অবৈধ মোবাইল চেনা যাবে ডিসেম্বর থেকে
বাংলাদেশে গ্রে মার্কেটে ঢালাও ভাবে ফোন ঢুকে পড়ায় এখন বোঝারইউপায় নেই সেই ফোন আসল নাকি নকল। এছাড়া অফিশিয়ালি ফোন গুলো প্রবেশ না করায় ক্রেতারা বঞ্চিত হচ্ছেন ওয়ারেন্টি সার্ভিস থেকেও । তাই এসব পরিস্থিতি মাথায় রেখে ক্রেতার কেনা মোবাইল ফোন বৈধ পথে বাজারজাত করা এবং আসল কিনা তা জানার সেবা চালু হচ্ছে হতে যাচ্ছে ডিসেম্বর থেকে।
মঙ্গলবার(২৭ নভেম্বর) রাজধানীর একটি হোটেলে দেশের মোবাইল ফোনের বর্তমান বাজার পরিস্থিতি নিয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা জানায় বাংলাদেশ মোবাইল ফোন ইম্পোর্টাস অ্যাসোসিয়েশন (বিএমপিআইএ)
তারা জানান , ডিসেম্বর হতে দেশে বৈধ পথে আমদানি করা এবং দেশে তৈরি হ্যান্ডসেটের আইএমইআই নম্বর এই ডেটাবেইজে যুক্ত হবে।ক্রেতারা এসএমএসের মাধ্যমে এই ডেটাবেইজ হতে জানতে পারবেন ফোনটি বৈধ পথে আমদানিকৃত কিনা বা আসল কিনা। এ জন্য একটি শর্টকোড থাকবে।
এতে অবৈধ উপায়ে আমদানি করা বা গ্রে মার্কেটে আসা, নকল বা ক্লোন হ্যান্ডসেট সহজেই সনাক্ত হয়ে যাবে।
এছাড়া আইএমইআই নিবন্ধন ছাড়া হ্যান্ডসেটে ব্যবহার করা সংযোগও বন্ধ করে দেয়া যাবে। সিম বদলে ফেললেও হ্যান্ডসেট দিয়ে অপরাধীকে ধরা যাবে। হ্যান্ডসেট চুরি গেলে তা সহজে উদ্ধার সম্ভব হবে।
বিএমপিআইএ এর সভাপতি রুহুল আলম আল মাহবুব জানান, বিটিআরসি হতে ২৬ এপ্রিল তাদের হ্যান্ডসেট আমদানি অনাপত্তিপত্র ব্যবস্থার অটোমেশন এবং আইএমইআই ডাটাবেস তৈরি ও সংরক্ষণের অনুমতি দেয়া হয়েছে।
‘বিটিআরসি ভবনে এ জন্য জায়াগাও পাওয়া গেছে। এখন সেখানে যন্ত্রপাতি স্থাপনের কাজ চলছে যা শিগগির সম্পন্ন হয়ে যাবে।
স্যামসাংয়ের কারখানা স্থাপনের দেশীয় অংশীদার ফেয়ার গ্রুপের চেয়ারম্যান জানান ডিসেম্বর থেকেই গ্রাহকরা এই সুবিধা পেয়ে থাকবেন।তখন বিস্তারিত জানানো হবে গ্রাহক কীভাবে, কোন নম্বরে এসএমএস করে এই যাচাই সুবিধা পাবেন।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন টেকনো ও আইটেলের কারখানা স্থাপনকারী ট্র্যানশান বাংলাদেশ লিমিটেডের সিইও রেজওয়ানুল হক, আইফোন ও নোকিয়া হ্যান্ডসেট আমদানিকারক ইউনিয়ন গ্রুপের ম্যানেজিং ডিরেক্টও রকিবুল কবির, বিএমপিাইএর যুগ্ম সম্পাদক মেজবাহ উদ্দিন, সহ-যুগ্ম সম্পাদক জয়নাল আবেদিন, উইনম্যাক্স মোবাইলের আমদানিকারক এএম এইচ টেকনোলজির চেয়ারম্যান এম এইচ খান।