চাইলেই বিক্রি করা যাবেনা করপোরেট সিম

  • স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

এখন থেকে চাইলেই বিক্রি করা যাবে না করপোরেট সিম। এ জন্য লাগবে  অনুমতি। সম্প্রতি বিভিন্ন সময়ে  সিম জালিয়াতির ঘটনায় একাধিক  করপোরেট কোম্পানির নাম যুক্ত থাকায় এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ রেগুলেটরি কমিশন বিটিআরসি।

সর্বশেষ গত ২১‌ অক্টোবর র‍্যাবের এক অভিযানে গ্রামীণফোনের ঊর্ধ্বতন এক কর্মকর্তাসহ একটি চক্রকে বিভিন্ন কোম্পানির অনুমোদনবিহীন পাঁচ শতাধিক করপোরেট সিমসহ গ্রেপ্তার করার পর এমন সিদ্ধান্তের কথা জানায় সংস্থাটি ।

বিজ্ঞাপন

কমিশনের তথ্য অনুযায়ী, আগস্টের শেষে দেশে মোট কার্যকর সিমের সংখ্যা ছিল ১৫ কোটি ৪২ লাখ। এর মধ্যে ১ থেকে ২ শতাংশ করপোরেট সিম হিসেবে ব্যবহার করা হয় বলে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানান।

এমন অনুসন্ধানের প্রেক্ষিতে সব করপোরেট সিমের নিবন্ধন যাচাই করে দেখতে চায় টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন-বিটিআরসি। এর অংশ হিসেবে কমিশন সব অপারেটরের কাছে তাদের ইস্যু করা করপোরেট নম্বরের তালিকা চেয়ে সম্প্রতি চিঠি দিয়েছে।

বিজ্ঞাপন

এ নম্বরগুলো পর্যায়ক্রমে যাচাই-বাছাই করা হবে। নম্বরের তালিকা দেওয়ার সঙ্গে প্রতিটি করপোরেট হাউজের ফোকাল পয়েন্ট কর্মকর্তার সঙ্গে যোগাযোগের জন্য ই-মেইল আইডিসহ অন্যান্য তথ্যও চেয়েছে। আর করপোরেট সিম বিক্রির ক্ষেত্রে কঠোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিটিআরসি। এখন থেকে কোনো প্রতিষ্ঠানের কাছে করপোরেট নম্বর বিক্রির আগে কমিশনের কাছ থেকে এ সংক্রান্ত অনুমোদন নিতে হবে।

সংশ্লিষ্টরা বলছেন, করপোরেট নম্বর নিবন্ধন করা তুলনামূলক সহজ। কেননা এ জন্য জাতীয় পরিচয়পত্রের প্রয়োজন হয় না। এ কারণে ব্যক্তিগত নামে সিম নিবন্ধন না করে বরং করপোরেট প্রতিষ্ঠানের নামে নিবন্ধন করা সিম দিয়ে অপরাধ করেও পার পাওয়া যায়।

উল্লেখ্য, গত ২১ অক্টোবর মিরপুর এলাকা হতে গ্রামীণফোনের সিনিয়র এক্সিকিউটিভ সৈয়দ তানভীরুর রহমান এবং তাদের এক পরিবেশক তৌফিক হোসেন পলাশকে গ্রেপ্তার করে  র‍্যাব। তাদের কাছ থেকে ৫৫৩টি সিম, বায়োমেট্রিক নিবন্ধনের কাজে ব্যবহৃত একটি ল্যাপটপ ও ৯টি ট্যাব উদ্ধার করা হয়।