জিয়া মদের লাইসেন্স দিয়েছেন, স্বীকার করলেন বিএনপি’র হারুন



সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
সংসদ অধিবেশনে বক্তব্য দিচ্ছেন বিএনপি’র সংসদ সদস্য মো. হারুনুর রশীদ, পুরনো ছবি

সংসদ অধিবেশনে বক্তব্য দিচ্ছেন বিএনপি’র সংসদ সদস্য মো. হারুনুর রশীদ, পুরনো ছবি

  • Font increase
  • Font Decrease

জাতীয় সংসদ ভবন থেকে: এত দিন সরকারের সর্বোচ্চ মহল থেকে বলা হচ্ছিল, এই দেশে মদ-জুয়ার লাইসেন্স দিয়েছে বিএনপি’র প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমান। এমনকি কয়েক দিন আগে বাজেট বক্তৃতায় সাবেক কৃষিমন্ত্রী বেগম মতিয়া চৌধুরীও বিষয়টি উত্থাপন করেন। তবে এবার সেই কথা স্বীকার করলেন খোদ বিএনপি’র সংসদ সদস্য ও যুগ্ম মহাসচিব মো. হারুনুর রশীদ।

তিনি বলেছেন, জিয়াউর রহমান মদের লাইসেন্স দিয়েছেন, কিন্তু মদের লাইসেন্স কি মুসলমানদের জন্য? তার এই কথায় মদের পক্ষে সাফাই গাওয়া বলে মন্তব্য করেছেন সংসদের বিরোধী দল জাতীয় পার্টির (জাপা) সংসদ সদস্য পীর ফজলুর রহমান।

মঙ্গলবার (২৫ জুন) রাতে একাদশ জাতীয় সংসদ অধিবেশনের তৃতীয় অধিবেশনে প্রস্তাবিত ২০১৯-২০ অর্থবছরের বাজেটের ওপর সাধারণ আলোচনায় অংশ নিয়ে তিনি এই মন্তব্য করেন। মতিয়া চৌধুরীর সেদিনের বক্তব্যের পাল্টা জবাব দিতে গিয়ে হারুনুর রশীদ বলেন, জিয়াউর রহমান মদের লাইসেন্স দিয়েছেন, কিন্তু মদের লাইসেন্স কি মুসলমানদের জন্য? তখন মদের লাইসেন্স দেওয়ার ক্ষেত্রে শর্ত দেওয়া হয়েছিল।

তিনি বলেন, সংবিধানে রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম বলা হয়েছে। আবার ভেতরে বলা হয়েছে হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রিস্টান সমমর্যাদা, সমঅধিকার নিশ্চিত করবে। এই দেশে সাওতালরা তাদের বিভিন্ন আচার অনুষ্ঠানে মদ্যপান করেন, ডোমরা মদ পান করেন, সুইপাররা পান করেন। এখানে বিদেশি কর্মীরা রয়েছেন, যাদের মদ লাগত।

সরকারি দলের সংসদ সদস্যদের উদ্দেশ্যে বিএনপির এই সংসদ সদস্য বলেন, যে সমস্ত মদের লাইসেন্স দেওয়া হয়েছে, কোথাও কি দেখাতে পারবেন ওই লাইসেন্সের মধ্যে মুসলমানদের অনুমোদন দেওয়া হয়েছে? মদের লাইসেন্স দেওয়া হয়েছিল শর্ত স্বাপেক্ষে। শর্ত না থাকলে আমরা অনেকেই মদ পান করে সংসদে চলে আসতাম। তখন কোনো আইন ছিল না মদ বন্ধ করার। কেউ যদি মদ পান করে সংসদে প্রবেশ করে, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর বাহিনী আমাদের ধরে নিয়ে তার আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন।

সরকারের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, আপনারা ক্ষমতায় তো আছেন বিশ বছর ধরে। জিয়াউর রহমানের করা আইনটা কেন আপনারা বাতিল করে দেন না? এটা সংশোধন করেন না?

একাদশ সংসদ নির্বাচনের বৈধতা নিয়ে আবারও প্রশ্ন তোলেন হারুনুর রশীদ। বলেন, যে পার্লামেন্টে দাঁড়িয়ে কথা বলছি, এই সংসদ নির্বাচনে আগের রাতেই ব্যালট বাক্স ভর্তি, পরের দিন গণনা। যে কারণে এই পার্লামেন্টকে বলা হচ্ছে, মধ্যরাতের পার্লামেন্ট। নির্বাচনে ভোটাররা প্রতারিত-অপমানিত হয়েছেন। স্বচ্ছ নির্বাচনের ক্ষেত্রে সরকারের আন্তরিকতা প্রশ্নবিদ্ধ।

তিনি বলেন, চোরের মায়ের বড় গলা! যখন চুরি তরে তখন অত্যন্ত সতর্কতার সাথে চুরি করে, কারণ ধরা পড়লে উত্তম মধ্যম পড়বে, তাই সতর্ক। যে কারণে বলা হয়, চোরের দশ দিন গেরস্তের একদিন।

একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন নিয়ে দেশি-বিদেশি বিভিন্ন পত্রিকায় প্রকাশতি প্রতিবেদনের রেফারেন্স দিয়ে ভোটের অনিয়মের কথা তুলে ধরেন বিএনপির এই সংসদ সদস্য।

তিনি বলেন, নির্বাচন কমিশনের কাজ ভোটের ফলাফল সঠিকভাবে প্রকাশ করা, আমরা কি বলতে পারি, ৩০ ডিসেম্বর ইসি সেই দায়িত্ব পালন করতে পেরেছে? নির্বাচন কমিশন ব্যর্থ, অযোগ্য। কোনো সদস্য নেই, কেউ বলবে না এই কথা অসত্য।

হারুনুর রশীদ বলেন, এই সরকারের আমলে গত ১০ বছরের নিখোঁজ হয়েছে প্রায় ১২০০ মানুষ। গুম ও ক্রস ফায়ারের শিকার কতজন হয়েছেন, তা আমি জানি না।

‘অনেক মন্ত্রী বলেন, বিএনপি রাস্তায় দাঁড়াতে পারে না। আজকে বিএনপির কত নেতাকর্মী ক্রসফায়ারের শিকার হয়েছেন? বিচারবহির্ভূত হত্যার শিকার হয়েছেন? এর হিসেব চাইলে আমি স্পষ্ট দেব। আজ বিএনপি মহাসচিবের নামে ৮৪টি মামলা! অবাক লাগে, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, গায়েবি কোনো মামলা নেই, সাবেক স্পিকার জমির উদ্দীন সরকারের বয়স ৮৪ বছর, খন্দকার মাহবুবরের বয়স ৮৪ বছর, আজকে তারা নাকি হাতিরঝিলে বসে বোমা তৈরি করেছেন, নাশকতায় লিপ্ত ছিলেন! এই মামলায় উচ্চ আদালত থেকে জামিন নিতে হয়।’ 

‘স্বারষ্ট্রমন্ত্রী বলেছেন, গায়েবী মামলা বলে কিছু নেই। আমি স্বরাষ্ট্রন্ত্রীকে বলবো আপনি একটা তদন্ত কমিটি করে দেন। গত দশ বছরে বিএনপি নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে কম করে হলেও ৯০ হাজার মামলা দেওয়া হয়েছে। এই ৯০ হাজার মামলার মধ্যে অধিকাংশই ভুয়া। প্রায় ২৫ লাখ নেতাকর্মী আসামি হয়েছে। বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে তাদের গ্রেফতার করে অভিযোগ দেওয়া হয়েছে। আজকে আমাদের সংকট থেকে বেরিয়ে অসতে হবে। আজকে জাতীয় যে কৌশল তৈরী হয়েছে, এখানে কৌশলের কথা নয়। সংসদ নেতাকে পথ বের করতে হবে।’

বঙ্গবন্ধু পরিবারের হত্যাকাণ্ডের কথা তুলে ধরে তিনি বলেন, আইন দিয়ে হত্যকাণ্ডের বিচার বন্ধ করা যায় না। আমি তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি, ৭৫ সালের হত্যকাণ্ডের বিচার যারা বন্ধ করেছিল, সেটা সম্পূর্ণ কোরআনের পরিপন্থী।

তিনি বলেন, এই সরকার অদ্ভুত সরকার। কিছু দিন আগে মহাজোটে ভোট করলেন। ভোট করার পরে এখানে মহাজোটের শরিকদের বিরোধী দলে বসিয়ে দিলেন। আজকে মহাজোটের শরীকদের চেহারা কিন্তু মলিন, এটা হয় না। ছয় মাস আগে একসাথে কাজ করলাম, একসাথে ঘর করলাম, এখন আপনি বলছেন বিরোধিতা করতে, এটা কি হয়?

বিএনপি নেতা বলেন, আমরা নির্বাচনে গিয়েছি, এই নির্বাচনের মতো কোনো নির্বাচন দেখিনি। এ নির্বাচনে আমাদের ২২ জন প্রার্থী গ্রেফতার হয়েছেন, প্রায় ৪০ জন প্রার্থী আহত হয়েছেন। অতীতের কোনো নির্বাচনে এমন হয়নি। বালিশ-কাণ্ডের বালিশ মাসুদ বুয়েটের ছাত্র ছিল না, ভিপিও ছিল না। আর বিএনপির একজন ভিপি রূপপুর পারমানবিক প্রকল্পের গুরু দায়িত্ব পালন করবে, এটা কি সম্ভব?

সংসদে জনপ্রশাসনমন্ত্রী

চাকরির বয়সসীমা ৩৫ করার পরিকল্পনা নেই



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

বয়সসীমা বৃদ্ধি করা হলে বিভিন্ন পদের বিপরীতে চাকরি প্রার্থীর সংখ্যা ব্যাপকহারে বৃদ্ধি পাবে। ফলে নিয়োগের ক্ষেত্রে আরও বেশি প্রতিযোগিতা সৃষ্টি হতে পারে। এতে করে ৩০ বছরের কম বয়সী প্রার্থীদের মধ্যে হতাশার সৃষ্টি হতে পারে। তাই সরকারি চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা ৩৫ বছর করার কোনো পরিকল্পনা সরকারের নেই বলে জানিয়েছেন জনপ্রশাসন মন্ত্রী ফরহাদ হেসেন।

বুধবার (৩ জুলাই) জাতীয় সংসদে ২০২৪-২৫ অর্থবছরে বাজেট অধিবেশনে স্বতন্ত্র সংসদ সদস্য পিরোজপুর-৩ আসনের শামীম শাহনেওয়াজের লিখিত প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী এই তথ্য জানান। অধিবেশনে সভাপতিত্ব করেন স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী।

জনপ্রশাসনমন্ত্রী বলেন, আগে বিশ্ববিদ্যালয়সহ বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে বড় ধরনের সেশনজট থাকলেও বর্তমানে উল্লেখযোগ্য কোনো সেশনজট নেই বললেই চলে। শিক্ষার্থীরা ১৬ বছরে এসএসসিসহ ২৩/২৪ বছরে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি লাখ করে থাকে। চাকরিতে প্রবেশের সর্বোচ্চ বয়সসীমা ৩০ বছর হওয়ার ফলে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জনের পরও তারা চাকরিতে আবেদনের জন্য কমপক্ষে ৬/৭ বছর সময় পেয়ে থাকে। এছাড়া ৩০ বছর বয়সমীমার মধ্যে একজন প্রার্থী আবেদন করলে নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন হতে ২/১ বছর লেগে যায়। ফলে চাকরিতে যোগদানের জন্য নূন্যতম বয়স ৩০ বছর থেকে ৩৫ বছর করার যে দাবি করা হচ্ছে প্রকৃত পক্ষে তার কাছাকাছি পর্যায়ে উপনীত হয়।

পাবলিক সার্ভিস কমিশনের রিপোর্টের প্রসঙ্গ টেনে মন্ত্রী বলেন, ৪৩তম বিসিএস পরীক্ষায় বিভিন্ন স্তরে উত্তীর্ণ প্রার্থীগণের বয়স ও জেন্ডারভিত্তিক পরিসংখ্যান অনুযায়ী কম বয়সী (২৩-২৫) সুপারিশকৃত প্রার্থীর সংখ্যা সব থেকে বেশি (৩৭.৬৮%) এবং বেশি বয়সী (২৯ এর ঊর্ধ্বে) সুপারিশকৃত প্রার্থীর সংখ্যা সব থেকে কম ১.৭১%)।

মন্ত্রী আরও জানান, চাকরি থেকে অবসরের বয়সসীমা ৫৭ বছর থেকে ৫৯ বছরে উন্নীত হওয়ার বর্তমানে শূন্যপদের সংখ্যা স্বাভাবিকভাবেই কমে গেছে। এ প্রেক্ষাপটে চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা বৃদ্ধি করা হলে বিভিন্ন পদে বিপরীতে চাকরি প্রার্থীর সংখ্যা ব্যাপক হারে বৃদ্ধি পাবে। ফলে নিয়োগের ক্ষেত্রে আরো বেশি প্রতিযোগিতা সৃষ্টি হতে পারে। এতে করে যাদের বয়স বর্তমানে ৩০ বছরের ঊর্ধ্বে তারা চাকরিতে আবেদন করার সুযোগ পেলেও অনুর্ধ্ব ৩০ বছরের প্রার্থীদের মধ্যে হতাশার সৃষ্টি হতে পারে।

এসব শিক্ষার্থীদের কথা বিবেচনা করে সরকারি চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা ৩৫ বছর করার কোনো পরিকল্পনা আপাতত নেই বলে মন্ত্রী জানান।

মুহাম্মদ সাইফুল ইসলামের প্রশ্নের জবাবে পানি সম্পদ প্রতিমন্ত্রী জাহিদ ফারুক জানান, ২০০৯ সাল থেকে এ পর্যন্ত ৫৮ হাজার ১১৮ কোটি ৭৬ লাখ টাকা ব্যয়ে ১৭৮টি নদী তীর প্রতিরক্ষা প্রকল্প গ্রহণ করা হয়েছে। এর মধ্যে ১১৫টি প্রকল্পের বাস্তবায়ন ইতোমধ্যে সম্পন্ন হয়েছে। ৬৩টি প্রকল্প চলমান রয়েছে।

;

বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সম্মানি ভাতা বৃদ্ধির প্রস্তাব



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
সংসদে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক

সংসদে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক

  • Font increase
  • Font Decrease

বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সম্মানি ভাতাসহ অন্যান্য ভাতাদি বৃদ্ধির বিষয়টি বিবেচনার জন্য সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচি সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটিতে প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে। উক্ত কমিটির সভায় গৃহীত সিদ্ধান্তের প্রেক্ষিতে পরবর্তীতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে সংসদে জানিয়েছেন মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক।

মঙ্গলবার (২ জুলাই) জাতীয় সংসদে ২০২৪-২৫ অর্থবছরের বাজেট অধিবেশনে সংসদ সদস্য এম. আবদুল লতিফের লিখিত প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী এ তথ্য জানান। অধিবেশনে সভাপতিত্ব করেন স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী

মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক বলেন, বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সুযোগ-সুবিধা বৃদ্ধির জন্য সরকার প্রতিনিয়ত কাজ করে যাচ্ছে। প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনার প্রেক্ষিতে গত ২০২২-২৩ অর্থবছর থেকে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের মাসিক সম্মানি ভাতা ১২ হাজার টাকা হতে বৃদ্ধি করে ২০ হাজার টাকা হারে প্রদান করা হচ্ছে।

বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সম্মানি ভাতা বৃদ্ধি সংক্রান্ত কার্যক্রম সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচি সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির আওতাভুক্ত। উক্ত কমিটিতে ভাতা বৃদ্ধির বিষয়টি বিবেচনার জন্য প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে, বলে জানান তিনি।

;

ভাবা যায় গরুর মাংসের কেজি ৮০০ টাকা: সংসদে হাফিজ উদ্দিন



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
সংসদে জাতীয় পার্টির সংসদ সদস্য হাফিজ উদ্দিন আহম্মেদ

সংসদে জাতীয় পার্টির সংসদ সদস্য হাফিজ উদ্দিন আহম্মেদ

  • Font increase
  • Font Decrease

ভাবা যায় গরুর মাংসের কেজি ৮০০ টাকা প্রশ্ন রেখে বিরোধী দল জাতীয় পার্টির সংসদ সদস্য (ঠাকুরগাঁও-৩) হাফিজ উদ্দিন আহম্মেদ বলেছেন, নিত্যপণ্যের দামে তো মানুষের নাজেহাল অবস্থা।

মঙ্গলবার (২ জুলাই) জাতীয় সংসদে ২০২৪-২৫ অর্থবছরের বাজেট অধিবেশনে ট্যারিফ কমিশনের সংশোধনী ২০২৪ এর ওপর আলোচনায় অংশ নিয়ে তিনি এই মন্তব্য করেন। অধিবেশনে সভাপতিত্ব করেন স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী।

সংসদ সদস্য হাফিজ উদ্দিন আহম্মেদ বলেন, দ্রব্যমূল্যর দাম বেড়েই চলছে। ট্যারিফ কমিশন সেইদিকে লক্ষ্য না দিয়ে সচিবের পদবি পরিবর্তনের কথা বলছে। এতে জনগণের কি লাভ?

তিনি বলেন, সিন্ডিকেটের মাধ্যমে একশ্রেণির লোক হাজার হাজার কোটি নিয়ে যাচ্ছে সেদিকে কারো খেয়াল নাই। এক রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের অজুহাত দিয়ে ঔষুধের দাম দ্বিগুণ তিনগুণ করা হয়েছে। সেই দিকেও কারো লক্ষ্য নেই। আপনারা দ্রুত বাজার মনিটরিংয়ে গুরুত্ব দেন।

;

প্রশাসক নিয়োগের বিধান রেখে ইউনিয়ন পরিষদ বিল পাস



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
জাতীয় সংসদ/ছবি: সংগৃহীত

জাতীয় সংসদ/ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ইউনিয়ন পরিষদে প্রশাসক নিয়োগের বিধান রেখে সংসদে ‘স্থানীয় সরকার (ইউনিয়ন পরিষদ) (সংশোধন) বিল-২০২৪ পাস হয়েছে।

সোমবার (১ জুলাই) জাতীয় সংসদ অধিবেশনে স্থানীয় সরকার পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী তাজুল ইসলাম বিলটি পাসের প্রস্তাব করলে তা কণ্ঠভোটে পাস হয়। অধিবেশনে সভাপতিত্ব করেন স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী।

এরআগে, স্পিকার বিলের ওপর আনীত জনমত যাচাই-বাছাই কমিটিতে পাঠানো এবং সংশোধনী প্রস্তাবগুলো নিষ্পত্তি করেন।

বিলে বলা হয়েছে, কোনো এলাকাকে ইউনিয়ন ঘোষণার পর বা পরিষদের মেয়াদ উত্তীর্ণ হওয়ার পর কার্যাবলী সম্পাদনের জন্য সরকার একজন উপযুক্ত কর্মকর্তা বা ব্যক্তিকে প্রশাসক হিসেবে নিয়োগ করবে এবং নির্বাচিত পরিষদ গঠন না হওয়া পর্যন্ত প্রশাসক ইউনিয়ন পরিষদের সার্বিক দায়িত্ব পালন করবেন। প্রশাসক নিয়োগ হবে কেবল এক মেয়াদে ১২০ দিনের জন্য। কোনো দৈবদুর্বিপাক, অতিমারি, মহামারি ইত্যাদি বিশেষ ক্ষেত্রে নির্বাচিত পরিষদ গঠন করা সম্ভব না হলে সরকার ওই মেয়াদ যৌক্তিক সময় পর্যন্ত বাড়াতে পারবে।

বিলে বলা হয়েছে, কোনো চেয়ারম্যান বা চেয়ারম্যানের দায়িত্বপ্রাপ্ত কোনো সদস্য বা প্রশাসক যদি নির্ধারিত পদ্ধতিতে নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে দায়িত্ব হস্তান্তর করতে ব্যর্থ হন, তাহলে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা হবে। বিদ্যমান আইনে এটি ১০ হাজার টাকা। এছাড়া ইউনিয়ন পরিষদের ‘সচিব’ পদটির নাম পরিবর্তন করে ইউনিয়ন পরিষদ ‘প্রশাসনিক কর্মকর্তা’ করা হয়েছে।

বিলের আলোচনায় অংশ নিয়ে জাতীয় পার্টির হামিদুল হক খন্দকার বলেন, সম্মানিটা সম্মানজনক হওয়া উচিত। এখন সরকারি টাকা এবং ইউনিয়ন পরিষদের নিজের আয় থেকে চেয়ারম্যানের ভাতা ১০ হাজার টাকা ও সদস্যদের ভাতা ৫ হাজার টাকা দেওয়া হয়। বর্তমান বাস্তবাতায় এটি দ্বিগুণ করা উচিত। তিনি বলেন, প্রশাসক নিয়োগের বিধান আগে আইনে ছিল না। এটার সুবিধার পাশাপাশি স্বেচ্ছাচারের আশঙ্কাও আছে।

বেতন ভাতা বাড়ানোর দাবি জানিয়ে জাতীয় পার্টির সংসদ সদস্য হাফিজ উদ্দিন আহম্মেদ বলেন, চেয়ারম্যান নির্বাচনে অনেক টাকা খরচ হয়। তারা এ টাকা কিভাবে তুলবে। তখন দুর্নীতি করে। টিআর কাবিখা বিক্রি করে দেয়। এজন্য দুর্নীতি কমাতে তাদের ভাতা বাড়ানো উচিত।

স্বতন্ত্র সংসদ সদস্য পংকজ নাথ বলেন, এক জন ইউপি সদস্যকে একটি ওয়ার্ডে নির্বাচন করতে হয়, অথচ এক সংরক্ষিত মহিলা সদস্যকে তিন ওয়ার্ডে নির্বাচন করতে হয়। এতে তার অনেক বেশী খরচ ও পরিশ্রম হয়। কিন্তু তার সুযোগ সুবিধা একই। এই বৈষম্য দুর করা দরকার। ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান, সদস্য ও চৌকিদার দফাদারদের সম্মানী বাড়ানোর দাবি জানান তিনি।

স্বতন্ত্র সংসদ সদস্য গোলাম সরোয়ার বলেন, ইউপি স্থানীয় সরকারের গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ। তারা প্রত্যন্ত এলাকায় কাজ করেন। তাঁদের সম্মানি খুবই অসম্মানজনক। এটা সম্মানজনক হওয়া উচিত। প্রশাসক নিয়োগের বিষয়টি সাংঘর্ষিক বলে মন্তব্য করেন স্বতন্ত্র সংসদ সদস্য এসএম ব্রাহানী সুলতান।

জবাবে মন্ত্রী তাজুল ইসলাম বলেন, প্রশাসক নিয়োগ সাংঘর্ষিক নয়। এটা সাময়িক। নতুন ইউপি গঠনের পর এটা করতে হয়, এখানে আইনের সঙ্গে কোনো সাংঘর্ষিক নয়। আইনি জটিলতা সৃষ্টি করেও পদে থেকে যাওয়ার উদাহরণ আছে। এই বিধান এক্ষেত্রেও সহায়ক হবে। ভাতা বৃদ্ধির দাবি যৌক্তিক বলে মন্তব্য করেন তিনি।

;