চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের প্রস্তুতি এখন থেকেই

  • স্টাফ করেসপন্ডেন্ট,বার্তা২৪.কম
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

ছবিঃ বার্তা২৪,তাসকিন আল আনাস

ছবিঃ বার্তা২৪,তাসকিন আল আনাস

সারা বিশ্বে তথ্য প্রযুক্তি তুখোড় গতিতে এগিয়ে চলছে। এর ফলে বিশ্ব এখন চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের ঘটতে যাচ্ছে। যার প্রস্তুতি আমাদের নিতে হবে এখন থেকেই বলে মন্তব্য করেছেন তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক।  

সোমবার(১৮ মার্চ) রাজধানীর বেসিস মিলনায়তনে বেসিস সফট এক্সপো আয়োজনের সর্বশেষ প্রস্তুতি নিয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেন প্রতিমন্ত্রী।

বিজ্ঞাপন

তিনি বলেন দেশ এখন অনেক এগিয়ে গেছে। কিন্তু প্রপার ইনফরমেশন না থাকার কারণে অনেকে জানতেই পারছেন না আমাদের দেশের প্রযুক্তি কতটা উন্নত। এই ধরনের এক্সপোর মাধ্যমে আমরা সেই বার্তা মানুষের কাছে পৌঁছে দিতে চাই।

এবারের আয়োজনে প্রযুক্তির উপস্থাপন, প্রযুক্তি বিষয়ক নলেজ শেয়ার করা এবং নেটওয়ার্কিং তৈরি করার অন্যতম একটি প্ল্যাটফর্ম হিসাবে শুরু হতে যাচ্ছে উল্লেখ করে জুনাইদ আহমেদ পলক বলেন, দেশের আইসিটি খাতে এখন ১০ লাখ ছেলে মেয়ে কাজ করছে যা ২০২১ সাল নাগাদ ২০ লাখে উন্নীত হবে বলে মনে করি।

বিজ্ঞাপন

বেসিস সফট এক্সপোতে ইন্ডাস্ট্রি ৪ পয়েন্ট ও নামক বিভাগে চতুর্থ বিপ্লবের জন্য নেয়া নানা প্রস্তুতির আয়োজন তুলে ধরা হবে।

আইসিটি মন্ত্রণালয় এর সচিব এন এম জিয়াউল আলম বলেন, বিশ্ব যে চতুর্থ বিপ্লবের দ্বারপ্রান্তে এসে পড়েছে যার জন্য আমরা প্রস্তুত বলে মনে করি। আমরা আরো মনে করি এখন সেই যুগ যেখানে আইসিটি ইন্ডাস্ট্রি গ্রো করলে অর্থনীতি গ্রো করবে।

এসময় বেসিস সভাপতি সৈয়দ আলমাস কবির ও বেসিস সফটএক্সপো ২০১৯ এর আহ্বায়ক ফারহানা এ রহমান আয়োজিত এক্সপো সম্পর্কে নানা দিক তুলে ধরেন।

দেশের সফটওয়্যার খাতের সবচেয়ে বড় প্রদর্শনী বেসিস সফটএক্সপো শুরু হচ্ছে ১৯ মার্চ মঙ্গলবার। তিন দিনব্যাপী এই প্রদর্শনী চলবে ২১ মার্চ পর্যন্ত।রাজধানীর কুড়িলের আন্তর্জাতিক কনভেনশন সিটি বসুন্ধরায় (আইসিসিবি) হবে এবারের আয়োজন।‘টেকনোলজি ফর প্রসপারিটি’ স্লোগান নিয়ে শুরু হতে যাওয়া প্রদর্শনীর আয়োজক বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব সফটওয়্যার অ্যান্ড ইনফরমেশন সার্ভিসেস (বেসিস) ও তথ্যপ্রযুক্তি বিভাগ।

এবারের তথ্যপ্রযুক্তির বৃহত্তম এই প্রদর্শনীতে আড়াইশো দেশি-বিদেশি তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান পণ্য ও সেবা প্রদর্শন করবে।প্রদর্শনী এলাকাকে দশটি জোনে ভাগ করে বসছে আয়োজন।

এছাড়াও নতুন সংযোজন ইন্ডাস্ট্রি ৪.০ জোন এবং এক্সপেরিয়েন্স জোন বাংলাদেশের তথ্যপ্রযুক্তি খাতের সক্ষমতা তুলে ধরবে। রয়েছে উইমেন জোন, ভ্যাট জোন, ডিজিটাল এডুকেশন জোন, ফিনটেক জোন এবং বরাবরের মতো রয়েছে সফটওয়্যার সেবা প্রদর্শনী জোন, উদ্ভাবনী মোবাইল সেবা জোন, ডিজিটাল কমার্স জোন, আইটিইএস ও বিপিও জোন।

থাকবে ৩০টিরও বেশি তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিষয়ক সেমিনার, যেখানে বক্তব্য রাখবেন শতাধিক দেশি-বিদেশি তথ্যপ্রযুক্তি বিশেষজ্ঞ।দেশি-বিদেশি ব্যবসায়ীদের জন্যে থাকছে বি-টু-বি ম্যাচমেকিং সেশন, যার মাধ্যমে ব্যবসায়ীরা নিজেদের ব্যবসার প্রসার খুব সহজেই করতে পারবেন।

আয়োজন করা হবে কর্পোরেট আওয়ার, যেখানে অংশ নেবেন পাঁচ শতাধিক কর্পোরেট হাই অফিশিয়াল। শিক্ষার্থীদের জন্য থাকছে আইসিটি ক্যারিয়ার ক্যাম্প আর বরাবরের মতো গেইমিং ফেস্ট।

সফটএক্সপোতে প্রথমবারের মতো শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে সিভি সংগ্রহ করবে অংশগ্রহণকারী প্রতিষ্ঠানগুলো। এতে সরাসরি সিভি দেবার মাধ্যমে পরবর্তীতে তাদের চাকরি পাবার সম্ভাবনা থাকবে।