নতুন কলরেটে অপারেটরদের আয় বেড়েছে ৪০০ কোটি টাকা
সর্বনিম্ন ৪৫ পয়সার কলরেট ও অভিন্ন কলরেট চালু হওয়ায় মোবাইল অপারেটরগুলোর আয় বেড়েছে। বাংলাদেশে টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনের (বিটিআরসি) এক হিসাবে দেখা গেছে গ্রামীণফোন, রবি ও বাংলালিংকের মাসে অতিরিক্ত প্রায় চারশ কোটি টাকা আয় করছে।
৪৫ পয়সার কলরেট চালুর পর বিষয়টি নিয়ে গ্রাহকদের মধ্যে নেতিবাচক প্রতিক্রিয়া তৈরি হওয়া ও সমালোচনার মুখে টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিটিআরসি এই কলরেট পর্যালোচনা শুরু করেছে।
এই নতুন কলরেট চালু হওয়ার পর এ নিয়ে গ্রাহকরাও হিসেব-নিকেশ করেছেন। তারা নতুন প্য্যাকেজ অফার নিয়ে বিশ্লেষণ করছেন। তবে মোবাইল অপারেটরেরা বলেছিলেন অভিন্ন কলরেট চালুর ফলে গ্রাহকরা লাভবান হবেন। অন্যদিকে বেশিরভাগ গ্রাহক বলছেন, অভিন্ন কলরেট পদ্ধতি চালু পর তাদের খরচ বেড়েছে।
বিটিআরসি সূত্রে জানা গেছে, নতুন অভিন্ন কলরেট চালুর পর থেকে অপারেটরদের আয় ১০ থেকে ২০ শতাংশ পর্যন্ত আয় বেড়েছে।
গত ১৪ আগস্ট মধ্যরাতে এই কলরেট চালু হওয়ার পর থেকে মোবাইল অপারেটরেরা নতুন প্যাকেজ ঘোষণা করেছে। তবে বিশ্বের কোথাও অফনেট (অন্য অপারেটরে) ও অননেট (একই অপারেটরে) পদ্ধতি নেই। একমাত্র বাংলাদেশেই এই পদ্ধতি চলে আসছিল।
সর্বনি¤œ কলরেট ৪৫ পয়সা হলেও সর্বোচ্চ কলরেট হচ্ছে ২ টাকা। এর আগে অন-নেটে সর্বনিম্ন রেট ছিল প্রতি মিনিটে ২৫ পয়সা। আর অফ-নেট কলের ক্ষেত্রে প্রতি মিনিটে মূল্য ছিল ৬০ পয়সা। যদিও অপারেটররা এতো কম কখনোই চার্জ করেনি।
অভিন্ন কলরেট চালুর পরপরই সবগুলো মোবাইল অপারেটরের নতুন প্যাকেজ অফার ঘোষণা করে। এতে দেখা যায়, সর্বনিম্ব ৪৫ পয়সা মিনিটের কলরেট চালুর পর একেক মোবাইল অপারেটর একেক কলরেট নির্ধারণ করেছে।
বিটিআরসি গ্রাহকদের মধ্যে প্রতিক্রিয়ার পর এই অভিন্ন কলরেট চালুর সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নের পরে বিষয়টি নিয়ে পর্যালোচনা প্রতিবেদন তৈরি শুরু করেছে। সম্প্রতি বিষয়টি নিয়ে টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রক সংস্থার সর্বোচ্চ নীতি নির্ধারণী ফোরামে আলোচনা হয়। পরবর্তীতে সংস্থার ইঞ্জিনিয়ারিং এন্ড অপারেশন বিভাগ থেকে পর্যালোচনার কাজে হাত দেওয়া হয়।