স্বাস্থ্যবিধি মেনে যবিপ্রবির এআইএস বিভাগের ডিফেন্স অনুষ্ঠিত
করোনা মহামারীর কারণে শিক্ষার্থীদের ভবিষ্যৎ যেন বিপন্ন না হয়, সেজন্য স্বাস্থ্যবিধি মেনে যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (যবিপ্রবি) একাউন্টিং অ্যান্ড ইনফরমেশন সিস্টেমস (এআইএস) বিভাগের চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থীদের ডিফেন্স পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
গত ১৫-১৬ সেপ্টেম্বর যবিপ্রবির এআইএস বিভাগে দুই দিনব্যাপী এই ডিফেন্স পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। একইসঙ্গে এ পরীক্ষার ফলাফল গত ২০ সেপ্টেম্বর প্রকাশ করা হয়েছে। করোনা মহামারীর কারণে ছুটি শুরু হওয়ার পূর্বেই এই ব্যাচের ফাইনাল পরীক্ষা সম্পন্ন হয়। ওই সকল পরীক্ষার ফলাফলও ইতিমধ্যে প্রস্তুত রয়েছে। ফলে তাদের চূড়ান্ত ফলাফল যেকোনো সময় প্রকাশ করার সুযোগ সৃষ্টি হলো।
করোনার মহামারীর মধ্যে শিক্ষার্থীদের ভবিষ্যতের কথা ভেবে ডিফেন্স মৌখিক পরীক্ষা নেওয়ার জন্য এআইএস বিভাগকে ধন্যবাদ জানান যবিপ্রবির উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আনোয়ার হোসেন। তিনি বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের অনেক বিভাগেরই ফাইনাল পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়ে গেছে। ডিফেন্স পরীক্ষা, থিসিস প্রেজেন্টেশন বা দু-একটি পরীক্ষা বা রিটেক পরীক্ষা বাকি আছে। ওই সকল বিভাগের শিক্ষার্থীরা যদি তাদের স্ব স্ব বিভাগে আবেদন করে, তাহলে বিভাগীয় একাডেমিক কমিটির সুপারিশ অনুযায়ী স্বাস্থ্যবিধি মানার শর্তে তাদের পরীক্ষা নেওয়ার অনুমোদন দেওয়া হবে। অ্যাকাউন্টিং অ্যান্ড ইনফরমেশন সিস্টেমস বিভাগ পরীক্ষা নিয়েছে। এ ছাড়া অন্য অনেক বিভাগও এ সকল পরীক্ষা সম্পন্নের উদ্যোগ নিচ্ছে। পর্যায়ক্রমে এ সকল বিভাগের ফলাফলও প্রকাশ করা হবে।
ব্যবসায় শিক্ষা অনুষদ থেকে জানানো হয়, যবিপ্রবির এআইএস বিভাগের ২০১৫-১৬ শিক্ষাবর্ষের স্নাতক (সম্মান) শ্রেণির শিক্ষার্থীদের ২০১৬ সালের জানুয়ারি মাসে ক্লাস শুরু করেছিল। এই ফল প্রকাশের মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা করোনাকালেও সেশনজট ছাড়াই নির্ধারিত সময়ের মধ্যেই স্নাতক (সম্মান) প্রোগ্রামের আনুষ্ঠানিক পাঠ শেষ করল। একই সাথে করোনা মহামারীরকালেও বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক কার্যক্রম আবার গতিশীল হতে শুরু করল।
চলতি বছরের মার্চ মাসের প্রথমার্ধেই বিভাগের শিক্ষার্থীরা তাদের ৪র্থ বর্ষের ২য় সেমিস্টারের লিখিত পরীক্ষা শেষ করতে সক্ষম হয়। বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে তাদের তিন মাসের ইন্টার্নশিপও শেষ করে। কিন্তু তাদের মৌখিক পরীক্ষা, থিসিস প্রেজেন্টেশন ও ল্যাব পরীক্ষা বাকি ছিল। শিক্ষার্থীরা তাদের স্নাতক (সম্মান) প্রোগ্রামের শেষ প্রান্তে এসে আটকে যায়। জীবনের তারণ্যদীপ্ত মূল্যবান সময় অপচয় হচ্ছিল এবং তারা বিভিন্ন প্রতিযোগিতামূলক চাকরির পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে পারছিল না। তখন শিক্ষার্থীরা প্রয়োজনীয় সকল স্বাস্থ্যবিধি মেনে মৌখিক পরীক্ষা, থিসিস প্রেজেন্টেশন ও ল্যাব পরীক্ষা দেওয়ার জন্য বিভাগকে লিখিতভাবে অনুরোধ জানায়। বিশ^বিদ্যালয় প্রশাসনও প্রয়োজনীয় সকল স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার শর্তে পরীক্ষা নেওয়ার অনুমোদন দেয়। এরপরই ওই ব্যাচের শিক্ষার্থীদের ডিফেন্স পরীক্ষা নেওয়া এবং এর ফলাফল প্রকাশ করা হলো।