বেরোবি প্রশাসনিক ভবনে প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা: ছাত্রলীগের আল্টিমেটাম
সম্প্রতি বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের (বেরোবি) প্রশাসনিক ভবন ও উপাচার্যের বাসভবনে প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা জারি করে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। এ ঘটনায় চাপা ক্ষোভ বিরাজ করছে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও কর্মকর্তা-কর্মচারীদের মাঝে।
বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের এমন হটকারী সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার করতে আল্টিমেটাম দিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগ। সম্প্রতি বিশ্ববিদ্যালয়ের ৭৫তম সিন্ডিকেট সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার দফতর সূত্রে জানা যায়।
এছাড়াও বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক ভবন এবং শ্রেণিকক্ষের সামনে মিছিল-মিটিং, অবস্থান ধর্মঘট, বিক্ষোভ প্রদর্শন, স্লোগান, বক্তব্য প্রদান ও মৌন মিছিলসহ প্রতিবাদের অংশ হিসেবে তালা লাগালে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলেও হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সমিতির সভাপতি আবু কালাম মো. ফরিদ উল ইসলাম বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের এমন কোন ঘটনা ঘটেনি যে, সিন্ডিকেটের বিশেষ সভা করে এরূপ সিদ্ধান্ত নিতে হবে। বিশ্ববিদ্যালয়ের বর্তমান প্রশাসন অসংখ্য নিয়ম বহির্ভূত কর্মকাণ্ড করে যাচ্ছে। এ সকল নিয়ম বহির্ভূত অনৈতিক কর্মকাণ্ডের জন্য সংশ্লিষ্টগণ প্রতিবাদ করাটাই স্বাভাবিক।
বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের এমন সিদ্ধান্তের নিন্দা জানিয়ে শিক্ষকদের সংগঠন ‘অধিকার সুরক্ষা পরিষদ’ এর নেতৃবৃন্দ বলেন, এই নিষেধাজ্ঞা বাংলাদেশের সংবিধান পরিপন্থী। অবিলম্বে সংবিধানবিরোধী ওই ‘নিষেধাজ্ঞা’ তুলে নেওয়া না হলে জোরালো আন্দোলন করার হুঁশিয়ারি দেন তারা।
বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি তুষার কিবরিয়া অভিযোগ করেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ক্যাম্পাসে না থেকে প্রতিষ্ঠানের যতো রকম সমস্যার সৃষ্টি করেছেন সেগুলো চেপে রাখতেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। আগামীকালের (রোববার) মধ্যে এই সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার করা না হলে শিক্ষার্থীরা এর যথাযথ জবাব দিবে।
এ বিষয়ে জানতে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার আবু হেনা মুস্তাফা কামাল ও উপাচার্য ডক্টর নাজমুল আহসান কলিমউল্লাহর সঙ্গে একাধিকবার ফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে কেউই ফোন রিসিভ করেননি।