বেরোবিতে চাকরি দেয়ার নামে টাকা আত্মসাতের অভিযোগ
ভুয়া নিয়োগপত্র দিয়ে ১৩ লাখ টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে কর্মরত ৩ কর্মকর্তা-কর্মচারীর বিরুদ্ধে। এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার বরাবর ভুক্তভোগীর করা লিখিত অভিযোগপত্রের কপি এবং টাকা লেনদেনের একটি ভিডিও ফুটেজ বার্তা২৪.কম এর হাতে এসেছে।
অভিযুক্ত ৩ ব্যক্তি হলেন- সমাজ বিজ্ঞান বিভাগের সেকশন অফিসার মনিরুজ্জামান পলাশ, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলের
কম্পিউটার অপারেটর শেরেজামান সম্রাট এবং মাস্টাররোল কর্মচারী গুলশান আহমেদ শাওন।
অভিযোগপত্র থেকে জানা যায়, রংপুরের মিঠাপুকুরের বাসিন্দা মো. রুবেল সাদীকে সেকশন অফিসার-০২ পদে চাকরি দেওয়ার প্রলোভন দেখিয়ে ১৬ লাখ টাকা ঠিক করেন অভিযুক্ত ৩ কর্মকর্তা-কর্মচারী। সেই চুক্তি অনুযায়ী ৩ ধাপে ১৩ লাখ টাকা প্রদান করেন রুবেল সাদী। বাকি টাকা যোগদানের সময় পরিশোধ করার প্রতিশ্রুতি দেন।
কিন্তু টাকা নেওয়ার পর চাকরি দিতে টালবাহানা শুরু করে তিন কর্মকর্তা-কর্মচারী। এ পর্যায়ে তাদের চাপ প্রয়োগ করলে বাধ্য হয়ে নিয়োগপত্রের একটি ফটোকপি দিয়ে যোগদান করতে বলা হয়। সেই নিয়োগপত্র নিয়ে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে যোগদান করতে আসলে কর্তৃপক্ষ তাকে জানায় এটি ভুয়া নিয়োগপত্র। পরে টাকা ফেরত চাইলে তাকে বিভিন্নভাবে হুমকি দেওয়া হয় বলে অভিযোগ রুবেলের।
অভিযুক্ত শেরেজামান সম্রাটের মোবাইল ফোনে একাধিকবার যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলেও তিনি কল রিসিভ করেননি এবং মনিরুজ্জামান পলাশের মোবাইল ফোন বন্ধ থাকায় যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।
এ বিষয়ে যোগাযোগ করা হলে বিশ্ববিদ্যালয়ের মুখপাত্র এবং জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলের প্রভোস্ট তাবিউর রহমান প্রধান জানান, সম্রাটের বিরুদ্ধে এর আগেও এমন অভিযোগ পাওয়া গিয়েছিল, তখন তাকে মৌখিকভাবে সতর্ক করা হয়েছে। এবার যেহেতু তথ্য প্রমাণসহ অভিযোগ পাওয়া গেছে তাই বিষয়টি খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নেবে।