দখল আর দূষণের কবলে নরসিংদীর নদ-নদী



শরীফ ইকবাল, ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম, নরসিংদী
দখল হয়ে যাচ্ছে অন্যতম বৃহৎ এসব নদ-নদী, ছবি: বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম

দখল হয়ে যাচ্ছে অন্যতম বৃহৎ এসব নদ-নদী, ছবি: বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

নরসিংদী জেলার চারদিক থেকে ঘিরে রেখেছে শীতলক্ষ্যা ও মেঘনা নদী। এর শাখা নদীগুলোর মধ্যে- ব্রহ্মপুত্র, আড়িয়াল খাঁ, হাড়ি-দোয়া নদী, পাহাড়িয়া, পুরাতন ব্রহ্মপুত্র অন্যতম। এসব নদ-নদীকে ঘিরেই গড়ে উঠছে নরসিংদীর শিল্পাঞ্চল। কিন্তু দখল আর দূষণে বর্তমানে অস্তিত্ব হারাতে বসেছে এসব নদ-নদী।

জানা গেছে, নদীপথে যাতায়াতের সহজলভ্যতার কথা চিন্তা করে পাড় ঘেঁষে গড়ে উঠেছে অসংখ্য ছোট বড় কারখানা। ফলে এই কারখানার বর্জ্য ও কেমিক্যাল মিশ্রিত পানি নদীতে মিশে ভরাট হচ্ছে। আর বর্ষা মৌসুমে নদীগুলো পানিতে থৈ থৈ করলেও অন্য সময়ে পানি অনেক কম থাকে।

কারখানার বর্জ্য মিশে নদীর পানি দূষিত হচ্ছে

 

জানা গেছে, এসব নদী দিয়ে এক সময় বড় বড় জাহাজ আর পাল তোলা নৌকা চলতো। ব্যবসায়ীরা বাণিজ্য করতে নরসিংদীতে ছুটে আসতেন নদীপথেই। সেই থেকে নরসিংদীর এসব নদীর তীরে বিভিন্ন শিল্প প্রতিষ্ঠান গড়ে উঠতে থাকায় নদী সংকুচিত হতে থাকে। ফলে এখন বছরের বেশির ভাগ সময়ই নদীতে পর্যাপ্ত পানি না থাকায় নৌকাও চলে না। তাছাড়া কারখানার বর্জ্য মিশে নদীর পানি দূষিত হচ্ছে। ফলে বর্ষা মৌসুমেও পানিতে দ্রবীভূত অক্সিজেনের (ডিও) মাত্রা কম থাকে। এ কারণে এই নদীতে মাছ বাঁচে না।

 

সরেজমিনে দেখা গেছ, শিবপুর উপজেলার বড়ই তলা এলাকায় কয়েকটি কারখানার বর্জ্য গজারিয়া ব্রিজের নিচ দিয়ে যাওয়া আন্ডারলাইন দিয়ে হাড়িধোঁয়া নদে পরে। এছাড়া নরসিংদীর সর্ববৃহৎ শিল্পনগরী বিসিক (আমতলা) এলাকার একটি গার্মেন্টসসহ শতাধিক শিল্পের বর্জ্য দড়িচর ব্রিজের পাশ দিয়ে নদীতে পড়ে। আর ভেলানগর ব্রিজের নীচ দিয়ে হাড়িধোঁয়ায় পরে বেশ কয়েকটি কারখানার বর্জ্য। ঘোড়াদিয়া ব্রিজ, হাজিপুর ব্রিজের নিচ দিয়ে বেশ কয়েকটি কারখানার বর্জ্য এ নদে এসে মিলিত হয়। এছাড়া শীতলক্ষ্যার পানিতে সার কারখানার ক্যামিকেল ও তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের গরম পানি পড়ায় মাছ বাঁচতে পারে না।

নরসিংদী পানি উন্নয়ন বোর্ডের তথ্য মতে, নরসিংদী শহরের উত্তর পাশ দিয়ে প্রবাহিত ৪০ কিলোমিটার দীর্ঘ নদের ডিওর মান কমেছে। ফলে শিল্প প্রতিষ্ঠানের অপরিকল্পিত বর্জ্য ও কেমিকেল মিশ্রিত পানি নিয়ন্ত্রণ করে ডিওর মান উন্নয়ন করা সম্ভব। গত মে ও জুনে ডিওর মাত্রা ছিল শূন্য দশমিক ৮/৯ মিলিগ্রাম/লিটার, জুলাইয়ে ২ দশমিক ১/২ এবং আগস্টে ২ দশমিক ৪ মিলিগ্রাম/লিটার।

নরসিংদী সরকারি কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ প্রফেসর গোলাম মোস্তাফা মিয়া জানান, জনসংখ্যার আধিক্য, অবকাঠামোগত উন্নয়ন, অপরিকল্পিত বর্জ্য ব্যবস্থাপনা, পরিবেশ বিষয়ে অসচেতনতা, অপর্যাপ্ত পানিপ্রবাহসহ জলবায়ু পরিবর্তনজনিত কারণে ঐতিহ্যবাহী নদ-নদীগুলোতে দূষণের মাত্রা বাড়ছে।

একই কলেজের প্রাণীবিদ্যা বিভাগের সহকারী অধ্যাপক আব্দুল মান্নান জানান, পরিবেশ সংরক্ষণ আইন অনুযায়ী, মৎস্য ও জলজ প্রাণীর জীবনধারণের জন্য পানিতে দ্রবীভূত অক্সিজেন প্রতি লিটারে ৫ মিলিগ্রাম বা এর বেশি থাকা প্রয়োজন। এরনিচে হলে প্রাণি বা কোনও উদ্ভিদ বেঁচে থাকার সম্ভাবনা খুবই কম।

তিনি আরও জানান, পানিতে ডিওর মাত্রা প্রতি লিটারে ৫ মিলিগ্রামের নিচে নেমে গেলে পানিতে শৈবাল জাতীয় উদ্ভিদ জন্মায় না। আর ৮০ ভাগ মাছ শৈবাল জাতীয় উদ্ভিদের ওপর নির্ভরশীল। তাই ডিওর মান কম হলে ছোট ছোট মাছ মারা যায়। ফলে প্রাণীবৈচিত্র্য নষ্ট হয়ে যায়। হাড়িধোয়া নদে বছরের বেশির ভাগ সময়ই দ্রবীভূত অক্সিজেনের পরিমাণ খুবই কম থাকে। বর্ষায় কিছুটা বাড়লেও তাতে কিছু শৈবাল, ব্যাকটেরিয়া ও কই, টাকি প্রজাতির মাছ ছাড়া অন্য কোনও মাছ ও জলজ প্রাণীর বেঁচে থাকার সম্ভাবনা নেই।

নরসিংদী পরিবেশ আন্দোলন (আপন) এর সভাপতি মইনুল ইসলাম মীরু জানান, নদ-নদীর দূষণ আর দখল নিয়ে একাধিকবার মানববন্ধন, সভা, সেমিনার ও প্রচারণা চালানো হয়েছে। কিন্তু প্রশাসন দৃশ্যমান কোনও পদক্ষেপ নেয়নি। উল্টো অনেকে প্রাণনাশের হুমকি দিয়েছেন।

নরসিংদীর ১০০ শয্যা হাসপাতালের মেডিকেল অফিসার ডা. একরামুল ইসলাম শামীম জানান, নদীর দূষিত পানিতে নামলে শরীরে খাঁজলী, পাচড়া, চর্মসহ বিভিন্ন রকমের রোগ দেখা দিতে পারে।

নরসিংদী পানি উন্নয়ন বোর্ড থেকে পাওয়া তথ্য মতে, মেঘনা নদীটির ৪৫ কিলোমিটার নরসিংদীর ওপর দিয়ে বয়ে গেছে। এরমধ্যে ভৈরব ও নরসিংদী অংশে নদীটির প্রস্থ হচ্ছে ১৫শ’ মিটার ও গভীরতা ২৫ মিটার। বর্ষাকালে এই নদী দিয়ে প্রতি সেকেন্ডে ১৬ হাজার ৫৬৮ ঘনমিটার পানি প্রবাহিত হয়। শুষ্ক মৌসুমে প্রবাহিত হয় ১০৫ ঘনমিটার।

আর মেঘনার নরসিংদী অঞ্চলের একটি বিরাট অংশ দখল করে আছে প্রভাবশালীরা। এদের কেউ কেউ রাজনৈতিক ছত্রছায়ায় আবার কেউবা সরাসরি রাজনীতি করার কারণে তাদের বিরুদ্ধে মুখ খুলতে সাহস পাননা। প্রভাবশালীরা মেঘনার একটি অংশ দখল করে গাছের ডালপালা ও বাঁশের কঞ্চি ফেলে মাছের ঘের তৈরি করে। ফলে নদীপথে নৌকা, লঞ্চ, স্পিডবোটসহ অন্যান্য নৌযান চলাচলে ব্যাঘাত ঘটে। তাছাড়া নদীর দুই তীরের জেলে পরিবারে নেমে এসেছে দুর্ভোগ।

পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী বিজয় ইন্দ্র চক্রবর্তী জানান, ইতোমধ্যে সেনাবাহিনীর তত্ত্বাবধানে ৫০০ কোটি ২৮ লাখ টাকা ব্যয়ে নরসিংদীর ৬টি নদী খনন কাজ চলছে।

   

ভোট ডাকাতি, কোনো দিন আর এই বাংলাদেশে হবে না: ইসি হাবিব



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট বার্তা২৪.কম, বরিশাল
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

নির্বাচন কমিশনার (অব.) ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. আহসান হাবিব খান বলেছেন, ভোট ডাকাতি, ভোট চুরি কোনো দিনই আর বাংলাদেশে হবে না। নির্বাচনে প্রভাব বিস্তারের কোনো প্রশ্নই আসে না। প্রত্যেক ইউনিয়নে একজন করে ম্যাজিস্ট্রেট থাকবে। আইনশৃঙ্খলার চাদরে ঘেরা থাকবে, কেউ কিচ্ছু করতে পারবে না।

শুক্রবার (২৬ এপ্রিল) বিকেল চারটায় ৬ষ্ঠ উপজেলা পরিষদ সাধারণ নির্বাচন উপলক্ষে বরিশাল সদর ও বাকেরগঞ্জ উপজেলার নির্বাচন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের উপস্থিতিকে প্রার্থীদের সাথে আচরণবিধি ও অন্যান্য বিষয়ে মতবিনিময় সভা শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন ইসি হাবিব।

তিনি বলেন, এ ধরনের যাদের অসৎ উদ্দেশ্য আছে—ভোট ডাকাতি, ভোট চুরি, পূর্বের জিনিস পুনরাবৃত্তি কোনোদিন আর এই বাংলাদেশে হবে না। আমরা কমিশন যতদিন আছি।

প্রার্থীরা যে অভিযোগ করছেন তার প্রমাণসহ লিখিত দিলে ব্যবস্থা নেবেন জানিয়ে ইসি হাবিব বলেন, আমরা লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড তৈরি করতে বিশ্বাসী। সকলের জন্য সমান সুযোগ, কে কোন, কার প্রার্থী এটা আমাদের কাছে বিবেচ্য নয়। যদি নেতা হয়, মন্ত্রী হয় অথবা কর্মী হয়, সে আমাদের কাছে সমান। আমাদের প্রশাসন, আইনশৃঙ্খলা সর্বদা সকলের জন্য সচেষ্ট। যদি কোনো প্রকার কিছু হয়, সঙ্গে সঙ্গে সেই ভোটকেন্দ্র বন্ধ করে দেওয়া হবে। প্রয়োজনে আমরা আবার করব।

ইসি বলেন, মতবিনিময় সভায় প্রার্থীরা একে অন্যের বিরুদ্ধে অভিযোগ দিয়েছেন। আমরা তাদের লিখিত আকারে রিটার্নিং কর্মকর্তাকে দিতে বলেছি। নির্বাচন সুষ্ঠু, অবাধ ও সুন্দর পরিবেশে করতে আমরা কাজ করছি। আমরা আগের চেয়েও একটা ভালো নির্বাচন উপহার দেব।

বরিশালের বিভাগীয় কমিশনার মো. শওকত আলীর সভাপতিত্বে মতবিনিময় সভায় জেলা প্রশাসক শহিদুল ইসলাম উপস্থিত ছিলেন, উপজেলা নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তা ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।

এ সময় বরিশাল সদর ও বাকেরগঞ্জ উপজেলার চেয়ারম্যান, ভাইস চেয়ারম্যান ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থীরাও উপস্থিত ছিলেন।

 

;

পাঁচ দ্বিপাক্ষিক নথি স্বাক্ষর করেছে বাংলাদেশ- থাইল্যান্ড



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা ২৪.কম
ছবি: নথিতে স্বাক্ষর করছে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা

ছবি: নথিতে স্বাক্ষর করছে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা

  • Font increase
  • Font Decrease

বাংলাদেশ ও থাইল্যান্ডের মধ্যে ভিসা অব্যাহতি, জ্বালানি সহযোগিতা, পর্যটন এবং শুল্ক ও  মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি (এফটিএ) সংক্রান্ত আলোচনার বিষয়ে পাঁচটি দ্বিপাক্ষিক নথিতে স্বাক্ষর করেছে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং থাইল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী স্রেথা থাভিসিন। 

ব্যাংককে থাই গভর্নমেন্ট হাউসে (থাই প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়) এক দ্বিপাক্ষিক বৈঠকের পর দুই রাষ্ট্র প্রধানের উপস্থিতিতে একটি চুক্তি, তিনটি সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) এবং একটি লেটার অব ইনটেন্ট (এলওআই) স্বাক্ষরিত হয়েছে।

নথিগুলোর মধ্যে রয়েছে অফিসিয়াল পাসপোর্ট হোল্ডারদের জন্য ভিসা ছাড় সংক্রান্ত চুক্তি, জ্বালানি সহযোগিতা, শুল্ক বিষয়ে সহযোগিতা ও পারস্পরিক সহায়তা এবং পর্যটন ক্ষেত্রে সহযোগিতা বিষয়ক সমঝোতা স্মারক এবং ২০২৪ সালের মধ্যে একটি মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি (এফটিএ) নিয়ে আলোচনা সংক্রান্ত লেটার অব ইনটেন্ট (এলওআই)।

জ্বালানি সহযোগিতা ও পর্যটন সহযোগিতার বিষয়ে দুটি সমঝোতা স্মারকে বাংলাদেশের পক্ষ থেকে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ, ভিসা অব্যাহতি  সংক্রান্ত চুক্তিতে বাংলাদেশের পক্ষ থেকে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান, এলওআই নথিতে সই করেন বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম টিটু এবং শুল্ক বিষয়ে পারস্পরিক সহায়তা সংক্রান্ত আরেকটি এমওইউতে সাক্ষর করেন জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) চেয়ারম্যান আবু হেনা মো. রহমাতুল মুনীম।
যৌথ সংবাদ সম্মেলনে দ্বিপাক্ষিক নথিতে স্বাক্ষর করার বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, দুই পক্ষ ২০২৪ সালের মধ্যে একটি মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি (এফটিএ) নিয়ে আলোচনা শুরু করতে সম্মত হয়েছে এবং দুই দেশ এ বিষয়ে একটি লেটার অব ইনটেন্ট (এলওআই) স্বাক্ষর করেছে।

তিনি বলেন, দুই দেশ থাই ও বাংলাদেশী কর্মকর্তাদের মধ্যে সহজ যোগাযোগের সুবিধার্থে অফিসিয়াল পাসপোর্টহোল্ডারদের জন্য ভিসা ছাড় সংক্রান্ত চুক্তিতে স্বাক্ষর করেছে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, জ্বালানি ক্ষেত্রে সহযোগিতার বিষয়ে সম্ভাবনা অন্বেষণ করতে জ্বালানি সহযোগিতা সংক্রান্ত একটি সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হয়েছে। তিনি আরো বলেন, থাই জ্ঞান ও অভিজ্ঞতা থেকে সুফল লাভের লক্ষ্যে শুল্ক বিষয়ে সহযোগিতা ও পারস্পরিক সহায়তা বিষয়ে সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হয়েছে এবং সর্বোত্তম পর্যটন অনুশীলন থেকে সুফল পেতে পর্যটন ক্ষেত্রে সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হয়েছে।

যৌথ সংবাদ সম্মেলনে থাই প্রধানমন্ত্রী বলেন, থাইল্যান্ড ও বাংলাদেশ একটি মুক্ত বাণিজ্য চুক্তির (এফটিএ) জন্য একসঙ্গে কাজ করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন যে, লেটার অফ ইন্টেন্ট আলোচনার প্রক্রিয়া ত্বরান্বিত করতে সহায়তা করবে।

তিনি বলেন, অফিসিয়াল পাসপোর্টধারীদের জন্য ভিসা অব্যাহতির চুক্তি থাই ও বাংলাদেশী কর্মকর্তাদের আরও বেশি সফর বিনিময়ের জন্য সুবিধা দিবে। জ্বালানি সহযোগিতা সংক্রান্ত সমঝোতা স্মারক দুই দেশের সত্যিকারের সম্ভাবনা বাস্তবে রূপদান  করতে সাহায্য করবে।

এছাড়া, শুল্ক বিষয়ে সহযোগিতা ও পারস্পরিক সহায়তার বিষয়ে সমঝোতা স্মারক কার্যকরভাবে সীমান্ত নিয়ন্ত্রণ এবং চোরাচালান বিরোধী অভিযান পরিচালনা করার ক্ষেত্রে সহায়ক হবে। পর্যটন ক্ষেত্রে সহযোগিতার বিষয়ে সমঝোতা স্মারক সাক্ষরের ফলে উভয় দেশ পর্যটন ক্ষেত্রে জ্ঞান, অভিজ্ঞতা এবং সেরা অনুশীলন বিনিময় করার  সুযোগ পাবে।

এর আগে শেখ হাসিনা গভর্নমেন্ট হাউসে পৌঁছালে সেখানে থাই কুহ ফাহ ভবনের সামনের লাল গালিচা বিছানো লনে তাকে উষ্ণ অভ্যর্থনা জানানো হয়। তিনি এ সময় সেখানে থাই সশস্ত্র বাহিনীর একটি চৌকস দলের দেয়া গার্ড অব অনার পরিদর্শন করেন।

স্রেথা থাভিসিন তার মন্ত্রিসভার সদস্যদের শেখ হাসিনার সাথে পরিচয় করিয়ে দেন। শেখ হাসিনা গভর্নমেন্ট হাউসের অতিথি বইতে স্বাক্ষর করেন। প্রধানমন্ত্রী সেখানে একটি আনুষ্ঠানিক মধ্যাহ্নভোজে যোগ দেন।

মধ্যাহ্নভোজে যোগ দেওয়ার আগে শেখ হাসিনা গভর্নমেন্ট হাউসে একটি থাই হস্তশিল্প প্রদর্শনী পরিদর্শন করেন। এ সময় তার সঙ্গে ছিল তার ছোট বোন শেখ রেহানা ও বঙ্গবন্ধুর দৌহিত্র রাদওয়ান মুজিব সিদ্দিক। থাই প্রধানমন্ত্রীর আমন্ত্রণে ২৪ এপ্রিল বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী ছয় দিনের সরকারি সফরে এখানে আসেন।

;

বরগুনায় বাড়ছে ডায়রিয়া রোগী, জায়গা নেই হাসপাতালের মেঝেতেও



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট বার্তা২৪.কম, বরগুনা
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

সারাদেশে তীব্র গরমে হাঁসফাঁস জনজীবন। এরই মধ্যে গরমজনিত নানা রোগে আক্রান্ত হচ্ছে মানুষ। তীব্র গরমের মাঝে বরগুনায় বৃদ্ধি পেয়েছে ডায়রিয়ার প্রকোপ। সর্দি-জ্বর, শ্বাসকষ্ট, ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হচ্ছেন রোগীরা। হাসপাতালগুলোতে যেন তিল ধারণের ঠাঁই নেই। তার ওপর নানা অব্যবস্থাপনায় বেড়েছে ভোগান্তি। হাসপাতালের ডায়রিয়া ওয়ার্ডে জায়গা না পেয়ে অনেকেই চিকিৎসা নিচ্ছেন হাসপাতালের বারান্দার মেঝেতে।

সিভিল সার্জন অফিসের তথ্যমতে, প্রতিদিন শতাধিক ডায়রিয়া আক্রান্ত রোগী চিকিৎসা নিতে বরগুনা সদর হাসপাতালে আসছেন। এপ্রিলের শুরু থেকে এ পর্যন্ত বরগুনা জেলায় আক্রান্ত প্রায় ৪ হাজার মানুষ ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হয়েছেন।

এদিকে, চিকিৎসক সংকটে চিকিৎসা সেবা দিতে হিমশিম খাচ্ছেন হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। ২৫০ শয্যার হাসপাতালে ৫৬ জন চিকিৎসক থাকার কথা থাকলেও রয়েছেন মাত্র ১৭ জন

হাসপাতাল সূত্রে জানা যায়, গত এক সপ্তাতে বরগুনা জেনারেল হাসপাতালে ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হয়ে ৩৮২ জন ভর্তি হন। আর ভর্তি হওয়া এসব রোগীদের মধ্যে অধিকাংশই শিশু ও বয়স্ক। তবে হঠাৎ করে এভাবে ডায়রিয়ায় আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে যাওয়ার শয্যা সংকট দেখা গেছে। বাধ্য হয়ে হাসপাতালের মেঝে ও করিডোরে বিছানা পেতে চিকিৎসা নিচ্ছেন রোগীরা। বরগুনা জেনারেল হাসপাতালসহ অন্যান্য স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ঘুরে এমনই দেখা গেছে।

বরগুনা জেনারেল হাসপাতালে মেয়েকে চিকিৎসার জন্য নিয়ে আসা মোসা. তামান্না নামে এক অভিভাবক বলেন, জ্বর ও ডায়রিয়া নিয়ে গত শনিবার তালতলী থেকে জেনারেল হাসপাতালে আমার মেয়েকে ভর্তি করাই। হাসপাতালে কোনো শয্যা না থাকায় মেঝেতে বিছানা পেতে চিকিৎসা নিতে হচ্ছে। ভর্তির পর থেকে এখানে শুধু আইভি স্যালাইন দিচ্ছে। বাকি ওষুধপত্র বাইরে থেকে কিনতে হচ্ছে।

ডায়রিয়া আক্রান্ত আ. ছত্তার (৫০) বলেন, হাসপাতালে এসেছি সুস্থ হওয়ার জন্য। কিন্তু এখানের যেই অবস্থা এতে আরও বেশি দুর্বল হয়ে পড়েছি। অনেক রোগী সিট পাইনি, তাই মেঝেতে ঠাই হয়েছে।

হাসপাতালটির তত্ত্বাবধায়ক ডা. একেএম নজমুল আহসান বার্তা২৪.কমকে বলেন, হঠাৎ করে ডায়রিয়ার প্রকোপ বেড়ে যাওয়ার কারণে একসঙ্গে অনেক রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। এজন্য আমাদের চিকিৎসকরা সেবা দিতে কিছুটা হিমশিম খাচ্ছেন।

বরগুনা সিভিল সার্জন প্রদীপ চন্দ্র মন্ডল বলেন, গরমের এ সময় ডায়রিয়া বেড়ে যায়। আবহাওয়া পরিবর্তন ও ময়লাযুক্ত পানি পান করাসহ বিভিন্ন কারণে জেলায় ডায়রিয়ার প্রকোপ বৃদ্ধি পাচ্ছে। তবে এ পরিস্থিতি মোকাবিলায় স্টোরে পর্যাপ্ত ওষুধ মজুদসহ আমাদের সব ধরনের প্রস্তুতি রয়েছে। এছাড়াও ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সাথে আমাদের নিয়মিত যোগাযোগ রয়েছে।

;

হাটহাজারীতে ট্রেনে কাটা পড়ে এক ব্যক্তির মৃত্যু



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, চট্টগ্রাম
হাটহাজারীতে ট্রেনে কাটা পড়ে এক ব্যক্তির মৃত্যু

হাটহাজারীতে ট্রেনে কাটা পড়ে এক ব্যক্তির মৃত্যু

  • Font increase
  • Font Decrease

 

চট্টগ্রামের হাটহাজারীতে তেলবাহী ট্রেনে কাটা পড়ে অজ্ঞাত এক ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে।

শুক্রবার (২৬ এপ্রিল) বিকেলে উপজেলার হাটহাজারী পৌরসভার আবুল কালামের মাদ্রাসার সামনে রেললাইনে এ ঘটনা ঘটে।

বিষয়টি বার্তা২৪.কমকে নিশ্চিত করেছেন চট্টগ্রাম রেলওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শহিদুল ইসলাম।

স্থানীয়রা জানান, হাটহাজারীর ১১ মাইল এলাকায় ১০০ মেগাওয়ার্ড পিকিং পাওয়ার পয়েন্টের জন্য ফার্নেশ ওয়েল বহনকারী একটি ট্রেনে কাটা পড়ে লোকটি। এসময় তার শরীর থেকে পুরো মাথা বিছিন্ন হয়ে যায়। খবর পেয়ে থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে মরদেহ উদ্ধার করেছে। নিহত ওই ব্যক্তির পরিচয় পাওয়া যায়নি।

ওসি শহিদুল ইসলাম বলেন, ‘আমরা খবর পাওয়ার পর একটি টিম পাঠিয়েছি। এখনো ওই ব্যক্তির পরিচয় পাওয়া যায়নি।’

;