প্রতিবন্ধীতা আমরা প্রযুক্তি দিয়ে জয় করবো

  • স্টাফ করেসপন্ডেন্ট,বার্তা২৪ডটকম
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

ছবি:মেহেদি হাসান, বার্তা২৪.কম

ছবি:মেহেদি হাসান, বার্তা২৪.কম

প্রযুক্তি মানুষের জন্য। আর সেই প্রযুক্তি দিয়ে আমরা একসময় মানুষের জন্য দক্ষতা অর্জন করা কঠিন ছিলো কিন্তু এখন কম্পিউটার ল্যাপটপের যুগ পার করে এমন জায়গায় পৌঁছেছি তাতে যে যে কাজে অক্ষম তাকে পাশ কাটিয়ে তাদেরকে মূল ধারায় সংযুক্ত করা সম্ভব হবে বলে মন্তব্য করেছেন ডাক টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রী মোস্তফা জব্বার। তিনি বলেন এই পৃথিবী সৃজনশীলতার পৃথিবী, তাই মেধাবী সৃজনশীল ব্যক্তিদের জন্য কোন বাধা অন্তত এই ডিজিটাল বাংলাদেশে নেই বলে আমি মনে করি।

বুধবার(২৪ এপ্রিল) রাজধানীর আগারগাঁও এর বিসিসি আইসিটি টাওয়ারে সেন্টার ফর সার্ভিসেস অ্যান্ড ইনফরমেশন অন ডিজাবিলিটি এর সহযোগিতায় আয়োজিত ‘চাকুরী মেলা ২০১৯’ এর উদ্বোধন অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন তিনি।

বিজ্ঞাপন

 তিনি বলেন, আমরা এমন একটা যুগে বাস করছি যেখানে বুদ্ধির সাথে শুরু করে শারীরিকভাবে অক্ষম প্রতিটি ব্যক্তিদের জন্য কাজের সুযোগ তৈরি হয়েছে আর এটি সম্ভব হয়েছে প্রযুক্তির বিশালতার জন্য। তিনি বাক্যের( BACCO) একটি প্রস্তাবনার কথা উল্লেখ করে বলেন, এর সংগঠনের মেম্বার ১৩৫ জন যদি সব গুলো প্রতিষ্ঠান ২ টি করে কর্মসংস্থান করে তাহলে অন্তত ২৭০ জনের কর্মসংস্থান হবে।

বিশেষ অতিথির বক্তব্যে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বলেন,আমরা অন্তর দিয়ে অনুভব করে ২০১৩ সালে প্রথম প্রতিবন্ধী অধিকার আইন পাশ করা হয়েছিলো এর ফলে আমরা তাদেরকে অধিকার প্রদান করি এছাড়াও ইতিমধ্যে আমাদের ৩ হাজার প্রতিবন্ধীদের মূল ধারায় নিয়ে আসার জন্য প্রশিক্ষণ কার্যক্রম শুরু হয়েছে। যার মধ্যে দেড় হাজার জনের প্রশিক্ষণ প্রদান প্রায় শেষের দিকে।এছাড়া প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের জন্য  একটি সেন্ট্রাল ডেটাবেজ এবং বিশেষ ভাবে অ্যাপস তৈরি করা হচ্ছে তাদের জন্য ।

বিজ্ঞাপন

 প্রযুক্তি ব্যবহার করে কিভাবে প্রতিবন্ধীদের মূলধারায় নিয়ে আসা যায় সেটি চিন্তা করতে হবে।যেমন যদি হুইল চেয়ারে রোবটিক্স ব্যবহার করা হয় তাহলে এই বিশেষ ভাবে সক্ষম ব্যক্তি আরো বেশি সেবা প্রদানে সক্ষম হবে।

 আমরা আশা করি দেশের কোন ভাবে বিশেষ ভাবে সক্ষম ব্যক্তি সমাজের উন্নয়নের বাইরে থাকবেনা। শেখ হাসিনা ডিজিটাল বাংলাদেশে প্রযুক্তি ব্যবহার করে শহর গ্রামে সকলের জন্য সমান ভাবেন সুবিধা প্রদানের জন্য কাজ করে যাচ্ছে।

আইসিটি বিভাগের সচিব এন এম জিয়াউল আলম বলেন, এই খাতে প্রাইভেট সেক্টরের আরো এগিয়ে আসা প্রয়োজন। অনেকেই মনে করেন যে যারা প্রতিবন্ধী তারা ঠিক ভাবে সেবা দিতে পারবেনা। এমনটা ঠিক নয়। যারা বিশেষ ভাবে সক্ষম তার বিশেষ ভাবে আপনাদের সেবা দিয়ে সকল কিছু পুষিয়ে দেবে এমন মানসিকতা থাকা উচিত। আমরা মনে করি দেশে একজন প্রতিবন্ধী ব্যক্তি বেকার থাকবেনা।

বাংলাদেশের কম্পিউটার কাউন্সিলের নির্বাহী পরিচালক পার্থ প্রতিম দেব বলেন, আন্তর্জাতিক পরিসরে প্রতিবন্ধীদের বিশেষ ভাবে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। এই আয়োজনের মাধ্যমে আমরা তাদেরকেও বিশ্ব পরিমণ্ডলে নতুন করে তুলে ধরতে পারবো।

 আইসিটিত টাওয়ারের তিন তলায় অবস্থিত বিসিসি অডিটোরিয়ামে সকাল ১০ টা থেকে বিকেল ৫ টা পর্যন্ত মেলাটি চলবে।এ মেলায় বাক্য , মাই আউটসোর্সিং, কোয়াব, লিডস কর্পোরেশন পশমি সোয়েটার লিমিটেড সহ মোট ২১ টি নিয়োগকারী প্রতিষ্ঠান অংশগ্রহণ করে।

উল্লেখ্য , প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের জন্য আয়োজিত চাকুরী মেলায় ২০১৫ সালে ৩২ জন্য, ২০১৬ সালে ৬০ জন, ২০১৭ সালে ১১৫ জন এবং ২০১৮ সালে ১৭৬ জন আইসিটিতে দক্ষ ব্যক্তির কর্মসংস্থান করা হয়।