৭০তম জন্মবছরে কবি হাবীবুল্লাহ সিরাজীর সাক্ষাৎকার

  • মেঘদূত ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

কবি হাবীবুল্লাহ সিরাজী।

কবি হাবীবুল্লাহ সিরাজী।

ষাটের দশকের কবি হাবীবুল্লাহ সিরাজীর জন্ম ৩১ ডিসেম্বর ১৯৪৮ সালে ফরিদপুর জেলার রসুলপুর গ্রামে। ১৯৭০ সালে তিনি বাংলাদেশ প্রকৌশল ও কারিগরি বিশ্ববিদ্যালয়-ঢাকা থেকে স্নাতক সম্পন্ন করেন।

গদ্য পদ্য মিলিয়ে হাবীবুল্লাহ সিরাজীর বইয়ের সংখ্যা পঞ্চাশের বেশি। এরমধ্যে কবিতার বই ৩৫টি৷ প্রথম বই ‘কৃষ্ণপক্ষে অগ্নিকা’ প্রকাশিত হয়েছিল ১৯৭৩ সালে। কবি হিসেবেই পরিচিত হাবীবুল্লাহ সিরাজীর প্রথম বইটি একটি উপন্যাস।

বিজ্ঞাপন

তাঁর প্রথম কবিতার বই ‘দাও বৃক্ষ দাও দিন’ প্রকাশিত হয় ১৯৭৫ সালে।

মূলত দ্বিতীয় কবিতার বই ‘মোমশিল্পের ক্ষয়ক্ষতি’ (১৯৭৭) তাঁকে কবিখ্যাতি এনে দেয়। তারপর নিয়মিত কবিতা লিখে গেছেন। পাশাপাশি শিশুদের জন্য লিখতে শুরু করেন ছড়া৷ কথাসাহিত্য দিয়ে শুরু হলেও পরবর্তী জীবনে কবিতা নিয়েই ‘সিরিয়াস’ হন হাবীবুল্লাহ সিরাজী।

বিজ্ঞাপন

 

১৯৮৮ সালে প্রকাশিত দ্বিতীয় উপন্যাস ‘পরাজয়’-এর পরে কথাসাহিত্য একরকম ছেড়ে দেন। তবে কবিতা ও সাহিত্যের নানান বিষয়ে লিখেছেন প্রবন্ধ। ২০১২ সালে বেরোয় তাঁর আত্মজৈবনিক স্মৃতিকথা ‘আমার কুমার’। শৈশবের স্মৃতি বিজড়িত ফরিদপুর জেলার কুমার নদটিকে সবসময় নিজের সঙ্গে রাখেন বলে কবির দাবি।

সাহিত্যে অবদানের জন্য ২০১৬ সালে বাংলাদেশ সরকার তাঁকে একুশে পদকে ভূষিত করে।

এর আগে ১৯৯১ সালে পান বাংলা একাডেমি সাহিত্য পুরস্কার। ১৯৮৭ সালে যশোর সাহিত্য পরিষদ পুরস্কার, ১৯৮৯ সালে আলাওল সাহিত্য পুরস্কারসহ দেশের প্রায় সবকটি গুরুত্বপূর্ণ পুরস্কারে ভূষিত এই কবি ২০১১ সালে পান ভারতের মহাদিগন্ত পুরস্কার।

কবি হাবীবুল্লাহ সিরাজী আমন্ত্রিত অতিথি হয়ে যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, কানাডা, মালয়েশিয়া ও ইরান প্রভৃতি দেশে বিভিন্ন আন্তর্জাতিক কবিতা উৎসব ও মেলায় অংশ নিয়েছেন। তাঁর লেখাপত্র ইংরেজি, ফরাসি, জার্মান, সুইডিশ, ফার্সি, হিন্দি ও উর্দুসহ বিশ্বের বিভিন্ন ভাষায় অনূদিত হয়েছে।

প্রসঙ্গত, কবি হাবীবুল্লাহ সিরাজীর সত্তরতম জন্মবছর এটি। সম্প্রতি শৈশব, বর্ণাঢ্য কবিজীবন, বাংলা কবিতার ধারাবাহিকতা ও ছন্দসহ আরো নানান বিষয়ে তাঁর মুখোমুখি হয়েছে বার্তা২৪।