ঝুঁকিপূর্ণ এলাকায় নেটওয়ার্ক সচল রাখতে সর্বোচ্চ জরুরী ব্যবস্থা গ্রহণ

  • তাসকিন আল আনাস,স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪ ডটকম
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

ছবিঃ সংগৃহীত

ছবিঃ সংগৃহীত

ফণীকে কেন্দ্র করে সারা দেশে নেটওয়ার্ক সচল রাখতে সর্বোচ্চ জরুরী ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার।

শুক্রবার (৩ মে) দিবাগত রাতে গণমাধ্যমে কে তিনি জানান, জরুরী ব্যবস্থা গ্রহণের প্রস্ততির অংশ হিসেবে কক্সবাজার এবং কুয়াকাটায় সাবমেরিন ক্যাবল ল্যান্ডিং স্টেশন দুটি দুর্যোগকালিন সময়ে সচল রাখার জন্য অন্তত সাত দিনের বিকল্প বিদ্যুৎ ব্যবস্থার প্রস্ততির জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে ইতিমধ্যে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।

বিজ্ঞাপন

মন্ত্রী কক্সবাজার এবং কুয়াকাটায় সাবমেরিন ক্যাবল ল্যান্ডিং স্টেশনসহ উপকূলীয় এলাকায় সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের ছুটি বাতিলেরও নির্দেশ দিয়েছেন। তিনি নিরবিচ্ছিন্ন টেলিযোগাযোগ সেবা নিশ্চিত করতে সরকারি প্রতিষ্ঠানসমূহের পাশাপাশি বেসরকারি অপারেটর বিশেষ করে এনটিটিএন গুলোকেও সর্বাত্নক সতর্ক থাকার নির্দেশ দেন।

 প্রস্ততির অংশ হিসেবে বিটিসিএল ইতোমধ্যে ঢাকা, চট্রগ্রাম এবং খুলনায় নিয়ন্ত্রণ কক্ষ স্থাপন করেছে। আগামীকালের মধ্যে উপকূলীয় সকল জেলায় বিদ্যুতের বিকল্প হিসেবে জেনারেটরের জন্য প্রয়োজনীয় ডিজেলের মজূদ সম্পন্ন হবে।

বিজ্ঞাপন

এছাড়া বেসরকারি মোবাইল ফোন অপারেটগুলো উপকূলীয় এলাকাগুলোতে জরুরি ব্যবস্থা নিতে শুরু করেছে।

রবির হেড অব করপোরেট অ্যান্ড রেগুলেটরি অ্যাফেয়ার্স সাহেদ আলম জানান, ফণীর প্রভাব পড়তে পারে এমন এলাকায় ইতোমধ্যে নেটওয়ার্ক বিভাগের টিম প্রস্তুত রাখা হয়েছে। বিদ্যুতের ব্যাকআপ হিসেবে অতিরিক্ত জেনারেটরের ব্যবস্থা করা হয়েছে।

‘জরুরি এই সময়ের জন্য ২০০০ জেনারেটর, ৮০০ প্রকৌশলী ও কারিগরি কর্মীকে প্রস্তুত রাখা হয়েছে’ বলেও জানান তিনি।