জামায়াত নেতাদের প্রার্থিতা বাতিল চায় শহীদদের সন্তানরা
আসন্ন একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বাংলাদেশ জামায়াতের ইসলামীর ২২ নেতার প্রার্থিতা বাতিল চেয়ে প্রজন্ম ৭১ এর ব্যনারে দাবি জানিয়েছেন শহীদের সন্তানরা।
শনিবার (২২ ডিসেম্বর) নির্বাচন ভবনের তারা প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কেএম নূরুল হুদার কাছে এ সংক্রান্ত একটি স্মারকলিপি জমা দিয়েছেন।
সংগঠনটির সভাপতি শাহীন রেজা নুর ও সহ-সভাপতি আসিফ মুনীর স্বাক্ষরিত স্মারকলিপিতে বলা হয়েছে-সংবিধানের সঙ্গে গঠনতন্ত্র সাংঘর্ষিক হওয়ায় জামায়াতে ইসলামীর নিবন্ধন অবৈধ ও বাতিল ঘোষণা করেছেন হাইকোর্ট।
এছাড়া ৭১ সালে দেশবিরোধী ভূমিকার জন্য জামায়াতে ইসলামীকে অপরাধী দল আখ্যায়িত করে দেশের কোনো শীর্ষপদে স্বাধীনতা বিরোধীদের থাকা উচিত নয় বলে মত জানিয়েছে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল। অথচ আমরা দেখতে পাচ্ছি একটি রাজনৈতিক জোটের অংশ হিসেবে জামায়াতে ইসলামীর ২২ নেতাকে মনোনয়ন দেওয়া হয়েছে। যেখানে ওই দলের বিভিন্ন পর্যায়ে নেতৃবর্গ ছাড়াও একাত্তরের মানবতাবিরোধী কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকার অপরাধে আন্তর্জাতিক আইন আদালতে প্রমাণিত এবং শাস্তিপ্রাপ্ত উত্তরসূরিরাও রয়েছেন। কোনোভাবেই যা আমাদের কাছে গ্রহণযোগ্য নয়। একই সঙ্গে মুক্তিযুদ্ধে স্বাধীনতা বিরোধী ভূমিকা পালনকারী যে কোনো ব্যক্তি যারা এই নির্বাচনে কোনো জোট বা রাজনৈতিক দলের মনোনয়ন নিয়ে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নেওয়ার সুযোগ পেয়েছেন, তাদের কাউকেই আমরা রাষ্ট্রীয় কোনো পদে দেখতে চাই না।
যুদ্ধাপরাধী সংগঠনের নেতাকর্মী, সে সংগঠনের আদর্শে ও দর্শনে বিশ্বাসী ব্যক্তিবর্গ এবং মুক্তিযুদ্ধের স্বাধীনতা বিরোধী ভূমিকা পালনকারী যে কোনো ব্যক্তি বাংলাদেশর আসন্ন নির্বাচনে অংশগ্রহণ করার অধিকার রহিত করা অবশ্য কর্তব্য বলে আমরা শহীদদের উত্তরসূরিরা মনে করি। এ বিষয়ে দৃঢ় পদক্ষেপ নিতে প্রধান নির্বাচন কমিশনারের কাছে উদাত্ত আহ্বান জানাচ্ছি।
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে স্মারকলিপি পাঠকারী শহীদ সন্তান তৌহিদ রেজা নূর বলেন, আমরা পর্যবেক্ষণ করছি। আমাদের দাবি জানিয়ে গেলাম। পরবর্তীতে আমরা কী পদক্ষেপ নেব, পর্যবেক্ষণ করে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
তিনি বলেন, আমরা শুধু জামায়াতে ইসলামী নয়, সকল যুদ্ধাপরাধী সংগঠনের সদস্য ও আদর্শে বিশ্বাসীদের রাষ্ট্রীয় কোনো পদে দেখতে চাইনা।
এর আগে ঘাতক দালাল নির্মুল কমিটির, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ ও গৌরব ৭১ নামের সংগঠনও জামায়াত নেতাদের প্রার্থিতা বাতিলের দাবি জানিয়েছে।
আগামী ৩০ ডিসেম্বর একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে।