বাংলালিংকের টাওয়ার কিনছে সামিট

  • স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

বাংলালিংকের টাওয়ার কিনতে যাচ্ছে নতুন লাইসেন্স পাওয়া কোম্পানি সামিট টাওয়ার। এ সংক্রান্ত বিষয়টি এখন প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।

বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি) গত বৃহস্পতিবার চার মোবাইল টাওয়ার শেয়ারিং কোম্পানিকে লাইসেন্স হস্তান্তর করে।

বিজ্ঞাপন

লাইসেন্স পাওয়া প্রতিষ্ঠানসমূহ হচ্ছে সামিট টাওয়ারস লিমিটেড, ইডটকো বাংলাদেশ, এবি হাইটেক কনসোর্টিয়াম লিমিটেড ও কীর্তনখোলা টাওয়ার বাংলাদেশ লিমিটেড।

ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার টিএএসসি সামিট টাওয়ার, ব্যবস্থাপনা পরিচালক আরিফ আল ইসলাম, ইডটকো বাংলাদেশ এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক রাহুল চৌধুরী, এবি হাইটেক কনসোর্টিয়াম লিমিটেড এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক ফজলুর রহমান মোল্লা এবং কীর্তনখোলা টাওয়ার লিমিটেড ব্যবস্থাপনা পরিচালক সালমান করিমের হাতে লাইসেন্স তুলে দেন।  

বিজ্ঞাপন

সামিট টাওয়ারের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আরিফ আল ইসলাম বলেন, বাংলালিংকের টাওয়ার কেনার বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। বিগত এক বছর ধরে বাংলালিংকের সঙ্গে এটি নিয়ে কথাবার্তা বলছে। তবে কবে এই প্রক্রিয়া শেষ হবে তা স্পষ্ট করেননি।

সামিট গ্রামীণফোনের টাওয়ার কিনতেও বিডিং করেছে। তবে গ্রামীণফোনের সঙ্গে সামিটের প্রক্রিয়াটি এখন পর্যন্ত আর এগোয়নি।

টাওয়ার শেয়ারিং গাইড লাইন অনুযায়ী, ৫ বছরের মধ্যে বাধ্যতামূলকভাবে সব অপারেটরকে তাদের টাওয়ারসমূহ হস্তান্তর করতে হবে। তবে কোনো অপারেটর টাওয়ার শেয়ার করতে পারবেন না। এ অবস্থায় কোনো মোবাইল অপারেটরই আর তাদের টাওয়ারসমূহ নিজেদের কাছে রাখতে পারবেন না। তাই সব অপারেটরসমূহকেই তাদের টাওয়ারসমূহ বিক্রি করতেই হবে।  

লাইসেন্স পাওয়ার পর নির্দিষ্ট কোম্পানিকে প্রথম বছর সব বিভাগীয় শহরে সেবা পৌছে দিতে হবে। দ্বিতীয় বছর জেলা শহর, তৃতীয় বছর ৩০ শতাংশ উপজেলা, চতুর্থ বছর ৬০ শতাংশ উপজেলা ও পঞ্চম বছর দেশের সব উপজেলায় টাওয়ার নিতে হবে লাইসেন্স পাওয়া কোম্পানিকে।

বিটিআরসি চেয়ারম্যান জহুরুল হক অবশ্য আশা করছেন, ৫ বছরের আগেই সব টাওয়ার কোম্পানিসমূহ তাদের লক্ষ্য অর্জনে সক্ষম হবে।

টাওয়ার শেয়ারিং কোম্পানি লাইসেন্স পেতে রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠান বিটিসিএলসহ মোট ১৯টি কোম্পানি আবেদন করেছিল। তবে শেষ পর্যন্ত তা জমা দিয়েছিল মাত্র ৮টি কোম্পানি। কোম্পানিসমূহের আবেদনের যাচাই-বাছাই শেষে চারটি কোম্পানিকে লাইসেন্স প্রদান করে টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রক সংস্থা।  

টাওয়ার শেয়ারিং লাইসেন্স ফি নির্ধারণ করা হয়েছে ২৫ কোটি ও বার্ষিক লাইসেন্স ফি ৫ কোটি টাকা।  টাওয়ার কোম্পানিতে সর্বোচ্চ ৭০ শতাংশ বিদেশি বিনিয়োগ থাকতে পারবে। এর আগের নীতিমালার খসড়ায় এ সীমা ছিল সর্বোচ্চ ৪৯ শতাংশ।