অ্যাপল এর নতুন তিন আইফোন

  • স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

আইফোন এবার প্লাস সিরিজি বাদ দিয়ে ম্যাক্স সিরিজ নিয়ে আসছে, ছবি: সংগৃহীত

আইফোন এবার প্লাস সিরিজি বাদ দিয়ে ম্যাক্স সিরিজ নিয়ে আসছে, ছবি: সংগৃহীত

সব জল্পনা-কল্পনার অবসান ঘটিয়ে প্রকাশ পেল অ্যাপল নতুন তিন আইফোন। প্রযুক্তিবিদদের মাঝে যে গুঞ্জন ছিলো, আইফোন এবার প্লাস সিরিজি বাদ দিয়ে ম্যাক্স সিরিজ নিয়ে আসছে; সেটিই সত্য প্রমাণিত হলো- বুধবার রাতে অ্যাপল-এর বিগ ইভেন্টে।

বাংলাদেশ সময় বুধবার (১২ সেপ্টেম্বর) দিবাগত রাতে যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়ার কুপারতিনোর অ্যাপল সেন্টারে নতুন প্রজন্মের এই স্মার্টফোন তিনটি উন্মুক্ত করে অ্যাপল।

বিজ্ঞাপন

উন্মুক্ত হওয়া আইফোনের নতুন তিনটি সংস্করণ হলো- আইফোন এক্সএস, এক্সএস ম্যাক্স এবং এক্সআর।

তবে ডিজাইনে তেমন একটা পরিবর্তন না হলেও সবগুলো ফোনেই ব্যবহৃত হয়েছে বায়োনিক এ১২ চিপসেট। প্রতিষ্ঠানটির দাবি, ফোনগুলোতে নতুন ৭ ন্যানোমিটারের প্রসেসর ব্যবহার হওয়ায় অ্যাপ ওপেন হওয়ার গতি বৃদ্ধি পাবে প্রায় ৩০ শতাংশ। এর প্রসেসরটির তিনটি কোরে রয়েছে সিপিইউ, জিপিইউ ও নিউরাল ইঞ্জিন। অ্যাপল এর দাবী, এই নিউরাল ইঞ্জিন কোর পুরো ডিভাইসটিকে দেবে অনন্য গতি ।

বিজ্ঞাপন

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2018/Sep/13/1536810384281.jpg

অ্যাপল টেনএস ও টেনএস ম্যাক্স:
অ্যাপল এর এই দু’টি ফোনে মূলতঃ ভেতরের পার্থক্য না থাকলেও শুধুমাত্র ডিসপ্লের পার্থক্য রয়েছে। টেনএসে রয়েছে ৫.৮ ইঞ্চির ডিসপ্লে আর এক্সএস ম্যাক্সে ৬.৫ ইঞ্চির ডিসপ্লে। দু’টি ফোনেই ব্যবহার করা হয়েছে ৪৫৮ পিপিআই সুপার রেটিনা ডিসপ্লে। ফোন দু’টিতে আগের মতোই দেওয়া হয়েছে ১২ মেগাপিক্সেল ক্যামেরাসমৃদ্ধ একটি ওয়াইড লেন্স আরেকটি টেলিফটো লেন্স। সেলফি ও ভিডিও চ্যাটের জন্য সামনে ৭ মেগাপিক্সেল ক্যামেরা। ইভেন্টে জানানো হয় ফ্রন্ট ক্যামেরা দিয়ে পূর্বের আইফোন ১০ থেকে আরও ভালো মানের এইচডিআর ও প্রোটেইট মোডে ছবি তোলা যাবে। আইপি৬৮ সাটিফাইড পানিরোধক সুবিধার ফলে ডিভাইসটি ২ মিটার পানির নিচে ৩০ মিনিট পর্যন্ত থাকতে সক্ষম। তাই আপনার ফোনটি কোথাও পানির নিচে পড়ে গেলে শুধু গিয়ে তুলে আনলেই হবে, কোনো দুশ্চিন্তা ছাড়াই।

এবারে আইফোনে ফেস আইডিকে নতুন করে রিব্রান্ডিং করে ফেসলিফট আনার কথা বলে হলেও তা এখন ফেস আইডি নামেই চলবে বলে জানিয়েছে অ্যাপল।

আরও রয়েছে স্টোরিও স্পিকার সুবিধা। যার ফলে ইয়ারফোন ছাড়াই গেইমিং, মিউজিক ও মুভি দেখা হবে আরও উপভোগ্য।

অপারেটিং সিস্টেম হিসেবে রয়েছে আইওএস ১২। ডিভাইসগুলো ৬৪, ২৫৬, ৫১২ জিবি স্টোরেজ এবং ৪ জিবি র‌্যামের এই ফোনগুলো পাওয়া যাবে গোল্ড, সিলভার ও স্পেস গ্রে ভ্যারিয়েন্টে।

আইফোন ১০আর:
এই প্রথম অ্যাপল নিয়ে এলো প্রায় ৫টি রঙ-এ নতুন আইফোন টেন আর। এর ডিসপ্লের দৈর্ঘ ৬.১ ইঞ্চি। এতে এলসিডি ডিসপ্লে ব্যবহার করা হলেও অ্যাপেল এই ডিসপ্লেকে ‘লিকুইড রেটিনা’ উল্লেখ করা হয়েছে। এই ফোনে ব্যবহৃত এলসিডি ডিসপ্লেগুলোর মধ্যে এটিই এখন পর্যন্ত সবচেয়ে উন্নত প্রযুক্তির এলসিডি।

এটি পাওয়া যাবে ৬৪, ১২৮ ও ২৫৬ জিবির স্টোরেজসহ আর এতে র‌্যাম থাকছে ৩ জিবি।

১৪ সেপ্টেম্বর থেকে আইফোন ১০ ও টেন ম্যাক্সের-এর প্রি-অর্ডার শুরু হলেও টেন আর এর পাওয়া যাবে ২৬ অক্টোবর। বিক্রি শুরু পিছিয়ে দেওয়ার কারণ হিসেবে প্রযুক্তিবিদরা ধারণা করছেন, হয়ত সস্তা ফোনের প্রতি মানুষের ঝোক কমাতে এই কাজ করেছে অ্যাপল। অ্যাপল বলছে, এটা হতে যাচ্ছে তাদের সবচেয়ে সস্তা ফোন।

যদিও এই সস্তা ফোনের দামই শুরু হবে ৭৪৯ ডলার বাংলাদেশি টাকায় যা প্রায় ৯০ হাজার টাকা। ফোনগুলো সাদা, লাল, নীল, হলুদ ও কালো রঙে পাওয়া যাবে।