ববি শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা, ঢাকা-কুয়াকাটা সড়ক অবরোধ
বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের মেসে হামলা চালানোর অভিযোগ উঠেছে রুপাতলীর স্ট্যান্ডের পরিবহন শ্রমিকদের বিরুদ্ধে। এতে আহত হয়েছে অন্তত ১১ জন শিক্ষার্থী । পরে তাদের উদ্ধার করে বরিশাল শের-ই- বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। বর্তমানে তারা চিকিৎসাধীন রয়েছে।
এঘটনায় বুধবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) সকাল ৭টা থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনে ঢাকা-কুয়াকাটা সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করছে শিক্ষার্থীরা।
আহত শিক্ষার্থীরা হলেন- মৃত্তিকা ও পরিবেশ বিজ্ঞান বিভাগের নুরুল্লাহ সিদ্দিকী, রসায়ন বিভাগের এস এম সোহানুর রহমান, পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের আহসানুজ্জামান, গণিত বিভাগের ফজলুল হক রাজীব, সমাজবিজ্ঞান বিভাগের আলীম সালেহী, বোটানি ও ক্রপ সাইন্সের আলী হাসান, বাংলা বিভাগের মোঃ রাজন হোসেন এবং মার্কেটিং বিভাগের মাহবুবুর রহমান, মাহাদী হাসান ইমন, মিরাজ হাওলাদার ও সজীব শেখ।
এরআগে মঙ্গলবার (১৬ ফেব্রুয়ারি) গভীর রাতে বরিশাল নগরীর রুপাতলী হাউজিং এলাকার ২৩নং রোডের বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীদের মেসে এই হামলার ঘটনা ঘটে। এ ঘটনার প্রতিবাদে গভীর রাতেই ঢাকা-কুয়াকাটা মহাসড়ক কিছুক্ষণ অবরোধ ও রাস্তায় আগুন জ্বালিয়ে বিক্ষোভ করে শিক্ষার্থীরা। এরপর বুধবার সকাল ৭টা থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনের সড়ক আবারও অবরোধ শুরু করে শিক্ষার্থীরা।
শিক্ষার্থীরা জানান, মঙ্গলবার দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের এক ছাত্রকে ছুরিকাঘাত ও লাঞ্ছিত করার পর হামলাকারী পরিবহন শ্রমিকের বিচার দাবিতে সড়ক অবরোধ করে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। এরই জের ধরে সড়ক অবরোধের সময় নেতৃত্ব দেওয়া শিক্ষার্থী মাহামুদুল হাসান তমালের মেসে গভীর রাতে হামলা চালায় পরিবহন শ্রমিকরা।
বিষয়টি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পরলে পার্শ্ববর্তী মেসের ছাত্ররা তমালকে উদ্ধারে এগিয়ে এলে ধারালো অস্ত্র ও লাঠিসোটা দিয়ে শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা চালানো হয়। পরে তাদের উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। আহত ১১ জনই সার্জারি বিভাগে চিকিৎসাধীন রয়েছে। এই ঘটনায় রাতেই ঢাকা-কুয়াকাটা মহাসড়কে আগুন জ্বালিয়ে বিক্ষোভ করা হলেও তা তুলে নেওয়া হয়। বুধবার সকাল ৭টা থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনে সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ চালিয়ে যাচ্ছে শিক্ষার্থীরা। হামলার ঘটনার সুষ্ঠু বিচার না হওয়া পর্যন্ত সড়ক অবরোধ অব্যাহত থাকবে বলে জানান তারা।
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ড. সুব্রত কুমার দাস জানান, রাতে সংবাদ পেয়ে তিনি সহ বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্যান্য শিক্ষক-কর্মকর্তাবৃন্দ ঘটনাস্থলে ছুটে যান এবং আহত সকল শিক্ষার্থীর চিকিৎসা ব্যবস্থা করা হয়।
বরিশাল কোতোয়ালি মডেল থানার ওসি (তদন্ত) মো. আসাদুজ্জামান বলেন, অভিযুক্তদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।