টাওয়ার শেয়ারিং লাইসেন্স হস্তান্তর কাল
মোবাইল টাওয়ার শেয়ারিং কোম্পানির লাইসেন্স হস্তান্তর করা হচ্ছে ১ নভেম্বর বৃহস্পতিবার। বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি) আনুষ্ঠানিকভাবে চার কোম্পানির হাতে লাইসেন্স তুলে দেবে।
টিএএসসি সামিট টাওয়ার, ইডটকো বাংলাদেশ, এবি হাইটেক কনসোর্টিয়াম লিমিটেড ও আইএসওএন টাওয়ার বাংলাদেশ প্রাইভেট লিমিটেড এই লাইসেন্স পেতে যাচ্ছে। ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন।
টাওয়ার শেয়ারিং কোম্পানি লাইসেন্স পেতে রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠান বিটিসিএলসহ মোট ১৯টি কোম্পানি আবেদন করেছিল। তবে শেষ পর্যন্ত তা জমা দিয়েছিল মাত্র ৮টি কোম্পানি। কোম্পানিসমূহের আবেদনের যাচাই-বাছাই শেষে চারটি কোম্পানিকে লাইসেন্স প্রদান করে টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রক সংস্থা।
টাওয়ার শেয়ারিং লাইসেন্স ফি নির্ধারণ করা হয়েছে ২৫ কোটি ও বার্ষিক লাইসেন্স ফি ৫ কোটি টাকা। টাওয়ার কোম্পানিতে সর্বোচ্চ ৭০ শতাংশ বিদেশি বিনিয়োগ থাকতে পারবে। এর আগের নীতিমালার খসড়ায় এ সীমা ছিল সর্বোচ্চ ৪৯ শতাংশ।
লাইসেন্স পাওয়ার পর নির্দিষ্ট কোম্পানিকে প্রথম বছর সব বিভাগীয় শহরে সেবা পৌছে দিতে হবে। দ্বিতীয় বছর জেলা শহর, তৃতীয় বছর ৩০ শতাংশ উপজেলা, চতুর্থ বছর ৬০ শতাংশ উপজেলা ও পঞ্চম বছর দেশের সব উপজেলায় টাওয়ার নিতে হবে লাইসেন্স পাওয়া কোম্পানিকে।
একই জায়গায় যত্রতত্র টাওয়ার স্থাপনে অনেক বেশি জমি যেমন নষ্ট হচ্ছে, তেমনি অতিরিক্ত বিদ্যুৎ খরচ হচ্ছে। এছাড়া পরিবেশের ওপরও এর বিরূপ প্রভাব রয়েছে। এসব বিষয় বিবেচনায় বিটিআরসি মোবাইল কোম্পানিসমূহকে টাওয়ার ব্যবস্থাপনা থেকে সরিয়ে আনতেই কয়েক বছর আগেই এই টাওয়ার শেয়ারিং নীতিমালা তৈরির কাজে হাত দেওয়া হয়।
বিটিআরসি মনে করে, নেটওয়ার্ক অবকাঠামো ব্যবস্থাপনায় বিপুল ব্যয়ের পাশাপাশি টাওয়ার স্থাপন ও রক্ষণাবেক্ষেণে অনেক লোকবলও লাগছে অনেক। মোবাইল কোম্পানিসমূহ যে যার মতো সারাদেশে যত্রতত্র টাওয়ার স্থাপন করছে। পাশাপাশি হয়তো তিনটি কোম্পানির তিনটি টাওয়ার রয়েছে। অথচ এখানে একটি টাওয়ার দিয়েই নেটওয়ার্ক সরবরাহ নিশ্চিত করা সম্ভব। এর আগে বিটিআরসি মোবাইল কোম্পানিসমূহকে কাছাকাছি স্থানে একাধিক টাওয়ার স্থাপন না করে নিজেদের মধ্যে টাওয়ার শেয়ারিং করার তাগিদ দিয়েছিল। এতে তারা সফল হয়নি।