বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ পদে অতিরিক্ত সচিব নিয়োগে শিক্ষকদের তীব্র নিন্দা

  • নিউজ ডেস্ক, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে একজন অবসরপ্রাপ্ত নন-একাডেমিক অতিরিক্ত সচিবকে কোষাধ্যক্ষ পদে নিয়োগের প্রতিবাদে যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি তীব্র নিন্দা জানিয়েছে।

গত ৫ মে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের একটি প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে (স্মারক নং- ৩৭.০০.০০০০.০৮০.১১.০০১.২০২১-১৪২) বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে একজন অবসরপ্রাপ্ত নন-একাডেমিক অতিরিক্ত সচিব মোহাম্মদ আব্দুল মান্নানকে কোষাধ্যক্ষ পদে নিয়োগ দেওয়ায় যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানায়।

বিজ্ঞাপন

গত ৭ মে অনুষ্ঠিত যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সমিতির কার্যনির্বাহী পরিষদের এক সভায় বলা হয়, মোহাম্মদ আব্দুল মান্নান কোন একাডেমিক ব্যক্তি নন, তিনি গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের অবসরোত্তর ছুটি ভোগ করা একজন কর্মকর্তা। তাই যবিপ্রবির শিক্ষক সমিতি মনে করে বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ের সর্বোচ্চ পদগুলোতে বিশিষ্ট শিক্ষাবিদের মধ্যে থেকে নিয়োগ দেওয়া উচিত। বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ পদে প্রশাসন ক্যাডারের একজন কর্মকর্তাকে নিয়োগদান বিশ্ববিদ্যালয়ের ওপর সরকারি আমলাতন্ত্রের এক ধরনের নগ্ন হস্তক্ষেপ। এই নিয়োগদান শিক্ষকদের মাঝে ক্ষোভের সঞ্চার করেছে এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের সামগ্রিক পরিবেশ অস্থিতিশীল হতে পারে বলে শিক্ষক সমিতি মনে করে।

মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা যখন তাঁর বিচক্ষণ নেতৃত্ব ও নিরলস পরিশ্রমের মাধ্যমে বাংলাদেশকে বিশ্বের দরবারে একটি সম্মানজনক অবস্থানে নিয়ে গেছেন ঠিক তখন সরকারের ভিতরে লুকিয়ে থাকা কিছু স্বার্থান্বেষী মহল ও আমলারা বাংলাদেশের উচ্চশিক্ষাকে ধ্বংস করার যে নীল নকশা করেছে এবং ধাপে ধাপে তা বাস্তবায়ন করিতেছে অত্যন্ত চতুরতার সহিত। এ প্রেক্ষিতে যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি প্রশাসন ক্যাডারের একজন নন-একাডেমিক কর্মকর্তা অবসরপ্রাপ্ত অতিরিক্ত সচিব মোহাম্মদ আব্দুল মাননানকে বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ পদে নিয়োগ আদেশ প্রদানের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই। এবং অবিলম্বে এ নিয়োগ আদেশ বাতিলপূর্বক প্রত্যাহার করা এবং একজন স্বনামধন্য শিক্ষাবিদকে নিয়োগের জন্য সংশিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে জোর দাবি জানাই।

বিজ্ঞাপন