দেশি ল্যাপটপ যুক্তরাষ্ট্রে, আমাজনের সঙ্গে চুক্তি
এখন থেকে যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে পাওয়া যাবে দেশীয় প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান ওয়ালটন নির্মিত ল্যাপটপ। ই-কমার্স জায়ান্ট আমাজনের প্ল্যাটফরমে যুক্তরাষ্ট্রে রফতানি হবে এ ল্যাপটপ।
বৃহস্পতিবার (২২ আগস্ট) রাজধানীর ওয়ালটন করপোরেট অফিসে আমাজন ও ওয়ালটনের মধ্যে এ সংক্রান্ত এক চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়।
আমাজন বাংলাদেশের কান্ট্রি ম্যানেজার শশাংক পান্ডে এবং ওয়ালটনের নির্বাহী পরিচালক ও কম্পিউটার পণ্য বিভাগের প্রধান নির্বাহী লিয়াকত আলী নিজ নিজ প্রতিষ্ঠানের পক্ষে চুক্তিপত্রে সই করেন।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন তথ্য প্রযুক্তি (আইসিটি) বিভাগের প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক। প্রধান অতিথির বক্তব্যে পলক বলেন, ‘এটা শুধু ওয়ালটন না বরং বাংলাদেশের জন্য একটি ঐতিহাসিক দিন। ডিজিটাল বাংলাদেশের জন্য একটি ঐতিহাসিক দিন।’
তিনি আরও বলেন, ‘ওয়াল্টন এবং আমাজনের যত ধরনের সহায়তা লাগবে আমাদের তরফ থেকে সেগুলো দেওয়া হবে। কম্পিউটার তৈরিতে বিভিন্ন যন্ত্রপাতি আমদানিতে আগে উচ্চহারে শুল্ক দিতে হতো। আওয়ামী লীগ সরকার এসে প্রধানমন্ত্রীর আইসিটি উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয়ের নেতৃত্বে এই শুল্ক কমানো নিয়ে আমরা কাজ শুরু করি। এখন কম্পিউটার যন্ত্রাংশের প্রায় ৯৪টি যন্ত্রাংশ আমদানিতে কোনো ধরনের শুল্ক দিতে হয় না।
পলক বলেন, ‘আমরা এমনটা করেছি যেন ওয়ালটনের মতো আমাদের দেশীয় প্রতিষ্ঠানগুলো কম্পিউটার তৈরি করে বিশ্ব মার্কেটে নেতৃত্ব দিতে পারে। আমরা ওয়ালটনকে শুধু একটি প্রাইভেট প্রতিষ্ঠান হিসেবে না বরং দেশের গর্ব হিসেবে দেখি।’
আমাজনের কান্ট্রি ডিরেক্টর শশাংক পান্ডে বলেন, ‘এটা একটা ঐতিহাসিক দিন। এটা আমাদের জন্য একটা বড় দিন। বাংলাদেশের জন্য একটা বড় দিন। আমরা আশা করি, এর মাধ্যমে বাংলাদেশের সঙ্গে আমাদের বাণিজ্যিক সম্পর্ক আরও দৃঢ় হবে।’
ওয়ালটন হাইটেক ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের ভাইস চেয়ারম্যান এসএম শামসুল আলম বলেন, ‘বিশ্ববাজারে ওয়ালটন বাংলাদেশের প্রতিনিধিত্ব করে যাচ্ছে। খুব শিগগিরই বিশ্বের অন্যতম শীর্ষ ব্যান্ডের কাতারে আসার লক্ষ্য ওয়ালটনের। এ লক্ষ্যে সফলতার সঙ্গে এগিয়ে যাচ্ছি আমরা। বিশ্বের বড় বড় প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে আমাদের চুক্তি হচ্ছে। তারা 'মেইড ইন বাংলাদেশ' পণ্য নিতে আমাদের কাছে আসছে। এর অর্থ বাংলাদেশের উৎপাদিত ইলেকট্রনিক্স এবং আইসিটি পণ্য বিশ্বমানের।’
অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন- ওয়ালটন হাইটেক ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এসএম আশরাফুল আলম, ওয়ালটন ডিজি টেক এর চেয়ারম্যান এসএম রেজাউল আলম, আর বি গ্রুপ অব কোম্পানির ব্যবস্থাপনা পরিচালক তাহমিনা আফরোজ তান্না এবং ওয়ালটন কেমিক্যাল ইন্ডাস্ট্রিজের ব্যবস্থাপনা পরিচালক রাইসা সিগমা হিমা।