বশেফমুবিপ্রবিতে বঙ্গমাতার জন্মদিন উদযাপিত

  • নিউজ ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

বর্ণাঢ্য আয়োজনে জামালপুরের বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (বশেফমুবিপ্রবি) মহিয়সী নারী শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিবের ৯০তম জন্মবার্ষিকী উদযাপন করা হয়েছে।

স্বাস্থ্যবিধি মেনে মেলান্দহে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে শনিবার (৮ আগস্ট) জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সহধর্মিণী ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার মায়ের জন্মদিন উপলক্ষে কর্মসূচির আয়োজন করা হয়।

বিজ্ঞাপন

বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. সৈয়দ সামসুদ্দিন আহমেদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন জামালপুর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি অ্যাডভোকেট মুহাম্মদ বাকী বিল্লাহ। প্রধান বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জামালপুর জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ফারুক আহম্মেদ চৌধুরী।

অনলাইনে যুক্ত হয়ে সভাপতির বক্তৃতায় উপাচার্য প্রফেসর ড. সৈয়দ সামসুদ্দিন আহমেদ বঙ্গমাতার চারিত্রিক বৈশিষ্ট্যে যে মানবিক কুসুম-কোমলতা এবং কর্তব্য নিষ্ঠা পরিলক্ষিত হয়েছে তা নিয়ে আলোকপাত করেন।

বিজ্ঞাপন

উপাচার্য বলেন, বঙ্গবন্ধুকে তার আত্মজীবনী লেখানো এবং স্বাধীনতা আন্দোলনের অগ্নিগর্ভ সময়ে সেই পাণ্ডুলিপি দখলদার সামরিক জান্তার কব্জা থেকে উদ্ধার করা বঙ্গমাতার এক সাহসিক ও বুদ্ধিদীপ্ত কৌশলময় কাজ। এভাবে সব আন্দোলন-সংগ্রামে বুদ্ধিমত্তার পরিচয় দিয়ে স্বাধীন বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠায় ভূমিকা রেখেছেন তিনি।

মহিয়সী এই নারীর নামে প্রতিষ্ঠিত বিশ্ববিদ্যালয়কে একটি গবেষণাধর্মী আন্তর্জাতিকমানের উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠান হিসেবে গড়ে তুলতে সকলের সহযোগিতা কামনা করেন তিনি।

অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি অ্যাডভোকেট মুহাম্মদ বাকী বিল্লাহ বলেন, বাঙালির আন্দোলন-সংগ্রামে বঙ্গবন্ধু নেতৃত্ব দিয়েছেন। পেছন থেকে তাকে সাহস জুগিয়েছেন, অনুপ্রেরণা দিয়ে গেছেন বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব। তার নামে প্রতিষ্ঠিত এ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা প্রতিষ্ঠায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে-এটা আমাদের প্রত্যাশা।

সভার প্রধান বক্তা জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ফারুক আহম্মেদ চৌধুরী বলেন, বঙ্গবন্ধু সমৃদ্ধ সোনার বাংলার স্বপ্ন দেখেছিলেন। বঙ্গমাতা তাকে সাহস জুগিয়েছিলেন, পরামর্শ ও অনুপ্রেরণা দিয়েছেন। আমি আশা করি এখানকার শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা বঙ্গবন্ধু, বঙ্গমাতা ও মুক্তিযুদ্ধ এবং বাংলাদেশকে নিয়ে সমৃদ্ধ গবেষণা করবে।

এর আগে সকাল সাড়ে ১০টায় ক্যাম্পাসে স্থাপিত বঙ্গবন্ধু ও বঙ্গমাতার প্রতিকৃতিতে ফুলেল শ্রদ্ধা জানানোর মধ্য দিয়ে দিনের কর্মসূচি শুরু হয়। পরে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।

এতে শুভেচ্ছা বক্তব্য দেন- বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজকর্ম বিভাগের প্রধান ড. এএইচএম মাহবুবুর রহমান, কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের প্রধান ড. মাহমুদুল আলম, গণিত বিভাগের প্রধান ড. মুহাম্মদ শাহজালাল, ফিশারিজ বিভাগের শিক্ষক রফিকুল বারী, ড. আব্দুস ছাত্তার, ব্যবস্থাপনা বিভাগের শিক্ষক ইউসুফ আলী। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন ফিশারিজ বিভাগের শিক্ষক রায়হানা রহমান।

এ সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-কর্মকর্তাবৃন্দ ও কর্মচারীরা উপস্থিত ছিলেন। এদিকে আলোচনা সভা শেষে স্থানীয় মসজিদে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিবসহ ১৫ আগস্টের কালরাতে নিহত সকল শহীদদের আত্মার মাগফিরাত কামনা করা হয়।

উল্লেখ্য, ১৯৩০ সালের ৮ আগস্ট গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়া গ্রামে শেখ ফজিলাতুন্নেছার জন্ম হয়।