সর্বোচ্চ বিশ্বকাপ ফাইনালের সাক্ষী লর্ডস



শেহজাদ আমান, কন্ট্রিবিউটর, বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম
জগদ্বিখ্যাত ও ঐতিহ্যবাহী লর্ডস ক্রিকেট গ্রাউন্ড

জগদ্বিখ্যাত ও ঐতিহ্যবাহী লর্ডস ক্রিকেট গ্রাউন্ড

  • Font increase
  • Font Decrease

‘ক্রিকেটের মক্কা’ বলে সুপরিচিত লর্ডস ক্রিকেট গ্রাউন্ড। ইংল্যান্ডের ঐতিহ্যবাহী ও নান্দনিক ক্রিকেট স্টেডিয়াম লর্ডসের সাথে জড়িয়ে আছে গুরুত্বপূর্ণ ও স্মরণীয় সব ক্রিকেটিয় ঘটনা। ব্যাটসম্যানদের মহাকাব্যিক ইনিংস ও বোলারদের বহু জাদুকরি বোলিংয়ের সাক্ষী এই লর্ডস। তেমনি সাক্ষী ক্রিকেট বিশ্বের সবচেয়ে বড় আয়োজন বিশ্বকাপ ক্রিকেটের প্রথম তিনটি ও সপ্তম আসরের ফাইনালের। এই ময়দানেই হতে যাচ্ছে বিশ্বকাপ ক্রিকেট ২০১৯-এর ফাইনাল। 

ইংল্যান্ড ও ওয়েলস ক্রিকেট বোর্ড এবং ইউরোপিয়ান ক্রিকেট কাউন্সিলের সদর দপ্তর অবস্থিত এই লর্ডসেই। ২০০৫ সাল পর্যন্ত আন্তর্জাতিক ক্রিকেট কাউন্সিলের (আইসিসি) সদর দপ্তরও ছিল এখানে। ঐতিহ্যবাহী এই স্টেডিয়ামের বয়স কম হলো না! দেখতে দেখতে হয়ে গিয়েছে ২০৫ বছর। ১৮১৪ সালে লন্ডনের সেন্ট জন উডে প্রতিষ্ঠিত হয় স্টেডিয়ামটি, এর প্রতিষ্ঠাতা থমাস লর্ডের নামে। মেরিলিবোন ক্রিকেট ক্লাবের (এমসিসি) মালিকানায় থাকা স্টেডিয়ামটি মিডলসেক্স কাউন্টি ক্রিকেট ক্লাবের বাড়ির মাঠ। তবে আজকের লর্ডস স্টেডিয়ামটি প্রতিষ্ঠাকালীন সময়কার অবস্থানে নেই। ১৭৮৭ থেকে ১৮১৪’র মধ্যকার সময়ে লর্ডের প্রতিষ্ঠা করা তিনটি ক্রিকেট মাঠের সর্বশেষটিই হলো বর্তমান জগদ্বিখ্যাত লর্ডস স্টেডিয়াম। লর্ড থমাসের বানানো দ্বিতীয় মাঠ লর্ডস মিডল গ্রাউন্ড খেলার জন্য ব্যবহার করা হতো ১৮১১ থেকে ১৮১৩’র মধ্যে, যা পরে রিজেন্ট খালের পাশে বানানো মাঠের বহিরাংশের ভেতরে নির্মাণ কাজের কারণে পরিত্যক্ত করা হয়েছিল। বর্তমান লর্ডস মাঠটি অবস্থিত এই মিডল গ্রাউন্ডের ২৫০ গজ উত্তর-পশ্চিমে। এর ধারণক্ষমতা প্রায় ৩০,০০০। তবে এর সক্ষমতা বাড়ানোর জন্য প্রস্তাব বিবেচনাধীন রয়েছে। 

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2019/Jul/13/1563006009748.jpg
লর্ডসের প্রতিষ্ঠাতা থমাস লর্ড ◢

 

লর্ডসে রয়েছে আটটি স্ট্যান্ড। প্যাভিলিয়ন থেকে ঘড়ির কাঁটার অবস্থান বিবেচনা করলে এর বাকি সাতটি স্ট্যান্ড হলো—ওয়ার্নার স্ট্যান্ড, গ্র্যান্ড স্ট্যান্ড, কম্পটন স্ট্যান্ড, মিডিয়া সেন্টার, এডরিচ স্ট্যান্ড, মাউন্ড স্ট্যান্ড, ট্যাভার্ন স্ট্যান্ড, অ্যালেন স্ট্যান্ড। বেশিরভাগ স্ট্যান্ডই অবশ্য তৈরি করা হয়েছে বিশ শতকেই। ১৯৮৭ সালে নতুন মাউন্ড স্ট্যান্ড স্যার মাইকেল হপকিন্সের নকশায় তৈরি করা হয়। এরপর ১৯৯৬ সালে নিকোলাস গ্রিমশয়ের নকশায় নির্মাণ করা হয় গ্র্যান্ডস্ট্যান্ড। ফ্লাইং সসারের মতো দেখতে মিডিয়া সেন্টারটি তৈরি হয়েছে ১৯৯৮-তে। পিচের দুই প্রান্তের একটি হলো প্যাভিলিয়ন (দক্ষিণ-পশ্চিম) এন্ড, অপরটি হলো নার্সারি এন্ড (উত্তর-পূর্ব)।

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2019/Jul/13/1563006173125.jpg
১৮৯৩ সালের লর্ডস ক্রিকেট গ্রাউন্ড ◢

 

লর্ডসের অন্যতম আকর্ষণ হলো বিখ্যাত লংরুমযুক্ত এর ভিক্টোরিয়ান যুগের প্যাভিলিয়ন। ১৮৮৯-৯০ সালের দিকে এটি নির্মিত হয় স্থপতি থমাস ভেরিটির নকশায়। অবশ্য ২০০৪-০৫-এ ৮ মিলিয়ন পাউন্ড ব্যয় করে একে নতুনরূপে সাজানো হয়েছে। প্যাভিলিয়নটি মূলত এমসিসির সদস্যদের জন্য, যারা এর সুযোগ-সুবিধাগুলো ব্যবহার করতে পারবে। এই সুবিধাগুলোর মধ্যে রয়েছে বসে ক্রিকেট খেলা দেখা এবং লংরুম ও বার ব্যবহার করা। প্যাভিলিয়নের ভেতরে ড্রেসিংরুমও আছে। আর আছে একটা ব্যালকনি, যেখানে দাঁড়িয়ে খেলোয়াড়রা খেলা দেখতে পারে। প্রধান দুটো ড্রেসিংরুমে অবস্থিত ‘অনার্স বোর্ড’, যেখানে লেখা থাকে লর্ডসের মাঠে সেঞ্চুরি পাওয়া বা পাঁচ উইকেট নেওয়া ক্রিকেটারদের নাম। বাংলাদেশের তিনজন ক্রিকেটারও এই সম্মানের অধিকারী হয়েছেন—তামিম ইকবাল, শাহাদত হোসেন ও মুস্তাফিজুর রহমান।

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2019/Jul/13/1563006276283.jpg
নান্দনিক ওয়ার্নার স্ট্যান্ড ◢

 

২০১০ সালে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে টেস্টে লর্ডসের ২০৫ বছরের ইতিহাসে টেস্ট ম্যাচে সবচেয়ে দ্রুত সেঞ্চুরি হাঁকান বাংলাদেশের বাঁ-হাতি ওপেনার তামিম ইকবাল। ক্রিকেটের মক্কায় অনন্য এক রেকর্ড আছে বাংলাদেশ দলের পেসার শাহাদাত হোসেন রাজীবেরও। ২০১০ সালে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে টেস্টে লর্ডসে নিয়েছিলেন ৫ উইকেট। ১৫৮তম বোলার হিসেবে এই কীর্তি গড়েন টাইগার পেসার। আর সম্প্রতি চলমান বিশ্বকাপ ক্রিকেটেই পাকিস্তানের বিপক্ষে লর্ডসে অনুষ্ঠিত ওয়ানডে ম্যাচে ৫উইকেট নিয়ে অনার্স বোর্ডে নাম ওঠান কাটার মাস্টার মুস্তাফিজ।

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2019/Jul/13/1563006356810.jpg
লর্ডসের শৈল্পিক ও ঐতিহ্যবাহী প্যাভিলিয়ন ◢

 

লর্ডসের অন্যতম আকর্ষণ এর সুদৃশ্য মিডিয়া সেন্টারটি। ১৯৯৯ বিশ্বকাপ ক্রিকেটের আগে নির্মিত এই স্থাপনাটি বিশ্বের সর্বপ্রথম পুরো অ্যালুমিনিয়ামের তৈরি, সেমি মনোকক ভবন। মাটির ওপর থেকে এটি ১৫ মিটার (৪৯ ফুট) উঁচু। স্থাপনাটির একমাত্র সাপোর্ট আসে এর দুটো লিফট শ্যাফটের চারপাশের কাঠামো থেকে। সেন্টারের নিচের অংশে ১০০ সাংবাদিকের পাশাপাশি বসে কাজ করার সুবন্দোবস্ত রয়েছে। এর উপরের অংশে আছে টেলিভিশন ও রেডিও কমেন্ট্রি বক্স। 

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2019/Jul/13/1563006456958.jpg
লর্ডসের অত্যাধুনিক মিডিয়া সেন্টার ◢

 

লর্ডসের অন্যতম মজাদার বিষয় হলো এর সামান্য ঢালু মাঠ। মাঠের উত্তর-পশ্চিম প্রান্ত দক্ষিণ পশ্চিম প্রান্তের চেয়ে ২.৫ মিটার উঁচু। এই ঢালের কারণে পিচের উপর পড়ার পর বলের বাউন্সে বেশ তারতম্য হয়। এই কারণে ব্যাটসম্যানদের এখানে ব্যাট করতে একটু ভিন্ন কৌশলেরই দরকার পড়ে।

লর্ডসে সাধারণত দিনের আলোতেই ম্যাচ অনুষ্ঠিত হয়, তবে ২০০৯ থেকে লর্ডসে ব্যবস্থা করা হয়েছে ফ্লাডলাইটেরও। লর্ডস ক্রিকেট গ্রাউন্ডে প্রথম খেলা হয় ২২ জুন, ১৮১৪-তে বর্তমান মেরিলেবোন ক্রিকেট ক্লাব এবং হার্টফোর্ডশায়ারের মধ্যে। ২০১৪ সালে ক্রিকেটের মক্কা ২০০ বছরে পদার্পণ করে। আর এই দুশো বছরে লর্ডসের বুকে অনুষ্ঠিত হয়েছে ক্রিকেটের সবচেয়ে পুরনো সংস্করণ টেস্টের ১০৫টি ম্যাচ। ১৮৮৪ সালের ২১ জুলাই অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ইংল্যান্ডের ম্যাচ দিয়ে এ মাঠের আন্তর্জাতিক অভিষেক হয়। এরপর একে একে ১০৫টি টেস্ট ক্রিকেটের সাক্ষী হয়েছে হোম অব ক্রিকেট ভেন্যুটি। যার শেষটি অনুষ্ঠিত হয়েছিল ২০১৮ সালের ১০ আগস্ট। ওই ম্যাচে পরস্পর মুখোমুখি হয়েছিল ইংল্যান্ড এবং ভারত। লর্ডসের মাঠের প্রথম ওয়ানডে ম্যাচটিতে ১৯৭২ সালে অস্ট্রেলিয়ার মুখোমুখি হয় স্বাগতিক ইংলিশরা। সেই থেকে এখনো পর্যন্ত ৫৬টি একদিনের আন্তর্জাতিক ক্রিকেট ম্যাচ অনুষ্ঠিত হয়েছে লর্ডস ক্রিকেট গ্রাউন্ডে, যা টেস্ট ম্যাচের তুলনায় অনেক কম। মূলত টেস্ট ক্রিকেটের ঐতিহ্য ধারণে মহাকালের সাক্ষী এই লর্ডস।

লর্ডস সম্পর্কে একটা পরিচিতি পাওয়া গেল! এবার আসুন, লর্ডসে অনুষ্ঠিত চারটি বিশ্বকাপ ক্রিকেটের ফাইনাল নিয়ে একটু আলোকপাত করা যাক।

প্রথম ফাইনাল অনুষ্ঠিত হয় ১৯৭৫’র ২১ জুন। এই ফাইনালটি ভাস্বর হয়ে আছে ওয়েস্ট ইন্ডিজের অধিনায়ক ক্লাইভ লয়েডের অসাধারণ সেঞ্চুরির ইনিংসে। ফাইনালটিতে তাদের প্রতিপক্ষ ছিল অস্ট্রেলিয়া। ৫০ রানে তিন উইকেট পড়ার পর ব্যাটিংয়ে নেমে তিনি দলকে ওই অবস্থা থেকে তুলে আনেন ১০২ রানের ইনিংসের মাধ্যমে। রোহান কানহাইয়ের সাথে মিলে গড়েন ১৪৯ রানের চতুর্থ উইকেট জুটি। এর মাধ্যমেই নির্ধারিত ৬০ ওভারে ওয়েস্ট ইন্ডিজ পায় ২৯১ রানের ভালো একটা সংগ্রহ। জবাবে ব্যাট করতে নেমে উইন্ডিজ বোলারদের নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ের মুখে ২৭৫ রানের বেশি করতে পারে না প্রতিপক্ষ অস্ট্রেলিয়া। ম্যাচটি উইন্ডিজ জিতে নেয় ১৭ রানে।

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2019/Jul/13/1563006736425.jpg
১৯৭৫ সালে প্রথম বিশ্বকাপ ক্রিকেটের ট্রফি হাতে ওয়েস্ট ইন্ডিজ দল ◢

 

দ্বিতীয় বিশ্বকাপটিও অনুষ্ঠিত হয়েছিল ইংল্যান্ডে এবং ফাইনালটি যথারীতি অনুষ্ঠিত হয় লর্ডসেই। সর্বকালের অন্যতম সেরা ব্যাটসম্যান স্যার ভিভ রিচার্ডসের কাব্যিক ১৩৮ রানের ইনিংসে ভর করে উইন্ডিজ প্রতিপক্ষ ইংল্যান্ডকে টার্গেট দেয় ২৮৭ রানের। পঞ্চম উইকেটে কলিস কিংয়ের সাথে গড়ে ওঠা ১৩৯ রানের জুটির কারণেই মূলত ভালো একটা টার্গেট দিতে পারে উইন্ডিজ। জবাবে মাইক ব্রিয়ারলি ও জেফ্রি বয়কটের শ্লথগতির ওপেনিং পার্টনারশিপ ইংলিশদের নিয়ে যায় বিনা উইকেটে ১২৯ রানে, তবে বাড়িয়ে দেয় রানরেটের চাপ। এই চাপে এবং পরে জোয়েল গার্নারের আগুন ঝড়া বোলিংয়ে ইংল্যান্ড যেতে পারে মাত্র ১৯৫ রান পর্যন্ত। ম্যাচটা ৯২ রানে জিতে টানা দ্বিতীয়বারের মতো চ্যাম্পিয়ন হয় ‘বিগ ক্যাট’ ক্লাইভ লয়েডের ওয়েস্ট ইন্ডিজ।

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2019/Jul/13/1563006821899.jpg
লর্ডসের ব্যালকনিতে ১৯৭৯ বিশ্বকাপ ক্রিকেটের ট্রফি হাতে ওয়েস্ট ইন্ডিজের খেলোয়াড়েরা ◢

 

১৯৮৩’র জুনে টানা তৃতীয়বার ইংল্যান্ডেই অনুষ্ঠিত হয় বিশ্বকাপ ক্রিকেট। যথারীতি টানা তৃতীয়বারের মতো ফাইনালে ওঠে তৎকালীন পরাশক্তি উইন্ডিজ। প্রতিপক্ষ হয় অনেককেই চমকে দিয়ে ফাইনালে ওঠা ভারত। সবাই ওয়েস্ট ইণ্ডিজকেই হ্যাট্রিক চ্যাম্পিয়ন হিসেবে দেখতে পাচ্ছিলেন। কেউই ভাবতে পারেনি ভারত ওয়েস্ট ইন্ডিজকে হারিয়ে দেবে। ভারত প্রথমে ব্যাট করে ১৮৩ রানে অলআউট হওয়ার পর তো সবাই মনে করেছিল, হেসেখেলে জিতে যাবে উইন্ডিজ। কিন্তু ক্রিকেট তো ‘গৌরবময় অনিশ্চয়তার খেলা।’ কপিল দেবের ক্ষুরধার মস্তিষ্কের অধিনায়কত্ব ও ভারতীয় বোলারদের সুনিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ে ওই রান তাড়া করতে গিয়েই ঘাম ছুটে যায় উইন্ডিজের। আর ৪০ গজ দৌঁড়ে কপিল দেবের নেওয়া ভিভ রিচার্ডের ক্যাচ ঘুরিয়ে দেয় ম্যাচের মোড়। কপিলের এই অবিশ্বাস্য ক্যাচ দলের সবার মধ্যে ছড়িয়ে দেয় অসাধারণ প্রাণশক্তি। একের পর এক উইকেট পড়তে থাকে উইন্ডিজের। তারা অলআউট হয়ে যায় ১৪০ রানেই। প্রথমবারের মতো কাপ ওঠে ভারতীয়দের হাতে।

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2019/Jul/13/1563006897073.jpg
বিশ্বকাপ ক্রিকেট ১৯৮৩-এর চ্যাম্পিয়ন ট্রফি গ্রহণ করছেন ভারতের অধিনায়ক কপিল দেব ◢

 

লর্ডসের সর্বশেষ বিশ্বকাপের ফাইনাল ছিল ১৯৯৯ সালে। ১৬ বছর পরে আবার ইংল্যান্ডে অনুষ্ঠিত এই বিশ্বকাপে ফাইনালে ওঠে অস্ট্রেলিয়া ও পাকিস্তান। একপেশে এই ফাইনালে লেগ স্পিন জাদুকর শেন ওয়ার্নের ঘূর্ণিজালে আটকা পড়ে মাত্র ১৩২ রানে অলআউট হয়ে যায় পাকিস্তান। ২৩ রানে ৪ উইকেট দখল করেন ওয়ার্ন। জবাবে, মাত্র ২ উইকেট হারিয়ে টার্গেট টপকে দ্বিতীয়বারের মতো চ্যাম্পিয়ন হয় অস্ট্রেলিয়া। বর্তমান ক্রিকেটে অস্ট্রেলিয়া যে ‘মাইটি অস্ট্রেলিয়া’ হিসেবে পরিচিত, সেটার যাত্রাশুরু ধরা হয় এই বিশ্বকাপে চ্যাম্পিয়ন হওয়ার মাধ্যমেই। 

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2019/Jul/13/1563006983573.jpg
লর্ডসের ব্যালকনিতে বিশ্বকাপ ক্রিকেট ১৯৯৯-এর চ্যাম্পিয়ন ট্রফি হাতে উল্লসিত অস্ট্রেলিয়া ক্রিকেট দল ◢

 

এই লর্ডসেই আগামীকাল অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে ২০১৯ বিশ্বকাপ ক্রিকেটের ফাইনাল। নিশ্চয়ই, স্মরণীয় আরো কিছু ক্রিকেট মুহূর্তের সাক্ষী হওয়ার জন্য অপেক্ষা করে আছে লর্ডস! 

   

বৃষ্টি নাকি ধান, কী প্রার্থনায় দেশ?



কবির য়াহমদ, অ্যাসিস্ট্যান্ট এডিটর, বার্তা২৪.কম
বৃষ্টি নাকি ধান, কী প্রার্থনায় দেশ?

বৃষ্টি নাকি ধান, কী প্রার্থনায় দেশ?

  • Font increase
  • Font Decrease

‘পথের কেনারে পাতা দোলাইয়া করে সদা সঙ্কেত/ সবুজে হদুদে সোহাগ ঢুলায়ে আমার ধানের ক্ষেত/ ছড়ায় ছড়ায় জড়াজড়ি করি বাতাসে ঢলিয়া পড়ে/ ঝাঁকে আর ঝাঁকে টিয়ে পাখিগুলে শুয়েছে মাঠের পরে/ কৃষাণ কনের বিয়ে হবে, তার হলদি কোটার শাড়ী/ হলুদে ছোপায় হেমন্ত রোজ কটি রোদ রেখা নাড়ি/ কলমী লতার গহনা তাহার গড়ার প্রতীক্ষায়/ ভিনদেশী বর আসা যাওয়া করে প্রভাত সাঁঝের নায়।’ পল্লীকবি জসীম উদদীনের ‘ধান ক্ষেত’ কবিতার অপূর্ব চিত্রায়ন কৃষকের শ্রম-ঘাম আর প্রকৃতির তরফে। কাব্যে-পঙক্তির বিমূর্ত চিত্র মূর্ত হয়েছে বিস্তীর্ণ মাঠে। কিষান-কিষানির বুক ভরা আশার সার্থক রূপায়ন হতে চলেছে এ-মৌসুমে।

এখন ভরা বৈশাখ। এ-সময়টা বোরো ধানের। বোরো ধান দেশের খাদ্যচাহিদার অন্তত ৫৫ শতাংশ মিটিয়ে থাকে। দেশের হাওরভুক্ত ৭টি জেলা সিলেট, মৌলভীবাজার, হবিগঞ্জ, সুনামগঞ্জ, কিশোরগঞ্জ, নেত্রকোনা ও ব্রাহ্মণবাড়িয়ার হাওরে এই বোরোর চাষ বেশি হয়ে থাকে। এই ধান অতিবৃষ্টি, বন্যা ও ভারতের পাহাড়ি ঢলে ক্ষতিগ্রস্ত না হলে দেশের খাদ্যচাহিদায় ঘাটতি পড়ে না। তাই এই ধান চাষ থেকে শুরু করে ঘরে ফসল তোলা পর্যন্ত অনুকূল আবহাওয়া, বিশেষ করে রোদের উপস্থিতি অতি জরুরি। বর্তমানে সে পরিস্থিতি চলছে।

সিলেট অঞ্চলের মানুষ বলে এই অঞ্চলের মানুষের চাওয়া-পাওয়া, হতাশা-উচ্চাশার সঙ্গে আমি পরিচিত। তাদেরকে উদাহরণ হিসেবে টানছি। তাদের সঙ্গে থেকে জেনেছি, বোরো মৌসুমে নির্বিঘ্নে ঘরে ফসল তোলা কতটা জরুরি। গবাদি পশুর খাদ্যনিরাপত্তা নিশ্চিতে জরুরি খড় সংরক্ষণও। তীব্র রোদ এখানে সমস্যার নয়, এটা বরং আনন্দের। কারণ এই রোদ গা পোড়ালেও বুক ভরা আশার সার্থক বাস্তবায়নের পথ দেখায়। দেশের যে খাদ্যচাহিদা, যে খাদ্যনিরাপত্তা সেটা এই বোরো ধানের ওপর অনেকাংশে নির্ভরশীল। তাই চাষ থেকে শুরু করে প্রতিটি পর্যায়ে দরকার হয় প্রকৃতির সহায়তা। এবার এখন পর্যন্ত সে সহায়তা আছে, যদিও এ মাসের শুরুর দিকে একবার ঝড়বৃষ্টিসহ শঙ্কার কালমেঘ হাতছানি দিয়েছিল। সেটা আপাতত দূরে সরেছে।

কিষান-কিষানির দরকার এখন তীব্র রোদ। তারা এটা পাচ্ছে। দেশে তীব্র তাপদাহ। এখানেও এর ব্যতিক্রম নয়। তবু তারা এই রোদের প্রার্থনায় রয়েছে। বৃষ্টি এখন তাদের কাছে দুর্যোগ-সম। কারণ এই বৃষ্টি এবং অতি-বৃষ্টিসৃষ্ট বন্যা তাদের স্বপ্নসাধ গুঁড়িয়ে ভাসিয়ে নিতে পারে সব। ২০১৭ সালের দুঃসহ স্মৃতি এখনও বিস্মৃত হয়নি সুনামগঞ্জের কৃষকেরা। সে বছর সুনামগঞ্জের ছোট-বড় ১৩৭ হাওরের ফসল বন্যায় এবার ভেসে গিয়েছিল। গতবার কৃষক নির্বিঘ্নে ফসল ঘরে তুলেছেন। এরআগের বছর অন্তত ২০টি হাওরের ফসলহানি হয়েছিল বন্যায়।

প্রকৃতির ওপর নির্ভরশীল ক্ষেতের ফসল, দেশের খাদ্যনিরাপত্তা। এখানে প্রচণ্ড তাপদাহ তাই প্রভাব ফেলে সামান্যই। রোদে পুড়ে, প্রয়োজনে ছাতা মাথায় দিয়ে কিষান-কিষানিরা স্বপ্ন তোলেন ঘরে। তারা বৃষ্টির জন্যে প্রার্থনা না করে বরং রোদ আরও কিছুদিন অব্যাহত রাখার প্রার্থনায় বসেন। কৃষকেরা পরিমিত বৃষ্টি চায় চৈত্র মাসে, বৈশাখে চায় খাঁ খাঁ রোদ্দুর, কারণ এই রোদে সোনালী ধান ঘরে ওঠে। লোককথার প্রচলিত, ধান তোলার মৌসুমে ঝড়বৃষ্টি ও প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের হাত থেকে ফসল রক্ষা করার জন্য হাওরবাসীরা তন্ত্রসাধক বা ‘হিরাল’ ও ‘হিরালি’-দের আমন্ত্রণ জানাতেন। তারা এসে মন্ত্রপাঠ করে ঝড়বৃষ্টি থামানোর জন্য চেষ্টা করতেন। লোকায়ত বিশ্বাস থেকে আগেকার মানুষজন এমন আচার পালন করতেন। এসবে সত্যি কাজ হতো কিনা সেটা বিতর্ক এবং ব্যক্তি-বিশ্বাসসাপেক্ষ, তবে এই হিরাল-হিরালিদের আমন্ত্রণ বলে বৈশাখে একদম বৃষ্টি চায় না হাওরের কৃষক।

হাওরপারের মানুষেরা যখন রোদ অব্যাহত থাকার প্রার্থনায়, তখন দেশজুড়ে তীব্র তাপদাহে পুড়তে থাকা মানুষেরা আছেন বৃষ্টিপ্রার্থনায়। দেশের জায়গায়-জায়গায় বৃষ্টি প্রার্থনায় ইস্তিস্কার নামাজ পড়া হচ্ছে, গণমাধ্যমে সচিত্র সংবাদ আসছে এর। কোথাও প্রবল বিশ্বাসে কেউ কেউ ‘ব্যাঙের বিয়ে’ দিচ্ছেন, এটাও বৃষ্টি প্রার্থনায়। সামাজিক মাধ্যমে গরমের তীব্রতার আঁচ মিলছে, বৃষ্টি নাকি ধান—কোনটা জরুরি এই প্রশ্নও তুলছেন কেউ কেউ। কেবল তাই নয়, বাংলাদেশের প্রচণ্ড তাপদাহ নিয়ে বিশ্বমিডিয়ায় খবর প্রকাশিত হয়েছে। প্রচণ্ড গরমে দেশের মানুষের দুর্ভোগ নিয়ে প্রতিবেদন করেছে দ্য নিউইয়র্ক টাইমস, বিবিসি, এএফপি ও টাইমস অব ইন্ডিয়া। গণমাধ্যমগুলো বলছে, প্রচণ্ড গরমের কারণে টানা দ্বিতীয় বছর বাংলাদেশের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো বন্ধের ঘোষণাও এসেছে। বৃষ্টি-প্রার্থনায় নামাজের আয়োজনের কথাও এসেছে বিশ্বমিডিয়ায়।

একদিকে প্রচণ্ড তাপদাহ, অন্যদিকে খাদ্যনিরাপত্তার প্রধান উপকরণ ধান ঘরে তোলার অনিশ্চয়তা—তবু অনেকের কাছে সাময়িক স্বস্তিই যেন মুখ্য। অথচ আর দিন দশেক বেরো আবাদ-এলাকায় বৃষ্টি না নামলে ধানগুলো ঘরে ওঠত কৃষকের। নিশ্চিত হতো খাদ্যনিরাপত্তার।

প্রকৃতির ওপর আমাদের হাত নেই, নিয়ন্ত্রণ নেই; তবু মনে করি আমাদের আকাঙ্ক্ষার প্রকাশে কৃষকদের গুরুত্ব থাকা উচিত। আমাদের চাওয়ায় হয়তো প্রকৃতির রীতি বদলাবে না, তুমুল রোদ্দুরের দেশে হঠাৎ বৃষ্টি নামবে না, তবে ধান ঘরে তোলার আগ পর্যন্ত রোদ্দুর কামনায় কৃষক স্বস্তি পাবে; ভাবতে পারবে এই দেশ আছে তাদের সঙ্গে।

কৃষকের জয় হোক। অন্তত বোরো-এলাকায় প্রকৃতি কৃষকের সঙ্গে থাকুক।

;

৫০ বছর আগে মহাকাশ থেকে তোলা পৃথিবীর ছবি আজও শ্রেষ্ঠ



ফিচার ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

সালটা ১৯৬৮। বিশ্বব্যাপী মানুষ মেতে উঠেছিল বড়দিনের আনন্দে। তখনো জানতো না, বড়দিন উপলক্ষে তারা একটি বিশেষ উপহার পেতে চলেছে। পৃথিবী থেকে আমরা হরহামেশাই চাঁদ দেখি। অমাবস্যা-পূর্ণিমা, এমনকি পক্ষের মাঝামাঝি সময়ের বদৌলতে নানা দৃষ্টিকোণে নানা আকারের চাঁদ দেখতে পাই। তবে চাঁদ থেকে পৃথিবী দেখতে কেমন? এরকমটা হয়তো অনেকেই ভাবেন।

নাসার মহাকাশচারীরা অ্যাপোলো ৪ এ করে তখন চাঁদের চারপাশে টহল দিচ্ছে। সেখান থেকে তারা চাঁদের বাসকারীদের দৃষ্টিতে পৃথিবী কেমন হবে তার এক নমুনা জোগাড় করেন। ক্রিসমাসের কিছুদিন আগে ক্রুরা চাঁদকে প্রদক্ষিণ করার সময় ব্যারেন লুনার হরিজোন থেকে একটি ছবি তোলে। সেখানে সুদূর মহাকাশ থেকে পৃথিবীর একটি সুন্দর দৃশ্য ধারণ করা হয়। চমৎকার সেই রঙিন ছবিটি সবকিছু পরিবর্তন করতে চলেছিল।

ছবিটি তুলেছিলেন মার্কিন নভোচারী বিল অ্যান্ডার্স এবং জিম লাভেল। ছবিটি ধারণ করার পর মহাকাশ বিজ্ঞানীরা অবাক হয়ে যান। অর্ধ শতাব্দী পার হয়ে যাওয়ার পরও এটিকে প্রকৃতির সবচেয়ে আইকনিক ছবি হিসেবে বিবেচনা করা হয়। কারণ, এটিই মহাকাশ থেকে তোলা প্রথম রঙিন এবং উচ্চ রেজুলেশনের ছবি।

১৯৭০ সালে পরিবেশ সচেতনতা এবং এই ব্যাপারে সক্রিয়তা বাড়ানোর উদ্দেশে একটি অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। সেখানে পৃথিবী দিবস প্রচারিত হওয়ার কারণে ছবিটিকে বিশেষ কৃতিত্ব দেওয়া হয়।

যুক্তরাজ্যের রয়্যাল ফটোগ্রাফিক সোসাইটির প্রোগ্রাম ডিরেক্টর মাইকেল প্রিচার্ড ছবিটিকে নিখুঁত দাবি করেন। তিনি বলেন, এই ছবিটি পৃথিবীর এমন একটি দৃষ্টিভঙ্গি প্রদান করেছিল, যা আগে কোনো ছবি করতে পারেনি। প্রকাণ্ড মহাবিশ্বে পৃথিবীর অস্তিত্ব কতটা ক্ষুদ্র গ্রহ, তা যেন চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দেয় ছবিটি।

১৯৬০ সালের পরই পৃথিবী নিয়ে দৃষ্টিভঙ্গি বদলাতে শুরু করে। ষাটের দশকের শেষভাগে যুক্তরাষ্ট্র এবং ইউরোপের মানুষ অনুধাবন করে পৃথিবীকে আজীবন একইভাবে ব্যবহার করা যাবে না। গ্রহের প্রতি আমাদের আরও অনুরাগী হতে হবে। সেই উদ্দেশে ১৯৬৯, ‘৭০ ও ‘৭১ সালে ‘ফ্রেন্ডস অব দ্য আর্থ’, মার্কিন প্রতিষ্ঠান ‘এনভায়রনমেন্টাল প্রোটেকশন এজেন্সি’ এবং ‘গ্রিনপিস’ প্রতিষ্ঠা করা হয়। এই ছবিটি প্রকাশের ১৮ মাস পর ২০ মিলিয়ন মার্কিন নাগরিক পৃথিবী রক্ষার আন্দোলনে রাস্তায় নামে।

পৃথিবী রক্ষা করার জন্য মানুষদের উৎসাহিত করার বেলায় ছবিটি অনেক বেশি প্রভাব ফেলে। এখনো অবদি মহাকাশ থেকে পৃথিবীর পাঠানো ছবিগুলোর মধ্যে ১৯৬৮ সালে বড়দিনের আগে তোলা সেই ছবিটিকে শ্রেষ্ঠ বিবেচনা করা হয়।

;

মাঝরাতে আইসক্রিম, পিৎজা খাওয়া নিষিদ্ধ করল মিলান!



ফিচার ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: স্কাই নিউজ

ছবি: স্কাই নিউজ

  • Font increase
  • Font Decrease

আইসক্রিম, পিৎজা অনেকের কাছেই ভীষণ পছন্দের খাবার। তবে ইউরোপসহ পশ্চিমা দেশগুলোতে মাঝরাতে এসব মুখরোচক খাবার ও পানীয় খাওয়ার প্রবণতা বেশি দেখা যায়। ইতালিতে জেলাটিনের তৈরি আইসক্রিম খুব বিখ্যাত। এজন্য ইতালিতে 'জেলাটো সংস্কৃতি' নামে একটা কালচার গড়ে উঠেছে। সম্প্রতি ইতালির মিলানের বাসিন্দাদের জন্য একটি নতুন আইন প্রস্তাব করা হয়েছে। প্রতিবেদন- স্কাই নিউজ।

মিলানে বসবাসকারীদের অধিকাংশই মাঝরাতে রাস্তায় ঘোরাঘুরি করে আইসক্রিম, পিৎজা, ফাষ্টফুড জাতীয় খাবার ও পানীয় পান করে থাকে। এতে করে সেখানকার এলাকাবাসীদের রাতের ঘুম বিঘ্নিত হয়। নতুন প্রস্তাবিত আইনে শহরবাসীর রাতের ঘুম নির্বিঘ্ন করতে মধ্যরাতের পর পিৎজা ও পানীয়সহ সব ধরনের টেকওয়ে খাবার নিষিদ্ধ করার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।

তবে মধ্যরাতের পর আইসক্রিম নিষিদ্ধ করার চেষ্টা এবারই প্রথম নয়। ২০১৩ সালে, তৎকালীন মেয়র গিউলিয়ানো পিসাপিয়া অনুরূপ ব্যবস্থা বাস্তবায়নের চেষ্টা করেছিলেন কিন্তু 'অকুপাই জেলাটো' আন্দোলনসহ তীব্র প্রতিক্রিয়ার পরে তিনি এ সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসেন।

এরপর আবারও মিলানে এ আইনটি প্রস্তাব করেছেন ডেপুটি মেয়র মার্কো গ্রানেল্লি। দেশটির ১২টি জেলা এই প্রস্তাবের আওতাভুক্ত হবে বলে জানিয়েছে মিলান কর্তৃপক্ষ। এ বিষয়ে মিলানের মেয়র গ্রানেল্লি বলেন, 'আমাদের লক্ষ্য হচ্ছে সামাজিকতা ও বিনোদন এবং বাসিন্দাদের শান্তি ও প্রশান্তির মধ্যে ভারসাম্য বজায় রাখা।

প্রস্তাবটি নিম্নলিখিত এলাকাগুলোতে প্রযোজ্য হবে বলে জানিয়েছে মিলান কর্তৃপক্ষ: নোলো, লাজারেটো, মেলজো, ইসোলা, সারপি, ভায়া সিজারিয়ানো, আরকো ডেলা পেস, কোমো-গাইআউলেন্টি, পোর্টা গ্যারিবল্ডি, ব্রেরা, টিসিনিজ এবং দারসেনা-নাভিগলি।

জানা যায়, প্রস্তাবটি মে মাসের মাঝামাঝি থেকে কার্যকর থাকবে এবং নভেম্বর পর্যন্ত চলবে। এটি প্রতিদিন রাত ১২.৩০ টায় এবং সাপ্তাহিক ছুটির দিন এবং সরকারী ছুটির দিনে রাত ১.৩০ টা থেকে প্রয়োগ করা হবে। তবে এ প্রস্তাবের বিরুদ্ধে নাগরিকদের মে মাসের শুরু পর্যন্ত আপিল করার এবং আইন পরিবর্তনের পরামর্শ দেওয়ার সময় রয়েছে।

 

 

 

;

অস্ট্রেলিয়ায় নিখোঁজ কুকুর ফিরলো যুক্তরাজ্যের মালিকের কাছে



ফিচার ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

অস্ট্রেলিয়ায় ঘুরতে এসে নিখোঁজ হয় যুক্তরাজ্যের এক দম্পতির পালিত কুকুর। যুক্তরাজ্যে আসার ১৭ দিন পর মিলো নামের কুকুরটিকে ফিরে পেয়েছেন জেসন হোয়াটনাল নিক রোল্যান্ডস দম্পতি।

হোয়াটনাল এবং তার সঙ্গী নিক সম্প্রতি তাদের কুকুর মিলোকে নিয়ে অস্ট্রেলিয়ার ভিক্টোরিয়া পরিদর্শনে যান। তারা যখন সোয়ানসিতে বাড়িতে যাচ্ছিলেন তখন মেলবোর্ন বিমানবন্দরে তার হ্যান্ডলার থেকে কুকুরটি পালিয়ে যায়।

সাড়ে পাঁচ বছর বয়সী কুকুরটিকে অবশেষে মেলবোর্নের শহরতলিতে ১৭ দিন পর খুঁজে পাওয়া যায়।


হোয়াটনাল স্কাই নিউজকে বলেন, ‘মিলোকে ফিরে পাওয়াটা খুবই আশ্চর্যজনক ছিল আমার জন্য। যখন আমি আমার প্রিয় মিলোর (কুকুর) সাথে পুনরায় মিলিত হয়েছিলাম, তখন আমি কান্নায় ভেঙে পড়েছিলাম। আমার কান্না দেখে অন্যরাও কেঁদেছিল। এটি সত্যিই আবেগপ্রবণ ছিল।

তিনি আরও বলেন, বিশ্বের অন্য প্রান্তে থেকে মিলোর কথা চিন্তা করে উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েছিলাম। আমরা জানতাম না মিলো কোথায় আছে। এটি বেশ হতাশাজনক ছিল আমাদের জন্য, কিছুটা আশা হারিয়ে ফেলেছিলাম। তাকে ফিরে পাবো ভাবিনি।

মিলোকে পাওয়ার জন্য সামাজিক মাধ্যমে জানিয়েছিলাম, তখন স্বেচ্ছাসেবকদের কাছ থেকে সাহায্য আসে, তারা মিলোর সন্ধান দেয়। মিলোকে আমাদের কাছে ফিরিয়ে দেওয়ার জন্য তাদের ধন্যবাদ।

;