাদি প্রয়োজনে বাস্তবতার নিরীখে ও স্থানীয় বিবেচনায় উল্লিখিত যানবাহন ছাড়াও উক্তরূপে যেকোনো যানবাহন চলাচলের উপর সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ নিষেধাজ্ঞা আরোপ করতে পারবে।

এ নিষেধাজ্ঞা রিটার্নিং অফিসারের অনুমতি সাপেক্ষে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী/তাদের নির্বাচনী এজেন্ট, দেশি/বিদেশি পর্যবেক্ষকদের (পরিচয়পত্র থাকতে হবে) ক্ষেত্রে শিথিলযোগ্য।

এছাড়া, নির্বাচনের সংবাদ সংগ্রহের কাজে নিয়োজিত দেশি/বিদেশি সাংবাদিক (পরিচয়পত্র থাকতে হবে) নির্বাচনের কাজে নিয়োজিত কর্মকর্তা-কর্মচারী, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্য, নির্বাচনের বৈধ পরিদর্শক এবং কতিপয় জরুরি কাজ যেমন-এ্যাম্বুলেন্স, ফায়ার সার্ভিস, বিদ্যুৎ, গ্যাস, ডাক ও টেলিযোগাযোগ ইত্যাদি কার্যক্রমে ব্যবহারের জন্য উল্লিখিত যানবাহন চলাচলের ক্ষেত্রে উক্ত নিষেধাজ্ঞা প্রযোজ্য হবে না।

জাতীয় মহাসড়ক (Highways), বন্দর ও জরুরি পণ্য সরবরাহসহ অন্যান্য জরুরি প্রয়োজনে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ এরূপ নিষেধাজ্ঞা শিথিল করতে পারবেন।

যানবাহনসমূহ চলাচলের উপর বর্ণিত সময়সূচি অনুযায়ী নিষেধাজ্ঞা আরোপের জনসংশ্লিষ্ট জেলা প্রশাসককে ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে।

;

রাজধানীতে শিলাবৃষ্টি ও বজ্রপাত



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
রাজধানীতে শিলাবৃষ্টি ও বজ্রপাত

রাজধানীতে শিলাবৃষ্টি ও বজ্রপাত

  • Font increase
  • Font Decrease

রাজধানীর ঢাকায় প্রায় ঘণ্টারও বেশি সময় ধরে ঠান্ডা বাতাস বয়ে যাচ্ছিলো। এরপরেই ব্যাপক শিলাবৃষ্টি ও বজ্রপাত শুরু হয়।

রোববার (৫ মে) রাত সাড়ে ৯টার পর থেকেই নগরীর বিভিন্ন জায়গায় বাতাস বইতে থাকে। ফলে নগরবাসী তাপমাত্রা থেকে কিছুটা প্রশমিত হন। প্রায় ঘণ্টাব্যাপী ঝড়ো বাতাস বয়ে যাওয়ার পর রাত সাড়ে ১০টার দিকে নামে স্বস্তির বৃষ্টি। বৃষ্টির সঙ্গে শিলাবৃষ্টি ও বজ্রপাতও শুরু হয়।

সেগুনবাগিচা, তেজগাঁও, কারওয়ান বাজার, মিরপুর ও বাড্ডাসহ রাজধানীর বেশ কিছু এলাকায় একসঙ্গে শীলাবৃষ্টি ও বজ্রপাত হতে দেখা গেছে। 

;

নাইক্ষ‍্যংছড়ি সীমান্তে মাইন বিস্ফোরণ: ৫ বাংলাদেশি আহত 



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, বান্দরবান
নাইক্ষ‍্যংছড়ি সীমান্তে মাইন বিস্ফোরণ: ৫ বাংলাদেশি আহত 

নাইক্ষ‍্যংছড়ি সীমান্তে মাইন বিস্ফোরণ: ৫ বাংলাদেশি আহত 

  • Font increase
  • Font Decrease

মিয়ানমার সীমান্তের অভ্যন্তরে আবারও ৩ বাংলাদেশি নাগরিক স্থলমাইন বিস্ফোরণে মারাত্মকভাবে আহত হয়েছে। আহতরা চোরাই পথে গরু ও ইয়াবা আনতে গিয়ে এ দুর্ঘটনার স্বীকার হন বলে জানা গেছে।

রোববার (০৫ মে) সকাল সাড়ে ৭টার সময় বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি ১১ বিজিবির অধীন ফুলতলী‌ বিওপি এলাকার সীমান্ত পিলার ৪৭ এর শূন্য লাইন থেকে মিয়ানমারের অভ্যন্তরে এ দুর্ঘটনা ঘটে।

আহতরা হলেন, রামু উপজেলার কচ্ছপিয়া ইউনিয়নের ৯নং ওয়ার্ড দক্ষিণ মৌলভীরকাটা গ্রামের রশিদ আহমদের পুত্র মফিজ (৩৫)। একই এলাকার দক্ষিণ মৌলভীরকাটা গ্রামের মো: জাফর চকিদারের পুত্র মো: আব্দুল্লাহ (৩০) ও অপর জন ওই গ্রামের মফিজ এর পুত্র মো. রহিম। উভয়ে তিন পায়ে গুরুতর আঘাতপ্রাপ্ত হন। 

উল্লেখ্য আব্দুল্লাহর দুই পা বিচ্ছিন্ন হয়ে যাওয়াতে তাকে উদ্ধার করতে একটু বিলম্ব হয়, পরে থাকে উদ্ধার করে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে বলে জানা গেছে। আহত ৩ জন মিয়ানমার থেকে চোরাই পথে গরু এবং মহিষ টানার কাজে নিয়োজিত ছিল।

উল্লেখ্য গত ৪ মে ৪৬ ও ৪৭ সীমান্ত পিলার দিয়ে গরু ও মহিষ আনতে গিয়ে মিয়ানমারের ভিতরে স্থলমাইন বিস্ফোরণে মারাত্মকভাবে আহত হন নাইক্ষ‍্যংছড়ি সদর ইউনিয়নের ৭ নং ওয়ার্ডের কম্বনিয়া গ্রামের মৃত মোহাম্মদের পুত্র মো. আবছার (১৯) ও একই গ্রামের আলি আহমদের পুত্র মো. বাবুল (১৭) । আহত উক্ত দুই ব্যক্তি কক্সবাজারে সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন।

নাইক্ষ‍্যংছড়ি সদর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নুরুল আবছার দু’দিনে দুই দুর্ঘটনায় ৫ জন আহতের সত্যতা নিশ্চিত করেন।

;