জিয়া মদের লাইসেন্স দিয়েছেন, স্বীকার করলেন বিএনপি’র হারুন



সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
সংসদ অধিবেশনে বক্তব্য দিচ্ছেন বিএনপি’র সংসদ সদস্য মো. হারুনুর রশীদ, পুরনো ছবি

সংসদ অধিবেশনে বক্তব্য দিচ্ছেন বিএনপি’র সংসদ সদস্য মো. হারুনুর রশীদ, পুরনো ছবি

  • Font increase
  • Font Decrease

জাতীয় সংসদ ভবন থেকে: এত দিন সরকারের সর্বোচ্চ মহল থেকে বলা হচ্ছিল, এই দেশে মদ-জুয়ার লাইসেন্স দিয়েছে বিএনপি’র প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমান। এমনকি কয়েক দিন আগে বাজেট বক্তৃতায় সাবেক কৃষিমন্ত্রী বেগম মতিয়া চৌধুরীও বিষয়টি উত্থাপন করেন। তবে এবার সেই কথা স্বীকার করলেন খোদ বিএনপি’র সংসদ সদস্য ও যুগ্ম মহাসচিব মো. হারুনুর রশীদ।

তিনি বলেছেন, জিয়াউর রহমান মদের লাইসেন্স দিয়েছেন, কিন্তু মদের লাইসেন্স কি মুসলমানদের জন্য? তার এই কথায় মদের পক্ষে সাফাই গাওয়া বলে মন্তব্য করেছেন সংসদের বিরোধী দল জাতীয় পার্টির (জাপা) সংসদ সদস্য পীর ফজলুর রহমান।

মঙ্গলবার (২৫ জুন) রাতে একাদশ জাতীয় সংসদ অধিবেশনের তৃতীয় অধিবেশনে প্রস্তাবিত ২০১৯-২০ অর্থবছরের বাজেটের ওপর সাধারণ আলোচনায় অংশ নিয়ে তিনি এই মন্তব্য করেন। মতিয়া চৌধুরীর সেদিনের বক্তব্যের পাল্টা জবাব দিতে গিয়ে হারুনুর রশীদ বলেন, জিয়াউর রহমান মদের লাইসেন্স দিয়েছেন, কিন্তু মদের লাইসেন্স কি মুসলমানদের জন্য? তখন মদের লাইসেন্স দেওয়ার ক্ষেত্রে শর্ত দেওয়া হয়েছিল।

তিনি বলেন, সংবিধানে রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম বলা হয়েছে। আবার ভেতরে বলা হয়েছে হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রিস্টান সমমর্যাদা, সমঅধিকার নিশ্চিত করবে। এই দেশে সাওতালরা তাদের বিভিন্ন আচার অনুষ্ঠানে মদ্যপান করেন, ডোমরা মদ পান করেন, সুইপাররা পান করেন। এখানে বিদেশি কর্মীরা রয়েছেন, যাদের মদ লাগত।

সরকারি দলের সংসদ সদস্যদের উদ্দেশ্যে বিএনপির এই সংসদ সদস্য বলেন, যে সমস্ত মদের লাইসেন্স দেওয়া হয়েছে, কোথাও কি দেখাতে পারবেন ওই লাইসেন্সের মধ্যে মুসলমানদের অনুমোদন দেওয়া হয়েছে? মদের লাইসেন্স দেওয়া হয়েছিল শর্ত স্বাপেক্ষে। শর্ত না থাকলে আমরা অনেকেই মদ পান করে সংসদে চলে আসতাম। তখন কোনো আইন ছিল না মদ বন্ধ করার। কেউ যদি মদ পান করে সংসদে প্রবেশ করে, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর বাহিনী আমাদের ধরে নিয়ে তার আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন।

সরকারের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, আপনারা ক্ষমতায় তো আছেন বিশ বছর ধরে। জিয়াউর রহমানের করা আইনটা কেন আপনারা বাতিল করে দেন না? এটা সংশোধন করেন না?

একাদশ সংসদ নির্বাচনের বৈধতা নিয়ে আবারও প্রশ্ন তোলেন হারুনুর রশীদ। বলেন, যে পার্লামেন্টে দাঁড়িয়ে কথা বলছি, এই সংসদ নির্বাচনে আগের রাতেই ব্যালট বাক্স ভর্তি, পরের দিন গণনা। যে কারণে এই পার্লামেন্টকে বলা হচ্ছে, মধ্যরাতের পার্লামেন্ট। নির্বাচনে ভোটাররা প্রতারিত-অপমানিত হয়েছেন। স্বচ্ছ নির্বাচনের ক্ষেত্রে সরকারের আন্তরিকতা প্রশ্নবিদ্ধ।

তিনি বলেন, চোরের মায়ের বড় গলা! যখন চুরি তরে তখন অত্যন্ত সতর্কতার সাথে চুরি করে, কারণ ধরা পড়লে উত্তম মধ্যম পড়বে, তাই সতর্ক। যে কারণে বলা হয়, চোরের দশ দিন গেরস্তের একদিন।

একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন নিয়ে দেশি-বিদেশি বিভিন্ন পত্রিকায় প্রকাশতি প্রতিবেদনের রেফারেন্স দিয়ে ভোটের অনিয়মের কথা তুলে ধরেন বিএনপির এই সংসদ সদস্য।

তিনি বলেন, নির্বাচন কমিশনের কাজ ভোটের ফলাফল সঠিকভাবে প্রকাশ করা, আমরা কি বলতে পারি, ৩০ ডিসেম্বর ইসি সেই দায়িত্ব পালন করতে পেরেছে? নির্বাচন কমিশন ব্যর্থ, অযোগ্য। কোনো সদস্য নেই, কেউ বলবে না এই কথা অসত্য।

হারুনুর রশীদ বলেন, এই সরকারের আমলে গত ১০ বছরের নিখোঁজ হয়েছে প্রায় ১২০০ মানুষ। গুম ও ক্রস ফায়ারের শিকার কতজন হয়েছেন, তা আমি জানি না।

‘অনেক মন্ত্রী বলেন, বিএনপি রাস্তায় দাঁড়াতে পারে না। আজকে বিএনপির কত নেতাকর্মী ক্রসফায়ারের শিকার হয়েছেন? বিচারবহির্ভূত হত্যার শিকার হয়েছেন? এর হিসেব চাইলে আমি স্পষ্ট দেব। আজ বিএনপি মহাসচিবের নামে ৮৪টি মামলা! অবাক লাগে, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, গায়েবি কোনো মামলা নেই, সাবেক স্পিকার জমির উদ্দীন সরকারের বয়স ৮৪ বছর, খন্দকার মাহবুবরের বয়স ৮৪ বছর, আজকে তারা নাকি হাতিরঝিলে বসে বোমা তৈরি করেছেন, নাশকতায় লিপ্ত ছিলেন! এই মামলায় উচ্চ আদালত থেকে জামিন নিতে হয়।’ 

‘স্বারষ্ট্রমন্ত্রী বলেছেন, গায়েবী মামলা বলে কিছু নেই। আমি স্বরাষ্ট্রন্ত্রীকে বলবো আপনি একটা তদন্ত কমিটি করে দেন। গত দশ বছরে বিএনপি নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে কম করে হলেও ৯০ হাজার মামলা দেওয়া হয়েছে। এই ৯০ হাজার মামলার মধ্যে অধিকাংশই ভুয়া। প্রায় ২৫ লাখ নেতাকর্মী আসামি হয়েছে। বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে তাদের গ্রেফতার করে অভিযোগ দেওয়া হয়েছে। আজকে আমাদের সংকট থেকে বেরিয়ে অসতে হবে। আজকে জাতীয় যে কৌশল তৈরী হয়েছে, এখানে কৌশলের কথা নয়। সংসদ নেতাকে পথ বের করতে হবে।’

বঙ্গবন্ধু পরিবারের হত্যাকাণ্ডের কথা তুলে ধরে তিনি বলেন, আইন দিয়ে হত্যকাণ্ডের বিচার বন্ধ করা যায় না। আমি তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি, ৭৫ সালের হত্যকাণ্ডের বিচার যারা বন্ধ করেছিল, সেটা সম্পূর্ণ কোরআনের পরিপন্থী।

তিনি বলেন, এই সরকার অদ্ভুত সরকার। কিছু দিন আগে মহাজোটে ভোট করলেন। ভোট করার পরে এখানে মহাজোটের শরিকদের বিরোধী দলে বসিয়ে দিলেন। আজকে মহাজোটের শরীকদের চেহারা কিন্তু মলিন, এটা হয় না। ছয় মাস আগে একসাথে কাজ করলাম, একসাথে ঘর করলাম, এখন আপনি বলছেন বিরোধিতা করতে, এটা কি হয়?

বিএনপি নেতা বলেন, আমরা নির্বাচনে গিয়েছি, এই নির্বাচনের মতো কোনো নির্বাচন দেখিনি। এ নির্বাচনে আমাদের ২২ জন প্রার্থী গ্রেফতার হয়েছেন, প্রায় ৪০ জন প্রার্থী আহত হয়েছেন। অতীতের কোনো নির্বাচনে এমন হয়নি। বালিশ-কাণ্ডের বালিশ মাসুদ বুয়েটের ছাত্র ছিল না, ভিপিও ছিল না। আর বিএনপির একজন ভিপি রূপপুর পারমানবিক প্রকল্পের গুরু দায়িত্ব পালন করবে, এটা কি সম্ভব?

   

নির্বাচন কমিশন গঠনে পরিপূর্ণ আইনের প্রস্তাব



সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

নির্বাচন কমিশন গঠন করতে পরিপূর্ণ আইন করার প্রস্তাব দিয়েছেন জাতীয় পার্টির সংসদ সদস্য মুজিবুল হক চুন্নু। তিনি বলেন, 'নির্বাচন কমিশন নিয়োগের জন্য সংবিধানে নির্দেশনা আছে। সেই নির্দেশনাকে ফলো করে একটা পরিপূর্ণ আইন করতে পারি কি না?'

বৃহস্পতিবার (১৬ সেপ্টেম্বর) সকালে একাদশ জাতীয় সংসদ অধিবেশনের চতুর্থদশ অধিবেশনে জাতীয় আর্কাইভ বিল পাসের আগে জনমত যাচাই বাছাইয়ের প্রস্তাবের আলোচনায় অংশ নিয়ে সাবেক এই প্রতিমন্ত্রী এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, 'আমি সরকারের কাছে প্রস্তাব করব। সংসদ নেতা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী যদি আপনার আইনমন্ত্রী না আনতে চান, আমাকে নির্দেশ দেন আমি একটা রেডি করছি বেসরকারি বিল এটা উত্থাপন করব।'

সাবেক এই প্রতিমন্ত্রী বলেন, 'এই সংসদের (অধিবেশনের) পর পরবর্তী অধিবেশন বসবে শীতকালীন অধিবেশন সম্ভবত। আমাদের নির্বাচন কমিশনের মেয়াদ শেষ হয়ে যাবে ফেব্রুয়ারি মাসে। তাই আপনার মাধ্যমে সংসদ নেত্রীকে বলব মাননীয় প্রধানমন্ত্রী এই নির্বাচন কমিশন গঠন নিয়ে অনেক প্রশ্ন আছে, অনেক আপত্তি আছে, অনেক আলোচনা হয়েছে।'

'তাই সংবিধানের নির্দেশনার আলোকে নির্বাচন কমিশন নিয়োগের জন্য যে নির্দেশনা আছে, সেই নির্দেশনাকে ফলো করে একটা পরিপূর্ণ আইন করতে পারি কি না? আমি সরকারের কাছে প্রস্তাব করব সংসদ নেতা যদি আপনার আইনমন্ত্রী না আনতে চান, আমাকে নির্দেশ দেন। আমি একটা রেডি করছি বেসরকারি বিল।' যোগ করেন চুন্নু।

তিনি বলেন, 'এছাড়া আমার একটা বিল ছিল সুপ্রিম কোর্টের বিচারক নিয়োগ নিয়ে। আমি চিঠি পেয়েছিলাম বেসরকারি দিবসে আসবে, আসে নাই। ভেবেছিলাম আজকে আসবে, আসনে নাই।'

এ সময় স্পিকার বলেন, আসবে। আগামী অধিবেশনে দেখব।

;

জিয়ার লাশ নিয়ে খালেদার প্রশ্ন করা উচিত: সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী



সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

চন্দ্রিমা উদ্যানে বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের লাশ আছে কি না সেটি খালেদা জিয়ারই প্রশ্ন করা উচিত বলে মনে করেন সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রী কে এম খালিদ।

বিএনপির হারুনুর রশীদের বক্তব্যের জবাবে প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘ইতিহাস বিকৃতির কথা বলেন, এই সংসদ লুই আই কানের নকশা, সেই নকশায় কোন জায়গায় বলা আছে যে চন্দ্রিমা উদ্যানে গিয়ে আপনাদের নেতার লাশ দাফন করতে হবে। ওখানে তার লাশ আছে কি না সেটি নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে, কবর আছে কি না? বেগম জিয়া স্বামী ভেবে কাকে পুষ্প দিয়ে শ্রদ্ধা জানান তারই উচিত এই প্রশ্ন করা যে আমার স্বামী আদৌ এখানে আছে কি না?'

বৃহস্পতিবার (১৬ সেপ্টেম্বর) একাদশ জাতীয় সংসদের চতুর্থদশ অধিবেশনে জাতীয় আর্কাইভ বিল পাসের আগে জনমত যাচাই ও বাছাই কমিটিতে প্রেরণের আলোচনায় প্রতিমন্ত্রী একথা বলেন। এর আগে স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে দিনের কার্যসূচি শুরু হয়।

সংস্কৃতি বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী বলেন, 'এই বিল আনার পর আর্কাইভসে ১৯০৫ সালের বঙ্গভঙ্গ থেকে তথ্য উপাত্ত সংগ্রহ করতে গিয়ে দেখি বঙ্গবন্ধু হত্যা করার পর জিয়াউর রহমান যতদিন ক্ষমতায় ছিলেন বাংলার বাণির কোনো কপি আর্কাইভসে নেই।'

তিনি বলেন, 'বাংলার বাণি ছিল আমাদের প্রতীক। আমাদের দলের প্রতীক, স্বাধীনতা যুদ্ধের প্রতীক। প্রতিবাদ করেছিল বলে তারা তাদের শাসনামলে সেখান থেকে সরিয়ে নিয়েছে। বহু তথ্য উপাত্ত তারা সরিয়ে নিয়ে গেছে।'

বিএনপি দলীয় সংসদ সদস্য হারুনুর রশীদকে উদ্দেশ্যে করে প্রতিমন্ত্রী বলেন, 'ইতিহাস বিকৃতির কথা বলেন? এই সংসদে লুই আই কানের নকশা জিজাইনে কোন জায়গায় বলা আছে যে চন্দ্রিমা উদ্যানে গিয়ে আপনাদের নেতার লাশ দাফন করতে হবে? ওখানে তার লাশ আছে কি না সেটি নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে, কবর আছে কি না? বেগম জিয়া স্বামী ভেবে কাকে পুষ্প দিয়ে শ্রদ্ধা জানান তারই উচিত এই প্রশ্ন করা যে আমার স্বামী আদৌ এখানে আছে কি না? বিজ্ঞান ভিত্তিক তথ্য উপাত্তের ভিত্তিতে উনারই নির্ণয় করা উচিত।'

বিএনপি দলীয় সংসদ সদস্য রুমিন ফারহানার উদ্দেশ্যে করে নাম উল্লেখ না করে প্রতিমন্ত্রী বলেন, 'জন্মের পর মুখে কিছু মধু দেয় আমাদের সমাজে এটিই প্রচলিত। কারো কারো মুখে সেই মধু মনে হয় তাদের পিতা মাতা দিতে ভুলে গিয়েছিলেন যে কারনে তারা মধু পান না। অন্তত একজন বক্তার ব্যাপারে আমি নিশ্চিত করে বলতেই পারি।'

প্রতিমন্ত্রী বলেন, 'ভালো সবকিছুই আমরা গ্রহণ করি। অসত্য মিথ্যার উপর দাঁড়িয়ে থেকে ইতিহাস সৃষ্টির কথা যারা বলেন। এই মাত্রা একজন সংসদ সদস্য বললেন যে সঠিক ইতিহাস লিখতে নাকি শত বছর লাগে। তাহলে মৃত্যুর ৪০ বছর পর যদি সঠিক ইতিহাস বেরিয়ে আসে সমস্যাটা কোথায়? মৃত্যুর পরে সঠিক ইতিহাস বেরি আসতে সমস্যাটা কোথায়? জিয়াউর রহমান সাহেবের লাশ আছে কি নাই এটা প্রমাণ করতে সমস্যাটা কি আপনাদের? এটি বিজ্ঞান ভিত্তিক প্রমাণের ব্যবস্থা আছে। আপনারাই একটি কমিটি করেন সরকার সহযোগিতা করবে সত্য উৎঘাটন করার জন্য। এতে ভয়ের কি আছে? আসেন। আপনাদের দলনেত্রীকে বলেন যদিও তিনি সাজাপ্রাপ্ত। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর অনুকম্পা নিয়ে এখন সাজা স্থগিত করে বাড়িতে বসবাস করছেন। তারপরও আইনে যদি সুযোগ থাকে তারই নেতৃত্বে একটা কমিটি করেন, অসুবিধা কোথায়? আমরা তো চাই সঠিক ইতিহাস লেখবার জন্য।'

;

শপথ নিলেন হাবিব হাসান



সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

সংসদ সদস্য হিসেবে শপথ নিলেন মোহাম্মদ হাবিব হাসান। মঙ্গলবার (২৪ নভেম্বর) বিকেলে সংসদের শপথ কক্ষে স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী তাকে শপথ বাক্য পাঠ করান।

একাদশ জাতীয় সংসদের উপ-নির্বাচনে ঢাকা-১৮ আসন থেকে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ মনোনীত নবনির্বাচিত সংসদ সদস্য মোহাম্মদ হাবিব হাসান প্রথম বারেরমতো সংসদ সদস্য হওয়ার গৌরব অর্জন করেন।

জাতীয় সংসদ সচিবালয়ের সিনিয়র সচিব ড. জাফর আহমেদ খান শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন।

শপথ অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ জাতীয় সংসদের ডেপুটি স্পিকার মো. ফজলে রাব্বী মিয়া, চীফ হুইপ নূর-ই-আলম চৌধুরী ও হুইপ ইকবালুর রহিম উপস্থিত ছিলেন।

শপথ গ্রহণ শেষে মোহাম্মদ হাবিব হাসান রীতি অনুযায়ী শপথ বইয়ে স্বাক্ষর করেন।

উল্লেখ্য, ৯ জুলাই ২০২০ তারিখে ১৯১ ঢাকা ১৮ আসনের সংসদ সদস্য সাহারা খাতুন-এর মৃত্যুজনিত কারণে ১২ নভেম্বর ২০২০ তারিখে উপ-নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়।

;

শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খুলে দেয়া উচিত: সংসদে জিএম কাদের



সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ রেখে অটো পাস দেওয়ার সমালোচনা করেছেন সংসদের বিরোধী দলীয় উপনেতা জাতীয় পার্টির কো-চেয়ারম্যান গোলাম মোহাম্মদ কাদের। তিনি বলেছেন, অফিস-আদালত, মিল-কারখানা, দোকানপাট, যানবাহন, হাটবাজার কোনো কিছুই বন্ধ রাখা হচ্ছে না। শুধু শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকে বন্ধ রাখার যৌক্তিকতা দেখি না। আমি মনে করি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়া উচিত।

বৃহস্পতিবার (১৯ নভেম্বর) রাতে একাদশ জাতীয় সংসদের দশম অধিবেশনের সমাপনী ভাষণে বিরোধী দলীয় উপ নেতা এ কথা বলেন।

স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে সংসদ অধিবেশনে জিএম কাদের বলেন, কোভিড-১৯ প্রাদুর্ভাবে গত মার্চ থেকে অদ্যবদি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো বন্ধ এবং অটো পাস সিস্টেম চালু করা হয়েছে। কিন্তু আমরা যখন দেখছি যে অফিস, আদালত, মিল-কারখানা, দোকানপাট, যানবাহন, হাটবাজার কোন কিছুই বন্ধ রাখা হচ্ছে না। যানবাহনে সবখানে আমরা এক সাথেই ঘোরাফেরা করছি। শুধু শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকে বন্ধ রাখার যৌক্তিকতা দেখি না। শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়া উচিত।

তিনি বলেন, শিক্ষার মতো মৌলিক গুরুত্বপূর্ণ কার্যক্রম বন্ধ রাখার নামে ব্যহত করা হচ্ছে দেশ ও জাতির ভবিষ্যৎ। এটা কখনই মঙ্গলজনক নয়। পরীক্ষা কার্যক্রম বন্ধ রেখে সবাইকে অটো পাস দেওয়া এতে মেধাবী ছাত্রদের প্রতি অবিচার করা হচ্ছে। কাজেই বিষয়টি বিবেচনা করা উচিত যে যারা অনুপস্থিত থাকতে চান তাদের সেই সুযোগ দেওয়া উচিত।

তিনি আরো বলেন, যারা অটো পাস চান তাদের অটো পাসের সুযোগ দেওয়া উচিত। কিন্তু যারা ক্লাস করতে চান তাদের জন্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়া উচিত এবং যারা পরীক্ষা দিতে চান তাদের পরীক্ষার সুযোগ দেওয়া উচিত। এটাকে ম্যানেজ করা খুব কঠিন ব্যাপার নয়। শিক্ষা মন্ত্রণালয় একটু চেষ্টা করলে করতে পারে। আমি মনে করি এতো সহজভাবে সবকিছু ছেড়ে দেওয়া উচিত হবে না। কারণ আমাদের দায় দায়িত্ব আছে ভবিষ্যৎ প্রজন্মের কাছে।

;