যে কারণে ব্যর্থ হয়েছিল উইন্ডোজ ফোন: টেরি মায়ারসন
কম্পিউটার জগতে রাজত্বকারী মাইক্রোসফট মোবাইল ফোনের বাজারে তেমন সুবিধা করতে পারেনি। আর অ্যান্ড্রয়েড অপারেতিং সিস্টেমের ভিড়ে হারিয়ে গেছে একসময়ের তৃতীয় বৃহৎ মোবাইল অপারেটিং সিস্টেম উইন্ডোজ।
উইন্ডোজ ফোনের ব্যর্থতার চারটি কারণ জানালেন নোকিয়ার একজন সাবেক ইঞ্জিয়ার টেরি মায়ারসন।
১. গুগলের অ্যান্ড্রয়েড সিস্টেমকে অবহেলা করা: যখন অ্যাপেলের আইএসও অপারেটিং সিস্টেম বাজার কাঁপাচ্ছে। অন্যদিকে গুগলের অ্যান্ড্রয়েড তাদের পথচলা শুরু করেছিল। কিন্তু তখন মাইক্রোসফট অ্যান্ড্রয়েডের কোন তোয়াক্কা করেনি। পরবর্তীতে গুগলের বেশকিছু সার্ভিস জনপ্রিয় হয়ে ওঠে। এরমধ্যে ইউটিউব, ম্যাপ, জিমেইল, ড্রাইভ সার্ভিস। কিন্তু গুগলের সৃজনশীল কৌশল ধরতে উইন্ডোজ ততক্ষণে অনেক দেরি করে ফেলেছে।
২. ব্যর্থ উইন্ডোজ-৮: মাইক্রোসফটের উইন্ডোজ-৮ ভার্সন বাজারে আসলে প্রাথমিকভাবে কিছু ত্রুটি দেখা যায়। যা উইন্ডোজ-৮ ফোনেও লক্ষ্য করা যায়।
৩. পরবর্তীতে মাইক্রোসফট ব্র্যান্ডের ইমেজ ক্রাইসিস বা সুনাম ক্ষুণ্ণ হয়। যার বিরুপ প্রভাব তরুণ প্রজন্মের মধ্যে পড়ে, তারা উইন্ডোজ ছেড়ে তখন অ্যান্ড্রয়েড এবং আইওএস কে বেছে নেয়।
৪. অ্যান্ড্রয়েড ও আইওএসের জয়জয়কার: মূলত অ্যান্ড্রয়েডের হাজারো ফ্রি অ্যাপের প্লে স্টোর আকর্ষণীয় ফিচারের জন্য ২০১৪ সালের মধ্যে অ্যান্ড্রয়েড এবং আইওএস অপারেটিং সিস্টেম ব্যবহারকারীর সংখ্যা তখন আকাশচুম্বী। অন্যদিকে উইন্ডোজ ফোনে নির্দিষ্ট কিছু অ্যাপ এবং বেশির ভাগই মাইক্রোসফট স্টোর থেকে টাকা দিয়ে কিনতে হতো। ফলে গ্রাহকরা সবাই পছন্দের শীর্ষে বেশি ফিচার থাকা সিস্টেমকেই বেছে নিয়েছে।
সূত্র: জীসমোচীনা