আয় কমছে বাংলালিংকের
তৃতীয় কোয়ার্টারে (জুলাই থেকে সেপ্টেম্বরে) মোবাইল অপারেটর বাংলালিংকের রাজস্ব আয় কমেছে ১,১০০ কোটি টাকা। বাংলালিংকের মূল কোম্পানি ভিওনের তথ্য অনুযায়ী, তৃতীয় কোয়ার্টারে তাদের রাজস্ব আয় গত বছরের এই কোয়ার্টারের চেয়ে ৫.৮ শতাংশ কমেছে।
যদিও এই কোয়ার্টারে বাংলালিংকের ডেটা থেকে রাজস্ব আয় ছিল ১৯০ কোটি টাকা, যা আগের বছরের তুলনায় ১১.৭৫ শতাংশ বেশি। তবে সব মিলিয়ে অপারেটরটির রাজস্ব আয় ছিল নেতিবাচক।
আয় কমে যাওয়া প্রসঙ্গে বাংলালিংকের চিফ কর্পোরেট এন্ড রেগুলেটরি অ্যাফেয়ার্স অফিসার তাইমুর রহমান বার্তা২৪.কমকে বলেন, বাংলালিংকের তৃতীয় কোয়ার্টারে রাজস্ব আয়ে ইতিবাচক দিক প্রদর্শন করেছে। ডেটা থেকে রাজস্ব আয় সামান্য বেড়েছে। মূলত গেল বছর অতিরিক্ত তরঙ্গ ক্রয় এবং আমাদের শক্তিশালী ডুয়াল কেরিয়ার নেটওয়ার্কের কারণেই এটি সম্ভব হয়েছে। ডাটা থেকে রাজস্ব আয় বৃদ্ধি বাংলালিংককে ধীরে ধীরে গ্রাহকদের চাহিদা পূরণে একটি সক্ষম ডিজিটাল সেবা প্রদানকারী হিসেবে রুপান্তর করছে।
এক হিসাব থেকে দেখা গেছে, প্রতিষ্ঠানটি মুনাফা করতে পারছে না এক দশকেরও বেশি সময় ধরে। সর্বশেষ তারা ২০১৫ সালে একটি প্রান্তিকে মুনাফা করতে সক্ষম হয়েছিল।
ভিওনের রিপোর্ট অনুযায়ী, ২০১৭ সালে প্রতিষ্ঠানটির আয় কমেছিল ৪,৬৫০ কোটি টাকা। এদিকে বিশ্বব্যাপী ইমেজ হারাচ্ছে বাংলালিংক ও এর মূল কোম্পানি ভিওন। ডিজিটাল রূপান্তর প্রকল্প ভুল নীতিই প্রতিষ্ঠানটিকে ঝুঁকিতে ফেলে দিয়েছে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা। ডিজিটাল রূপান্তর করতে গিয়ে কোম্পানিটি বাংলাদেশসহ বিশ্বব্যাপী চাকরিচ্যুত করেছে দুই হাজার কর্মী। এর মধ্যে বাংলাদেশ থেকেই চাকরি হারিয়েছে প্রায় ৮০০ কর্মী। নানান উদ্যোগ সত্বেও বছরের পর বছর বাংলালিংক লাভের মুখ দেখছে না।
অন্য অপারেটরদের সঙ্গে গ্রাহক প্রতি আয়ের দৌঁড়েও পিছিয়ে পড়েছে বাংলালিংক। সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, ২০১৭ সালে গ্রাহকপ্রতি গ্রামীণফোনের আয় ছিল ১৬৭ টাকা। একই সময়ে গ্রাহকপ্রতি রবির আয় ১২৩ আর বাংলালিংকের আয় ছিল ১১১ টাকা। এদিকে ২০১৮ সালের প্রথম ছয় মাসে (জানুয়ারি-জুন) গ্রামীণফোনের গ্রাহকপ্রতি আয় ছিল ১৫৬ টাকা। ওই সময়ে রবির আয় কমে হয়েছে ১১৭ টাকা এবং বাংলালিংকের আয় হয়েছে ১০৯ টাকা।