৬ষ্ঠ বারের মত রাবি সায়েন্স ক্লাবের ডিএনএ দিবসের আয়োজন
আগামী ২৫ এপ্রিল বিশ্ব ডিএনএ দিবস। রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় সায়েন্স ক্লাব ৬ষ্ঠ বারের মতো আয়োজন করতে যাচ্ছে এই দিবসটি। প্রতিবছর রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় সায়েন্স ক্লাবের উদ্যোগে এই দিনটি বিশেষভাবে পালন করে থাকে। ২৫ এপ্রিল গ্রেগরীয় বর্ষপঞ্জি অনুসারে বছরের ১১৫তম (অধিবর্ষে ১১৬তম) দিন। বছর শেষ হতে আরও ২৫০ দিন বাকি রয়েছে।
বিজ্ঞান চর্চার প্রাথমিক যুগের সূচনা ঘটেছিল গণিত চর্চার মধ্য দিয়ে। মধ্যযুগে তা পদার্থবিদ্যার বিকাশে যুগান্তকারী ভূমিকা রাখে। ধীরে ধীরে নিউটন, গ্যালিলিও, আইনস্টাইন, বোরের তত্ত্ব একে আধুনিক যুগে নিয়ে আসে। কিন্তু, ১৯২০ এর আবিষ্কারের ধারা কিছুটা স্তিমিত হয়ে পড়ে। তখন, বিজ্ঞানীরা ঝুকতে থাকে পরিবেশ, পৃথিবী, মানুষ, জীবজগৎ নিয়ে গবেষণার দিকে। বর্তমানে একবিংশ শতাব্দীকে তাই নিঃসন্দেহে বলা হচ্ছে দ্য সেঞ্চুরি অব বাই বায়োলজিকাল সায়েন্স এর কারণ ১৯৭২ সালে পল বার্গের রিকম্বিনেন্ট ডিএনএ টেকনোলজি বা জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং এর আবিষ্কার ।
বিজ্ঞানী ম্যাক্স ফার্দিনান্দ পেরুৎজ-এর দুই সহকারী। ক্রিক এবং তাঁর বন্ধু জেমস ডিউই ওয়াটসন। ৬৮ বছর আগে, ১৯৫৩ সালের ২৫ এপ্রিল, গবেষণায় তাঁদের যুগলবন্দি জীববিদ্যাকে উপহার দিয়েছিল এক অত্যাশ্চর্য জ্ঞান। যে কোনও প্রাণীর, তা সে ক্ষুদ্রাতিক্ষুদ্র ব্যাকটেরিয়া কিংবা প্রকাণ্ড তিমিমাছ যা-ই হোক না কেন— জন্ম, জীবনধারণ এবং মৃত্যুর মূলে দায়ী রাসায়নিক পদার্থটি দেখতে কেমন, তা বলে দিয়েছিলেন তাঁরা। কী সেই মহার্ঘ পদার্থ?
ডিঅক্সিরাইবোনিউক্লিক অ্যাসিড। হ্যাঁ, সংক্ষেপে ডি এন এ। প্রাণীর দেহকোষে উপস্থিত পেল্লায় এক অণু। এবং মস্ত বড় খেলোয়াড়। পুরুষ ও নারীর শুক্রাণু ও ডিম্বাণুর মিলনে সন্তান আবির্ভাবে, আর তারপর সেই সন্তানের জীবনযৌবনে, জরায়ু ও ব্যাধিতে মুখ্য ভূমিকা ওই অণুর। তার গঠন আবিষ্কার, অতএব, প্রাণের রহস্যভেদ। ক্রিক এবং ওয়াটসন-এর সাফল্য বিজ্ঞানের জয়যাত্রায় এক উজ্জ্বল মাইলস্টোন।
বিজ্ঞানে এই ডিএনএ আবিষ্কারের অবদান তুলে ধরতে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় সায়েন্স ক্লাব প্রতিষ্ঠার পর থেকে প্রতিবছরই অনেক উৎসবমুখর পরিবেশে দিবসটি পালন করে আসছে। তবে এ বছর সারাদেশ করোনা মহামারির কারণে লকডাউন থাকায় ভার্চুয়ালি দিবসটি পালন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় সায়েন্স ক্লাব। এবছর দিবসটি পালনে তরুণ বিজ্ঞান প্রেমীদের জন্য বিশেষ প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হবে। সেগুলো হলো ৩ মিনিট পপুলার সায়েন্স টক এবং সায়েন্টিফিক পোস্টার প্রেজেন্টেশন। যেখানে বিজ্ঞান প্রেমীরা অংশগ্রহণ করে তারা তাদের বিজ্ঞানভিত্তিক উদ্ভাবনী জ্ঞানগুলো তুলে ধরতে পারবে অনলাইন প্রেজেন্টেশনের মাধ্যমে এবং ১ম, ২য় ও ৩য় স্থান ধারীদের জন্য থাকছে আকর্ষণীয় প্রাইজ মানি।