প্রত্যন্ত অঞ্চলে স্যাটেলাইট টিভি দেখা যাবে ডিটিএইচ-এ

  • টেক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

ডিটিএইচ / ছবি: সংগৃহীত

ডিটিএইচ / ছবি: সংগৃহীত

দেশের সবখানে এখন ডিজিটালাইজেশনের বাতাস বইছে। বাড়ছে তারহীন প্রযুক্তির ব্যবহার। কিন্তু ঘরোয়া বিনোদনের প্রধান মাধ্যম স্যাটেলাইট টেলিভিশনের সংযোগ এখনো রয়ে গেছে তিন দশকেরও পুরনো ক্যাবল নেটওয়ার্কের অধীনে।

এদিকে গত দুই দশকে নেটওয়ার্ক ও টিভি সেট প্রযুক্তিতে এসেছে অনেকগুলো বড় পরিবর্তন। প্রতিবেশী দেশ ভারতসহ সারাবিশ্বে ডিরেক্ট টু হোম (ডিটিএইচ) প্রযুক্তিতে টিভি দেখার অভিজ্ঞতাই বদলে দিয়েছে। একই সঙ্গে তারবিহীন এ প্রযুক্তি মুক্তি দিয়েছে ডিশের তারের জঞ্জাল থেকে।

বিজ্ঞাপন

সংশ্লিষ্টরা বলছেন, স্যাটেলাইট টেলিভিশন চ্যানেল সংযোগ পদ্ধতি আধুনিকায়ন না হওয়ায় একদিকে গ্রাহক মানসম্পন্ন সেবা পাচ্ছে না, অন্যদিকে আধুনিক ও স্মার্ট টিভির সত্যিকারের স্বাদ ও অভিজ্ঞতা পাচ্ছে না। আবার ক্যাবল নেটওয়ার্কের তার শহরের বাইরে প্রত্যন্ত-বিচ্ছিন্ন এলাকায় পৌঁছানো সম্ভব নয় বলে বিপুল জনগোষ্ঠী স্যাটেলাইট টেলিভিশন চ্যানেল দেখতে পারছেন না।

অবাধ তথ্য প্রবাহের এ যুগে এখনো মানুষের বিনোদন এবং তথ্য পাওয়ার প্রধানতম মাধ্যম টেলিভিশন। স্যাটেলাইট টেলিভিশনগুলো সে চাহিদা পূরণ করছে অনেক দিন ধরেই।

বিজ্ঞাপন

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, স্যাটেলাইট টেলিভিশন চ্যানেলের সুবিধা-ফিচার সর্বোচ্চ উপভোগ করার জন্য ডিটিএইচ প্রযুক্তির বিকল্প নেই। প্রচলিত ক্যাবল টিভি নেটওয়ার্কের স্থান দখল করে নিবে তারহীন এ প্রযুক্তি।

ক্যাবল লাইনের সংযোগ ছাড়াই স্যাটেলাইট টিভি দেখার উন্নত প্রযুক্তি হচ্ছে ডিটিএইচ। সরাসরি স্যাটেলাইট থেকে সংকেত গ্রহণের মাধ্যমে বিভিন্ন স্যাটেলাইট চ্যানেল দেখা যাবে ঘরের টিভিতে। ডিটিএইচ সংযোগে থাকে একটি ছোট ডিশ অ্যান্টেনা, একটি সেট টপ বক্স, একটি রিমোট এবং অন্যান্য প্রয়োজনীয় সরঞ্জামাদি।

ডিটিএই ‘র অন্যান্য সুবিধার মধ্যে রয়েছে- গ্রাহকরা নিজেদের পছন্দের চ্যানেলগুলো নিজেরাই বাছাই করতে পারবেন। ক্যাবল অপারেটরের পছন্দ অনুযায়ী চ্যানেল দেখতে হবে না। ক্যাবল সংযোগে সিগন্যাল কেটে যায় বা ব্রেক হয়, কিন্তু ডিটিএইচ প্রযুক্তিতে তা হয় না বলে বিরক্তি ছাড়াই চ্যানেলের সব অনুষ্ঠান উপভোগ করা যায়।

সংশ্লিষ্টরা বলছেন, ডিশ অপারেটররা গ্রাহক সংখ্যা কম দেখিয়ে বিপুল পরিমাণ রাজস্ব ফাঁকি দিচ্ছে। ডিজিটালাইজড বা ডিটিএইচ সেবায় প্রকৃত গ্রাহক সংখ্যা জানা যায়। ফলে এর মাধ্যমে রাজস্ব ফাঁকির পথ বন্ধ করা যায়।

বিদ্যমান ডিশ ক্যাবল সংযোগে ৭০টির বেশি চ্যানেল দেখা যায় না। অপারেটররা বিভিন্ন সময় আরও বেশি চ্যানেল দেখা যায় দাবি করলেও তা প্রকৃতপক্ষে সত্য নয়। এর বেশি চ্যানেল সংখ্যা বাড়াতে গেলে সিগন্যালের মান কমে যায়। ফলে টিভি অনুষ্ঠানের ছবি ও শব্দ অস্পষ্ট হয়ে ওঠে। অথচ ডিটিএইচে অনায়াসে কয়েকশ’ চ্যানেলের অনুষ্ঠান উপভোগ করা সম্ভব। সর্বোপরি, ডিশ ব্যবসায়ী ও কর্মীরা বাজারে মনোপলি থাকার কারণে গ্রাহক সেবায় যে অবহেলা করেন তা থেকেও মুক্তি দিবে ডিটিএইচ।