মাইক্রোসফট ছাড়লেন সোনিয়া বশির কবির
মাইক্রোসফটের বাংলাদেশ, মিয়ানমার, নেপাল, ভুটান এবং লাওসের দায়িত্ব হতে অব্যাহতি নিচ্ছেন সোনিয়া বশির কবির।তবে চলতি এপ্রিলের ৩০ তারিখ পর্যন্ত তিনি দায়িত্ব পালন করে যাবেন।
মঙ্গলবার (৯ এপ্রিল) গণমাধ্যমের কাছে বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়। তবে আপাতত তিনি অন্য কোনো আন্তর্জাতিক প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে যুক্ত না হয়ে নিজের প্রতিষ্ঠান ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া অঞ্চলে ‘অ্যাঞ্জেল ইনভেসটর’ হিসেবে বিনিয়োগ করা বিভিন্ন স্টার্টআপগুলোতেই বেশি সময় দেবেন তিনি।
ধারণা করা হচ্ছে, কোনো আন্তর্জাতিক বিনিয়োগকারী প্রতিষ্ঠানের সহায়তায় তিনি একটি নতুন প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান চালু করবেন।
মাইক্রোসফটের সাথে এই শেষ সময়টিতে দায়িত্ব হস্তান্তর সংক্রান্ত কর্মকান্ডে আন্তর্জাতিক এই প্রতিষ্ঠানটিকে সহায়তা করবেন তিনি।
দেশের নারী ও তরুণ প্রজন্মের কাছে সোনিয়া বশির কবির একজন অনুসরণীয় ব্যক্তিত্ব।
ব্যবসায়িক খাতে সম্মানজনক একটি স্থানে থাকার পাশাপাশি তিনি বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপদেষ্টা পর্ষদের সঙ্গেও জড়িত।
প্রযুক্তির মাধ্যমে গ্রামীণ জনগোষ্ঠীকে সক্ষম করার কাজে নিয়োজিত সংস্থা টেক হাবের প্রতিষ্ঠাতা সোনিয়া।
এছাড়া তিনি স্বল্পোন্নত দেশগুলোর জন্য প্রতিষ্ঠিত ইউনাইটেড ন্যাশনস টেকনোলজি ব্যাংকের গভর্নিং কাউন্সিল ভাইস চেয়ারম্যান ও বোর্ড মেম্বার, ইউনেস্কো মহাত্মা গান্ধী ইন্সটিটিউট অব এডুকেশন এন্ড পিসের বোর্ড মেম্বার, ফিনটেক স্টার্টআপ ডি মানি ও স্বাস্থ্য বিষয়ক স্টার্টআপ সিনটেকের ভাইস চেয়ারম্যান ও সহ-প্রতিষ্ঠাতাসহ অ্যাঞ্জেল ইনভেসটর হিসেবে বহু স্টার্টআপের সঙ্গে যুক্ত আছেন।
যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালিতে প্রায় ২০ বছর কাজের অভিজ্ঞতা সম্পন্ন সোনিয়া কবির মাইক্রোসফটের আগে ডেল বাংলাদেশের কান্ট্রি ম্যানেজার হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন।
এর আগে মাইক্রোসফটের দক্ষিণ এশিয়া বিজনেস ডেভেলপমেন্ট পরিচালক হিসেবেও কাজ করেছেন তিনি। ২০১১ সালের সেপ্টেম্বরে ডেল বাংলাদেশ গঠিত হলে তিনি কান্ট্রি ম্যানেজার হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছিলেন।
টিআইই বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি সোনিয়া কবির বাংলাদেশ ওমেন ইন আইটির সহ-প্রতিষ্ঠাতা ও সহ-সভাপতি হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছেন।
যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালিতে সোনিয়া বশির চাকরি করেছেন সান মাইক্রোসিস্টেম এবং ওরাকলে। আইটি ফার্ম সিনটেকের সহ-প্রতিষ্ঠাতা এই কর্মকর্তা আমরা টেকনোলজিসের চিফ অপারেটিং অফিসার হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছেন।
খেলাধুলায়ও বেশ দক্ষতা দেখিয়েছেন প্রযুক্তি খাতের শীর্ষ এ কর্মকর্তা। বাংলাদেশ জাতীয় ভলিবল দল ও জাতীয় ক্রিকেট দলেও খেলেছেন তিনি। বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) উইমেন উইং এবং আবাহনী উইমেন গেইম ডেভেলপমেন্টে কাজ করেছেন এ প্রযুক্তি ব্যক্তিত্ব।