৬ মাসে গ্রামীণফোনের গ্রাহক ও আয় দুটোই বেড়েছে
এসএমপি নীতিমালা, বকেয়া পাওনা অনাদায়ে বিটিআরসি কর্তৃক ব্যান্ডউইথ কমিয়ে দেয়াসহ নানা ধরনের চ্যালেঞ্জিং পরিবেশ থাকা সত্ত্বেও ভালো প্রবৃদ্ধি করছে মোবাইল ফোন অপারেটর গ্রামীণফোন। একইসঙ্গে প্রতিষ্ঠানটির রাজস্ব আয় ও গ্রাহক সংখ্যাও বেড়েছে।
অর্ধ বার্ষিক আর্থিক প্রতিবেদন ২০১৯ এ এমন তথ্য জানিয়েছে গ্রামীণফোন।
সোমবার (১৫ জুলাই) গণমাধ্যমে পাঠানো ওই প্রতিবেদনে দেখা যায়, ২০১৯ সালের প্রথম ছয় মাসে গ্রামীণফোনের রাজস্ব আয় দাঁড়িয়েছে ৭ হাজার ৯০ কোটি টাকা যা গত বছরের একই সময়ের তুলনায় ১০ দশমিক ৬ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। একই সময়ে ৮ দশমিক ৯ শতাংশ বেড়ে মোট গ্রাহকের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৭ কোটি ৫৩ লাখ।
প্রথম ছয় মাসে প্রতিষ্ঠানটির নেটওয়ার্কে ১৩ লাখ নতুন গ্রাহক যোগ দিয়েছে যেটি ২০১৮ সালের শেষ প্রান্তিকের তুলনায় ৩ দশমিক ১ শতাংশ বেশি। একই সময়ে গ্রামীণফোন ১৬ লাখ নতুন ইন্টারনেট গ্রাহক পেয়েছে। গ্রামীণফোনের মোট গ্রাহক সংখ্যার মোট ৫২ দশমিক ৮ শতাংশ এখন ইন্টারনেট ব্যবহার করছে।
গ্রামীণফোনের সিইও মাইকেল ফোলি বলেন, “চ্যালেঞ্জিং ব্যবসায়িক পরিবেশ থাকা সত্ত্বেও ২০১৯ সালের প্রথম ছয় মাসে শক্তিশালী ফলাফল অর্জন করেছি। এ সময়ে আমরা ফোরজি নেটওয়ার্ক সম্প্রসারণ ও আধুনিকায়নে গুরুত্ব দিয়েছি। জুন মাসের শেষ নাগাদ বাংলাদেশের ৬২ শতাংশ জনসংখ্যা গ্রামীণফোনের ফোরজি নেটওয়ার্কের আওতায় এসেছে।
দ্বিতীয় প্রান্তিকে কর পরবর্তী মুনাফার পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৯৬০ কোটি টাকা যেখানে মার্জিন ২৬ দশমিক ৫ শতাংশ । শেয়ার প্রতি আয় (ইপিএস) দাঁড়িয়েছে ৭ দশমিক শূন্য ৭ টাকা।
গ্রামীণফোনের ডেপুটি সিএফও মোস্তফা আলিম আওলাদ বলেন, "গ্রামীণফোন প্রথম ছয় মাসে শক্ত মার্জিন নিয়ে উল্লেখযোগ্য ব্যবসায়িক ফলাফল অর্জন করেছে। গ্রামীণফোনের পরিচালনা পর্ষদ পরিশোধিত মূলধনের ৯০ শতাংশ অন্তর্বর্তী লভ্যাংশ ঘোষণা করেছে ।
২০১৯ দ্বিতীয় প্রান্তিকে গ্রামীণফোন ৩৮০ কোটি বিনিয়োগ করেছে । এ সময়ে প্রতিষ্ঠানটি এক হাজার ৫৬০টি নতুন ফোরজি সাইট স্থাপন করেছে এবং পাশাপাশি নেটওয়ার্ক আধুনিকায়নে অর্থ ব্যয় করেছে। গ্রামীণফোনের মোট নেটওয়ার্ক সাইটের সংখ্যা ১৬ হাজার ১৭৬। প্রতিষ্ঠানটি ভ্যাট, ট্যাক্স, ডিউটি, ফি, ফোরজি লাইসেন্স এবং স্পেকটার্ম অ্যাসাইনমেন্ট বাবদ ৪ হাজার ৯০ কোটি টাকা সরকারি কোষাগারে জমা দিয়েছে যা মোট রাজস্বের ৫৮ শতাংশ।